Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে ঘূর্ণিঝড় মিচাং এখন গভীর নিম্নচাপ, ১৭ প্রাণহানি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় ‘মিচাং’ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতের আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার স্থলভাগে আঘাত হানার পর শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। বর্তমানে এটি গভীর নিম্নচাপ হয়ে ভারতের মধ্য উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ৬ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি আরও কমে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় শুধু সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করবে মিচাং।

এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে নিম্নচাপের জেরে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়া ভারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ছত্তীসগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকা, দক্ষিণ উপকূলবর্তী ও দক্ষিণ ওড়িশাতেও।

এদিকে মিচাংয়ের তাণ্ডবে বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য। দুই রাজ্যে এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১১ জন। গত দুই দিনে তিন মাসের সমান বৃষ্টি হয়েছে চেন্নাইয়ে। শহরটিতে মঙ্গলবার বৃষ্টি কমলেও, এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে বেশিরভাগ এলাকা।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বাপাতলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মিচাং। শেষ ৬ ঘণ্টায় সমুদ্রের ওপর এর গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। তবে আছড়ে পড়ার সময় এর গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

সূত্র:এনডিটিভি


আরও খবর



টানা ৫ দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:ঈদ উল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের টানা ৫ দিনের ছুটি শেষে আবারও আজ সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে  শুরু হয়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল ৫ দিন এ পথে বন্ধ ছিল আমদানি,রফতানি। ৫ দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় এতে সরকারের প্রায় দেড় শ' কোটি টাকা রাজস্ব আয় পিছিয়েছে। বন্দরেও জমেছিল পণ্য জট। এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে পণ্য জট।

এদিকে আমদানি,রফতানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আবারো কর্মব্যস্ততা ফিরেছে। 

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম  জানান, সরকারী ছুটি শেষে পুনরায় এ পথে আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে  দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সকালে বন্দর ঘুরে দেখা যায়, যে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছুটিতে গিয়েছিল তারা অনেকেই কর্মস্থলে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যের সাথে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ বন্দর, কাস্টমসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বন্দর শ্রমিকেরা। 

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি, ২শ ট্রাকের মত রফতানি হয়। আর  বন্দর থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য খালাস হয়। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ থেকে ৪০ কোটির মতো।


আরও খবর



তানোরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে  প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী  উদ্বোধন এবং সমাপনী  করা হয়েছে। প্রদর্শনী শেষে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী খামারিদের মাঝে পুরস্কারস্বরূপ নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায়  উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও  প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: ওয়াজেদ আলী। 

প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুল আলম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সফল খামারি মো. সেকেন্দার আলী। উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ভেটোনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি,র) সহযোগিতায় অনুষ্ঠান গুলো অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টলে সফল উদ্যোক্তা ও খামারিরা অংশ নেন।

আরও খবর



আত্রাইয়ে ভূট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:দেশের উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারে কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অনুকুল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬শত ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, কালিকাপুর, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, ‘আমি আগাম জাতের যে ভুট্টা চাষ করেছি, তা কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবারে আমার ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে এর দামও ভালো রয়েছে।’

উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের বায়ার ক্রুপসায়েন্স লিমিটেড আত্রাই উপজেলার পরিবেশক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরোচাষ করা হত সেসব জমির অনেক গুলোতেই আমি এবার ভুট্টা চাষ করছি। বোরোচাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিšুÍ ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমি ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।

উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়লেও এর মুনাফা কৃষকরা পায়নি। মুনাফা পেয়েছে মজুদদাররা। তাই এবার ভুট্টা চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে।তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন,এলাকার কৃষকরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, ‘ভুট্টা লাগানোর শুরু থেকেই আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ভুট্টা চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।


আরও খবর



দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড়ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের নামাজ সকাল ৯টায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

রিয়াজুল ইসলাম,দিনাজপুর প্রতিনিধি:আধুনিক স্থাপত্যশৈলী ও সোন্দর্যমন্ডিত এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের দিন সকাল ৯টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এবারও দুরদুরান্তের মুসুল্লিদের সুবিধার্থে চলবে দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। প্রবেশের জন্য মাঠের চারপাশে থাকছে ১৯টি তোরণ। মুসল্লিদের জন্য মাঠে ওজুখানা ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদের নামাজে আসা মুসল্লিদের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।সিসিটিভি স্থাপনের পাশাপাশি থাকছে গোয়েন্দা নজরদারি। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশের ড্রোন দিয়ে সাড়া মাঠ পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। মাঠের আশপাশে সক্রিয় থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে শহরজুড়ে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দান পরিদর্শন শেষে ঈদের জামাতের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করবেন রংপুর বিভাগের র‌্যাব-১৩ প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরাফাত। রেলওয়ে সুত্র জানায়,দুরদুরান্তের মুসুল্লিদের সুবিধার্থে একটি ট্রেন ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদেরদিন ট্রেনটি ভোর ৫টায় ছেড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ, মঙ্গলপুর ও কাঞ্চন ট্রেন স্টেশনে যাত্রা বিরতী দিয়ে সকাল সোয়া ৭টায় দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসবে। অপরদিকে আরেকটি পার্বতীপুরে সকাল ৬টায় ট্রেনটি ছেড়ে মন্মথপুর, চিরিরবন্দর, কাউগাঁওয়ে যাত্রাবিরতী দিয়ে সকাল পৌনে ৭টায় দিনাজপুর স্টেশনে এসে থামবে। ঈদের নামাজের পর সোয়া ৯টায় পার্বতীপুরমুখী ও সাড়ে ৯টায় ঠাকুরগাঁও মুখী ট্রেন দুটি দিনাজপুর রেল স্টেশন ত্যাগ করবে।

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড়মিনার ও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠের উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আশা করি পবিত্র ঈদুল ফিতরে এই মাঠে এক সঙ্গে ৬ লক্ষাধিক মানুষ নামাজ আদায় করবে। বিশাল এই জামাতে দিনাজপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা যেন নামাজে অংশ নিতে পারেন এ জন্য প্রচার প্রচারণা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরের মতোই জোর দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দান প্রায় ২২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এ মাঠে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বৃহৎ ঈদ জামাতের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজকরা।

ঐতিহাসিক দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ২০১৫সালে এ ঈদগাহের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত হয়। ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুইধারে ৬০ফুট করে দুটি মিনার, মাঝে দুটি মিনার ৫০ফুট এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ফুট। প্রত্যেকটি গম্বুজে রয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। মিনার দুটির উচ্চতা ৫০ফুট, যে মেহরাবে খতিব বয়ান করবেন সেটির উচ্চতা ৫০ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ফুট।


আরও খবর



রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান । ঢাকার ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে৷ এছাড়া যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা তাদেরও তালিকা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়টি নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি’র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, জিয়া খান, অনিমেষ কর ও কাওসার সোহেলী।


আরও খবর