ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা:বাগেরহাট ১ আসনে বিগত দিনে সকল উন্নয়ন কাজে সর্বস্তরের জনগনকে সম্পৃক্ত করে সচ্ছতা ও জবাবদীহিতার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে মডেল পুরুষ রুপে আত্মপ্রকাশ করেছেন শেখ হেলাল উদ্দীন। বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল ৫জন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করে বিপুল ভোরে ব্যবধানে ষষ্ঠবারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
ফকিরহাট মোল্লাহাট ও চিতলমারি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের ইউনিয় পরিষদের ওয়ার্ড সভায় প্রস্তাবিত সাধারন মানুষের চাহিদা অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পুরন করেছেন তিনি। নেতা নয় নিতি বাছাই করে আওয়ামী লীগের অপ্রতিরোদ্ধ দুর্গে রুপান্তর হয়েছে এ আসনটি বলে মন্তব্য করেন অভিজ্ঞজনেরা।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিনাভোটে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান কয়েক মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ওই বছরের ১২ জুন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে ৭৭ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।তার নিকটতম বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৯৯ ভোট।
পরবর্তীতে শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে তাঁর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে বাগেরহাটের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। ২০০৬ সালে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুকে হারিয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হন।
তিনি পুনরায় আসনটি ছেড়ে দিলে শেখ হেলাল উদ্দীন উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হেলাল উদ্দীন এ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রাথী মাসুদ রানাকে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৬১ ভোটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থির মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীন ষষ্ঠ বারের মত ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯শ ৩৯টি ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মোঃ কামরুজ্জামা লাঙ্গল প্রতিকে পেয়েছেন ৫হাজার ২শ’১০ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএম) মোঃ মঞ্জুর হোসেন শিকদার নোঙ্গর প্রতিকে ২৭৯৬টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাসুদেব গুহ আম প্রতিকে ২০৬২ টি, তৃণমুল বিএনপির মাহফুজুর রহমান সোনালী প্রতিকে ১৭৮৫টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আতাউর রহমান আতিকী ডাব প্রতিকে ১১৭৫টি ভোট পেয়েছেন।
শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন তাদের সকলের প্রতি জানায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।
তিনি আরো বলেন, আমি নেতা নই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ন্যায় জনগণের সেবক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে এ অঞ্চলের মানুষকে নিয়ে স্মার্ট সোনার বাংলা বিনির্মাণে হতে চাই অংশীদার।