Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

নাসিরনগরের তাণ্ডব,১৩ আসামির ৪ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

২০১৬ সালের ৩০শে অক্টোবর ধর্মীয় উস্কানীতে বা কোরআন শরীফের উপর দেবতা রাখার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর,গোয়ালঘর,ওমন্দিরে ভাংচুর আর অগ্নিসংযোগের মামলায় ১৩ আসামিকে ৪ বছরের  সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক আদালত।১৬ মার্চ ২০২৩  রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে ১৩ আসামির মধ্যে ৫ আসামি পলাতক ছিলেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোখলেছুর  রহমান, মো. মফিজুল হক, খসরু মিয়া, নাজির রহমান, মো. মাফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, শেখ মো. আব্দুল আহাদ, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, মীর কাশেম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা, সজিব চৌধুরী ও দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি।


তাদের সবার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।রায় ঘোষণাকালে মোঃমফিজুল হক, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা ও দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি পলাতক ছিলেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫টি মন্দির ও শতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা নাসিরনগর পশ্চিম পাড়ার গোবর্ধন দাসের বাড়ির সামনের দুর্গামন্দিরে আগুন দিয়ে মন্দিরের ক্ষতিসাধন করে। একই রাতে ঠাকুরপাড়ার কেশব চক্রবর্তীর বাড়ির রান্নাঘরেও আগুন দেয়। 


এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানার এসআই সাধন চন্দ্র চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঘটনার ২দিন পর ৬ নভেম্বর নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের প্রত্যেককে ৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডঃ মোস্তাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডঃ এমদাদুল হক হাদী। আসামিপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক হাদী বলেন,আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।আমরা এই মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



নবীনগর ভদ্রগাছা গ্রামে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে উপহার পেল ৪৩ শিশু ও কিশোর ।

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি। 

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায়  ৪৩ কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এমন অভিনব কর্মসূচির আয়োজন করে নবীনগর উপজেলা বিটঘর ইউনিয়নের ভদ্রগাছা বাইতুল আমান দুতলা জামে মসজিদ।এই প্রথম বারের মতো রশিদ রশিদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নিয়মিত নামাজ আদায়কারী ৪৩ কিশোরকে উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।


শুক্রবার বাদ মাগরিব নামাজের পর ভদ্রগাছা দঃপাড়া রশিদ রাশিদা ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ  উপস্থিথিতে ওই শিশু ও কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় । শিশু-কিশোরদের মুঠোফোন আসক্তি কমিয়ে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে জানান রশিদ রাশিদা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাজেদুল ইসলাম পলাশ ।


পুরস্কার দেওয়ার সময় রশিদ রাশিদা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাজেদুল ইসলাম পলাশের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের অন্যতম পরিচালক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজমুল করিম।আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, বিটঘর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুল করিম বাবুল, নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনা মিয়া ।


বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষা অনুরাগী মোঃ আবু হানিফ সরকার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাছান চৌধুরী, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, ফ্রান্স প্রবাসী আল আমিন , যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ সরকার, বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য খন্দকার মহসিন সরকার ও আবু হানিফ ছোটন।


সহ হাজারো লোকজনের উপস্থিতিতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় । নামাজ আদায়কারীদেরকে উপস্থিত সকলে হাততালি দিয়ে ও মারহাবা  জানিয়ে অভিনন্দন জানান ।উক্ত অনুষ্ঠান শেষে ভদ্রগাছা গ্রামের সকল কবর বাসির রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আরবী প্রফেসর মাওলানা ঊবায়দুল্লাহ তুতী ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



৭১৬ জন কর্মীকে ছাঁটাই করবে লিংকডইন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

চাকরি ডেস্ক: বেকারদের চাকরি খুঁজে দিতে যে সংস্থা বদ্ধপরিকর, এবার সেই সংস্থারই কর্মীরাই হারিয়েছেন চাকরি। শোনা যাচ্ছে, অন্তত ৭১৬ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিংকডইন।পেশাজীবীদের জন্য পরিচালিত সংস্থাটি ছাঁটাইয়ের পাশপাশির চীনের স্থানীয় চাকরির অ্যাপটিও বন্ধ করে দেবে।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রায়ান রোসলানস্কির এক চিঠিতে জানান, সংস্থাকে কার্যক্রমকে সুবিন্যস্ত করা হলো এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।গত ছয় মাসে, অ্যামাজন, লিংকডইনের প্যারেন্ট মাইক্রোসফট ও অ্যালফাবেটসহ বেশকিছু সংস্থা ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

রোসলানস্কি বলেন, ‘বাজার ও গ্রাহকের চাহিদার ওঠানামা এবং উদীয়মান ও সম্প্রসারিত বাজারে নিজেদের কার্যকরভাবে পরিবেশনের জন্য এই সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবর্তনের ফলে ২৫০টি নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।উল্লেখ্য, চীনে পরিচালিত একমাত্র পশ্চিমা সামাজিক-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। ২০১৪ সালে দেশটিতে তারা কাজ শুরু করে।


আরও খবর

সেই টাইটানিক, যা আগে দেখেনি কেউ

বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩




এমপিরা চাইলে নির্বাচনকালীন সরকারে নিতে রাজি আছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদককোনো সংসদ সদস্য (এমপি যদি নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে চায় আওয়ামী লীগ তাতে রাজি আছে বলে জানিয়েছেন দলটির  সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ওয়েস্ট মিনিস্টার ডেমোক্রেসি ফলো করি। ব্রিটেনে কীভাবে ইলেকশন হয়, তারা কীভাবে করে, আমরা সেভাবেই করব। এর মধ্যে একটু দেখাতে পারি—পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যারা আছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা প্রকাশ করে যে, নির্বাচনকালীন সময়ে তারা সরকারে আসতে চায় আমরা নিতে রাজি আছি।

নির্বাচনকালীন সরকার হলেও বিএনপিকে নিয়ে চিন্তার সুযোগ নেই বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা (নির্বাচনকালীন সরকার) নিয়েছি। এমনকি ২০১৪ সালে তো খালেদা জিয়াকেও আমি আহ্বান করেছিলাম, তারা আসেনি। এখন তো তারা পার্লামেন্টেও নাই। কাজেই তাদের নিয়ে চিন্তারও কিছু নাই।

বিশ্বব্যাংকের প্রধানকে কোন চিন্তা থেকে পদ্মা সেতুর ছবি উপহার দিয়েছেন- এক সাংবাদিক বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেইন্টিং আমি এই জন্য নিয়ে গেছি যে আমাদের দেশে যে খুব ভালো পেইন্টার আছে, যারা খুব চমৎকার পেইন্টিং করতে পারেন সেইটা জানানোর জন্য। বিশ্বের কারও যদি পেইন্টিং প্রয়োজন হয় আমাদের কাছে চাইতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘আর পেইন্টিংয়ের বিষয়বস্তুটা এই জন্য করেছি যে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সব থেকে প্রিয় জায়গাটা হচ্ছে পদ্মা সেতু। এটাই, আর কিছু না সেখানে। অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।’


আরও খবর



ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি: রাশেদা সুলতানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব হয়নি। প্রচলিত আইনে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত গাইবান্ধার মতো একটি আসনের পুরো ভোট বন্ধ করতে পারবে ইসি।

আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, নতুন আইনে ফলাফল ঘোষণার পরও নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল ইসি। সেটা সম্ভবত সরকার দিচ্ছে না। তবে কেন্দ্রের ফল প্রকাশের পরও ভোট বাতিল করতে পারবে কমিশন। সুতরাং ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং কিছুটা বেড়েছে।  

ইসি রাশেদা বলেন, নির্বাচনের ফলাফলের তিনটা পর্যায় আছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রে কেন্দ্রে একটা রেজাল্ট দেন, এই রেজাল্ট চারটা কপি করা হয়। একটা প্রার্থীদের জন্য, একটা সাঁটানোর জন্য, একটা রিটার্নিং কর্মকর্তার জন্য, আরেকটা কপি করতে হয়। এগুলো করার পর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। সেই রেজাল্ট হলো প্রাইমারি রেজাল্ট, চূড়ান্ত নয়। ওটার ওপর কে জিতল তার কার্যক্রম শুরু হবে না। শুরু হবে তখন, যখন কমিশন থেকে গেজেট হবে।

তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তারা কমিশনে ফলাফল পাঠানোর সময় কিছু অভিযোগ আসে। কিন্তু এই অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। তাকে গেজেটটা করে দিতে হয়। তখন কমিশনের প্রতি অভিযোগকারীদের একটা অনাস্থা থেকে যায়।  একটা ক্ষোভ কিন্তু তৈরি হয়। এই জায়গা আমরা নতুন প্রস্তাবনা পাঠালাম সংশোধনীতে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে গেছে। আমরা চেয়েছিলাম কোনো অভিযোগ আসলে কমিশন সেই গেজেট নোটিফিকেশনটা স্থগিত রাখবে। এরপর তদন্ত করে যদি অভিযোগটার সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে  আসনটার ভোট বাতিল করার। মন্ত্রিপরিষদ পুরো আসনের কথাটা বাদ দিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। আমরা পুরোটা কপি এখনো দেখিনি।

গাইবান্ধার ভোট প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘গাইবান্ধায় আমরা যখন সিসি ক্যামেরায় নানা ধরনের অনিয়ম দেখছিলাম, গোপন কক্ষের মধ্যে ভোটার ভোট দেওয়ার আগেই অন্য কেউ দিয়ে দিচ্ছেন। তখন আমরা ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে নির্বাচন বন্ধ করেছি। এখন আমরা চাচ্ছি, এক বা একাধিক কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার ফলাফল ঘোষণার পর এবং গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত, এই মধ্যবর্তী সময়ে অভিযোগ এলে যেন তদন্ত করে বন্ধ করতে পারি। তখন সেখানে নতুন করে ভোট হবে। 

সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। তারপরই বিতর্ক ওঠে নির্বাচন কমিশন  পুরো আসনে ভোট বাতিলের ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে।


আরও খবর



রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং ভোটের অধিকার প্রয়োগসহ মুক্ত মত প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। আজকে সেই দেশে, মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হচ্ছে, হয়েছে। চলছে দুর্নীতি আর মিথ্যাচারের এক মহোৎসব।

দেশে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং চলছে। এর ফলে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা অস্বাভাবিক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ না করে বিগত দিনের ন্যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন নিপীড়নের যাত্রা শুরু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী মতের দলগুলো এবং দেশবাসী এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সে সময় অবৈধ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসকগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যাচার ও অলিক কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জনগণ ইতিমধ্যে এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছে। অবৈধ সরকার আন্দোলন যখন দানা বেঁধে উঠছে, ঠিক সেই সময় মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করতে চায়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকার মামলা-হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। একতরফা বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। সিলেটে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় তল্লাশি করছে; বিষয়টি সিলেট পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।

এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য এবং অধিকার হরণের জন্য রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ যথা আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ সর্বশেষ বিচার বিভাগকে এই সরকার দখল করে নিজেদের ইচ্ছামত বিরোধী মতের মানুষসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপরে অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণের দ্বারা প্রত্যাক্ষিত বর্তমান সংসদকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যে মানুষের ভোটের অধিকার স্তব্ধ করে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সব কালা কানুন তৈরি করেছে। শাসন বিভাগকে ব্যবহার করে যখন তখন যেকোনো মানুষকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা ও খুন এখন নিত্যদিনের এই অবৈধ সরকারের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার প্রধানের ইচ্ছামতো মানুষকে কারাগারে বন্দী রাখা, নির্যাতন করা বিচার বিভাগের অবৈধ সরকারের নির্দেশে ফরমায়েশি রায় প্রদান করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলা-হামলায় কারাগারে প্রেরণ ও সাজা প্রদান করছে। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালতের জামিনে থাকার পরেও নেতাকর্মীকে নিম্ন আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে জনগণ মনে করে।

এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ সাড়ে ১১ হাজার মামলায় বিএনপিসহ বিরোধী মতের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টির অধিক মামলা এই অবৈধ সরকার দায়ের করেছেন। আসামির সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮১ অধিক। তার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ হাজার ৮৩০ এর অধিক ঢাকাতেই ১৫শ মামলা


আরও খবর