Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কলাপাড়ায় খেয়াঘাটে চাঁদাবাজী, রাতে পারাপারের দৃশ্য আরো ভয়ংকর

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : গ্রামীন জনপদের খেয়াঘাটগুলোতে চলছে ইজারাদারদের নৈরাজ্য। কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউপির গ্রামীন জনপদের দৌলতপুর ও ফতেপুর খেয়াঘাট, মাঝখান দিয়ে বয়েচলা আন্ধার মানিক নদীর ওপারেই পার্শ্ববর্তী উপজেলা তালতলীর শিয়ারিপাড়া ও নিউপাড়া খোয়াঘাট। প্রতিদিন এ খেয়াঘাট দিয়ে হাজারো মানুষের পারাপার। দীর্ঘদিন ধরে চলছে খেয়া পারপারের নামে এসব ঘাটে চলছে নিরব চাঁদাবাজী। সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা নেই। নেই কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা, কেবল মাত্র খেয়ায় চেপে বসলেই গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। আর রাতের চিত্র হয়ে ওঠে আরো ভয়ংকর। জরুরি কাজে পারাপার কিংবা অসু¯’ রোগী নিয়ে এসব খেয়া দিয়ে নদীর ওপারে পৌঁছাতে হলে দর কষাকষি ছাড়াই দিতে হ”েছ চড়া মূল্য। 


সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের সেবা নয়, খেয়াঘাটগুলোতে যাত্রী পারাপারে সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা লাগাননি ইজারাদাররা। ই”ছামতো খেয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হ”েছ মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া। জনপ্রতি ভাড়া আদায় করা হ”েছ বিশ টাকা। আর রাত হলেই পাল্টে যায় এ চিত্র। অসু¯’ রোগী কিংবা ঠেকায় পড়ে পারাপার হতে হলে গুনতে হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর চড়া মূল্য আদায়ে প্রতিবাদ কিংবা দর কষাকষি করলেই হতে হয় লাঞ্চনার শিকার। এখানে বিকল্প পারাপারের ব্যব¯’া না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খেয়াঘাটে ভাড়ার নামে চাঁদা দিতে হ”েছ যাত্রী সাধারনের। 

ভুক্তভোগী ফতেহপুর খেয়াঘাটের যাত্রী জয়নাল মিয়া বলেন, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসার কাজে প্রতিদিনই এ ঘাট দিয়ে পার হতে হয় তাকে। কিš‘ নিরুপায় হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ার নামে চাঁদা দিয়ে যা”েছন তিনি। 

মাত্র দুই লাখ টাকায় ফতেপুর ঘাট ইজারা নেয়া কাশেম সরদারের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।

অন্যদিকে দৌলতপুর খেয়াঘাটেরও একই চিত্র। এ ঘাটদিয়েও জনপ্রতি আদায় করা হ”েছ বিশ টাকা। একইভাবে এ ঘাটেও রাতের পারাপারে যাত্রীদের দিতে হয় অতিরিক্ত চাঁদা। এ ঘাটের যাত্রী সিতারা বিবি বলেন, মেয়েবাড়ি যা”েছন নাতি-নাতনিদের দেখতে, বিশ টাকা ভাড়া দিতে কষ্ট হয়েছে তার। মিনিমাম ১০ টাকা হলে ভালো হত। এ ঘাটের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সরকার নির্ধারিত যাত্রী ভাড়া তালিকা না থাকায় ই”েছমত ভাড়া আদায় করছে ঘাট পরিচালকরা। এরফলে ঘাটগুলোতে বছরে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নি”েছ এসব চাদাবাজরা। 

দৌলতপুর ঘাটের ইজারাদার সুমন শিকদার বলেন, প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে দুই উপজেলা সংশ্লিষ্ট হওয়ায় (আন্ত:জেলা) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ঘাট ইজারা নিয়েছেন। তিনি মাঝিকে সরকারি তালিকানুযায়ী ভাড়া আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অতিরিক্ত ভাড়া কেন নেয়া হ”েছ এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।  

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, বিভাগ থেকে ওইসব ঘাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস

গণভবনে প্রবেশ করছেন জনপ্রতিনিধিরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় সরকার পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনপ্রতিনিধিরা গণভবনের সামনে অবস্থান করতে শুরু করেন। এরপর সকাল ৯টা থেকে গণভবনে জনপ্রতিনিধিদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

এ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গণভবনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রায় আট হাজার জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তবে এতে ডাকা হয়নি সাময়িক বরখাস্ত ও মামলার আসামিদের।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ইবির প্রধান ফটকের সামনে ট্রাক চাপায় ১জন নিহত হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান, ইবি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেইন গেইটের সামনে ট্রাক চাপায় সাইফুল ইসলাম সুমন (৩২) নামে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ছোয়া ঈসরাইল। এসময় গুরুত্ব আহত হয় নিহতের সঙ্গে থাকা রাজু মন্ডল। নিহত সাইফুল ঝিনাইদহের মহিষা কুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম আকুল মন্ডল।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ছোয়া ঈসরাইল জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্ঘটনায় বুকে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ দিকে যাচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম ও রাজু মন্ডল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধান ফটকের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে যায় মোটরসাইকেলটি তখন চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মটোরসাইকেলে থাকা দুইজনই মারাত্মকভাবে জখম হয়।

ঘটনায় জখম দুইজনকে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করেন হাসপাতালে নেয়ার পথে মোটরসাইকেল চালক সাইফুলের মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় আধ ঘন্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন এবং ট্রাক ভাংচুর করেন। পরে পুলিশ এসে ট্রাকটি জব্দ করে ইবি থানায় নিয়ে যান।

এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, দূর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে এবং ড্রাইভার পুলিশ হেফাজতে আছেন।

আরও খবর

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডেমরায় শ্মশান মন্দিরের দান বাক্স ও প্রতিমার স্বর্ণালংকার চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃডেমরা থানার চিশতিয়া রোডের শ্মশানের মন্দিরের দান বাক্স ভেঙে টাকা চুরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অজ্ঞাত চোরেরা মন্দিরের দান বাক্সে রক্ষিত ৭০ থেকে ৮০ হাজার নগদ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাডগার শ্মশান মন্দির কমিটির  সভাপতি বাবুনির্মল কান্তি সরকার।

এ বিষয়ে মন্দিরের ব্যবস্থাপনা কমিটি ডেমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তের কাজও শুরু করেছে পুলিশ।পাড়াডগার শ্মশান  মন্দিরটি ডেমরা থানার সিরাজ উদ্দিন রোড ও চিস্তিয়া রোড মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রাথমিকভাবে চোর শনাক্ত করা যায়নি।

মন্দিরের সভাপতি বাবু নির্মল কান্তি সরকার জানান,মন্দিরের প্রধান ভবনের লোহার দান বাক্স রাখা ছিল সেটি নেই। সকালে মায়া রানী দেব নামে মন্দিরের পরিচ্ছন্নকর্মী দান বাক্স না দেখে কমিটিকে জানান। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মন্দিরের সামনে এসে দেখি দান বাক্সের স্থানে হ্যাক্সো ব্লেড দিয়ে কাঁটা তালা পড়ে আছে। দান বাক্সটা উধাও।

পাড়াডগার শ্মশান মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক  বলেন, মন্দিরের ভক্তরা বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সা দান করে থাকে। এই দানের ৭০-৮০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোরের দল, এবং প্রতিমার হাতের বালা

কানের দুল গলার চেইন সহ তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

ডেমরা থানার ইন্সপেক্টর (ওসি) অপারেশন সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা চোর শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করি অচিরেই আমরা চোরকে ধরতে সক্ষম হব। এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



হাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম রাডোর সভাপতিত্বে চকবাজার থানা তাবারক বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতা–কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ দলের কয়েক শ নেতা–কর্মী সহ চকবাজার থানার সভাপতি হাজি সিরাজুল ইসলাম রাডো ।

হাজী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম রাডোর  সভাপতিত্বে চকবাজার থানা আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আয়োজনে ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সকল শহীদ এর স্মরণে কোরআন খতম দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আক্তার  হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ ওমর বিন আজিজ তামিম সদষ্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও  ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর


আরও খবর

ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিপদজনক সংযোগ সড়কে বাধ্য হয়ে চলাচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:মারাত্মক বিপদজনক হয়ে পড়েছে শীবনদীর সেই সংযোগ সড়ক, বাধ্য হয়ে দূর্ঘটনা মাথায় নিয়েই চলাচল করছেন জনসাধারণ, যদিও রয়েছে চরম ঝুঁকি, তারপরও নেই কোন উপায়, প্রয়োজন ও জীবন জীবিকা নির্বাহে চলতে হচ্ছে, ধীরেধীরে এমন ভাবেই ভেঙ্গেছে তিন চাকার ভ্যান যাচ্ছে সাবধানতা অবলম্বন করে, কারন একটু এদিক সেদিক হলেই পড়তে হবে গর্তে। আরেক দিকে হেয়ারিংবন্ড রাস্তার ইট উঠে ভয়ংকর ভয়ংকর গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমা হয়ে পড়েছে, যেন অভিভাবক হীন অবস্থায় ক্ষত বিক্ষত হয়ে আছে রাজশাহীর তানোর পৌর সদর বিলকুমারী বা শীবনদীর সেই অলৌকিক সংযোগ সড়কটি। দিনের দিন ভেঙ্গে সরু হয়ে পড়েছে। অপর দিকে ব্রীজের পশ্চিম দিকের হেয়ারিংবন্ড সংযোগ সড়কে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি জমে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে তানোর ও মোহনপুর বাসী চলাচল করছেন। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক ও গর্তগুলো মেরামত করে চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া হাটের জলিল পান স্টোর থেকে শীবনদীর ব্রীজ পর্যন্ত হেয়ারিংবন্ড সংযোগ সড়ক। সড়কটিতে তেমন ভাবে গর্ত ছিল না। কিন্তু ব্রীজের পূর্বদিকের সংযোগ সড়কে বালু ফেলার কারনে ড্রাম ট্রাক ব্যবহার করা হয়। এই ড্রাম ট্রাকের কারনে অসংখ্য গর্ত হয়ে মাটি বের হয়ে পড়েছে। সড়কের গর্তে জমে আছে পানি। এসব গর্তে তিন চাকার ভ্যান অটোরিকশা প্রতিনিয়তই পুতে যাচ্ছে। এছাড়াও ব্রীজের পূর্ব দিকে প্রায় ৫০০ ফিট সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে সরু হয়ে পড়েছে। পূর্ব দিক থেকে যে কোন ধরনের গাড়ী আসলে পশ্চিম দিকের গাড়ী পার হতে পারছেনা। বিশেষ করে পূর্ব দিকের ব্রীজের মুখ সংলগ্ন দুপাড় ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একেবারেই সরু হয়ে গেছে। মোটরসাইকেল পর্যন্ত যেতে পারছেন না। ব্রীজের মুখ থেকে প্রায় ৫০০ ফিট সড়কের উত্তর সাইডে ভয়ংকর অবস্থা হয়ে আছে। আবার দক্ষিণ সাইডও ভাঙ্গছে। পুরো সড়কটি যেন এক বিপদজনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দিন রাতে সমান তালে চলে ভ্যান অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল এবং সাইকেল। সড়কের দুপারে বিলের পানি থইথই করছে। আর কয়েকদিন বৃষ্টি হলে গাড়ী তো দূরে থাক পায়ে হেটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়বে। তালন্দ ইউপির লালপুর থেকে শরিফ নামের এক ব্যক্তি আসেন বাঁধে। তিনি বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে তুলসী খেত পর্যন্ত সড়কের অবস্থা মারাত্মক ভয়ংকর হয়ে আছে। মোটরসাইকেলে দুজন ছিলাম, দূর্ঘটনার ভয়ে একাই মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতে হয়েছে ভাঙ্গনের জায়গাগুলো। দেশের বৃহত্তর প্রকল্পের কাজ শেষ হয় কিন্তু এসড়কের কাজ শেষ হয়না।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্রীজের পূর্ব দিকের ২৭৫ ফিট সড়কটি দীর্ঘ সময় ধরে ভেঙে ছিল। গত জুন মাসে বালু ভরাট করা হয় যাতে করে আর না ভাঙ্গে। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই এমন ভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে কল্পনাতীত। এসড়ক নিয়ে আগস্ট মাসের শুরুর দিকে টিভি ও পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদর নড়েচড়ে বসেন। এক প্রকার বাধ্য হয়ে ঠিকাদার আব্দুর রশিদ ইট ফেলে লাপাত্তা হয়ে গেছে। আগস্ট মাসে মেরামত করা হলে এত ভাঙ্গন দেখা যেত না। কিন্তু ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার কারনে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একেবারে সরু হয়ে পড়েছে। সংযোগ সড়কে ভ্যানে করে  চটপটি, ফুচকা ও পেয়ারা আমড়া বিক্রেতারা বলেন, আমরা ভয়ে ব্রীজের পূর্ব দিকের সংযোগ সড়কে যায় না। কারন ভাঙ্গনের জায়গায়  ভ্যানের চাকা চলে গেলে সব মালামাল পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে। আশ্বিন মাসের শুরু থেকে ভারি মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। একারনে ভাঙ্গন হতেই আছে। আর দু তিন দিন বৃষ্টি হলে সড়ক ভেঙ্গে এমন সরু হবে পায়ে হাটা ছাড়া উপায় থাকবে না।

জানা গেছে, দুউপজেলার সেতু বন্ধনের জন্য বিগত বিএনপি সরকারের সময় শীবনদীর উপর ব্রীজ নির্মিত হয়। প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে।  বর্তমান সরকার শুরু থেকে সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয়। শুরু থেকে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারনে প্রতি মাসে ভাঙ্গতেই থাকে। এপার ভাঙ্গন রোদ হলে ওপার ভাঙ্গন শুরু হয়।প্রায় দেড় যুগ ধরে সংযোগ সড়কের কাজ চলমান থাকলেও রহস্য জনক কারনে কোনভাবেই ভাঙ্গন রোদ হচ্ছেনা। বিশেষ করে ব্রীজ থেকে পূর্ব দিকে ২৭৫ ফিট রাস্তা ও ব্লকের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সড়কটির শুরুতেই বালু দিয়ে ভরাট করা হলেও পানি এবং রোলার না মারার কারনে কাজ চলা অবস্থায় ভাঙ্গন শুরু হলে ঠিকাদার রশিদ পালিয়ে যান।  সড়কটিতে দফায় দফায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তারপরও ভাঙ্গন দূর হচ্ছেনা। যে পরিমান সড়কে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাতে করে সড়ক চকচকে হওয়ার কথা। 

ঠিকাদার আব্দুর রশিদ বলেন, আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলেছে আমি সে ভাবেই করেছি।তারপরও ভাঙ্গন রোদ হয়নি। পূর্ব দিকের সড়কটিতে যে পরিমান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে লোকসান গুনতে হয়েছে। আমি বলেছিলাম পূর্ব দিকে আর একটি ব্রীজ করলে ভাঙ্গন হবেনা। কিন্তু জেলা প্রকৌশলীরা আমার কথায় কর্নপাত করেননি।  এখন বীল ভর্তি পানি কোনভাবেই কাজ করা যাবেনা। আর করলেও টিকবে না।

স্থানীয় ঠিকাদারেরা জানান, নদীর মধ্যে রাস্তা ব্রীজ সেতু, সড়ক টিকসই হচ্ছে, আর এসড়ক কেন হবেনা। আসলে সব কিছুতে এত অনিয়ম দূর্নীতি করলে তো ভাঙ্গন দূর হওয়ার পরিবর্তে আরো বিলিন হবে। বীলে যে পরিমান পানি আছে জোরে ঢেউ হলে বিলিন হয়ে পড়বে।উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, যাতায়াতের মত অবস্থা না থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে এবং বিলের পানি কমলে পরিক্ষা নীরিক্ষা করে কাজ করা হবে যাতে করে আর ভাঙ্গন না হয়। মজবুত টিকসই করার জন্য যা যা করনীয় সেটাই করা হবে বলে জানান এই প্রকৌশলী।

আরও খবর