Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আইএমএফ সন্তুষ্ট: বাংলাদেশ জুনে ১১৫ কোটি ডলার পাচ্ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ, আর্থিকখাতে বাংলাদেশ কাঠামোগত উন্নয়ন করায় সন্তুষ্ট। তাই আগামী জুন মাসে প্রতিশ্রুত ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার পেতে বাংলাদেশের কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি।

বুধবার (৮ মে) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান এবং বাংলাদেশ সফরে আসা ১০ সদস্যের নেতা ক্রিস পাপাজর্জিও।

অন্যদিকে সচিবালয় ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান গণমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তৃতীয় কিস্তির ব্যাপারে কোনো উদ্বেগ নেই। আইএমএফ নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুদহারের বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে।

এর আগে, তৃতীয় কিস্তির ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে গত ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন আইএমএফ প্রতিনিধি দল সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে। তার সারমর্ম নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি।

আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেওয়া হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের এই প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

এদিকে করের হার বা আওতা বাড়ানোর যে আলোচনা আছে, তাতে মানুষের কষ্ট বাড়বে কি? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শর্ত পূরণ করতে গিয়ে মানুষের জন্য ভোগান্তি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ।

আইএমএফের রিভিউ দলের সফর প্রসঙ্গে অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার জানান, ১০টির মধ্যে বাংলাদেশ কেন একটি পূরণ করতে পারেনি তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ পক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে জুনে রিজার্ভে যোগ হতে পারে তৃতীয় কিস্তির টাকা।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। এবারের সফরে ঋণ পেতে বেধে দেওয়া শর্ত ও সংস্কার কতটা পূরণ হয়েছে সেই বিষয়গুলোই খতিয়ে দেখেছেন আইএমএফের বিশেষজ্ঞ দলটি। মোটা দাগে বাজেটের আকার, রাজস্ব আয়, যৌক্তিক ভর্তুকি নির্ধারণ ও নিট রিজার্ভ নিয়ে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা ও সুপারিশ দিয়েছে এই পূর্বমূল্যায়ন দল।

বাংলাদেশ পক্ষ বলছে, রিজার্ভ ছাড়া যেহেতু শর্তের অন্যান্য দিক পূরণ করা হয়েছে সেহেতু ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। যদি এই রিভিউ মিশনের মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে তৃতীয় কিস্তি ছাড় করে আইএমএফ, তাহলে সেটির পরিমাণ সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ডলার হতে পারে।

চলতি মে মাসের শেষ দিকে কিংবা আগামী জুনের শুরুতে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করতে পারে আইএমএফ। বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় তাদের মিশন পরিচালনা করছে। প্রতিনিধি দলটি সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছে।

ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে আইএমএফের ঋণের অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়। আর ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সব ধরনের যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়েছি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:থাইল্যান্ড সফরে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে এবং ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল খাইল্যান্ড সফর করি। কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ আমার সফরসঙ্গী ছিলেন। ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও গানস্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

তিনি বলেন, গত ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল ব্যাংককে ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের জন্য সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশে ব্যস্ত থাকায় আমি তাতে অংশ নিতে পারিনি। তবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার পূর্বধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২৫ এপ্রিল সকালে ইউএন-এসক্যাপের একটি অধিবেশনে আমি এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করি। আমি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়ে আমাদের আগ্রহ ব্যক্ত করি।


আরও খবর



সৈয়দপুরে মা ও মেয়ে একসাথে উত্তির্ন এস এস সি পরিক্ষায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরর ও প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তির্ন হয়েছেন।

ওই পরিক্ষায় প্যানেল মেয়র সাবিয়া সুলতানা পেয়েছেন জিপিএ-৩.৬৪ ও মেয়ে মোহিনী পেয়েছেন ৩.৫০ পয়েন্ট।মা পড়াশোনা করেছেন আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে আর মেয়ে শহরের ইসলামিয়া স্কুল থেকে। 

শিক্ষার যে কোন বয়স নেই তার প্রমান করলেন মা সাবিহা সুলতানা। এঘটনায় সৈয়দপুর শহর আলোচনায় মুখরিত। 

সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার মা ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল। নবম শ্রেনিতে যখন পড়তাম তখন আমার বিয়ে দেয়া হয়। স্বামী চাকরি করতেন পৌর পরিষদের অধিনে। তার ইচ্ছে ছিল আমাকে পড়াশোনা করাবে কিন্তু  শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাইতেন না বলেই পড়াশুনা করতে পারিনি।  প্রায় দশ বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ায় জনগনের চাপের মুখে আমি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেন। পরপর দুইবার  কাউন্সিল নির্বাচিত হলে বর্তমান পৌর মেয়র ও এলাবাসী আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলে।  সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করি। কারন, পড়াশুনার যে কোনো বয়স বা বিকল্প নেই বলে তা আমি জানতে পেরেছি । ভর্তি হই আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। মেয়ে এস এস সির ফরম ফিলাপ করে ইসলামিয়া স্কুল থেকে, আর আমি আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে। মা ও মেয়ে একসাথে এস এস সি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে খুব ভালো লাগছে।  তিনি সকল মা দের বয়স না দেখে শিক্ষিত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 


আরও খবর



গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image

রিয়াদ হোসাইন গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যের আলোকে পটুয়াখালীর গলাচিপায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ (প্রথম সংশোধিত) এর আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ হিসাবে নিবন্ধিত সুফলভোগী জেলেদের মাঝে ৩২টি বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। এই অর্থ বছরে উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ১০৬টি বকনা বাছুর সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলেদের মাঝে এসব বকনা বাছুর বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা।  

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজল দাস, গলাচিপা থানার ওসি তদন্ত মোকাম্মেল হক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. অলিউল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুফলভোগী জেলেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নবীনগর শ্যামগ্ৰাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে দুইটি দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্ৰাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুইটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়‌। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত দুইটার দিকে রুবেল চন্দ্র সরকার ও প্রদীপ দেবের দোকানে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

খবর পেয়ে নবীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। মাদার ড্রাগ হাউসের স্বত্বাধিকারী রুবেল চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়।রাত দুইটার দিকে বাজার থেকে আমাকে ফোন করে বলে আমার দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে বাজারে গিয়ে দেখি আমার দোকানে আগুন লেগে আছে। স্থানীয়রা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমার দোকানের মালামালসহ মোটরসাইকেল পুড়ে যায় ‌। এতে করে আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ইলেকট্রনিক্স দোকানের মালিক প্রদীপ দেব বলেন, অনেকে টিভি সার্ভিসিং এর জন্য আমার দোকানে টিভি দিয়ে গেছে, তাদের মালামালসহ আমার দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গাজায় নিহত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে।টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে। তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন। সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন। ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

মূলত গতকাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর জাতিসংঘের প্রথম কোনও বিদেশি কর্মীকে হত্যা করেছে। রাফাতে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত জাতিসংঘের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।


আরও খবর