নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনকে যাতে আরও স্বচ্ছ, উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন, বলেছেন,প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল । তিন মাস ধরে নির্বাচন হয় ভারতে। আমাদের এখানে যদি তিনটা পর্বে সেটা করা যায় তাহলে আরও সহজ ও সুষ্ঠু হবে।
সিইসি বলেন, একই জেলার মধ্যে হওয়ার কারণে প্রশাসনের জন্য এটা সহজ হয়ে যাবে। ভোটার আসছে কি না, সহিংসতার সম্ভাবনা আছে কি-না, এমন বিষয় পর্যালোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। উপজেলায় এটা প্রয়োগ হচ্ছে। এটার বেশ কিছু ইতিবাচক দিক আমরা দেখতে পাচ্ছি।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আরএফইডির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকার বিষয়ে সিইসি বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকলে এটারও ভালো দিক আছে। এটা তো জাতির জন্য নয়, এলাকার জন্য। স্থানীয় সরকার ছোট একটা এলাকায় পরিচালিত হয়, সীমিত ক্ষমতা নিয়ে। পাকিস্তানেও বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে একটা অংশগ্রহণমূল নির্বাচন হয়েছে। দলীয় প্রতীক হোক কিংবা না হোক আমরা চাই সুন্দর নির্বাচন।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য ফোনে কথা বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি। তারা আহ্বানে সাড়া দেয়নি। আমরা নির্দ্বিধায় বলেছি, তারা যদি নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে সেটি অনেক বেশি অংগ্রহণমূলক হতো, ভোটার উপস্থিতিও বেশি হতো। তিনি বলেন,নির্বাচনটা সার্বজনীন হোক। বড় বড় দল অংশ না নিলে নির্বাচন অবৈধ হবে না। তবে নির্বাচনের ন্যায্যতা, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হবে। আমরা যদি সঠিক সমন্বয় ঘটাতে পারি নির্বাচন আরও সুন্দর হবে।
তিনি বলেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে , অনেক সময় এটা আদায় করে নিতে হয়। স্বাধীনতা সব সময় থাকবে না। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করলেও সব সময় চাপ আসবে তা নয়। গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে শাসকদের ঠিক জায়গায় রাখতে গণমাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গঠনমূলক সামালোচনা করার করার কথাও বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা নয় দায়িত্বই আমাদের গ্রহণ করতে হয়। ক্ষমতা শব্দটিকে যদি আমরা পরিহার করতে পারি তাহলে দেশ ও সমাজ অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারে। গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেক সময় রাষ্ট্রের স্তম্ভগুলো কাজ করে না, তখন সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একাই করে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখে।