Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভারতীয় শিল্পীদের সন্তুর আর তবলার সঙ্গতে মুগ্ধ ঢাকার শ্রোতারা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত তারযুক্ত এক জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রের নাম সন্তুর। এটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের দেশজ বাদ্যযন্ত্র হলেও এর আগমন মূলত পার্শিয়া থেকে। সন্তুরের বাজনা শুনলেই মনে হয় যেন কোনো পাহাড়ি নদীর স্রোত বয়ে চলেছে। ভারতে এই যন্ত্রের বেশ প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে সন্তুর চর্চা খুব কম সংখ্যক। তাই দেশের শ্রোতাদের কাছ থেকে সন্তুরের বাজনা শোনার সুযোগ খুব কমই হয়। তবে এবার ঢাকার শ্রোতাদের সেই অনন্য সুযোগ এনে দিল রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট।

প্রতিষ্ঠান দুটির যৌথ আয়োজনে শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সন্তুর আর তবলার সঙ্গতের এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। যেখানে সন্তুর এবং তবলার সঙ্গত পরিবেশন করেন ভারত থেকে আগত দুই তরুণ গুনী শিল্পী অন্যান্যা বাগ এবং রাহুল চ্যাটার্জী। 

অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতারা এদিন অন্যন্যা বাগের সন্তুর এবং রাহুল চ্যাটার্জীর তবলা সঙ্গতে ডুবে যান সুরের অমোঘ জাদুতে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তারা ভেসে যান এক অন্য জগতে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহীন সামাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি সবসময় চায় দেশের সঙ্গীত চর্চার উন্নয়ন। সেই ধারবাহিকতায় দেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার সঙ্গে জড়িতদের উৎসাহিত করা এবং দুই দেশের শিল্পীদের মধ্যে ভাব ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আমাদের এই আয়োজন। সন্তুর খুব কম মানুষ চর্চা করে, তাদের মধ্যে নারী শিল্পীদের সংখ্যা আরও কম। যে কয়েকজন শিল্পী উপমহাদেশে বর্তমানে সন্তুর চর্চা করছেন অন্যন্যা বাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। রাহুল চ্যাটার্জী ভারতবর্ষের একট উজ্জ্বলতম নক্ষত্র এবং বিশেষ বাদনশৈলীর জন্য পরিচিত। অনন্যা এবং রাহুলের পরিবেশনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এই মুগ্ধতা আমাদের মনে অনেক দিন গেঁথে থাকবে।”

এমন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য “রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। ভবিষ্যতেও সঙ্গীত চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য যেকোনো সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন তিনি।

জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ সন্তুর এবং তবলার সঙ্গতে মুগ্ধতা প্রকাশ করে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির প্রশংসা করেন।”

প্রসঙ্গত, অন্যন্যা বাগের বাজানোর সন্তুর একটি শততন্ত্রী বীণা; যাতে একশত তার রয়েছে। যেহেতু ঝর্নার শব্দ থেকে এই যন্ত্রের কল্পনা করা হয় তাই এই যন্ত্রটিকে প্রাকৃতিক যন্ত্র বলা হয়। হাতেগোণা যে কয়েকজন নারী শিল্পী সারাবিশ্বে এই যন্ত্রটি বাজান তার মধ্যে অনন্যা বাগ একজন। অন্যদিকে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে এবং লখনউ ঘরানার বিশেষ বাদন শৈলীর জন্য রাহুল চ্যাটার্জী ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের তেঁতুলবাড়িয়া রাতিন ষ্টোরে চুরি: পাহারাদারের গা ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে রাতিন ষ্টোর ‘মুদি দোকানে’ এক চুরির ঘটনা ঘটেছে।দুই সপ্তাহেও চুরির রহস্য উদঘাটন হয়নি। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় আঃ ওয়াদুদ হাওলাদার বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। এতে ওই বাজার ব্যসায়ীদের মধ্যে দিনদিন আতংকে বাড়ছে।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে গত (২৯ রমজান ৯ এপ্রিল) গভীর রাতে রাতিন ষ্টোরের ৪টি তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও মালামাল হাতিয়ে নেয় চোরের দল।

ফারুক মৃধা ও হাকিম মোল্লা নামের দুই জন ওই রাতে বাজারে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে, ওই রাতে স্থানীয় ভ্যান চালক দক্ষিণ সুতালড়ী গ্রামের বাচ্চু ফরাজী দেখতে পায় পাহারাদার হাকিম মোল্লা খালি গায়ে রাতিন ষ্টোরের সামনে দাড়িয়ে আছে। পরের দিন সকালে তিনি শুনতে পায় রাতিন ষ্টোরে চুরি হয়েছে। সে সুবাধে থানা পুলিশ ভ্যান চালক বাচ্চু ফরাজীকে স্বাক্ষী নিয়েছে ও জড়িত সন্দেহে পাহারাদার হাকিম মোল্লাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হাকিম মোল্লা ১০ দিনের মধ্যে চোরকে সনাক্ত করে নগদ টাকার উদ্ধারে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রতিশ্রুতির ২০ এপ্রিল তারিখ শেষ হলে পাহারাদার হাকিম মোল্লা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে।

রাতিন ষ্টোরের মালিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আ.ওয়াদুদ হাওলাদার বলেন,তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে ১৫২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা আতংকে আছি।এরকম চুরি পাহারাদার হাকিম মোল্লা পূর্বেও ঘটিয়েছে। চুরির ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পাহারাদারের স্ত্রী নারগীস বেগম বলেন, আমার স্বামী গত দুই দিন ধরে বাড়িতে আসেনা। মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে গেছে। ২০ এপ্রিল থানায় বসার তারিখ ছিল। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই অভিযোগের (তদন্তকারি কর্মকর্তা) বিকাশ দত্ত বলেন, তেতুলবাড়িয়া বাজারের চুরির ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাহারাদার গা ঢাকার বিষয়টি শুনেছি। সে পালিয়ে থেকে পার পাবে না।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



শত্রুতা করে বোরো ফসল বিনষ্ট: কৃষক পরিবার সর্বশান্ত!

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার  নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের শিমনা গ্রামে এক কৃষকের ৩ বিঘা জমির বোরো ধান গাছে প্রতিপক্ষরা আগাছা নাশক কীটনাশক বিষ স্প্রে করায় ধান গাছের পাতা পুড়ে ধান খেত বিনষ্ট হয়েছে। এতে ঐ কৃষক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শিমনা গ্রামের নজমল হকের ছেলে নোমানুর রহমান নিজের সামান্য জমি আবাদ করে পরিবার চালান। একই গ্রামের ফুলচাঁনের ছেলে সোবাহান, সোবাহানের দুই ছেলে সাইদুল ও সলেমান দীর্ঘদিন থেকে নোমানুর রহমানের ভোগ দখলীয় জমি জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষরা ইতিপূর্বেও নোমানুর রহমানের জমির ধান বিগত ৪ মৌসুমেও বিষাক্ত আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে সমুলে বিনষ্ট করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক নোমানুর রহমানের আবাদি ফসল নষ্ট হওয়ায় তাঁর পরিবার নিয়ে মানবেতর ভাবে দিনাতিপাত করছেন। তিনি অনেক কষ্টে এবার অন্য ৩ বিঘা জমিতে ২৯ জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করেন। সেই চারা পুষ্টতা পেয়ে শীষ আসার আগ মুহুর্তে গত ২৭ মার্চ রাতে প্রতিপক্ষরা আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বোরো ধান খেতে বিষাক্ত আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের আমিনুর রহমান ধান খেতে কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করতে দেখে সোবাহান ও তার ছেলে-নাতিদের নিষেধ করলে তাকেই উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে অভিযুক্তরা সেখান থেকে চলে যায়। পরদিন দুপুর হতেই ধানের সব গাছ মরে গিয়ে হলুদ ফ‍্যাকাশে বর্ণ ধারণ করেছে।

কষ্টের ফসল নষ্ট হওয়ায় পরিবারের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কৃষক নোমানুর রহমান শোক-দুঃখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। জমির ফসল ধ্বংসকারী চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবিতে তিনি ৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে ২৯ মার্চ রাতে নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম জানান, জমির বোরো খেত নষ্ট করে দুবর্ৃত্তরা অমানবিক কাজ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মুজিবনগরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ,আহত-১৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহাজনপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে তোতার সমর্থক ইসলাম শেখের (৬০) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্যান্যরা হলো তোতা গ্রুপের রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০) ও মিলু গ্রুপের রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭), হাবিবুর রহমান (২২)।

রফিকুল ইসলাম তোতার দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক আমাদের মহাজনপুর বাজারের একটি অফিসে হামলা চালায়। এ সময় অফিস ভাংচুর করে। তারপরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমাদেও ৫ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আমাম হোসেন মিলুর দাবি, তার সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় তোতার সর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ৮ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুজিবনগহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে অফিস ভাংচুরের বিষয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরকে দোষারপ করছেন। ঘটনাস্থলে সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মারামারিতে ১ জনের মৃত্যু,আহত ৭

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কৃষক নিহত ও অপর ৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তির নাম নাম আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার(৬২)। সে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। শুক্রবার বেলা ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হচ্ছেন, হারুণ জোমাদ্দার(৫০), লতিফ জোমাদ্দার(৫৫), রশিদ জোমাদ্দার(৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার(৪৫), জামিলা বেগম(৫০) ও মেহেদী হাসান(৩৫)।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার জানিয়েছেন। 

মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার বলেন, বেলা ৭ টার দিকে প্রতিবেশি শহিদুল হাওলাদার ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। 

আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাকে আটক করে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

আরও খবর