এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে উঠছে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৮ ও ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বহুলাংশে কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছেন। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছেন। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ মাসে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা ও নেই। তাই আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃহত্তর কৃষি প্রধান নওগাঁ জেলার সদর,রাণীনগর,সাপাহার ও পত্মীতলা সহ ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয় এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।
পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মুকিম।
সাপাহারের সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসার আয়োজনে মাদ্রাসা মাঠে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশ গ্রহণে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন ওই মাদরাসার হিফযু বিভাগের পরিচালক ও উক্ত মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক।
রাণীনগর উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এ নামাযে ইমামতি করেন, ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের খতিব ও বেলঘরিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তফা আল আমিন।
এছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলার পাহাড়পুর বাজার মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়।
সাপাহার সরফতুল্লা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে।