Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

কবির আল মাহমুদ,স্পেন:স্পেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সূচনা হয় প্রায় ৩৪ বছর আগে। ১৯৮৯ দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে তখন হাতেগোনা কজন বাংলাদেশি অভিবাসী  বসবাস করতেন। ধীরে ধীরে কমিউনিটি বড় হতে থাকে। বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন দেশটিতে। ইউরোপের অন্যতম পর্যটন নির্ভর দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে বসবাসরত আছেন প্রায় ৩৫ হাজার বাঙালি অদিবাসী। এদের অনেকেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করে। বাবারা অধিকাংশ কল-কারখানা, রেস্তোরাঁ বা পর্যটন সংশ্লিষ্ট চাকরিতে আছেন। কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যও করেন। মায়েদের বড় অংশ ঘর-গৃহস্থলির কাজ করেন। কেউ কেউ চাকরিও করেন।

অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রথম জেনারেশন বা ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ এখন পূর্ণ যৌবনে পা দিয়েছে। কেউ কেউ কর্মজীবন শুরু করেছে। অনেকেই পছন্দের মানুষকে বিয়ে করে সংসারও পেতেছে । কিন্তু ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ লেখাপড়া শেষ করেনি বা করতে পারেনি। বেশিরভাগই প্রাথমিক এবং 'ও' লেভেল থেকেই তারা ঝরে পড়েছে। সংসারের হাল ধরেছে। পরিবার তথা বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য কর্মজীবনে নেমে পড়েছে। তাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া শেষ করেছেন, তাদের একজন জুমা আক্তার কালাম। স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক।

রবিবার মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হসপিটালে যোগদান করে চিকিৎসা পেশা শুরু করেছেন। যেখানে অধিকাংস অভিবাসীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই কর্মজীবন শুরু করে ঝরে পড়ছেন ছেলেমেয়েরা। সেখানে জুমা আক্তার মেধা তালিকায় উক্তীর্ণ  হয়ে চিকিৎসা পেশা শুরু করায়  বাবা-মা, ভাই, আত্মীয় স্বজন ও অভিবাসীদের মধ্যে বইছে এখন খুশির ঝিলিক। ইউরোপে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে   দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসটিতে প্রথম বাঙালী নারী চিকিৎসক হওয়ায় প্রবাসীরা ও আনন্দে উচ্ছ্বাসিত। জুমা এখন প্রবাসীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

জুমা আক্তার ১৯৯৯ মাদ্রিদের ১৬ জানুয়ারী মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার  আবুল কালাম সেলিম। তিনি মাদ্রিদে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার আদিনিবাস বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তিনি (জুমা আক্তার) স্থানীয় স্কুলে পড়া -লেখা শেষ করে মেডিসিন বিষয় নিয়ে ভর্তি হন উনিভারসিদাদ অটোনোমো মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রযুক্তির এই যোগে মূলতঃ মেডিসিন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রতি আগ্রহ থেকেই স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হওয়ার। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত যেই হাসপাতালে ১৯৯৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেই হাসপাতালে চিকিৎসক হওয়ার মাধ্যমে।

বাবা-মা, বড় বোন আর ছোট ১ বোনকে নিয়ে মাদ্রিদে বসবাস করেন জুমা আক্তার। তার বড় বোন সুমা নাহিদা আক্তার স্থাপত্য ও নগরায়ন নিয়ে উনিভার্সিটি অফ আর্কিটেচার আলকালা দে হেনারেসে অধ্যনরত রয়েছেন। ছোট বোন জান্নাত আক্তার লন্ডন কিং লো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

জুমা আক্তার বলেন,  'ছেলে-মেয়েদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে বাবা-মার উৎসাহ থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক গুজব কিংবা অপ্রপচারবে কর্ণপাত না করে অর্থিক ও মানসিকভাবে ছেলে-মেয়েকে সহযোগিতা করতে হবে। আর ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও চেষ্টা, সাধনা থাকা প্রয়োজন।''অভিবাসী বাবা-মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য হলেও আমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। লেখাপড়া করে তাদের ও কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করতে হবে', যোগ করেন তিনি।

এই সাফল্যে কমিউনিটর মধ্য়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছেন তাতে তিনি আপ্লোত উল্লেখ করে বলেন, আমি ফুল টাইম চিকিসা সেবার পাশাপাশি আরো বেশি লেখাপড়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করে চিকিসা বিষয়ে একজন প্রফেসার হতে চান বলেন তিনি।

জুমা বলেন, 'আমি জন্মসূত্রে স্প্যানিশ হলে বাবা মার সাহায্যে বাংলা ভাষার (কঠিন শব্দ ব্যাতিত) কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে গভীর আগ্রহ । আমি বাংলা এবং স্প্যানিশ উভয় সংস্কৃতির মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চাই। তাদের সেবা করে যেতে চাই।'

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের প্রাচীন সভ্যতার চিত্রকর্ম ও সাহিত্য,রৌদ্রোজ্জ্বল জলবায়ু, সমুদ্রসৈকত এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর জন্য পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষ এই দেশে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে স্পেনের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন জুমা আক্তারই প্রথম।জুমারব এই সাফল্যে তাঁর পিতা আবুল কালাম সেলিম বাংলাদেশী মানবাধিকার সংগঠন আসোসিয়েশন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোঃ ফজলে এলাহীসহ কমিউনিটির তার কর্মস্থল মনক্লোয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তার সফলতা কামনা করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তারা স্পেনে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ও অভিভাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।


আরও খবর



মির্জাপুর আট ঘড়িতে খান আহমেদ শুভ এমপি'র দেওয়া রাস্তা উদ্বোধন করলেন ময়নাল চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আটঘড়ি পাকা সড়ক হতে  শ্রী শ্রী কালী মন্দির পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার মাননীয় এমপি খান আহমেদ শুভ'র দেওয়া প্রকল্পের রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ উদ্বোধন করেন, আনাই তারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল।

অত্র এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া এ রাস্তাটির কাজ ধরায় এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। কেননা সামান্য বৃষ্টি কিংবা বর্ষাতেই এখানে পানি জমে যাতায়াতের ভীষণ অসুবিধা হতো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৬ নং আনাই তারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা কামাল ময়নাল বলেন, মির্জাপুরের উন্নয়নে বিশেষ করে রাস্তাঘাটের উন্নয়নে আমাদের বর্তমানে এমপি খান আহমেদ শুভ মহোদয় অত্যন্ত আন্তরিক। উনার দেওয়া প্রকল্প থেকেই এ রাস্তার কাজটি ধরা হয়েছে। আনাই তার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রশিদ আবু।  আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি কামাল খাঁ, সাধারণ সম্পাদক মালেক খান এবং শিপন, সোহেল, মীর রুবেল। আরো উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মমিনুর রহমান মমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হালিম মিয়া সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 


আরও খবর



বিদেশে বসে যশোরের মেসকাত হত্যার নিল নকশা, নারীসহ দু’জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:পরকীয়া প্রেমিকা প্রবাসী নাজমা যশোরের মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন । এজন্য নাজমা বিদেশে বসেই মেসকাতকে হত্যা করতে রিক্তা বেগমের সাথে দুই লাখ টাকা চুক্তি করে। আর রিক্তা ঠিক করে ভাড়াটিয়া কিলার যশোর শহরের শংকরপুরের শাহীন ড্রাইভারকে। এরপর শাহীন ড্রাইভার কৌশলে মেসকাতকে মণিরামপুরে এনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে যায়। ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর এ হত্যায় জড়িত অন্যতম আসামি সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রিক্তা এসব তথ্য জানান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজমার বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মেসকাতের মোবাইল ফোন। নিহত মেসকাত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।

শনিবার ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, মেসকাত ও প্রবাসী নাজমা দু’জনেই যশোরের পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরই মাঝে বিদেশে পাড়ি দেয় নাজমা।এদিকে, মেসকাত নিজ এলাকায় চলে যান। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা। পরে সে নাজমাকে মোবাইল করে গালিগালাজ দেয়। এসব বিষয়ে ক্ষোভ তৈরী হয় নাজমা'র। এরপর সে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসময় নাজমা মেসকাতকে বলে ঝাউডাঙ্গা বাজারে তার সোনা রয়েছে সেই সোনা সাতক্ষীরার বাড়িতে পৌছে দিতে হবে। এ কাজে ঠিক করে শাহীন ড্রাইভারকে। শাহীন ড্রাইভার কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মৃতদেহ মণিরামপুরে এনে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত মেসকাতের ভাই এরশাদ আলী মণিরামপুর হত্যা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ।

শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মেসকাতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই দুই আসামিকে আটক করে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃগ্রীষ্মের শুরু থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। গতকাল ২৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার রূপসী গন্ধর্বপুর সাইনবোর্ড ঈদগাহ মাঠে সাইনবোর্ড ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা হয়। ইসতিসকার নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য অশ্রæ সিক্ত চোখে প্রার্থনা করেছে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ হাহাকার করছে। এ কারনে নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তীব্র গরম থেকে পানাহ চেয়ে রহমতের জন্য দোয়া পরিচালনা করা হয়। এ ইসতিসকার নামাজের ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন গন্ধর্বপুর বড় মসজিদের ইমাম মুফতি শাকির মাহমুদ। 

দুই রাকাত নামাজের পূর্বে নসিহতপূর্ণ আলোচনা করা হয়। নামাজে আদায় শেষে আল্লাহতালার দরবারে দুই হাত তুলে কান্না জড়িত কন্ঠে মোনাজাত করেন মুসুল্লিরা। অসহনীয় তীব্র রোধ ও চলমান প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে অতিষ্ঠ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের জন্য দুহাত তুলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।

শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজে অংশ নিয়েছে অসংখ্য মানুষ।মোনাজাতে জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণীসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

এছাড়াও মুড়াপাড়ার দড়িকান্দী, দাউদপুরের বেলদী, রূপগঞ্জের শিমুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুরুপ ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। 

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মধুপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা (বিশেষ প্রতিনিধি) মধুপুর টাঙ্গাইলঃসারাদেশ ব্যাপী প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।পাশাপাশি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাতেও তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। 

হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে জ্বর, সর্দিকাশি জনিত রোগীর সংখ্যা। 

রোদে পুড়ছে প্রকৃতি, বইছে তাপদাহ, স্বস্তি নেই কোথাও। দুপুরের রোদে খোলা আকাশের নিচে হাঁটলে গরম বাতাসে মুখমন্ডল পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। একটু প্রশান্তি ও শরীরকে সতেজ রাখার জন্য মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়ায়। এছাড়াও গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে সাতার কাটছে দিনভর। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না কারন প্রচুর লোডশেডিং আর বৈদ্যুতিক পাখাও হার মানছে এই তীব্র গরমের কাছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মধুপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আর এই তীব্র রোদে লোকজন ঘর থেকে কম বের হওয়ার কারণে মধুপুর পৌর শহরে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজির সংখ্যাও ছিলো অনেক কম। মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছিলো প্রায় ফাঁকা। 

এই অতিরিক্ত গরমে মধুপুরের জনজীবন যেন গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে ফলে দেখা দিচ্ছে জ্বর,সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব।

মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শিশু সহ বয়স্ক রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।এদের অধিকাংশই অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।  

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার  ডা. মো. ইমরান হোসেন  জানান, বিগত কয়েকদিনে তীব্র  গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ।

তিনি আরও জানান, আগে দেড়শো'র মতো রোগী প্রতিদিন ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা নিতে আসতো কিন্তু এখন তীব্র তাপদাহের কারণে প্রতিদিন দু’শোর বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য ইমারজেন্সিতে আসছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই হচ্ছে শিশু। 

আমাদের হাসপাতালে জনবল কম থাকার পরেও আমরা দিনরাত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তীব্র গরমে ঘরের বাহিরে গেলে সাদা ছাতা বা ক্যাপ, ঢিলেঢালা পাতলা সূতি কাপড়ের পোশাক পরিধান এবং শরীরে পানিশূন্যতায় খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি সহ প্রচুর তরল খাবার গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। 

এদিকে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানীয় খাবারের। ফুটপাতে প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে আখেঁর রস, ডাব এবং প্রচন্ড গরমে ক্লান্তি মেটাতে পথচারীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায় বিভিন্ন শরবতের দোকানে। 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাংগাইল সহ দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা আগামী কয়েকদিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবারও ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩দিনের  সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কনডেম সেল নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আসামিদের কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।


আরও খবর