Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ

আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী সুন্দরবনে ২৪ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা আগুন নেভাতে।

রোববার (৫ মে) দুপুর থেকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আমরবুনিয়া এলাকায় পানি দেওয়া শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি।

এছাড়া সকাল থেকে আগুন নির্বাপনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট, কোস্টগার্ডের একটি ও নৌবাহিনীর একটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।

বনবিভাগ ও প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটারদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও বন সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নিয়েছেন।

এছাড়া বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন, পুলিশ সুপার আবুল হাসনাথ খান, মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতানসহ ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ভোলা নদী থেকে অন্তত দুই কিলোমিটার দূরে আগুনের উৎসে সকাল থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। ফাইভ লাইন কাটা হয়েছে। তাতে আগুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে। তিনদিক দিয়ে ফায়ার সার্ভিস পানি দিচ্ছে। এখন বনের মধ্যে বড় ধরনের আগুন নেই।


আরও খবর



আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক বিএনপি করত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক বিএনপি করত,বলেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেল মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল, যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারত না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন।

সংসদ নেতা বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করত। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। তাকে এক সময় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করল, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বার বার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এই ধরণের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরও তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন।

সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর



সৈয়দপুরে মা ও মেয়ে একসাথে উত্তির্ন এস এস সি পরিক্ষায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরর ও প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তির্ন হয়েছেন।

ওই পরিক্ষায় প্যানেল মেয়র সাবিয়া সুলতানা পেয়েছেন জিপিএ-৩.৬৪ ও মেয়ে মোহিনী পেয়েছেন ৩.৫০ পয়েন্ট।মা পড়াশোনা করেছেন আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে আর মেয়ে শহরের ইসলামিয়া স্কুল থেকে। 

শিক্ষার যে কোন বয়স নেই তার প্রমান করলেন মা সাবিহা সুলতানা। এঘটনায় সৈয়দপুর শহর আলোচনায় মুখরিত। 

সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার মা ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল। নবম শ্রেনিতে যখন পড়তাম তখন আমার বিয়ে দেয়া হয়। স্বামী চাকরি করতেন পৌর পরিষদের অধিনে। তার ইচ্ছে ছিল আমাকে পড়াশোনা করাবে কিন্তু  শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাইতেন না বলেই পড়াশুনা করতে পারিনি।  প্রায় দশ বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ায় জনগনের চাপের মুখে আমি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেন। পরপর দুইবার  কাউন্সিল নির্বাচিত হলে বর্তমান পৌর মেয়র ও এলাবাসী আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলে।  সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করি। কারন, পড়াশুনার যে কোনো বয়স বা বিকল্প নেই বলে তা আমি জানতে পেরেছি । ভর্তি হই আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। মেয়ে এস এস সির ফরম ফিলাপ করে ইসলামিয়া স্কুল থেকে, আর আমি আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে। মা ও মেয়ে একসাথে এস এস সি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে খুব ভালো লাগছে।  তিনি সকল মা দের বয়স না দেখে শিক্ষিত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 


আরও খবর



ইসলামপুরে উপজেলা নির্বাচনে জমে উঠেছে ভাইস চেয়ারম্যানদের লড়াই

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি:জামালপুরের ইসলামপুর ২য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিভূত হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচারণায় ততই মুখরিত হয়ে উঠছে । প্রচারণায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এড.আঃ সালাম বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হলেও জমে উঠেছে পুরুষ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আঃ খালেক আকন্দ, মাইক প্রতিকে যুবনেতা ফারুক ইকবাল হিরু ও চশমা প্রতিকে আঃ লতিফ মিয়া ভোটের মাঠে প্রতিদ্ধন্ধিতায় করছেন। অন্যদিকে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আবিদা সুলতানা যুথিঁ কলসি প্রতিকে ও সাবেক যুব মহিলা লীগের আহবায়ক আঞ্জুমনোয়ারা বেগম  ফুটবল প্রতিকে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতায় করছেন।

জানাযায়, আগামী ২১মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইদ্রিস আলী বাহাদুরের জেষ্ঠ্য পুত্র যুবনেতা ফারুক ইকবাল বিজয়ের লক্ষে উপজেলা জুড়ে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় মাইক প্রতিক প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিটি এলাকায় তার পক্ষে সাধারণ ভোটারদের সমর্থন ও উৎসাহ লক্ষ করা যায়। ভোটের এলাকায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ফারুক ইকবাল হিরু। তাকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে বিভিন্ন এলাকার জনগন। ফারুক ইকবাল হিরু বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সকলেই জন্মসূত্রে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বাবা নিজের জীবন বাঁজি রেখে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা রক্ষায় সংগ্রাম করে মৃত্্ুয বরণ করেছেন। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইদ্রিস বাহাদুরের সন্তান আমি। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা হয়ে তৎকালীন সেনা শাসক এরশাদ হঠাও অগ্রনী ভূমিকা রেখেছি। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। তারপর ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বর্তমানে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী-সমর্থক হিসাবে নিয়োজিত আছি। আমি গত নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছি এবারও প্রার্থী হয়েছি। সকলের দোয়ায় নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। 

অন্যদিকে টিউবওয়েল প্রতিকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আঃ খালেক আকন্দ বলেন,আমি বিগত ৫ বছর জনগনের সেবা করে আসছি। উপজেলা জুড়ে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আবারো ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনা করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের সহযাত্রী হতে আমাকেই জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন করে সেবা করার সুযোগ দিবে এটা আমার বিশ্বাস। 

আঃ লতিফ মিয়া বলেন,আমি ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনা করে আসছি। আশা রাখছি ভোটাররা আমাকে নিরাশ করবে না। 

এছাড়াও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আবিদা সুলতানা যুথিঁ কলসি প্রতিকে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন,নারীদের অধিকার আদায়,তাদেও স্বাবলম্বি করতে প্রতি নিয়তই কাজ করে যাচ্ছি। ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনা করছি। ভোটাররা তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন এটা আমি বিশ্বাস করি। সাবেক যুব মহিলা লীগের আহবায়ক আঞ্জুমনোয়ারা বেগম  ফুটবল প্রতিকে মাঠে রয়েছেন। তিনি বলেন,দীর্ঘদিন থেকে নারীর অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছি। এবারের নির্বাচনে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে নারীর অধিকার আদায়ে কাজ করে যাবে।


আরও খবর



মেহেরপুরে তাপদাহের উত্তাপ বেড়েছে কাঁচা বাজারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর:তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে অস্বস্থিতে ভুগছেন মেহেরপুরের মানুষ। ক্ষেত খামারে তাপপ্রবাহের উত্তাপের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। বর্তমানে সকল ধরনের সবজির দাম উর্ধ¦মূখী। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি আলুতে ১০ টাকা এবং পেঁয়াজে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা করে। এছাড়াও সব ধরনের সবজির দর বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত।

সোমবার ও আজ মঙ্গলবার মেহেরপুর ও গাংনী কাচা বাজার এবং বামন্দী বাজারে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা এবং সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, উস্তে ৫০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও আলুর দর ছিল ৩৮ টাকা।

এদিকে পাইকারী বাজার থেকে ‍খুচরা বাজার পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও ২৫-৩৫ টাকা পর্যন্ত। যা ভোক্তাদের তাপদাহের অস্বস্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাংনী কাঁচা বাজারের সততা ভান্ডারের সত্বাধিকারী সাহাদুল ইসলাম জানান, এখনও আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেত থেকে পরিপক্ক আলু পেঁয়াজ তোলার পর সেগুরো সংরক্ষণ হয়ে থাকে। আর কিছুদিন পরেই সংরক্ষণকৃত এসব পেঁয়াজ ও আলু বাজারে বিক্রি শুরু হবে। তখন বাজার স্থিতিশীল হওয়ার আশা করছেন তিনি।

বামন্দী বাজারের সবজি ব্যবসায়ি মনিরুল ইসলাম জানান, পাইকারী হিসেবে যে সবজি কেনা হয় তার সাথে পরিবহন খরচ ও নিজের মুনাফা যোগ করেই খুচরা বিক্রি করতে হয়। তাছাড়া আড়তেও দাম বেশি। মাঠে কৃষক পর্যায়ে সবজি খুবই কম। সেখান থেকেই বেশি দামে আড়তে সবজি আসছে। ফলে দাম উর্ধ্বমূখী।

ভোক্তারা বলছেন, তীব্র তাপদাহে জনীবন অতিষ্ট। কোথাও নেই স্বস্তি। এর মধ্যে আলু পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি তাদের বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বছরের এ সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। তবে এবার সেই চিত্রের ভিন্নতা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও খবর



অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে অফিসে বসে দাপট দেখান তিতাস গ্যাসের তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জোবিঅ-ফতুল্লা অফিসের পিসি অপারেটর তাজুল ইসলামের লাগামছাড়া অনিয়ম আর দুর্নীতি কোনোভাবেই থামছে না। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম আর দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে অফিসে বসে দাপট দেখান তিনি।অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে মাসোয়ারা আদায় মিল কারখানা থেকে উৎকোচ গ্রহন ও সিবিএর নাম ভাঙ্গিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ সহ নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তিতাস গ্যাসের জোবিঅ- ফতুল্লা অফিসে আট বছর ধরে দাপটের সঙ্গে কর্মরত আছেন তাজুল ইসলাম। চতুর্থ শ্রেনীর এই কর্মচারী তাজুল ইসলাম অফিস ডেকোরেশন পরিবর্তন করে নিজের আসনে মুল্যবান চেয়ার যুক্ত করেন।যে কোন লোক এই চেয়ার দেখলে মনে করবে হয়তো তিনি তিতাসের ডিজিএম লেভেলের কোন কর্মকর্তা।চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী হয়ে তিনি এমন চেয়ার কিভাবে সংযোজন করতে পারেন তা ভাববার বিষয়।আসলে তার ক্ষমতার উৎস কোথায়?

মাঝে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্ততে একবার তাকে অন্যত্র বদলি করা হলেও কিছুদিন পর আবার এই অফিসে পোস্টিং নিয়ে ফিরে আসেন।একই অফিসে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে স্থানীয় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহার কারীদের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। কম্পিউটার অপারেটর তাজুল ইসলাম ভেলকি বাজির মাধ্যমে অফিসে বসেই গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করেন।এ ছাড়াও অফিসের বাইরে বসেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাসোহারা আদায় করেন। বকেয়া আদায়ের অভিযানের নামে কল কারখানা থেকে অর্থ আদায় করেন। নানা সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে অফিসের বাইরে অবস্থান করেন। অফিসে গেলে তার চেয়ার ফাকা দেখা যায় সব সময়। পিসি অপারেটরের কাজ গ্রাহক সেবা দেয়া।অথচ গ্রাহক এসে তার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে।আবার অনেকে সেবা না নিয়েই চলে যান।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।বুধবার ১৩ মার্চ সকাল সাড়ে দশটা থেকে অফিসে গিয়ে তাকে চেয়ারে পাওয়া যায়নি।এছাড়াও নিয়মিত অফিসে আসেন না এই তাজুল ইসলাম। বেশিরভাগ সময়ে সাইটে অবৈধ কানেকশনে ব্যস্ত থাকায় গ্রাহক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লোকজন।অবৈধ অর্থের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন তিনি।সানারপাড়ে গড়ে তুলেছেন ছয়তলা বিলাসবহুল বাড়ি। ডেমরা এলাকার বিভিন্নu লোকেশনে নামে বেনামে কিনেছেন ফ্ল্যাট।তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে আগামী  সংখ্যায়।


আরও খবর