Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
আইপিএল

গুজরাটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ধোনির চেন্নাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯৪জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:নাটকীয়তায় গুজরাট টাইটান্সকে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস। এ জয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসরে রেকর্ড পঞ্চমবার শিরোপা ঘরে তুললো মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। আইপিএলে এতদিন ৫টি শিরোপা জিতে এককভাবে শীর্ষে ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাই এর আগে ২০১০, ২০১১, ২০১৮ ও ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচটির ভাগ্য ১৩তম ওভারে অনেকটা নিজেদের করে নেয় চেন্নাই। শেষ ৩ ওভারে ৩৯ রান দরকার হলে মোহিত শর্মার সেই ওভারের প্রথম তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান আম্বাতি রায়ডু। তবে চতুর্থ বলেই তিনি আউট হন। পঞ্চম বলে অধিনায়ক অধিনায়ক ধোনি এসেই শূন্য রানে বিদায় নেন। শুরুতে রান দিলেও মোহিত ম্যাচ নিজেদের দিকে রাখেন।

দুই ওভারে চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য দরকার ২২ রান। গুজরাটের ৫ উইকেট। তবে ১৪তম ওভারে মোহাম্মদ শামি কোনো বাউন্ডারি হজম না করে ৮ রান দেন। যেখানে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য দরকার ১৪ রান।  এই ওভারেও মোহিত প্রথম চার বলে মাত্র ৩ রান দেন। ফলে জয়ের জন্য শেষ দুই বলে দরকার পড়ে ১০ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। অবশেষে এই অলরাউন্ডার হিসেব মিলিয়ে ফেলেন। পঞ্চম বলে ছক্কা ও ষষ্ঠ বলে চার মেরে চেন্নাইকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

বৃষ্টির বাগড়ায় নির্ধারিত দিন গতকাল রোববার মাঠে গড়ায়নি আইপিএলের ফাইনাল। রিজার্ভ ডে থাকায় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ সোমবার তাই খেলা হচ্ছে। তবে এদিনও হানা দেয় বৃষ্টি। প্রথমে ব্যাট করে ২১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে গুজরাট। ২১৫ রানের বিশাল লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের মাত্র ৩ বল মাঠে গড়ায়। এরপরই শুরু হয় বেরসিক বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ।

বৃষ্টি থামার পর এবং পিচ ও আউটফিল্ড খেলার উপযোগী হওয়ার প্রেক্ষিতে খেলায় এসেছে নতুন সমীকরণ। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে কাটা হয়েছে চেন্নাই ইনিংসের ৫ ওভার। ১৫ ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭১ রান। খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় ১২টা ৪০ মিনিটে।

এই ম্যাচে মাঠে নেমেই একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আইপিএলে এখনো পর্যন্ত ২৫০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক অর্জন করেছেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। এই মাইলফলকে পৌঁছানো প্রথম ক্রিকেটার ধোনি।

১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় চেন্নাই। উদ্বোধনী জুটিতে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে ৬.৩ ওভারে ৭৪ রান তোলেন। তবে সপ্তম ওভারে ৩ বলের ব্যবধানে এই দুই ওপেনারকে বিদায় করে গুজরাটকে ম্যাচে ফেরান নূর আহমাদ। গায়কোয়াড় ১৬ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৬ করে রশিদ খানকে ক্যাচ দেন। আর মোহিত শর্মাকে ক্যাচ দেওয়া কনওয়ে ২৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ রানে মাঠ ছাড়েন।

এরপর দারুণ বল করা মোহিত শর্মান শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন আজিঙ্কা রাহানে (১৩ বলে ২৭), রায়ডু (৮ বলে ১৯) ও ধোনি। তবে চেন্নাইয়ের জয়ে অনন্য ভূমিকা রাখেন ওয়ানডে ডাউনে নামা শিভাম ডুবে। তিনি ২১ বলে ২টি ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। আর জাদেজার ৬ বলে একটি ছক্কায় ও একটি চারে ১৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে হলুদ জার্সিধারীরা।

এর আগে এদিন ম্যাচে টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চেন্নাই। ব্যাটিংয়ে নেমেই চেন্নাইয়ের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন গুজরাটের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম দুই ওভারে মাত্র আট রান আসলেও ঝড় শুরু করেন তৃতীয় ওভার থেকে। চাহারের করা তৃতীয় ওভার থেকে আসে ১৬ রান। চতুর্থ ওভারে ১৪, পঞ্চম ওভারে ১১ রান আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আসে ১৩ রান।

তবে রবীন্দ্র জাদেজার করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফিরতে হয় আসরজুড়ে আগুনে ফর্মে থাকা শুভমান গিলকে। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ধোনির ক্ষিপ্র স্ট্যাম্পিংয়ে অর্ধশতক তোলার আগেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন গিল। যাওয়ার আগে ২০ বলে ৭ চারে ৩৯ রান করেন গুজরাটের এই ওপেনার। যদিও দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন তিনি। তুষার দেশপান্ডের করা সেই ওভারে গিলের ক্যাচ ফেলেন দীপক চাহার।

গিলের আউটের পর গুজরাটের রান তোলার গতি ধীর হয়ে আসে। দলীয় ১০০ রান আসে ১১ ওভার ১ বলে। তবে দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার পর খোলস ছেড়ে বের হওয়া শুরু করেন ওয়ান ডাউনে নামা সাই সুদর্শন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি।

হাফ সেঞ্চুরি করে ১৪তম ওভারের শেষ বলে চাহারের শিকারে পরিণত হন সাহা। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় করেন ৫৪ রান। চারে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।

অধিনায়ককে ক্রিজে পেয়ে ব্যাটিং তেজ যেন আরও বেড়ে যায় সুদর্শনের। ১৫তম ওভারে মহেশ থিকসানার বল ২ বার সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন। দেশপান্ডের করা ১৭তম ওভারে একটি ছক্কার সঙ্গে মারেন ৩টি চার। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সুদর্শন শেষ পর্যন্ত আউট হন ৯৬ রান করে। ৪৭ বলের ইনিংসি ৮টি চার ৬টি ছক্কায় সাজান তিনি। পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে। শেষ পর্যন্ত গুজরাটের ইনিংস থামে ২১৪ রানে।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় প্রস্তুত র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদুল ফিতরের জামাত উপলক্ষ্যে র‍্যাবের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে,বলেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত র‍্যাব সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, চেকপোস্ট, সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। চেকপোস্ট এমনভাবে করা হবে যাতে ঘরমুখো মানুষদের হয়রানির মুখে পড়তে না হয়।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহসহ অন্যান্য ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের নামাজে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। যে কোনো হামলা ও নাশকতা মোকাবিলার র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো জঙ্গী হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য বজায় থাকবে।

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ট্রেনে কালোবাজারি রোধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, লঞ্চপথে হয়রানি রোধে র‍্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাসচালকদের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস চেক করাসহ বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



রামগড়ে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে প্রতিবন্ধি  তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার  ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে রামগড় থানা প্রাঙ্গণের সামনে জেলা পুলিশের আয়োজনে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধি উপকার ভোগীরা খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)কে ধন্যবাদ জানাতে ভূলেননি।

রামগড় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামগড় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড় উপজেলা প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য তিশা প্রমূখ।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে, খাগড়ছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,জেলার  আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিদের  বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায়  পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রামগড় থানা এলাকার ৩০ জন অসহায়- হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইফতার ও ঈদ বস্ত্র হাতে তুলেদিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রতিবন্ধি, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী  আমাদের সমাজেরই একটি অংশ। তাই তাঁদেরকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে এই গোষ্ঠী পিছিয়ে আছে। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে তারাও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন এধরনের কার্যক্রম জেলা পুলিশের অব্যাহত রয়েছে। যা ভবিষ্যতে  এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো, জসীম উদ্দিন পিপিএম, রামগড় সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.নাজিম উদ্দিন, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ,
রামগড় স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (ওসি) মো.মনির হোসেন সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



রাজশাহী পুঠিয়ায় এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া ( রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার  বানেশ্বর থান্দার  পাড়া এলাকায় বস্তা বন্দী এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৪: ২০ঘটিকার সময় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ সি আই ডিকে খবর দেয়। রাজশাহী থেকে  সিআইডি এসে লাশটির নমুনা সংগ্রহ 

পুলিশ ধারণা করছে, গত ৪/৫ দিন  আগে বেদেনা বেওয়া( ৬০) নামের এক নারী নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ ছিলো। পরে তার পরিবার রাজশাহীর পুঠিয়া থানা লিখিত অভিযোগ জানান। 
খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকাল ঈদের দিন উক্ত বৃদ্ধ ছেলে রিপন আলী  (২৭) পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে। 

আজ বিকালে এলাকাবাসী বাড়ির পাশে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়। স্থানীয়রা বলছে, মৃতের মুখে কসটেপ মারা ছিলো। গলা কাটার চিহ্ন ছিলো।  তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। 
পুলিশের ধারণা পারিবারিক বা স্থানীয় কোন কহলের কারণে এমন ঘটতে পারে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাজ্জাক হোসেন দুলাল জানান। আমি এলাকার বাইরে ছিলাম এসে দেখি এই ঘটনা। মেয়েটা  নাকি চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল আমি সেটা আজকে শুনলাম পুঠিয়া থানা পুলিশ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঠিয়া থানা ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানায় আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি বস্তাবন্দি একটি  লাশ পড়ে আছ।   পরে আমরা রাজশাহী সিআইডিকে খবর দিই সিআইডিএসে  নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আরও খবর



ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ আ’লীগ ডোমার থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক এর ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার ও মেধাবী কৃতি ছাত্রীকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজ হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি আনজারুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডোমার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু।

শিক্ষক রেজওয়ানুল হক উৎপলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী, পৌর কমান্ডার ইলিয়াস হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্টপোষক অবঃ প্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক আনিছুল হক গোল্ডেন, ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ লতিফুল মোস্তাকীম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এলাকার কৃতি সন্তান সাবিহা বিনতে বৃষ্টি মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৩৮তম স্থান অর্জন করায় ফাউন্ডেশনের পক্ষথেকে বিশেষ সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান করা হয়। আলোচনা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলাকার ৩ শতাধীক অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসাবে খাদ্য ও শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর