Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন

তানোরে সরকারি গাছ কর্তন ও গোপনে জমি রেজিস্ট্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে সরকারি গাছ কর্তন ও ওয়ারিশদের না জানিয়ে গোপনে জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় গত মাসের শুরুর দিকে জিল্লুর রহমান বাবুল ও তার ভাই হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে আরেক ভাই ওবায়দুর ও ভূমিগ্রাসী মাসুদ করিমকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির)  বারোঘরিয়া গ্রামে ও সরকারি মুল রাস্তার পাশে গাছ কাটা এবং জায়গায় মাটি ভরাটের ঘটনা ঘটে রয়েছে। 

অভিযোগে উল্লেখ, গত বছরের মে মাসে অতি গোপনে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির বারোঘরিয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র ওবায়দুর রহমান তার ভাই বা ওয়ারিশ দের না জানিয়ে গোপনে বারোঘরিয়া মৌজায় অবস্থিত ১০৩ নম্বর দাগে ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেন রবিউল ইসলামের কাছে। রবিউল মালেশিয়ায় থাকে। তার বাড়ি বারোঘরিয়া গ্রামে। প্রকাশ থাকে রবিউল দেশে না আসা পর্যন্ত ওবাইদুর জমিটি টেন্ডার হিসেবে চাষাবাদ করিবে। কিন্তু মাসুদ করিমের যোগসাজশে জমিটি গোপনে রেজিস্ট্রি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ওই জায়গায় গত মাসের শুরুর দিকে মাসুদ করিমের নেতৃত্বে ৪-৫ টি সরকারি গাছ কর্তন করে জায়গাটি ভরাট করে তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। 

তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার বাঘের মোড়ের উত্তরে ও মুল রাস্তার পশ্চিমে সরকারি নয়নজুলি ভরাট এবং রাতের আধারে  গাছ কেটে তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। গাছ কেটে মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে। মাসুদ করিম জানান, এঘটনা এক মাস আগের। অভিযোগ হয়েছে থানা পুলিশ দেখবে। আপনি কেন আমাকে ফোন দিবেন বলেও দাম্ভিকতা দেখান। 

তবে তার ভয়ে অভিযোগ করেও অস্বীকার করেন জিল্লুর রহমান বাবুল। তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তার ছেলে পরিচয় দিয়ে বলেন আমার আব্বা তো বাড়ি থেকে বের হয় না।থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



গ্যাসের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্কবার্তা দিয়েছে তিতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃগ্যাস সরবরাহে নিম্নমানের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্কবার্তা দিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেয় সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, আবাসিক গ্যাস সরবরাহের রেগুলেটর তিতাস গ্যাস টিঅ্যান্ডডি কোম্পানি থেকে সংগ্রহ না করে খোলাবাজারে অসাধুচক্রের কাছ থেকে নিম্নমানের রেগুলেটর ক্রয় অথবা সংগ্রহ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে গ্যাস লিকেজ, অগ্নিকাণ্ড ও জানমালের নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ধরনের রেগুলেটর অবৈধভাবে খোলা বাজারে ক্রয় অথবা বিক্রয় বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে তিতাস গ্যাস। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রোববার (৫ মে) ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।

২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।


আরও খবর



মাগুরায় উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলার ১৭৭ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মাগুরা সদর উপজেলার ১২০ টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৬ জন ভোট প্রদান করবেন। অন্যদিকে শ্রীপুর উপজেলার ৫৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৫২ জন ভোটার। সকাল থেকেই কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। লক্ষ করা যাচ্ছে।মাগুরার দুইটি উপজেলায়  ৫১ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ/ গুরুত্বপূর্ণ  ঘোষনা করেছে জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে।ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সে জন্য মাগুরায় ৬ স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  আনসার সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মাগুরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান ।

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শিশু সুবর্নাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এতথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দেয়া কথা বললে শিশু সুবর্নাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী  ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) এতথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিও দিয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে  মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের  রশিদ মেম্বারের ছেলে  মিলন পাশা সহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে খেলতে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।  শিশুকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেন কে ৭ হাজার টাকা প্রস্তাাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরে ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৮ জন ধর্ষন করে শিশুটিকে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বার বার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দিবো।

তখন আসামীরা চিন্তা করে শিশুটি যদি ঘটনার কথা সবাইকে বলে দেয় তাহলে বিপাকে পড়তে হবে। তাই ধর্ষনকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শিশুটির পড়নের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়ে পিবিআইকে।

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায় শিশু সুবর্ণা কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।  এছাড়া তার যৌনাঙ্গ হতে কালো রক্ত বের হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) কে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার  দত্তকান্দি থেকে  শাকিব খান (২১) নামে এক যুবক কে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

আরও খবর



দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আমার একটাই শক্তি সেটা হচ্ছে-জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। জনগণের মধ্যে একটি আস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই এই আস্থা ও বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি। এ জন্যই আমি কাউকে পরোয়া করি না। এসময় তিনি দৃঢ় কণ্ঠ আরও বলেন, যতক্ষণ দেশবাসী আমার পাশে আছে ততক্ষণ আমি কাউকে পরোয়া করি না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপত্বি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। যে কাজগুলো আমরা করেছি তার সুফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে (চেষ্টা) করা হয়, হ্যাঁ তাতে কি করতে পারেন, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে- সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোন সেক্টর নাই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেন নাই। তারপরও তাঁর সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাকেও হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি সেটাও আমার জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা সব সময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাচ্ছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিগত ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করেছে অন্যরা ২৯ বছরেও সে কাজ করতে পারে নাই। পারবেনও না কারণ প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রকল্প শেষ করেই ছাড়ি, টাকা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, এটা হলো বাস্তবতা।

এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি এবং বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি এ সময় দেশে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অধিক অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের এটা ব-দ্বীপ। এখানকার ভূমি নরম থাকায় যে কোনো অবকাঠামোগত প্রকল্প গ্রহণে অধিক অর্থ ব্যয় হয়।

জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশে এলিট শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনও পূর্ণমুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।

তিনি বলেন, আজ অনেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই। আমার প্রশ্ন, যারা এখন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে চিল্লায় তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে? না ওই রক্তাক্ত হাতে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা কর্মকর্তাদের পকেট থেকে? যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল সেই রাজনৈতিক দল! জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সাংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু।

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা ওঠে। তখন (বিএনপির ১৯৯১ সালের সরকারের আমল) বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রথম গণতন্ত্রের স্বাদ পান এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যে হয় এটা প্রথম উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব? আমি তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব না। আমি রাজি হইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, অন্য এলাকায় থাকতে না পেরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আমার কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই ছিল দেশের অবস্থা, এই হলো গণতন্ত্র! এই গণতন্ত্র তারা দিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এ তাণ্ডব তাদের চলে।

বাংলাদেশ বিএনপির আমলে দুর্নীতিতে এক নম্বর দেশ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিল, একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তা হয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু। তাহলে বিএনপি কেন মাত্র ৩০টি আসন পেল? তাহলে তারা এখন কীভাবে বলে নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন হয় না বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জনগণ ভোট দেবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় (২৮ অক্টোরব) বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনও কিছুর বাদ নেই। তার জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত!

রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন উঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তিখাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তিখাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তিখাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তিখাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ আছে যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান। এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছিল সামিট, খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছাড় আমি দেই না সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া। বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।

সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি। তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুত দিতে চাই। হ্যাঁ লোড। যে প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়, সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

সরকারের উন্নয়ন কাজের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মায় রেললাইন নেই। এটার নাকি প্রয়োজনই নেই। এ রেললাইন ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে সেইভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন নেই যারা বলেন তাদের কী বলবো অর্বাচীন ছাড়া? এত টাকা খরচ করে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করলাম? এটার কী প্রয়োজন ছিলো! নিউক্লিয়ার পাওয়ার হচ্ছে সব থেকে ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি। কোনো দূষণ নেই।

তিনি আরও বলেন, সেই ১৯৬২ সাল থেকে এটা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের ধোকা দিয়েছিল। দুটি পাওয়ার প্লান্ট করবে বলে দুটোই নিয়ে গেলো পাকিস্তানে (পশ্চিম পাকিস্তানে)। আজ আমরা পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করেছি। এখান থেকে সব থেকে ভালো বিদ্যুৎ আমরা পাবো। আমরা সেখানে আরও একটা করবো। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি। ওখানেই আরেকটা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? এর কী প্রয়োজন ছিলো! তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না জানি না।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্কই নেই। আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো-ফসলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনও কিছু করতে গেলে... ওই যেনতেন করতে করতে গেলে দু-চারদিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন দেখেন না? তো খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্তমাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।

বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি ওই ২১ বছর আর ৮ বছর, এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে? হ্যাঁ কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো আমরা করছি যার সুফল জনগণ পাচ্ছে সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হয় তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।


আরও খবর