মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, মাঠ পরিদর্শন করে নমুনা শস্য কর্তন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।
রোববার সকাল থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাগণ ডোমার সদর ইউনিয়ন, বড়রাউতা, চিলাই, পাগলা বাজার সহ বেশ কয়েটি মাঠে কৃষকের ধান, ভূট্টা, বীজতাল ও গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্্রসারণ কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনেশ^র রায়, রাব্বী আব্দুল্লাহ আবেদীন, কৃষক বিকাশ বর্ম্মা, সব্জি চাষী ওমর ফারুক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
হাট-বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে ভালো দাম পাবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা। ডোমার সদর, বোড়াগাড়ী ও জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখাযায় আনন্দ ও উৎসব মূখর পরিবেশে কৃষকরা ধান কেটে ঘড়ে তুলছে। কৃষকের সাথে কৃষানীদের আনন্দ যেন কমতি নেই। স্ত্রী সন্তান পরিবার নিয়ে অনেক কৃষক মাঠে ধান কেটে ঘড়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ফসলের খেতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের ধান। কৃষি অফিসের পরামর্শে চারা রোপন, সার, কিটনাশক ও নিয়মিত পরিচর্যার কারণে এবার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩হাজার ২শত ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ৬৭ হাজার ৪শত মেঃটনঃ ধান অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তীব্র গরম ও তাপদাহ হওয়ায় কৃষকদের নিয়মিত সেচ দেয়ার পরামর্শ দিতে কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করেছে। হাইব্রিড জাতের ধান থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন অর্জিত হবে বলে তিনি আশা করেন।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় বোরো ধান খেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়েছে। কৃষি অফিসের তদারকীর কারণে আকার ভেদে ৪৯ শতাংশ জমিতে ৪০ থেকে ৪২ মণ ধান ঘরে তুলতে পারবো। ধান কাটা, মাড়ায়, পরিবহন সব বাদ দিয়ে ধান বিক্রী করে সংসারের খরচ মিটিয়ে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন এমনটাই আশা করেন তারা। বড়রাউতা এলাকার এলাকার চাষী বিকাশ বর্ম্মা বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ১০ বিঘা জমিতে ব্রি-ধান- লাগাই এতে বিঘা প্রতি ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। ধান পেয়েছি ২৭/৩০ মন। বাম্পার ফলনের সঙ্গে ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি তিনি।