Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ (রোববার),জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমা বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ-মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশনডপ্রাপ্ত অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রাখেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নৃশংসভাবে খুন হন শেখ জামাল।

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ঐতিহাসিক বাড়াইবাড়ী যুদ্ধু দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ শহীদদের-আমরা তোমায় ভুলি নাই’ এই শ্লোগানের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধের ২৪ বছর পদার্পন উপলক্ষে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সহযোগীতায় বড়াইবাড়ি দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালের দিকে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধে নিহতের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তপক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। পরে বড়াইবাড়ী মসজিদ মাঠে সাবেক এমপি রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন, বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, বড়াইবাড়ি গ্রামবাসির পক্ষে, বারবান্দা সুর্য্য সংঘ, শহীদ পরিবারের পক্ষে, চুলিয়ারচর ও বারবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, জাতীয় পার্টি (জেপি), বড়াইবাড়ী গ্রামের কোমলমতি বাচ্চারাসহ এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। ২০০১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে নারকীয় তান্ডব চালায়। অকুতোভয় তৎকালিন বিডিআর ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রতিরোধ করা হয়। নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জোয়ান ৩৩ রাইফেল্ধসঢ়;স ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ধসঢ়; ব্যাটালিয়নের সিপাহী আঃ কাদের। ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ বিএসএফ সদস্য। সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিনটি পালিত হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে। এলাকাবাসীর দাবী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, চলমান নির্মিত ব্রীজ ও রাস্তা তিন শহীদদের নামে নাম করন ও ঐতিহাসিক দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইমান আলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবু হোরায়রা সাধারন সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন উপজেলা পরিষদের, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার সৃতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ডল, ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ উপজেলা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে স্মরণ সভা অনুষ্টিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:ফুলবাড়ীতে কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠকদের স্মরণে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার স্মরণ সভা অনুষ্টিত।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী যমুনা নদী সংলগ্ন জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহব্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর সভাপতিত্বে স্মরণ সভা অনুষ্টিত হয়। স্মরন সভার শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও গীতা পাঠ করেন, শীবু। স্মরণ সভার প্রয়াত আকতারুল সরকার বকুল, আব্দুল জব্বার, দ্বীপ চাঁদ গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম এ খালেক, আব্দুল মতিন, ইন্দ্রজিৎ দাস শিবু, আরিফুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ সরেন, সৌমিক করিম অর্জুন, মুক্তার হোসেন, গোলাম মোস্তফা চিস্তি’র স্মরণে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যপক আনু মোহাম্মদা। অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির আহব্বায়ক ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন, বাংলাদেশ কমিনিস্ট পার্টির নেতা মোশারফ হোসেন নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির। ফুলবাড়ী তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির আহব্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল, সদস্য সচিব জয়প্রকাশ নারায়ন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষা কমিটির সাবেক সদস্য এসএম নুরুজ্জামান, সদস্য মাহমুদুল হাসান বাবু, ওয়াকার্স পার্টির ফুলবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিকদার, সিপিবি’র সদস্য মোঃ গোলাম কিবরিয়া, ফুলবাড়ী উপজেলা কমিনিষ্ট লীগের আহব্বায়ক সঞ্চিত প্রশাদ জিতু, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার সদস্য, এমএ কাইয়ুম, সদস্য মোঃ হামিদুল হক। স্মরণ সভায় মৃত্যুবরণকারী পরিবারের সকল সদস্যসহ সংগঠনের শতাধিক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে ইতি পূর্বে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য এইস্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরণ সভায় অত্মার মাগফেরত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।আয়োজনে ছিলেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখা।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃপ্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপন্ন। মানুষের জীবন গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষেরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায়। প্রচুর গরমে তাদের কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সামান্য কাজ করেই হাপিয়ে পড়ছে তারা। অনাবৃষ্টিতে গ্রাম গঞ্জের রাস্তাঘাট ধুলোবালুতে ভরে গেছে।

এ থেকে নিস্তার পেতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ডিগ্রী কলেজ মাঠে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাইয়্যেদুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত ইমাম ওলামা মাশায়েখের আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লবসহ ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ গ্রহণ করে। এ নামাজে ইমামতি করেন উত্তরবঙ্গের খ্যাতি সম্পন্ন মাওলানা আব্দুল্লাহীল বাকী।

সহকারী শিক্ষক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান বলেন,প্রচন্ড দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে  অংশ হিসাবে এ নামাজ আদায় করা হলো। হাদিসে আছে আমাদের নবী রাসুলেরা বৃষ্টির জন্য এ নামাজ আদায় করতো। সেই ধারাবাহিকতায় এ নামাজ পড়েছি। একইভাবে ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটে লোকজন কমে যায়। এ জন্য বেচাকেনাও কম। সূর্যের তাপদাহে মানুষ বাড়ী থেকে তেমন বের হতে পাড়ছে না। তাই বৃষ্টির প্রার্থনায় এ নামাজে অনেকেই অংশ গ্রহণ করেছি।

আরও খবর



মির্জাপুরে মাদকাসক্ত তরুণের করুন মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:"নেশা খাবি খা, মারা যাবি যা।" মাদকবিরোধী এই সত্য এবং কঠিন স্লোগানের একটি বাস্তব ঘটনা ঘটলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আনাই তারা ইউনিয়নের চামারি ফতেপুর গ্রামের মৃত যুধিষ্ঠির বসাকের বড় ছেলে সুব্রত বসাক (৩৮) এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক তিন টার সময় সুব্রত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুব্রত বসাক মাদকাসক্ত ছিল। প্রতিদিন সে মাদক সেবন করে গভীর রাতে ঘরে ফিরত। এ নিয়ে তার স্ত্রী পূজা'র (৩০) সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং স্ত্রীকে মারধর করত। পূজা বলে, ঘটনার রাতে সে বারোটার দিকে নেশা করে ঘরে ফিরে। কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে পুনরায় রান্নাঘরে ঢুকে হিরোইন সেবন করে। এরপর ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকে।কিছুক্ষণ পর নিরব হয়ে যায়। শ্রী পূজা ভাবে সুব্রত ঘুমিয়ে পড়েছে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে । সকালে সুব্রতর দেহে হাত দিয়ে দেখে নিস্তেজ হয়ে গেছে। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আত্মীয়-স্বজন নিকটস্থ জামুর্কি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, ছয় বছর পূর্বে সুব্রত বিয়ে করে। তার আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। পেশায় সে একজন সিএনজি চালক ছিল। দুই মাস পূর্বে তার সিএনজি বিক্রি করে দেয়। স্ত্রী পূজা আরো জানায়, গত বছর সে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে মানিকগঞ্জে জেল খেটেছে। নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে জেল থেকে বের করে আনে। সুব্রত হিরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজায় আসক্ত ছিল। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে এক কন্যা সন্তান নিয়ে পূজা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।


আরও খবর