Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মতলব থানার ওসি-এসআই বদলির নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চাঁদপুর জেলার মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সাব-ইন্সপেক্টরকেও বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল নির্দেশনাটি পুলিশ মহাপরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর মো. আবু হানিফকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এ অবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব মা দিবস পালন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ডিএমপির ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে অদ্য নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন পুলিশ বক্সে আশেপাশের দু:স্থ ও  ছিন্নমূল মায়েদের মাঝে প্যাকেট লাঞ্চ বিতরণ । এ উপলক্ষে দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম। এ সময় ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ডেমরা জোন) মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী জোন) তানজিল  আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কার্যক্রমের শুরুতে ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, "সন্তানের জন্য মায়েদের ত্যাগ অপরিসীম। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মায়েরা অধিকাংশ সময় নিজেরা না খেয়ে তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন। ঢাকা মহানগরীতে ছিন্নমূল, দুস্থ ও অসহায় এমন মা আছেন যারা মাসের পর মাস নিজেরা একবেলা ভালো খাবার খেতে পান না। তাই বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সে সকল মায়েদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মায়েদের জন্য একবেলা ভালো খাবারের আয়োজন করেছি। করোনাকালীন অতিমারিতে লাশ দাফন থেকে শুরু করে সকল কাজে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম(বার) এর নেতৃত্ব অনুসরণে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নানা মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সমাজের সামর্থ্যবান  লোকেরাও এভাবে অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার  হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবিক সমাজ গড়ে তুলবে। এ সময় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে দুই শতাধিক দরিদ্র মায়েদের মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ করা হয়। পরে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে জুরাইন পুলিশ বক্সে একইভাবে দু:স্থ মা, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র অসহায় মানুষের  মাঝে আরো ২০০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক  ইন্সপেক্টর(যাত্রাবাড়ি) পবিত্র বিশ্বাস, ট্রাফিক  ইন্সপেক্টর(জুরাইন), ইসমাইল হোসেন ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (পোস্তগোলা) মনির আহমেদ।


আরও খবর



নওগাঁয় অধ্যক্ষ-সভাপতির বিরুদ্ধে জাল সনদ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ :নওগাঁর বদলগাছীর ধর্মপুর-গোয়ালভিটা আলিম এম মাদরাসা সভাপতি আবদুল বারেক ও অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানো, সরকারি বরাদ্ধের টাকা, প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় এক ব্যাক্তি এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধর্মপুর-গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদরাসাটি দীর্ঘকাল যাবৎ সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসলেও এর ম্যানেজিং কমিটি ও প্রিন্সিপালের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতিতে মাদরাসাটির বর্তমানে নাজেহাল অবস্হা বিরাজ করছে। এই মাদরাসা সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষকে হাত করে তাদের যোগশাজসে তার শিক্ষাজীবনের জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে কয়েক বছর ধরে মাদরাসায় চাকুরী করে সরকারি বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। তার নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে চাইলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষ অতি সুকৌশলে তার সনদের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাকে চাকুরী হইতে স্বেচ্ছায় অবসরে পাঠিয়েছেন এবং তার অবসর-কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা সরকারি কোষাগার হতে উত্তোলন করে আত্মসাতের পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন। এবং ওই মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন তিনিও তার (কম্পিউটার সাটিফিকেট) জাল সনদ দিয়ে এখন পর্যন্ত চাকুরীরত আছেন এবং সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতাদি ভোগ করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও ওই মাদরাসার সরকারের পারফরম্যান্স বেজড গ্র‍্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিমের আওতায় ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের অংশের টাকা বাদে সব টাকা অধ্যক্ষ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটি আত্মসাৎ করাসহ বিগত কয়েক বছরে শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা করেছে। ওই মাদরাসাঢ যোগদানের পর থেকে তিনি  নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন, নিয়োগ বাণিজ্যের প্রমাণ মিলবে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নম্বর যাচাই করলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রকল্পের টাকা থেকে শিক্ষকদের অংশের টাকা দেওয়া হয়েছে তবে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

এবিষয়ে জানতে শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন ও আকলিমা খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ না করায় তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

অভিযোগ গুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ও সভাপতি বলেন, এ অভিযোগ গুলো সত্য নয়। সেই শিক্ষিকাদের কাগজপত্রসহ সরকারি প্রকল্পের টাকা ব্যয়ের ভাউচার এবং মাস্টার রোল দেখতে চাইলে তারা সেগুলো দেখাতে অস্বীকার করেন। 

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ওই মাদরাসার অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আরও খবর



সৈয়দপুরে কোরবানির জন্য দেশি গরু প্রস্তুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদুল আজহা উপলক্ষে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় চলতি বছর কোরবানির জন্য খামারিরা প্রস্তুত করেছেন প্রায় সারে ৮ হাজার পশু। গতবারের চেয়ে এবারে ২ হাজারের ও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান খামারিরা।

খামারিদের মতে,কদিন পরেই পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যে পরিমাণ দেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে, তাতে ওইসব গরু ও ছাগল দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানান খামারিরা। 

সৈয়দপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ হাজারের মতো। কিন্তু খামারিরা প্রস্তুত করেছেন প্রায় সারে ৮ হাজারের মতো। যা চাহিদার চেয়ে ২ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে সৈয়দপুরের খামারিদের প্রস্তুত করা পশু সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

সূত্রটি আরও জানায়, সৈয়দপুর উপজেলায় নিবন্ধিত গরু খামার রয়েছে ৬/৭ টি, ছাগল ও ভেড়ার খামার রয়েছে ২/৩ টি। অনিবন্ধিত গরুও খাসির খামার রয়েছে অগনিত। কারন শহর সহ উপজেলার গ্রামগন্জের প্রায় বাড়িতেই রয়েছে ৮/১০ টি বা ২০/২৫ টি প্রস্তুত করা গরু ও ছাগল। 

খামারিরা বলছেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পর্যাপ্ত দেশি জাতের গরু ও ছাগল পালন করা হয়েছে।  গরুকে খাবার হিসেবে কাচা ঘাস, ব্রান্ড, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেকটা বেড়েছে। 

খামারিরা আরও বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে যে পরিমাণ দেশি গরু ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে তাতে এগুলো দিয়েই সৈয়দপুর তথা নীলফামারী জেলার মানুষের কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। একই সাথে চোরাই পথে যাতে ভারতীয় পশু ঢুকতে না সেদিকে নজর রাখার দাবী জানান তারা। 

সৈয়দপুর পৌর এলাকার ইউসুফ ডেইরি ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের লোকজন। পৃথক পৃথক খাটালে দেশি জাতের গরু ও ছাগলের পরিচর্যা করা হচ্ছে। 

ইউসুফ ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মিন্টু বলেন , ‘আমাদের খামারে কোরবানির জন্য সব দেশি প্রজাতির গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু গুলির দাম কি রকম জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার খামারে ৬০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা মুল্যের গরু আছে। তিনি বলেন এই দামে এযাবৎ ১০০ গরু বিক্রি করেছি। ঈদ আসতে আসতে আরো প্রায় ৫/৭ শত দেশি গরুর অর্ডার আছে।

তিনি বলেন, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। গরুগুলোকে প্রতিদিন দুই বেলা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ভুট্টা, খইল, ব্রান্ড, কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় খাওয়ানো হয়। গোসল করানো হয় প্রায় প্রতিদিনই।পশুর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখা হয় প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠিক রাখা হয়। 

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় বলেন, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে খামারিদের। তবে গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  


আরও খবর



তানোরে দুই শতাধিকের অধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা! উত্তেজনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে দুই শতাধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী হাসানের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার জিওল গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় জমির মালিকের ছেলে জিওল গ্রামের আলি হোসেন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাছ কেটে জমি দখলের ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলে আশঙ্কা গ্রামবাসির। 

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মৌজার অন্তর্গত আরএস ৩৩ নম্বর খতিয়ানে আরএস ২৫৩ দাগে জমি রয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ। জমিটির মালিক ওই গ্রামের মুন্তাজের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তার নিজ নামে খাজনা খারিজও রয়েছে। যার খারিজ কেস নম্বর ৩৫৬০/1x-1/২০০৫-২০০৬ ইং, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৭, হিসাব নম্বর ২০৩। কিন্তু জমিটি নিয়ে বারবার ঝামেলা ও দখল করার পায়তারা করে আসছেন জিওল গ্রামের প্রভাবশালী হাসান আলী। 
সরেজমিনে দেখা যায়, জিওল গ্রামের ধানী মাঠে পোল্ট্রি খামারের পূর্ব দিকে জমিটির অবস্থান। জমিটিতে গত মঙ্গলবার মালিক আনোয়ারা বেগমের ছেলে আলী হোসেন প্রায় আড়াই শত মত আম গাছ রোপন করেন। আমের জাত আমরুপালি। গাছ রোপনের পরদিন বুধবার  দখলদার হাসান গংয়ের নেতৃত্বে তরতাজা আম গাছ কর্তন ও ত্যারের বেড়া ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। গাছগুলো কাটা অবস্থায় নিথর ভাবে পড়ে রয়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, জমির মালিকের ছেলে আলী হোসেন তিনি জানান, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে জমিটি আমাদের দখলে ছিল। মাঝে মধ্যেই হাসান দলবল এনে দখল বাজী ও আবাদের ক্ষতি করে থাকে। আমার মা বিগত ১৯৮১ সালের দিকে  এজমিসহ আরো জমি কিনেন। কিনার পর খাজনা খারিজ করা হয়েছে। হাসান খারিজ বাতিলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু তার লাঠি ও টাকার জোরে দখলের চেষ্টা করে থাকেন। তিনিই থানায় অভিযোগ করেন, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় বসার কথা হয়। অথচ বসার আগেই আমার রোপনকৃত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে করে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চায়। জমি তার হলে অবশ্যই ছেড়ে দিব।

দখলদার হাসান বলেন, আমি জমিটি বিগত ২০০৫ সালে কিনেছে। কিন্তু তারা কিভাবে খাজনা খারিজ করে ফেলেছে আমি জানিনা। আমার দলিল আগে। আপনার দলিল আগে হলে তো মিস কেস করলে খারিজ বাতিল হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এডিসিতে আবেদন করেছিলাম, সে রায় ভূমি অফিসে আছে। রায় থাকলে তো জমি খারিজ হয়ে যাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বসে মিমাংসা করা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 
জমির মালিক আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুন্তাজ আলী বলেন, কাগজ যার জমি তার। আমার নামে খাজনা খারিজ আছে। হাসানের কাগজ যদি সঠিক থাকে  ও খারিজ বাতিল করতে পারলে এবং আমাদের বিপক্ষে রায় গেলে আমরা জমি ছেড়ে দিব। কিন্তু বারবার লাঠিয়াল বাহিনী এনে সব নষ্ট করে ফেলা কোন কাজ। এতগুলো আমগাছ কেটে ফেললো এর ক্ষতি পূরুন কে দিবে। তার লোকজন ও টাকা পয়সা আছে বলেই সবকিছু করবে এটা কোন ধরনের কথা। আমরা এসবের ন্যায্য বিচার চাই।  গাছ কাটার পর থানা পুলিশ তদন্ত করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:"পরিচ্ছন্ন- সবুজ বাসযোগ্য ধরণী থেকে আমার অঙ্গীকার" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংস্থা "ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ কর্তৃক তীব্র গরমে রাস্তায় চলাচল করা পথচারী এবং কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বাজার স্টেশন চত্বরে ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের আয়োজনে পথচারী ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো.আশিক আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ প্যানেল মেয়র -  মো.নুরুল হক, ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর স্থায়ী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.সাইফুল ইসলাম তালুকদার।

অনুষ্ঠানের  প্রধান অতিথি  সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা তিনি বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ বরাবরই জনকল্যাণকর কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। আমি অতীতেও দেখেছি এই সংগঠনটি মানুষের কল্যাণে যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে এমন আরো কয়েকটি সংগঠন যদি সিরাজগঞ্জে থাকতো তবে সিরাজগঞ্জের চেহারা পাল্টে যেত। আমি বিশ্বাস করি ক্লিন সিরাজগঞ্জ একদিন তাদের কাজের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করবে এবং সিরাজগঞ্জবাসীর মধ্য মনে হয়ে থাকবে। আমি তাদের সকল জনকল্যাণকর কাজের সমর্থন দিয়ে এসেছি ভবিষ্যতেও দেব। 
বিশেষ অতিথির ১ প্যানেল মেয়র নুরুল হক বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ সত্যিকার অর্থে একটি পরিবেশবাদী এবং মানবিক সংগঠন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্নেহের আশিক তার স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী নিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য যে পরিমাণ কাজ করে যাচ্ছে সত্যি তা প্রশংসার দাবিদার। ক্লিন সিরাজগঞ্জের প্রতিটি কাজ সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পরিবেশের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই সংগঠনটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি এবং প্রত্যাশা রাখি অতীতে ন্যায় বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আরো জনকল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীকে একটি বাসযোগ্য সিরাজগঞ্জ উপহার দেবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আশিক আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন - আমরা পরিবেশবাদী সংগঠন হলেও সামাজিক এবং মানবিক কাজ কখনোই পিছিয়ে থাকি না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছরই এই ধরনের তীব্র গরমের সম্মুখীন হই আমরা। এবং এই গরম থেকে পথচারীদের স্বস্তি দিতে প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করে থাকি। আজকে আমরা ১০০০ থেকে ১২০০ লোকের মধ্যে এই শরবত এবং সুপ্রিয় পানি বিতরণ করবো। এবং আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরও খবর