Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

‘তৃণমুলের উন্নয়নে জনম্পৃক্ততায়’ ষষ্ঠবার এমপি হলেন শেখ হেলাল উদ্দীন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা:বাগেরহাট ১ আসনে বিগত দিনে সকল উন্নয়ন কাজে সর্বস্তরের জনগনকে সম্পৃক্ত করে সচ্ছতা ও জবাবদীহিতার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে মডেল পুরুষ রুপে আত্মপ্রকাশ করেছেন শেখ হেলাল উদ্দীন। বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল ৫জন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করে বিপুল ভোরে ব্যবধানে ষষ্ঠবারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

ফকিরহাট মোল্লাহাট ও চিতলমারি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের ইউনিয় পরিষদের ওয়ার্ড সভায় প্রস্তাবিত সাধারন মানুষের চাহিদা অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পুরন করেছেন তিনি। নেতা নয় নিতি বাছাই করে আওয়ামী লীগের অপ্রতিরোদ্ধ দুর্গে রুপান্তর হয়েছে এ আসনটি বলে মন্তব্য করেন অভিজ্ঞজনেরা।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিনাভোটে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান কয়েক মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ওই বছরের ১২ জুন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে ৭৭ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।তার নিকটতম বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৯৯ ভোট।

পরবর্তীতে শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে তাঁর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে বাগেরহাটের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। ২০০৬ সালে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুকে হারিয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হন।

তিনি পুনরায় আসনটি ছেড়ে দিলে শেখ হেলাল উদ্দীন উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হেলাল উদ্দীন এ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রাথী মাসুদ রানাকে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৬১ ভোটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থির মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীন ষষ্ঠ বারের মত ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯শ ৩৯টি ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মোঃ কামরুজ্জামা লাঙ্গল প্রতিকে পেয়েছেন ৫হাজার ২শ’১০ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএম) মোঃ মঞ্জুর হোসেন শিকদার নোঙ্গর প্রতিকে ২৭৯৬টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাসুদেব গুহ আম প্রতিকে ২০৬২ টি, তৃণমুল বিএনপির মাহফুজুর রহমান সোনালী প্রতিকে ১৭৮৫টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আতাউর রহমান আতিকী ডাব প্রতিকে ১১৭৫টি ভোট পেয়েছেন।

শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন তাদের সকলের প্রতি জানায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।

তিনি আরো বলেন, আমি নেতা নই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ন্যায় জনগণের সেবক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে এ অঞ্চলের মানুষকে নিয়ে স্মার্ট সোনার বাংলা বিনির্মাণে হতে চাই অংশীদার।


আরও খবর



এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ তীব্র দাবদাহে । তাদের কথা বিবেচনা করে আগামীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এসএম মেহেদি হাসান।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি হেড কোয়ার্টারের মিডিয়া সেন্টারে ‘অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানের বিষয়ে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মেহেদি হাসান বলেন, ইতোমধ্যে গুলশানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিং কন্ট্রোল করা হচ্ছে। যা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আমরা পরিচালনা করছি। এভাবে গুলশানের মতো ঢাকা শহরের অন্যান্য জায়গায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কীভাবে কাজ শুরু করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামনে হয়তো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা আমাদের দাপ্তরিক কাজেরই অংশ। তারপরও ইদানীং আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমরা মেয়াদ নেই এমন ২ হাজারের অধিক যানবাহন ডাম্পিং করেছি। ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ডিএমপির পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদি হাসান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা আমরা ডাম্পিং করেছি। বিশেষভাবে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি যত্রতত্র পার্কিং না করতে এবং নির্দিষ্ট স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে। কেউ অনিয়ম করলে আমরা জরিমানা ও মামলা দিয়ে থাকি।

অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন, ঢাকার রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি অফিস, পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহন দেখা যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের আত্মীয়-স্বজনরাই পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করছেন। এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার, পুলিশের স্টিকার, সাংবাদিকদের স্টিকার ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্যই জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ফের অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকার বাতাস ফের অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৩০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আগের দিন রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ৯২ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ২০ নম্বরে ছিল শহরটি। তার আগের দিন শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ১২১ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে ছিল ঢাকা। এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৫৫। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় সমন জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

 ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ নির্দেশ দেন। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল।

শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছিলেন। এদিন এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদনও গ্রহণ করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষ। এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানান আদালত। পরে তাকে আদালতে হাজির হতে আদেশ দেশ আদালত।

সম্প্রতি এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোটক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোটক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। এর আগে ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। এদের মধ্যে ছিলেন বোট ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪ জন। তদন্তের পর ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সবকটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে কাতারের আমিরকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁ ধামুইরহাটে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার রুপনারায়নপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। গ্রেপ্তারকৃত রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার রিয়াজ আহমেদের ছেলে। 

ভুক্তভোগী মানুয়েল তপন বলেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহন করে এবং আরো টাকা দাবী করলে স্থানীয়রা এই ভুয়া সিআইডি পুলিশ কর্মকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করে ধামইরহাট থানায় খবর দেয়। বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে এই প্রতারক। পরে থানার এসআই (নিঃ) পরিতোষ চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় কনস্টেবল  ইকবাল হোসেন,  নুর ইসলাম ও  ফরহাদ হোসেন গিয়ে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। 

ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। সিউডি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ভুয়া পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর