Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভালোবাসার ভোট চাই! রাব্বানী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:আমি ভালোবাসার ভোট চাই, একজন ভিক্ষুকের ভোটের যে মূল্য আমার ভোটেরও একই মূল্য। আমার কাছে প্রতিটি ভোটার ভালোবাসার পাত্র। আমি কাউকে অবহেলা করতে চায় না করিওনা। আপনারা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিন, আপনার ভোটের মূল্য ভালোবাসা দিয়ে প্রতিদান দিব। আমি তৃনমুল জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছি টানা ১৬ বছর। আমার আগে আমার পিতাও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার বাব দাদার শিক্ষা মানুষ কে ভালোবেস তাহলে তাদের ভালোবাসা পাওয়া যাবে। আমি ভালোবাসার কাঙ্গাল, আপনারা ভালোবাসা দিয়ে সেই কাঙ্গাল কে প্রতিনিধি করবেন। আমি দীর্ঘ সময় তানোর উপজেলা আ"লীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে জেলা আ"লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আছি। আমি নাকি আ"লীগের না এমনটাই ভোটের মাঠে প্রতিপক্ষরা প্রচার করছেন। দলের সভাপতির নির্দেশ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট হতে হবে এবং ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে হবে। সেই লক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কাঁচি প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করেছি। গোলাম রাব্বানী সাধারণ ভোটারদের এভাবেই কথাগুলো বলছেন। রাব্বানী রাজশাহী -১(তানোর -গোদাগাড়ী)  আসন থেকে প্রথমবারের মত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এআসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন তিনবারের এমপি ফারুক চৌধুরী। এছাড়াও এআসনে ট্রাক প্রতীকে চিত্র নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহি (মাহিয়া সরকার)  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মাহি ইতিপূর্বেই ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। মাহি যেখানে ভোটারদের ঢল সেখানেই।
জানা গেছে, কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী গোলাম রাব্বানী মঙ্গলবার সকালের দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন ইউপির রেলগেট থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ইউপির নয় ওয়ার্ডের হাট বাজার পাড়া মহল্লায় ভোটারদের দ্বারেদ্বারে গিয়ে কাঁচি প্রতীকে  ভোট প্রার্থনা করেন। শেষ বিকেল থেকে রাত্রি পর্যন্ত গোগ্রাম ইউনিয়ন ইউপির পাড়া মহল্লায় ভোটারদের দ্বারেদ্বারে গিয়ে কাঁচি প্রতীকের জন্য একটি করে ভোট প্রার্থনা করেন। 

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় মেয়র সাইদুরের নেতৃত্বে কাঁচি প্রতীকের প্রচারণা মিছিল  করেন। প্রচার মিছিল টি মুন্ডুমালা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাধারণ ভোটারদের কাছে গিয়ে কাঁচি প্রতীকের ভোট প্রার্থনা করেন  । ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে বিশাল প্রচারের মিছিল টি।এছাড়াও কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে তানোর পৌর যুবলীগ সভাপতি রাজিব সরকার হিরো,সোহেল রানা, বাচ্চু মোল্লা পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রার্থনা করেন। কামারগাঁ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুসলেম উদ্দিন নেতাকর্মীদের কাঁচি প্রতীকের গণসংযোগ করেন।

মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় এতিম বাচ্চাদের সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে শিশুদের মনজয় করে নেন চিত্র নায়িকা ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মাহিয়া মাহি। পরে তিনি গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় গণসংযোগ করেন। ভোটের মাঠে মাহি ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

মঙ্গলবার সকালের দিকে নৌকার প্রার্থী এমপি ফারুক চৌধুরী চান্দুড়িয়া ইউপি এলাকায় নির্বাচনী সভা করেন।

আরও খবর



নববর্ষের উল্লাসে পালিত হলোনা মধুপুরের পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃসময় চলে যায়। মহাকালের স্রোতে গা ভাসিয়ে আমরাও এগিয়ে চলি সামনের দিকে। পিছনে পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি৷ আজ থেকে ৫৪ বছর আগে এমনি একটি পহেলা বৈশাখে মধুপুরের ছাত্র-যুবক সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনে উজ্জীবিত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৭১ সালে মধুপুরের সেই উত্তাল দিনগুলোর প্রত্যক্ষ সাক্ষী মোহন লাল দাস । মধুপুরের ভবিষৎ প্রজন্মদের জন্য তার স্মৃতিচারণ মুলক লেখাটি হুবুহ তুলে ধরা হলো-“তথ্যের অন্তরালে তত্ত্ব।

স্মৃতির পাতার ধারাবারিকতায় ছন্দপতন ঘটিয়ে ১৯৭১ এর ১৪ই এপ্রিল সম্বন্ধে কিছু লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।তাই কিছুটা কাল্পনিক মোড়কে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বর্ণনায় অনেক ভুল সেই কথা সাজানোর অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছিএবং আমার বর্ণনা যদি মধুপুরবাসী কোন পাঠকের হৃদয়ে স্থান পায় নিজেকে ধন্য মনে করবো৷এখানে জানিয়ে রাখি কারো নাম উল্ল্যেখ করে ব্যাক্তি আক্রমন আমার স্বভাব বিরোদ্ধ।তাই কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি।

১৪ই এপ্রিল মধুপুর পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস।প্রশ্ন জাগে আজও কি পাক-বাহিনী বাংলার মাটিতে চষে বেড়ায়,আজও কি নরঘাতক পিচাস মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠনকারী স্বৈরাচারী নৱাধম গোষ্টী বর্তমান ? ওরা না কবে তল্পী টোপলা গুটিয়ে চলে গেছে! না _ ওরা চলে গেছে ঠিকই ওধু এক দল সাপুড়িকে সাপ খেলানোর মন্ত্ৰ শিখিয়ে গেছে | ঐ সময় একটা গোষ্ঠি পাক বাহিনীর আগমনের প্রত্যাশায় প্রহর গুনতো।তারা কারা ? তারা তো তারাই যারা বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে অন্তর থেকে মেনে নিতে পারে নাই৷

মধুপুর যখন আকাশ পথে বোমা বর্ষন হচ্ছে আতঙ্কিত সবাই শুধু প্ৰানটা হাতে নিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলছে ঐ মূহুর্ত্তে জনৈক একজন তিনি দৌড়াচ্ছিলেন বয়সের ভারে দৌঁড়াতে না পেরে পা পিছলে পড়ে যায়। ঐ সময় তার মুখ নিসৃত বাণীটি ছিল এরূপ। “হালারা স্বাধীন মারায়„ পাঠক মহোদয় শেষের শব্দটা আমি হুবুহু তুলে ধরি নাই কারণ অশ্লীলতার একটা সীমা আছে।শুধু এইটুকু জেনে রাখুন তার সংযোজিত শব্দ ছিল ওর চেয়ে আরও ৩ মাত্রা পঞ্চমে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় তিনি ছিলেন সকল মুক্তিকামী মানুষের থেকে আলাদা দৃষ্টিভংগী সম্পন্ন।পাক বাহিনী এসে সিও অফিসে তাদের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।

এবার তিনারা ও বিশেষ একটি দলীয় পরিচয় ও মর্যাদা নিয়ে করমর্দন ও স্বাগতম জানালো।পাঠক বুকে বুক মিলাতে পারে নাই কারন তারাও জানতো পাক বাহীনীর মর্জির উপর তাদের জীবন নির্ভর করে। বিষ্টায় যার জন্ম বিষ্টাইতো তার প্রিয়। শুরু হলো পাক বাহিনীর নির্দেশে এই দলের মাধ্যমে রাজাকার আলবদর ভিন্ন ভিন্ন পাক সহায়ক বাহিনী গঠন।এখানে উল্ল্যেখ্য মনপ্রানে এরা সবাই পাক সহায়ক নয় এদেরকে ভয় আর লোভ দেখিয়ে এই নির্দেশক গোষ্ঠি ভরিয়ে দেয়।

বোয়ালী এবং মধুপুরের আশে পাশের গ্রামে আতঙ্কিত মানুষ পূর্বদিকে কুড়ালিয়া চাপড়ি ছাড়াও পূর্ব দিকে বংশ নদীরপাড় এবং পাহাড় অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। কতো বৃদ্ধ বৃদ্ধা গর্ভবতী মা ছোট শিশু কোলে নিয়ে মা ছুটছে ক্লান্তি যেন আজ পরাজিত।শতবর্ষের পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে বাংলার মানুষ আজ মানব মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাড়িত পিড়িত মানুষকে আশ্রয় দানের জন্য দুহাত সম্প্রসারিত করে বুকে টেনে নিল। অভয় দিল কিন্তু এই গোষ্টিরা সেখানেও হানা দিতে বাকী রাখলো না।হে মধুপুরবাসী আপনারা কয়েক দিন আগে ঈদ উদযাপন করলেন।

হাদিসের নির্দেশ অনুসারে জানমালের নিরাপত্তার জন্য ছাদগা-ফেতরা দান করেছেন, একবার ভাবুন সেই দিনের কথা যারা এই নিরাশ্রয় মানুষকে আশ্রয় দান করেছে ক্ষুধার্ত কে আহার দিয়েছে মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করেছে তাদের জন্য কি করুনাময় আল্লাহ দরবারে দোয়া চেয়েছেন? ঐ সময়ে চাপড়ির শুধাংশু ডাক্তার আশুরা গ্রামের সতীশ চন্দ্রের মৃত্যুর মূলে খোজ যারা দিয়েছে তারা এরাই। মধুপুরের বধ্য ভূমিতে টাংগাইল, মির্জাপুর, নাগরপুরসহ  ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে গাড়ী ভরে লোক এনে বংশ নদীর তীরে দাড়া করিয়ে কি নৃশংস হত্যা।

মানুষের দোষ গুন থাকে কিন্তু এমনি করে কারো মৃত্যু দেখে যার আনন্দ হয় সে কে ? পাক প্রভুদের খুশি করার জন্য অনেক নিস্পাপ মেয়ে নিয়ে উপহার দিয়েছে। সুপ্রিয় পাঠক পাপের একটা ভান্ডার আছে যেটা পূর্ণ হলে সবই বিকল হয় বাংলার আকাশে দূর্যোগের ঘনঘটা কেটে গিয়ে কাল রাতের অবসান ঘটিয়ে পুব আকাশে রক্তিম সূর্যের আবাস। এবার পাক বাহিনীর সাথে এই গোষ্ঠিও প্ৰমোদ গুনলো। মধুপুরের বাড়ী ঘর সব কিছু থেকে মুসলমানও বাদ পড়ে নাই কিন্তু এরা সম্পূর্ণ অক্ষত কারণ একটু মাথা ঘামালে পরিষ্কার।

পাক বাহিনীর বিদায় প্রাক্কালে ভেংগে পড়লো এ গোষ্ঠি। অশ্ৰু সজল চোখে এক দৃষ্টিতে জানতে চাইলো হুজুর আমরা কিভাবে অন্তরের মনিকোঠায় ধরে রাখবো চারিদিক তো ক্রমান্বয়ে সংকোচিত।পাক পন্ডিত জী বললেন ‘মত যাব রাও’ এতোদিন তোরা সাপ নিয়ে খেলেছিস কিন্তু পাক বিষাক্ত কেউটে গোমাকে নিঃশেষ করবি তোদের অজানা ছিল তাই ছোবল খেয়েছিস।

কিন্তু সাপ ধরবি সাপ নিয়ে খেলবি কিন্তু তোরা অক্ষত থাকবি? বাঃ কী চমৎকার জলে নামবো সাতার খেলবো কিন্তু কাপড় ভিজবে না বাঃ কী মজা। পাক হুজুর প্রথমে ঐ সাপের বিষাক্ত থলেটা কেটে ফেলে দিবি তারপর যত খুশী খেলাবি খেলা দেখাবি তোরা অক্ষত থাকবি৷ সাবধান সেই গুপ্ত ছদ্মবেশী পাক হানাদারের উত্তরসূরি আজও সমাজে পীর সেজে উদীয়মান তরুনদের মগজ ধোলাই করে মাথা মুন্ডন করে মুরীদ বানাচ্ছে।আজ এদের প্রতিরোধে সজাগ সতর্ক থাকতে হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



তানোরে দুই শতাধিকের অধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা! উত্তেজনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে দুই শতাধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী হাসানের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার জিওল গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় জমির মালিকের ছেলে জিওল গ্রামের আলি হোসেন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাছ কেটে জমি দখলের ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলে আশঙ্কা গ্রামবাসির। 

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মৌজার অন্তর্গত আরএস ৩৩ নম্বর খতিয়ানে আরএস ২৫৩ দাগে জমি রয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ। জমিটির মালিক ওই গ্রামের মুন্তাজের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তার নিজ নামে খাজনা খারিজও রয়েছে। যার খারিজ কেস নম্বর ৩৫৬০/1x-1/২০০৫-২০০৬ ইং, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৭, হিসাব নম্বর ২০৩। কিন্তু জমিটি নিয়ে বারবার ঝামেলা ও দখল করার পায়তারা করে আসছেন জিওল গ্রামের প্রভাবশালী হাসান আলী। 
সরেজমিনে দেখা যায়, জিওল গ্রামের ধানী মাঠে পোল্ট্রি খামারের পূর্ব দিকে জমিটির অবস্থান। জমিটিতে গত মঙ্গলবার মালিক আনোয়ারা বেগমের ছেলে আলী হোসেন প্রায় আড়াই শত মত আম গাছ রোপন করেন। আমের জাত আমরুপালি। গাছ রোপনের পরদিন বুধবার  দখলদার হাসান গংয়ের নেতৃত্বে তরতাজা আম গাছ কর্তন ও ত্যারের বেড়া ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। গাছগুলো কাটা অবস্থায় নিথর ভাবে পড়ে রয়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, জমির মালিকের ছেলে আলী হোসেন তিনি জানান, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে জমিটি আমাদের দখলে ছিল। মাঝে মধ্যেই হাসান দলবল এনে দখল বাজী ও আবাদের ক্ষতি করে থাকে। আমার মা বিগত ১৯৮১ সালের দিকে  এজমিসহ আরো জমি কিনেন। কিনার পর খাজনা খারিজ করা হয়েছে। হাসান খারিজ বাতিলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু তার লাঠি ও টাকার জোরে দখলের চেষ্টা করে থাকেন। তিনিই থানায় অভিযোগ করেন, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় বসার কথা হয়। অথচ বসার আগেই আমার রোপনকৃত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে করে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চায়। জমি তার হলে অবশ্যই ছেড়ে দিব।

দখলদার হাসান বলেন, আমি জমিটি বিগত ২০০৫ সালে কিনেছে। কিন্তু তারা কিভাবে খাজনা খারিজ করে ফেলেছে আমি জানিনা। আমার দলিল আগে। আপনার দলিল আগে হলে তো মিস কেস করলে খারিজ বাতিল হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এডিসিতে আবেদন করেছিলাম, সে রায় ভূমি অফিসে আছে। রায় থাকলে তো জমি খারিজ হয়ে যাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বসে মিমাংসা করা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 
জমির মালিক আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুন্তাজ আলী বলেন, কাগজ যার জমি তার। আমার নামে খাজনা খারিজ আছে। হাসানের কাগজ যদি সঠিক থাকে  ও খারিজ বাতিল করতে পারলে এবং আমাদের বিপক্ষে রায় গেলে আমরা জমি ছেড়ে দিব। কিন্তু বারবার লাঠিয়াল বাহিনী এনে সব নষ্ট করে ফেলা কোন কাজ। এতগুলো আমগাছ কেটে ফেললো এর ক্ষতি পূরুন কে দিবে। তার লোকজন ও টাকা পয়সা আছে বলেই সবকিছু করবে এটা কোন ধরনের কথা। আমরা এসবের ন্যায্য বিচার চাই।  গাছ কাটার পর থানা পুলিশ তদন্ত করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০,গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২০৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃপ্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় এক  ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা। এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় পুলিশ মনির মিয়া ৩৫,জামাল মিয়া ৩৫,ফাইজুল ৩৮ফারুক ৬০,রিফাত ২৪,বিজয় ২০,দিদার, সাহাব উদ্দিন ২০,আজহারুল ১৮,শিমুল ১৮ কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছেন।স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামের কিশোর-তরুণরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে গড়ায়।এ সংবাদ বড়দের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।একটি সূত্র জানায়, বিবদমান দুই পক্ষের একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল সমর্থন দেন।

অপর পক্ষ সমর্থন পায় মো. রিপন মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির। বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে আলোচনার সিদ্ধান্তও হয়।এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যান আবদুল আওয়ালের পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকেরা।এ সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারীসহ দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম আওয়ালের পক্ষের লোক। প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন– গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।স্থানীয় সূত্র জানায়, আহত আরও বেশ কয়েকজন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেছেন। যে কারণে তাদের নাম জানা যায়নি।সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল এ বিষয়ে বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়।

বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের ওপর হামলা করে।’রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় মাতবররা বিষয়ডা শেষ কইরা দিবেন– বলছিলেন।’ তিনি দাবি করেন, জুমার নামাজ থেকে বের হওবার পর আওয়ালের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা সমকালকে বলেন, ফান্দাউকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দশ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে,থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, সাক্ষাতকালে তারা কুশল বিনিময় করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এর আগে সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে যান। সফরকালে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুদেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষরিত হবে।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।


আরও খবর



গ্যাস পাইপলাইনের জরুরী শাটডাউন বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৩৩৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃগ্যাস পাইপলাইনের জরুরী কাজের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল,২০২৪ তারিখ রোজ শনিবার বেলা ১২:০০ ঘটিকা হতে দুপুর ০২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ০২(দুই) ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-এর  নয়াপুর, কুতুবপুর, আড়াইহাজার রোড, মদনপুর হতে লাঙ্গলবন্দ ব্রীজ , বন্দর, কাঁচপুর ও যাত্রামুড়া এলাকায় সকল শ্রেণির গ্রাহকর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া, উক্ত সময়ে আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত - তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ।


আরও খবর