Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

রমজানে একসঙ্গে এক মাসের পণ্য কেনার দরকার নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; দাম নিয়ন্ত্রণে আসন্ন রমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় রমজান মাসের জন্য প্রয়োজনীয় ছয় পণ্য যেমন- ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, খেঁজুর ও চিনি মজুত রাখার কথাও জানান তিনি।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মশুর ডাল, ছোলা, খেজুর ও চিনি রমজান মাসে দরকারি পণ্য। এ ছয় পণ্য মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হবে। তাই আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

চিনির দাম অন্যান্য পণ্যের তুলনায় একটু বেশি উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিনির ওপর ডিউটি কমানোর জন্য একটি চিঠি পাঠানো হবে। 

পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসব পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি।

সয়াবিন তেল ও পাম তেল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম তেমন একটা বাড়েনি। তাই এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়বে না। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলে হয়ত দামের ওপর প্রভাব পড়বে। আমরা লক্ষ্য করেছি, পণ্য ‍দুটির দাম ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে।

এ সময় দাম নিয়ন্ত্রণে আসন্ন রমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রোজা শুরু হওয়ার প্রথম সাতদিন পণ্য কেনায় যে উপচেপড়া ভিড় থাকে, তা দরকার নেই। সবাই ভাবে এক মাসের পণ্য একসঙ্গে কিনবেন, তা দরকার নেই। এ মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, এ সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কী পরিমাণ পণ্য কী দামে কিনেছে সেটির গড় মূল্য ধরেই রমজানে পণ্য মূল্য নির্ধারণ করা হবে। তা ছাড়া পণ্যের যে দাম নির্ধারণ করা হবে, সেটি বাজারে কার্যকর করার জন্য মনিটরিং করা হবে।

‘পণ্য আমদানি ও সরবরাহের সঙ্গে সমন্বয় করে যে দাম নির্ধারণ হবে, তা খুচরা বাজারে যেন মেনে চলা হয়, এ জন্য তদারকি করা হবে’, যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।


আরও খবর



‌জাতির পিতা বেঁচে থাকলে দেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ আরও বহু আগেই  উন্নত হতো জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।

সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



মাগুরায় সারাদেশের ন্যায় বাংলা নববর্ষ পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:সারাদেশের ন্যায় মাগুরায় নানান কর্মসুচির মধ্যদিয়ে রবিবার বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উৎযাপিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ কর্মসুচি পালন করে। কর্মসুচির মধ্যে ছিল চিত্রান্কন প্রতিযোগিতা, বৈশাখী র‍্যালি, স্থানীয় আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী জেলখানা শিশু পরিবার ও হাসপাতালে বাঙ্গালী খাবার পরিবেশন ও স্থানীয় নোমানী ময়দানে লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। কর্মসুচিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজাসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করে।


আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



দুইবার অসন্তোষ আখ্যা পেলেও তৃতীয় মূল্যায়নে সফল মারুফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) এর দশম ব্যাচের  ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং  ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মো: রবিউল আলম মারুফ আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে বিশেষ অনুদান প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হন।
"ডেভেলপমেন্ট অব এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণাটি হলো পাখা ছাড়া উড়ন্ত যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা; এটি বানানোর ক্ষেত্রে এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইসের জন্য প্লাজমা জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে এবং ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয়েছে। এই উদ্ভাবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলে এটি শব্দহীন গতিবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। দীর্ঘ দুই-বৎসরের গবেষণালব্ধ, এ নতুনত্বপূর্ন প্রযুক্তিটি অদূর ভবিষ্যতে "স্টার ওয়ার্স" চলচ্চিত্রে দেখানো স্টারশিপ বিমান ডিজাইনের অনুকরণ হতে পারে।

গবেষণা কাজটি পরিচালনার জন্য  বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম ধাপের প্রাপ্ত কিস্তির পর অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তির অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় হতে অবগত করা হয়েছে। তবে এই গবেষণা কাজ চলমান অবস্থায়  পূর্বে ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ ও ১১ এপ্রিল, ২০২৩ সালে দুইবার রিপোর্ট প্রেরণ করা হলেও সেগুলোর সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি বলে মূল্যায়িত করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে। এমতাবস্থায় অনেক জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ  ব্যক্তি প্রজেক্টটি অসমাপ্ত রেখেই ইতি টানার পরামর্শ দিলেও মারুফ তার প্রবল ইচ্ছেশক্তি দিয়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যায়।

৩১ জানুয়ারি,২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে ভার্চুয়ালি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফ জানান বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব কামরুল আলম খান এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ চলমান রেখেছেন এবং উক্ত গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে, দেশের বাহির হতে এটি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন শেষে সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পটির মূল্যায়নে সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হলেই কেবল পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব  ড. এমডি শাহেদুল আলম কে উক্ত প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়।

পুনরায় ১১ এপ্রিল,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর পুনরায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় এবং  প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মারুফ মূল্যায়ন কমিটিকে জানান যে, তিনি দেশের বাহির হতে হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আসলেও কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব-সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে তাদের ল্যাব ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনোপ্রকার অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় এবারেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, কিছু শর্তে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জনাব ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়।

সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের কাজ মূল্যায়ন কমিটির দৃষ্টিভঙ্গিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করেছে বলে বিবেচিত হয় এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

শত বাঁধা উপেক্ষা করে প্রকল্পটির সাথে লেগে থাকজ জনাব মো: রবিউল আলম মারুফ তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, "আলহামদুলিল্লাহ প্রায় আড়াই বছরেরও অধিক সময় পরে সন্তোষজনক মূল্যায়নটি পেয়েছি, এরমধ্যে আমার সাথে যাহারা ফান্ড পেয়েছিল তাদের অনেকের ই কাজ শেষ করে প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। খুব আফসোস আর অসহায় লাগত কিন্তু ধৈর্য ধরে ছিলাম দিনটির জন্য। ২০২২ এবং ২০২৩ এর প্রথম  দু'বারের মূল্যায়নে অসন্তোষজনক আখ্যা পেলেও আমি গবেষণাতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে, টানা দশ মাসের ৭০ এর ও অধিক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর উড়েছে পাখা ছাড়া যন্ত্র।" মারুফ ব্যক্তিগত গবেষণা কাজ ছাড়াও দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া নামে একটি রিসার্চ কমিউনিটি পরিচালনা করেন যারা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন নতুন গবেষণা প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন এবং দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিওিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই কমিউনিটির সদস্যদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, গবেষণায় সরকারি অনুদান লাভসহ বিভিন্ন গবেষণা কনফারেন্সে কাজের উল্লেখযোগ্য উৎসাহমূলক প্রসংশা পেয়ে আসার সুনাম রয়েছে।


আরও খবর



রৌমারীতে হাট বাজারে টোল আদায় সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:স্থানীয় সরকার বিভাগ রৌমারী উপজেলার আওতাধীন সরকারি হাট-বাজার সমুহের ১৪৩১ বাংলা সনের টোল আদায়ের হার নির্ধারণ, পয়পরিস্কার, পেরিফেরি হাট-বাজারের বাইরে টোল আদায় না করা, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষ করে চলাসহ নানাবিধ বিষয়ের লক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান, এমপির প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম মিনু সহ-সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, হাট বাজার ইজারাদারগণ, ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, সরকার নির্ধারণের বেশি টোল আদায় করা যাবে না, উভয় পক্ষ হতে টোল আদায় করা যাবে না এবং উভয় পক্ষ থেকে টোল আদায় প্রমানিত হলে দন্ডবিধি মোতাবেক আদায় কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইজারাদ কর্তৃক টোল আদায়েল তালিকা লিখে হাট বাজারের প্রকাশ্য জায়গায় টানানোট নির্দেশ, ইচ্ছাকৃত ভাবে জনসাধারণকে ধোকা ও ঠকানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, হাট-বাজারের অলিগলিসহ কোন বিক্রয় স্থানকে সাব ইজারা বা এককালিন ইজারা দেয়া যাবে না, টোল আদায়ের রশিদে টাকার অংক উল্লেখ করে স্বাক্ষর থাকতে হবে, হাট-বাজারের পেরিফেরির বাইরে কোন টোল আদায় করা যাবে না, বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোন অন্যায় ও অনিয়ম হলে তার দায়-দায়িত্ব হাট-ইজাদারের উপর বর্তাবেও বলে ব্ধসঢ়;ক্তাগণ উল্লেক করেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সরকারি নিয়ম মাফিক হাট-বাজার চালানো ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের টোল আদায়ের প্রস্তাবনা তালিকা প্রেরণের জন্য আলোচনা সভাটি করা হয়েছে। তবে সরকারি টোল আদায়ের হার নির্ধারণের বাইরে অতিরিক্ত টোল ও উভয় পক্ষের নিকট টোল আদায়ের কোন সুযোগ নাই।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, সরকারের বাইরে কোন কিছু করার সুযোগ নাই। সরকারি ভাবে টোল আদায়ের নির্ধারিত তালিকার নিয়ম মাফিক টোল আদায় করতে হবে। 


আরও খবর