Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে কাগজে-কলমে পাঠাগার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image
জসীমউদ্দীন ইতি  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:দেখে বাড়ির বেলকুনি মনে হলেও এটি একটি সরকারি নিবন্ধিত পাঠাগার। আশেপাশে নেই কোন সাইনবোর্ড কিংবা আলাদাভাবে চেনার উপায়। কাছে গিয়ে দেখা মিলে- বেলকুনির চারপাশে শুকাতে দেওয়া আছে ভেজা কাপড়। তার পাশে অনুদান পাওয়া দুটি বুকসেলফে কিছু বই, দুটি চেয়ার, একটি টেবিল। এ ছাড়া আর পাঠাগারের কোন অস্তিত্ব নেই৷ 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের পূর্ব নারগুনে একটি বাড়ির বেলকুনিতে অবস্থিত গ্রামীণ পাঠাগারটি। অনুমোদনের নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য সাত বছর বয়স হওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে গড়ে দুই শতাধিক পাঠক হওয়ার কথা থাকলেও পাঠাগারটির নাম জানেন না এলাকাবাসী। এমনকি পাঠাগারের পরিচালকেরাও নাম বলতে হোচট খেয়েছেন কয়েক দফায়। অথচ নামে মাত্র এসব পাঠাগারগুলো কাগজে কলমে সচল পাঠাগার দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি তহবিল থেকে লাখ লাখ টাকা।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় নিবন্ধিত পাঠাগারের সংখ্যা ১২ টি৷ যার মধ্যে অধিকাংশ পাঠাগার এখন শুধু নাম সর্বস্ব। কারো ঘরের বেলকুনি, কারো বেড রুম কিংবা কারো নেই কোন অস্তিত্ব। তবে নামে মাত্র হয়েও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪ টি পাঠাগার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ টি পাঠাগার অনুদান পেয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ টি পাঠাগার পাচ্ছেন পাঁচ লাখ সাতান্ন হাজার টাকা অনুদান৷ তার মধ্যে ২ টি 'গ' শ্রেণির পাঠাগার পাচ্ছেন ৫৫,০০০ টাকা করে, আর "খ" শ্রেণির ৬ টি পাঠাগার পাচ্ছেন ৪৭,৫০০ টাকা। 
অনুদানের সব টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন কাগজে কলমে থাকা পাঠাগারের সভাপতি ও সম্পাদক। নিয়ম মেনে তদারকি করে অনুদান প্রদানের সাথে অর্থ আত্মসাৎ কারীদের বিচারের দাবি জানান সচেতন মহল। 

স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কখনো গ্রামীণ পাঠাগার নামে কোন পাঠাগারের নাম শোনেননি৷ তাদের এলাকায় পাঠাগার হলে তারা সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারতেন৷ 

গ্রামীণ পাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, কাগজে কলমে আমাদের পাঠাগারটি ২০১৬ সালে দেখানো হয়েছে৷ আমরা সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাই৷ বিগত দুই অর্থ বছরে আমরা সরকারি অনুদান পেয়েছি৷ এবারেও আমরা সরকারি অনুদান পাব৷ বর্তমানে তেমন কোন কার্যক্রম নেই। আমরা সামনে একটি ঘর তৈরি করে পাঠাগারটি চালু করব। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৬ নং নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নে গ্রামীণ পাঠাগার রয়েছে এটি আজ জানতে পারলাম। কখনো এর কোন কার্যক্রম আমার চোখে পড়েনি। যারা পাঠাগারের নামে টাকা আত্মসাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। 

অফিসে কর্মকর্তা সংকট হওয়ায় এমন অবস্থা জানিয়ে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আম্বিয়া বেগম বলেন, পাঠাগারগুলোতে দুবছর আগে পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল। পরে আর যাওয়া হয়ে উঠে না। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা সরকারি অনুদান পেয়ে থাকেন৷ পরবর্তীতে আমরা তদারকি বাড়াব। 

নামে সর্বস্ব পাঠাগারগুলো আর অনুদান পাবে না বলে সাফ জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, পাঠাগার সমাজের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। একটি সমাজকে জ্ঞান ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে। তবে পাঠাগারের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নেন তাদের সে সুযোগ আর দেওয়া হবে না। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনি কাজ শুরু করব। কার্যক্রমহীন পাঠাগারগুলো আর কোন ধরনের সরকারি অনুদান পাবেন না। 

আরও খবর



সরকারি ৬ দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ পদে রদবদল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটসহ ছয় সরকারি দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ পদে রদবদল আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই রদবদলে এনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিদর্শক হয়েছেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. শহীদুল আলম।

অন্যদিকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মুনিম হাসানকে পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত সচিব) করা হয়েছে।

এছাড়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) মহাপরিচালক হয়েছেন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুরুন নাহার হেনা।

আর বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হারুন অর রশিদকে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুস সামাদকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে।

অন্য আদেশে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সালেহ আহমদ মোজাফফরকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ভিসা নি‌ষেধাজ্ঞায় কারা পড়ছেন জানালেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী যেসব বাংলাদেশিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মা‌র্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও রাজনীতিকদের কথা বি‌শেষভা‌বে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার।ত‌বে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম দেশ‌টি প্রকাশ করবে না ব‌লেও জানিয়েছেন ব্রায়ান।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করার ঘোষণা পর সাংবা‌দিক‌দের প্রাথ‌মিক প্রতি‌ক্রিয়ায় এসব তথ‌্য জানান মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার।

মুখপাত্র ব্রায়ান ব‌লেন, আমরা যখন এই ভিসানীতি ঘোষণা করেছি, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘটনাবলির ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে। সতর্কতার সঙ্গে তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।

ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করবে কি না-জান‌তে চাই‌লে দূতাবাসের মুখপাত্র ব‌লেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ কর‌বে না যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা রেকর্ড গোপনীয়তার কারণে নাম প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র বলে জানালেন ব্রায়ান শিলার।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের ব্যাপারে আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে ‘পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা। যদিও এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যারা পড়তে যাচ্ছেন তাদের নাম উল্লেখ করেনি পররাষ্ট্র দপ্তর।


আরও খবর



শ্রীলংকা নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের সাথে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

খন্দকার আমিনুর রহমানঃ 

-বাংলাদেশের দ্বাদশ নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগ্রহী শ্রীলংকা নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান।


বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের নজর কেড়েছে। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দলসমূহ ও সাধারণ জনগণের সহযোগীতা প্রয়োজন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করতে যৌথ সহযোগীতামূলক কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে শ্রীলংকার যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। অদ্য ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন—এর মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী শ্রীলংকা সফরকালে শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশন ভবনে চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আর এম এ এল রথনায়েক উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমন্ত্রণ পেলে শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশন ও শ্রীলংকার অন্যান্য সংস্থাসমূহের সর্বাধিক পর্যবেক্ষক প্রেরণ করবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের আন্তর্জাতিক সমন্বয়কারী সচিব রিজান এম এ হামিদ, উপ কমিশনার জে এ এস পি জয়সিংহে, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক কৃষিবিদ ড. আজাদুল হক, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি আবু সালেহ ইয়াহিয়া, শ্রীলংকার বিশেষ প্রতিনিধি আসিফ আব্দুল করিম।




আরও খবর



দেশে ১৫ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে দৈনিক আসছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৫ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৫ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


আরও খবর



ফ্রান্সে পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ম্যাক্রন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি। দেশে পৌঁছেই এই সফরে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ম্যাক্রোঁ।

এই টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে বাংলাদেশিদের, আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক ও অটুট বন্ধুত্বের গুরুত্ব বহন করে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে রোববার রাতে ঢাকায় পৌঁছান ম্যাক্রোঁ। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

১৯৯০ সালে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁর পর এটি বাংলাদেশে কোনও ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন রোববার রাতে রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশ নেন ম্যাক্রোঁ। এছাড়া এদিন রাতে তিনি ধানমন্ডিতে গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এবং স্থানীয় সরকার প্রকল্পে অর্থায়নে দুটি চুক্তি সই হয়।

বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন দুই শীর্ষ নেতা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের হওয়ার আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন। পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ রাজধানীর তুরাগ নদে নৌকা ভ্রমণেও যান। বৃষ্টির মধ্যে তুরাগ নদ ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় নৌকাবাইচ উপভোগ করেন ম্যাক্রোঁ।


আরও খবর