Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃপ্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপন্ন। মানুষের জীবন গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষেরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায়। প্রচুর গরমে তাদের কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সামান্য কাজ করেই হাপিয়ে পড়ছে তারা। অনাবৃষ্টিতে গ্রাম গঞ্জের রাস্তাঘাট ধুলোবালুতে ভরে গেছে।

এ থেকে নিস্তার পেতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ডিগ্রী কলেজ মাঠে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাইয়্যেদুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত ইমাম ওলামা মাশায়েখের আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লবসহ ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ গ্রহণ করে। এ নামাজে ইমামতি করেন উত্তরবঙ্গের খ্যাতি সম্পন্ন মাওলানা আব্দুল্লাহীল বাকী।

সহকারী শিক্ষক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান বলেন,প্রচন্ড দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে  অংশ হিসাবে এ নামাজ আদায় করা হলো। হাদিসে আছে আমাদের নবী রাসুলেরা বৃষ্টির জন্য এ নামাজ আদায় করতো। সেই ধারাবাহিকতায় এ নামাজ পড়েছি। একইভাবে ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটে লোকজন কমে যায়। এ জন্য বেচাকেনাও কম। সূর্যের তাপদাহে মানুষ বাড়ী থেকে তেমন বের হতে পাড়ছে না। তাই বৃষ্টির প্রার্থনায় এ নামাজে অনেকেই অংশ গ্রহণ করেছি।

আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মুন্না নামের এক যুবকের পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর ইকরা দারুল কুরআন বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রীদের  রতনপুর গ্রামের আল আমীন নামে এক যুবক প্রায়ই উত্বক্ত করতো। পরে ছাত্রীর অভিভাবকগণ ওই যুবকদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন আরিফ বিল্লাহ ও ২ নং স্বাক্ষী ছিলেন মুন্না হোসাইন।

ঘটনার দ্বিতীয় স্বাক্ষী মুন্না হোসাইনকে গত ১৭ই এপ্রিল রোজ বুধবার রতনপুর গ্রামের ইভিটিজিংকারী যুবক এবং অন্যান্যরা সম্মিলিতভাবে চাতলপাড় চকবাজারে দিনে  দুপুরে সবার সামনে প্রকাশ্যে  দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ  করে পিটিয়ে  গুরুতর জখম করে।তাদের আঘাতে  স্ট্রোক করে মুন্না। পরে কিশোরগঞ্জের  ভাগলপুর হাসপাতালের ডাক্তারগণ প্রাথমিক চিকিৎসা করে ঢাকা হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রেফার করে।

পরবর্তীতে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে আসলে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মারা যায় মুন্না হোসাইন। মুন্নার উপর অতর্কিত হামলায় অংশগ্রহণ করে ইভটিজার  আল আমীন ও মাসুম গংরা । ইভিটিজিংকারী ও হত্যাকারী আল আমীন পিতা শমশের আলীর  বাড়ি  রতনপুর গ্রামে। মাসুম এবং জড়িত অন্যান্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসী।এ ঘটনায় কোন মামলা না হলেও নিহত মুন্নার লাশ থানা নিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজা উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, আরতী প্রতিযোগিতা, প্রসাদ বিতরণ ও বৌ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা হরতকীতলা শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা মন্দির কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার বৌ মেলার মধ্যদিয়ে দিবসটি সমাপ্ত করা হয়। বৌশাখের বসন্ত ঋতু তিথি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার মন্দিরে ভগবত গীতাপাঠ, তুলশি আরতি ও মঙ্গলঘাট স্থাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা আমিনুল ইসলাম রিমুন। এ সময় কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সৈরভ অধিকারী, পরিচালক শৈলেন্দ্রনাথ রায়, ইউপি সদস্য আর্শিনী কুমার, জোসনা রানী, সাবেক সদস্য শংকর চন্দ্র রায়, জয় প্রসাদ, হিরম্ব কুমার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উক্ত মন্দিরে বিভিন্ন এলাকার থেকে আগত হাজারো ভক্তবৃন্দের ঢল নামে। মন্দির প্রাঙ্গণ যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। পূজা পাঠ ও অর্চনা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষের দিনে বৌ মেলার মধ্য দিয়ে দিবসটি সমাপ্তি ঘটে। মেলায় শতশত মুখরোচড় খাবারের দোকান পরশা সাজিয়ে দোকানীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি বিগত শত বছর যাবত তারা পালন করছে বলে কমিটির পরিচালনক শৈলেন্দ্র নাথ জানান।


আরও খবর



যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:চলতি মৌসুমে যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগে তীব্র তাপদাহ বেশকিছু দিন ধরেই চলছে।বিশেষ করে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি করে।

বৈশাখের তপ্ত গরমে বিপর্যস্ত সারাদেশের সাথে যশোরের মানুষ।  তীব্র তাপপ্রবাহে আগুন ঝরা রোদ থেকে রক্ষা পেতে যশোরের মানুষ একটু ছায়া খুঁজছেন।

চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। ভোগান্তিতে চরমে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তাছাড়া  শহরের বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ গরমে গলে উঠে গেছে। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, বাস আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির একটি বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।গত রোববার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার কালিয়াকৈর বাইপাস বাসষ্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও সহযোগীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিহতরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আসিফ মাহমুদ হৃদয় এবং তার স্ত্রী তানজিম বকশি।

এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে আসিফের সঙ্গে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার উপজেলার বলিয়াদি বকশিবাড়ির মৃত মুক্তা বকশির মেয়ে তানজিম বকশির বিয়ে হয়। গত রোববার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মোটরসাইকেল যোগে তাদের এক স্বজনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার যান। ওই অনুষ্ঠান শেষে ওইদিন রাতে তারা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় পৌছে। পরে তারা আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাইপাস বাসষ্টেশন এলাকায় মহাসড়কটি পারাপার হচ্ছিলেন। কিন্তু টাঙ্গাইলগামী বেপরোয়া দ্রুতগতির মাহি পরিবনের বাস তাদের চাপা দিলে মোটরসাইকেলটি মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। আর আসিফ ও তার স্ত্রী বাস চাপায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথেই স্বামী-স্ত্রী দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার এবং ঘাতক বাসটি আটক করে। কিন্তু পুলিশ পৌছানোর আগেই ঘাতক বাসের চালক সহযোগী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এদিকে নিহত স্বামী-স্ত্রীর লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি পৌছলে এক হৃদয়বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে দুরপাল্লার মালামাল ভর্তি ওভারলোড করা ট্রাকগুলো খুব ধীরগতিতে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসগুলোতে উঠে। আর দুরপাল্লার বাস ওই ধীরগতি ট্রাকের পেছনে না গিয়ে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যায়। এই বেপরোয়া গতির জন্যই অকালেই নিভে গেলো ওই স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ। তবে এসব ওভারলোড ট্রাক ও বেপরোয়া গতির বাসের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রায় প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছেন। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর