Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

কলাপাড়ায় খেয়াঘাটে চাঁদাবাজী, রাতে পারাপারের দৃশ্য আরো ভয়ংকর

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : গ্রামীন জনপদের খেয়াঘাটগুলোতে চলছে ইজারাদারদের নৈরাজ্য। কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউপির গ্রামীন জনপদের দৌলতপুর ও ফতেপুর খেয়াঘাট, মাঝখান দিয়ে বয়েচলা আন্ধার মানিক নদীর ওপারেই পার্শ্ববর্তী উপজেলা তালতলীর শিয়ারিপাড়া ও নিউপাড়া খোয়াঘাট। প্রতিদিন এ খেয়াঘাট দিয়ে হাজারো মানুষের পারাপার। দীর্ঘদিন ধরে চলছে খেয়া পারপারের নামে এসব ঘাটে চলছে নিরব চাঁদাবাজী। সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা নেই। নেই কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা, কেবল মাত্র খেয়ায় চেপে বসলেই গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। আর রাতের চিত্র হয়ে ওঠে আরো ভয়ংকর। জরুরি কাজে পারাপার কিংবা অসু¯’ রোগী নিয়ে এসব খেয়া দিয়ে নদীর ওপারে পৌঁছাতে হলে দর কষাকষি ছাড়াই দিতে হ”েছ চড়া মূল্য। 


সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের সেবা নয়, খেয়াঘাটগুলোতে যাত্রী পারাপারে সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা লাগাননি ইজারাদাররা। ই”ছামতো খেয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হ”েছ মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া। জনপ্রতি ভাড়া আদায় করা হ”েছ বিশ টাকা। আর রাত হলেই পাল্টে যায় এ চিত্র। অসু¯’ রোগী কিংবা ঠেকায় পড়ে পারাপার হতে হলে গুনতে হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর চড়া মূল্য আদায়ে প্রতিবাদ কিংবা দর কষাকষি করলেই হতে হয় লাঞ্চনার শিকার। এখানে বিকল্প পারাপারের ব্যব¯’া না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খেয়াঘাটে ভাড়ার নামে চাঁদা দিতে হ”েছ যাত্রী সাধারনের। 

ভুক্তভোগী ফতেহপুর খেয়াঘাটের যাত্রী জয়নাল মিয়া বলেন, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসার কাজে প্রতিদিনই এ ঘাট দিয়ে পার হতে হয় তাকে। কিš‘ নিরুপায় হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ার নামে চাঁদা দিয়ে যা”েছন তিনি। 

মাত্র দুই লাখ টাকায় ফতেপুর ঘাট ইজারা নেয়া কাশেম সরদারের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।

অন্যদিকে দৌলতপুর খেয়াঘাটেরও একই চিত্র। এ ঘাটদিয়েও জনপ্রতি আদায় করা হ”েছ বিশ টাকা। একইভাবে এ ঘাটেও রাতের পারাপারে যাত্রীদের দিতে হয় অতিরিক্ত চাঁদা। এ ঘাটের যাত্রী সিতারা বিবি বলেন, মেয়েবাড়ি যা”েছন নাতি-নাতনিদের দেখতে, বিশ টাকা ভাড়া দিতে কষ্ট হয়েছে তার। মিনিমাম ১০ টাকা হলে ভালো হত। এ ঘাটের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সরকার নির্ধারিত যাত্রী ভাড়া তালিকা না থাকায় ই”েছমত ভাড়া আদায় করছে ঘাট পরিচালকরা। এরফলে ঘাটগুলোতে বছরে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নি”েছ এসব চাদাবাজরা। 

দৌলতপুর ঘাটের ইজারাদার সুমন শিকদার বলেন, প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে দুই উপজেলা সংশ্লিষ্ট হওয়ায় (আন্ত:জেলা) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ঘাট ইজারা নিয়েছেন। তিনি মাঝিকে সরকারি তালিকানুযায়ী ভাড়া আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অতিরিক্ত ভাড়া কেন নেয়া হ”েছ এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।  

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, বিভাগ থেকে ওইসব ঘাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন বাবা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতি সব সময় আলাদা অনুভূতি রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিসে বসে বাবা ৬ দফা রচনা করেছিলেন। যে ৬ দফা আসলে আমাদের বাঙালির মুক্তির সনদ, আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি।

আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বিমা দিবস-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমা কোম্পানির যোগসূত্র রয়েছে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই ৬ দফা প্রণয়ন হয়েছিল। পুরো জিনিসটা টাইপ করেছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। পরে এটা একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে ট্রান্সলেশন করা হয়। আমাদের যে স্বাধীনতা অর্জন বা ছয় দফা প্রণয়ন, ছয় দফার ভিত্তিতে ৭০ এর নির্বাচন- সবই কিন্তু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই করা হয়। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ইন্স্যুরেন্সের এক যোগসূত্র রয়ে গেছে, এটা বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন-জীবিকার জন্য আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে দায়িত্ব নেন। সেই কোম্পানির মালিক আমার বাবার বন্ধু ছিলেন। তিনি তাকে দায়িত্ব নিতে বলেন। সে কারণে তিনি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করতেন। তবে এটা বেশি দিন টেকেনি। কারণ ১৯৬২ সালে আবার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মার্চ মাস আমাদের সংগ্রামের মাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

বিমা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।


আরও খবর



ভক্তদের তোপের মুখে জিৎ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক ;মুক্তি পেয়েছে কন্নড় সিনেমা ‘কব্জা’। যে সিনেমাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন উপেন্দ্র রাও, কিচ্চা সুদীপ, শ্রিয়া শরণ সহ আরও অনেকে। নির্মাতাদের দাবি অ্যাকশন দৃশ্যে ভরপুর এই সিনেমা প্যান ইন্ডিয়াতেই সাফল্য পাবে। শুধু কন্নড় নয়, হিন্দি, তামিলস তেলুগু ভাষাতেও মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। এদিকে ‘কব্জা’ টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রোল হয়েছেন টালিউড ‘বস’ জিৎ।

সিনেমাটি মুক্তির আগে শুভেচ্ছা জানিয়ে জিৎ লিখেছিলেন, ‘দেশের কিছু আশ্চর্যজনক প্রতিভা এবং সৃজনশীল ভাবনার অধিকারী কিছু মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এটা মুক্তি পাচ্ছে। আশা রাখছি দারুণ হবে।’

নিজের টুইট উপেন্দ্র রাও, কিচ্চা সুদীপ, শ্রিয়া শরণকে ট্যাগও করেন অভিনেতা। এই পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু এই টুইটের কারণেই ট্রোল হতে হয় জিতকে। অভিনেতার উদ্দেশ্যে নেটপাড়ার কেউ কেউ লিখেছেন, ‘অন্য টিমকে শুভেচ্ছা না জানিয়ে নিজের সিনেমা ‘চেঙ্গিজ’-এর প্রচার শুরু করা উচিত।’

অনুরাগীদের কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘চেঙ্গিজের মুক্তি দিতে হবে না, নিজের কাছে রেখে দিন।’

এর আগেও নিজের সিনেমার প্রচার সেভাবে না করার জন্য অনুরাগীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে জিৎকে। জানা যাচ্ছে, মাফিয়া জগতের অন্ধকার দুনিয়াকে সামনে রেখে তৈরি হচ্ছে ‘চেঙ্গিজ’। যে সিনেমার প্রযোজক অভিনেতা নিজেই। পরিচালনা করছেন রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়। এতে জিৎ ছাড়াও রয়েছেন রোহিত বোস, শতাফ ফিগার, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। সিনেমার প্রথম পোস্টারে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল জিৎকে। গত বছর এর টিজার সামনে এসেছিল, তারপর আর কোনও খবর নেই। জিতের প্রযোজনা সংস্থার পক্ষে জানানো হয় সম্পাদনার কাজ চলছে। ওই পর্যন্তই, তারপর জিতের এই সিনেমা নিয়ে আর কিছুই জানা যায়নি। এছাড়াও তার প্রযোজনা সংস্থার ‘মানুষ’ বলেও একটি সিনেমা আসতে চলেছে। গত ডিসেম্বরেই শুভ মহরৎ হয়েছিল সিনেমাটির। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



সানজিদাসহ ৫ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফুলপরীর পা ধরে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা (সেশন: ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০-২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান।

এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। বাকিরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

ইবির সেই হলে নেত্রী অন্তরাই শেষ কথা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দুপুর ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত উপাচার্যের দপ্তরে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম। সভা থেকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে।’


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ, পাট বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১৫জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: ফুলবাড়ী উপজেলা চত্তরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আউস ধানের বীজ,পাট বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন । গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্তরে কৃষি অফিসের আয়োজনে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলামের  সভাপত্বিতে

বিতরণের উদ্বোধন    অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংক্ষিপ্ত বক্তবো রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম।  এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে  উপ¯ি’ত থেকে বক্তবো রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান  মিল্টন । অন্যান্য দের মধ্যে উপ¯ি’ত ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ রুম্মান আক্তার, উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি  মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী, কাজিহাল উইপি চেয়াম্যান মোঃ মানিক রতন, দৌলতপুর উইপির চেয়াম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম, খয়েরবাড়ীর উইপি চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা  কর্মচারী  ও সংবাদ কর্মী উপ¯ি’ত ছিলেন । পনেরো শত কৃষক কে আউস ধান ও সার এবং দুইশত পঞ্চাশ জনকে  পাটের বীজ বিতরণ করেন । 





আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

বাসস: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক এই ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়। তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দুটি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেদিনের সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাঁকে বললেন, জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাঁদের নেতা, আমি তাঁদের পরিচালিত করবো, তাঁরা আমাকে নয়।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লেখে। এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়; এটি ছিল জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা।


আরও খবর