সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-সপ্তাহের ব্যবধানে গাইবান্ধার বাজারগুলোতে পেঁয়াজ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেড়েছে দ্বি গুন। এক লাফে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা, আলুর দাম বেড়েছে ২৫ টাকা । আলু ও পেঁয়াজে সাথে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে শসা,টমেটো,বেগুন,কাচা মরিচ,করলা,ঢেরস ও পটলের দাম।
৩০ এপ্রিল রোববার গাইবান্ধা জেলার কালীবাড়ি হাট, ধাপেরহাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি করছেন ৫০ টাকা কেজি দরে গত এক সপ্তাহ আগের আলুর দাম ছিলো কেজি প্রতি মাত্র ৩০ টাকা।
হঠাৎ আলুর দাম দ্বিগুন হওয়ার কারন খুজতে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আর ভি কোল্ড স্টোরে গিয়ে দেখা যায় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ১০ /২০ বস্তা আলু স্টোর থেকে বের করে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
তবে আর ভি কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার মশিউর রহমান বলেন স্টোর থেকে এখনো আলু বের করা শুরু হয় নি।কৃষকের বাড়ী থেকে প্রতি মন আলু ৮শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম বাড়ানোর জন্য খুচড়া ব্যাবসায়ীরাই দায়ী।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ছাইগাড়ী গ্রামের অটোচালক আলম মিয়া আলু পরিবহন করে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথি মধ্যে মানবজমিনকে বলেন ১০ মন আলু কৃষকের বাড়ী থেকে প্রতি মন ১ হাজার টাকা করে ক্রয় করা হয়েছে।সেই আলু পরিবহনে করে সরবরাহ করছি।বাজারের তুলনায় কৃষক ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না।
পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৬ থেকে ৪০ টাকা।
পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ার বিষয়ে কালীবাড়ি হাটের কাচামাল ব্যবসায়ী বিপ্লব বলেন, চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে।ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, কিছুদিন আগে আমরা পেঁয়াজের কেজি ৩৬-৪০ টাকা বিক্রি করেছি।
গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ কেনা পড়েছে ৪৭ টাকা কেজি। এই পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করে খুব একটা লাভ হয় না।
আলু ও পেয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দাম প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা,কাচা মরিচ ৬০ টাকা,ঢেরস ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা বেগুন ৩০ টাকা পটল ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সবজির অতিরিক্ত দামের বিষয়ে কালীবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, মাত্রাতিরিক্ত খড়া,তেল সার কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি ও উৎপাদন সরবরাহ কম হওয়ায় বাজার মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
লাফিয়ে লাফিয়ে মুল্য বৃদ্ধির কারন জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন অকারনে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি করা হলে বাজার মনিটরিং ব্যাবস্থা জোরদার করে অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।