Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:সারাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। স্বস্তি ফেরাতে পরিবহনের চালক,যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে রাজধানীর কাফরুলে বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে কাফরুল  থানা পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কাফরুলের বিভিন্ন  এলাকায় তৃষ্ণার্ত পথচারী ও দিনমজুর মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

কাফরুল  থানা পুলিশের এ আয়োজনে প্রায় ১৫০০  মানুষের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

পুলিশের এমন উদ্যোগে অনেকেই প্রশংসা করছেন। পথচারীরা বলছেন,প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাস্তায় চলাচলে মানুষ খাবার পানি ও স্যালাইন পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

পুলিশের মানবিক উদ্যোগে সবাই খুশি। প্রতিটি দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দেয়। রিকশা, সিএনজি ও লেগুনা থামিয়ে পুলিশকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে দেখা যায়।

কাফরুল  থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, তীব্র দাবদাহের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সেই দিক খেয়াল করেই আমাদের ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই পথচারীরা যেন তীব্র এই রোদের মধ্যে কোনো রকম কষ্ট না হয়। সেজন্য আমরা ক্ষুদ্র এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাবো সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে।

আরও খবর



সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্সের জন্য ‘ইকোভাডিস সিলভার মেডেল’ পেল সিগওয়ার্ক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশে টেকসই উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য আবারও ইকোভাডিস সিলভার মেডেল রেটিং পেয়েছে প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী কোম্পানি সিগওয়ার্ক ড্রাকফারবেন এজি অ্যান্ড কোং কেজিএএ।   এর আগে ২০২২ সালেও এই মেডেল অর্জন করে জার্মান এই কোম্পানিটি। 

এর মধ্য দিয়ে বর্তমান ইকোভাডিস রেটিংয়ে সিগওয়ার্ক নিজের শিল্প খাতের শীর্ষ ১৮% কোম্পানির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এই উন্নতি ব্যবসায়িক ইউনিট ও অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের দৃঢ়  প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরে।

ইকোভাডিস একটি বৈশ্বিক সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রদানকারী সংস্থা। বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশগত, সামাজিক ও নৈতিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করে সংস্থাটি। পরিবেশগত প্রভাব, শ্রম ও মানবাধিকার, নৈতিকতা এবং টেকসই উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্সের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে থাকে ইকোভাডিস। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের স্কোরকার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল পরিবেশগত উন্নয়ন। এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে টেকসই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, নিঃসরণ কমানো এবং সার্কুলার প্যাকেজিং সমাধান। এই ক্যাটাগরিতে সিগওয়ার্ক ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৮০ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

অনুমোদিত বিজ্ঞান-ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা উদ্যোগের (এসবিটিআই) ক্ষেত্রেও বৈধতা অর্জন করেছে সিগওয়ার্ক। এতে দেখা যায়, সিগওয়ার্ক গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বিজ্ঞানসম্মতভাবে কমিয়েছে, যা বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সমানভাবে অবদান রাখে।   

সিগওয়ার্কের সিনিয়র গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ম্যানেজার সারাহ মাহ বলেন, “কালি ও কোটিং শিল্পে টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলনের ওপর আমরা যে প্রচেষ্টা ও গুরুত্ব দিয়েছি, এই বর্ধিত রেটিং পারফরম্যান্স তারই একটি প্রমাণ।” 

তিনি আরও জানান, “আমরা আমাদের অর্জন নিয়ে গর্বিত। একইসাথে আমাদের কার্যক্রম ও ভ্যালু চেইনে সাসটেইনেবিলিটি বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত উদ্যোগ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি পেইজ এবং সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ভিজিট করুন।


আরও খবর



পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ! বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলের বন সংরক্ষণের জন্য জরিপ করা প্রয়োজন। বৃক্ষ নিধন রোধ ও এর সংরক্ষণ করা না হলে পার্বত্য অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য্য একদিন রূপকথায় পরিণত হবে।  

গতকাল খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পর্যটন মোটেল অডিটোরিয়ামে দ্বিতীয় জাতীয় বৃক্ষ ও বন জরিপ-২০২৪ অবহিতকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পানির প্রবাহ ও লেয়ার যেভাবে কমে যাচ্ছে তাতে করে এমন এক সময় আসবে যেদিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির ভীষণ ঘাটতি দেখা দিবে। তিনি বলেন, চেঙ্গী নদী, মাতামুহুরী ও মনু নদী একসময় পানির প্রচুর প্রবাহ ছিল। কিন্তু এখন পানির শূন্যতা দেখা দিয়েছে। নদীর নাব্যতা ও গভীরতা নেই বললেই চলে। নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। নব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ও দৃষ্টিভঙ্গি জনস্বার্থে চলমান থাকবেই। নাগরিক হিসেবে পরিবেশের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধের অবহেলা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে ডোবা-নালা ভরাট করে যাতে বাড়ি ঘর বা ফসলী জমি না গড়া হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। আগামির প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা জোনগুলোর ব্যবহার যাতে সঠিক ও অক্ষুন্ন থাকে সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে। বনাঞ্চলের বৃক্ষ, বন ও বনজ সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং বনাঞ্চলে কি কি প্রাণি রয়েছে তা নির্ণয় ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে বন জরিপের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। একটি দেশের জন্য ২৫ ভাগ বন থাকা প্রয়োজন। সে জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারলাম কি না তা জানার জন্যও বন জরিপের গুরুত্ব অপরিসীম বলে জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

অবহিতকরণ সভায় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় পরামর্শক ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা প্রজেক্টরের সাহায্যে বাংলাদেশসহ পার্বত্য অঞ্চলে জোনিং পদ্ধতিতে বৃক্ষ ও বন সংরক্ষণের চিত্র তুলে ধরেন। 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসা-এর সভাপতিত্বে  খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম(বার)  খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাহেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



গাংনীতে পুলিশি অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

এরা হচ্ছে- গাংনীর করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন(৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন(৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ(৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ(৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল(২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় করমদি গ্রাম থেকে স্বপন ও লিটনের কাছ থেকে ১০৫ বোতল ফেনসিডিল, হিন্দা গ্রামের রাস্তায় টেফেনের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি জনসেন মোটরসাইকেল ও মাদক বিক্রির ১৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও বাওট গ্রামের রাস্তা থেকে মামুনর রশীদ ও বামন্দী বাজারের রাস্তায় স্বজলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



আত্রাইয়ে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু, আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছে ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরো ৭দিন সময় লাগতে পারে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ও কৃষি বিভাগের যথাযথ পরামর্শে যথাসময়ে কৃষকরা ভালো পরিচর্যা করায় এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে কৃষকদের কষ্ট হলেও ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই এর কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও ভালো ফলনে বেজায় খুঁশি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছে কৃষকেরা।

শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর এ সময় দেশের দক্ষিণ ও উওরাঞ্চল বিশেষ করে নাটোরের লালপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, চিলাহাটি, ডোমারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আসতে শুরু করেছে। এদিকে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দিগন্তজুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলনের বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। বাজারে নতুন ধানের আমদানি হওয়ায় কেনা-বেচা শুরু হলেও দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, মনিয়ারী, পাঁচুপুর ও বিশা ইউনিয়ে সর্বাধিক পরিমান জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবারে বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের বোরোচাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপন ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। অনেক মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন পুরোদমে বোরো ধান কাটতেও শুরু করেছে। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে ধানের শীষের সাথে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। 

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, আমি এ বছর ১১ বিঘা জমিতে  বোরো লাগিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের কৃষক মো. আজাদ সরদার জানান, আমি এবার ১৬ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হয়েছে। আশাকরি বাজারে দামও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর-মির্জাপুর হাটের ধান ব্যবসায়ী জুয়েল জানান, গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে। আশা করছি দু-চারদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।

এ ব্যাপারে পাঁচুপুর  ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, আমরা বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, বোরো চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শুরুও হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি। 


আরও খবর



রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়।

মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের থেকে ২৫২ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ৩২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (১ মে) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর