Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন

মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মানবপাচার আইনের এক মামলায় চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ মে) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে মৃত্যুসনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম।

প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুর মডেল থানার (মানবপাচার) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, গত ২ মে আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার জন্য ‘২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস’ –এ পুরস্কৃত আইফার্মার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সদ্য অনুষ্ঠিত অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই) ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বৈশ্বিক বিজয়ী (গ্লোবাল উইনার) হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আইফার্মার লিমিটেড।

অর্থায়ন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর, কৃষি সামগ্রী সংগ্রহ আরও সুবিধাজনক, বিশেষজ্ঞ কৃষি- পরামর্শ সেবা প্রদান এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আইফার্মার। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজয়ীদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল আইফার্মার।

এএফআই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সদস্যদের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত একটি পলিসি লিডারশিপ অ্যালায়েন্স যা স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্তরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফিনটেক এবং রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) উদ্ভাবকদের কাজ প্রদর্শন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ এবং উদীয়মান বাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে এবং পরিষেবাগুলোর মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখে এই আয়োজন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এএফআই সদস্য, ফিনটেক খাত বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ অতিথিদের বিবেচনার জন্য ফাইনালিস্ট ১২টি প্রতিষ্ঠান এ বছরের এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টের জন্য তাদের উদ্ভাবন উপস্থাপন (ভার্চুয়ালি) করে। এএফআই সদস্য এবং বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে তিনজন বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আইফার্মার প্রথম স্থান, মোসাবি (সিয়েরা লিওন) দ্বিতীয় স্থান এবং রেভফিন (ভারত) তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সকল বিজয়ী এল সালভাদোরে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪ এএফআই গ্লোবাল পলিসি ফোরামে আমন্ত্রণ, এক বছরের জন্য এএফআই এর পাবলিক-প্রাইভেট ডায়ালগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং লুক্সেমবার্গ হাউস অফ ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজিতে এক বছরের জন্য সদস্যপদ পাবেন।

ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন আইফার্মারের হেড অফ নিউ বিজনেস অপরচুনিটিস মোহাম্মদ ইখতিয়ার সোবহান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কৃষকরা আমাদের সত্যিকারের নায়ক। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কৃষকদের সহিষ্ণু মনোভাব ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাদের কঠোর পরিশ্রমকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।”

আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা ফাইনালিস্ট এবং বিজয়ী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। এটি আমাদের আনন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অর্জন কৃষকদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশব্যাপী কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নিরলস পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমরা খুবই আনন্দিত যে, কৃষকদের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার প্রয়াস একটি বৈশ্বিক মঞ্চে সমাদৃত হয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও সুসংহত করার জন্য আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।”

২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়।বাকি ফাইনালিস্টদের মধ্যে ছিল - ডটস ফর ইনকর্পোরেটেড (পশ্চিম আফ্রিকা), ইমাইশা পে (আফ্রিকা),জিসেকে+ডেভরিয়েন্ট (জার্মানি), গুডটেক ইনফরমেশন সিস্টেমস ইনকর্পোরেটেড (ফিলিপাইন), হ্যালো ট্র্যাক্টর কেনিয়া লিমিটেড (কেনিয়া), আইফার্মার লিমিটেড (বাংলাদেশ), জুমো (ঘানা), মোসাবি (সিয়েরা লিওন), মাইস্ট্যাশ (নাইজেরিয়া), পারটেন্স (মোজাম্বিক), রেভফিন (ভারত) এবং এক্সচেঞ্জ বক্স সলিউশন (নাইজেরিয়া)।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রোববার (৫ মে) ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।

২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।


আরও খবর



মুজিবনগরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ,আহত-১৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহাজনপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে তোতার সমর্থক ইসলাম শেখের (৬০) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্যান্যরা হলো তোতা গ্রুপের রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০) ও মিলু গ্রুপের রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭), হাবিবুর রহমান (২২)।

রফিকুল ইসলাম তোতার দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক আমাদের মহাজনপুর বাজারের একটি অফিসে হামলা চালায়। এ সময় অফিস ভাংচুর করে। তারপরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমাদেও ৫ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আমাম হোসেন মিলুর দাবি, তার সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় তোতার সর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ৮ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুজিবনগহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে অফিস ভাংচুরের বিষয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরকে দোষারপ করছেন। ঘটনাস্থলে সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



নীলফামারীতে কৃষি বিষয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীতে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্পের সহায়তায় কৃষক ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের নিয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরশিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষনা কেন্দ্র রংপুর আঞ্চলিক শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশ এর পাবলিক এন্ড প্রাইভেট সেক্টর কনসালটেন্ট মাহামুদুল ইফতেখারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার নিহার কুমার প্রামানিক, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার শরিফ আহম্মেদ শাহ্ধসঢ়; প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৮০ জন সফল খামারী, কৃষক ও প্রকল্পের উদ্দোক্তাসহ সুধীজন  অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য- জানো প্রকল্পটি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে অষ্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর সহায়তায় কেয়ার  ইন্টারন্যাশনাল ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহায়তায় জাতীয় পর্যায়ের বে-সরকারী সংস্থা ইকো সোশ্যাল  ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১সেপ্টেম্বর হতে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, কাউনিয়া,গংঙ্গাচড়া এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় একযোগে প্রকল্পটি  সরকারের সমম্বিত পুষ্টি কার্যক্রমকে সহায়তা করে এলাকায় ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে।


আরও খবর