Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি প্রয়াত কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন এর উদ্যোগে ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১ টায় কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এ স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে সভাপতিত্ব করেন তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে.এম কামাল উদ্দিন। স্মরণ সভায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির স্মরনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিতাস গ্যাসের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির কর্মময় জীবনের নানান বিষয় তুলে ধরেন সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান,সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম আযম খসরু, সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এইচএম মোতালেব, তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম তারেক, পেট্রো বাংলার সিবিএ নেতা মোঃ লিয়াকত আলী, পেট্রোবাংলা ফেডারেশন লীগের সভাপতি সাহেব আলী মিয়া,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী রতন বসু, অর্থ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন শেখ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম,  প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজীম উদ্দিন এর বড় ছেলে মোঃ সাজ্জাদ উদ্দিন অপু ।

স্মরন সভায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ সিবিএর প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধান ছিলেন একজন অনন্য চরিত্রে অধিকারী, সিবিএ ম্যানেজম্যান্টের সাথে যে ব্যাবহার করে তিনি তা করতেন না, কখনও আমাকে বলেননি যে এটা করতেই হবে, বিনয়ের সাথে বলতেন স্যার এই কাজটি করলে কোন সমস্যা হবে কি না, আসলে তিনি ছিলেন একজন অমায়িক মানুষ, মানুষ কে তিনি খুব ভালো বাসতেন, আমার আড়াই বছরের তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় তিনি এমন কোন কাজ করেননি যা কষ্টদায়ক,অত্যন্ত ভালো একজন বক্তা ছিলেন তিনি।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও নেতা কর্মীরা। স্মরণ সভায় প্রয়াত সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।


আরও খবর



নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ সংবাদদাতা:নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। এসময় নিহতদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই জন। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার নওগাঁ- বগুড়া মহাসড়কের শাহাপুর এলাকায়। নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন, পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের এনামুল হক (৪৯) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার (৩২)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্তানসহ তারা স্বামী-স্ত্রী একটি মোটরসাইকেল যোগে নওগাঁ থেকে বগুড়ার সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তারা সড়কের উপর ছিটকে পড়েন এবং দূর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানিয়রা তাদের আহত সন্তানসহ অপর মোটরসাইকেল আরোহী একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। 

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  জাহিদুল হক বলেন, মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের আরোহীরা ছিটকে সড়কের উপর পড়েন। প্রাথমিক ভাবে স্থানিয়রা ধারনা করছেন যে, সড়কের উপর পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দূর্ঘটনা স্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল তথ্য ও আলামত জব্দ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। এব্যাপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ তীব্র দাবদাহে । তাদের কথা বিবেচনা করে আগামীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এসএম মেহেদি হাসান।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি হেড কোয়ার্টারের মিডিয়া সেন্টারে ‘অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানের বিষয়ে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মেহেদি হাসান বলেন, ইতোমধ্যে গুলশানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিং কন্ট্রোল করা হচ্ছে। যা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আমরা পরিচালনা করছি। এভাবে গুলশানের মতো ঢাকা শহরের অন্যান্য জায়গায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কীভাবে কাজ শুরু করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামনে হয়তো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা আমাদের দাপ্তরিক কাজেরই অংশ। তারপরও ইদানীং আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমরা মেয়াদ নেই এমন ২ হাজারের অধিক যানবাহন ডাম্পিং করেছি। ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ডিএমপির পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদি হাসান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা আমরা ডাম্পিং করেছি। বিশেষভাবে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি যত্রতত্র পার্কিং না করতে এবং নির্দিষ্ট স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে। কেউ অনিয়ম করলে আমরা জরিমানা ও মামলা দিয়ে থাকি।

অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন, ঢাকার রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি অফিস, পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহন দেখা যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের আত্মীয়-স্বজনরাই পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করছেন। এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার, পুলিশের স্টিকার, সাংবাদিকদের স্টিকার ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্যই জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


আরও খবর



জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে,শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায়।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন চান তিনি। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ ৪ জন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় দেয়া বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।


আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর



কবে খনন করা হবে ফুলবাড়ী যমুনা নদী,পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাজার বছরের ছোট যমুনা নদীটি খনন না করায় এখন পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। নদীতে এখন ধুধু বালুচর। পানি নেই নদীতে। নদীটি প্রায় প্রস্তে ৩০০ ফিট থেকে ৪০০ ফিট। এক সময় এই ছোট যমুনা নদীটি খর¯্রােত ছিল। এই নদী দিয়ে পানি পথে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে ধান, পাট সহ বিভিন্ন পন্য আনা নেওয়া করত। কালের বিবর্তনে এখন আর ছোট যমুনা নদীতে নৌকা চলে না । ছোট যমুনা নদীতে এখন কৃষকেরা রবিশস্য সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। প্রায় ৩০ কি. ছোট যমুনা নদীটি এখন পানি শুন্য। এই নদীটি উত্তর থেকে এসে চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বাংলা হিলি, পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট হয়ে বয়ে গেছে।এর মধ্যে নদীর কিছু অংশ ভারতরে মধ্যে পড়ে যায়। বর্তমান ছোট যমুনা নদীটি খনন না করার কারণে বর্ষ কালে পানিতে অতিরিক্ত ভরার হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে। এতে গ্রামগুলো সহ ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়। হাজার বছেরের পুরাতন এই ছোট যমুনা নদীটি পুনরায় খনন করা হয়ে একদিকে যেমন বর্ষকালে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি পানিতে প্লাবিত হবে না। অন্য দিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে আবদী জমি ও গ্রামগুলি। খনন করা হলে সারা বছর নদীতে পানি থাকবে এই পানি ব্যবহার করে কৃষকেরা জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারেবে। জেলেরা সারা বছর জীবন জীবিকা জন্য মাছ অহরন করতে পারবে। দীর্ঘ এক হাজার বছর ধরে এই নদীটি খনন করার কোন উদ্দ্যেগ নেই। সারা দেশে এমন নদী গুলি খনন কাজ শুরু হলেও ফুলবাড়ী ছোট যমুনা নদীটির খনন কাজ কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এর সাথে ০১৭৫৪৪৯৫৭১১ এ নম্বরে কথা বললে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি গত মাসে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অতি শিগ্রই প্রায় ১৫ কিলো মিটার নদীর খনন কাজ শুরু হবে। নদীটির খনন কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।


আরও খবর