Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বতন্ত্র প্রার্থীর চাপে কোনঠাসা আওয়ামীলীগ ও জাপা প্রার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

(নীলফামারী) প্রতিনিধি ;আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন।এ নির্বাচনে নীলফামারী ৪ আসনে( সৈয়দপুর -কিশোরগঞ্জ)  সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন নৌকা প্রতিক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় একেবারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী জাকির হোসন বাবুল। একই অবস্থা হয়েছে জাতীয় পার্টির বেলাতেও।বিশিষ্ট শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিককে লাংগল প্রতিক না দেয়ায় তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।  

জানা গেছে, নীলফামারী-৪ আসনটি বিএনপির দুর্গ হলেও নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় কিছুটা হলেও ভোট সংকটে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা।সেদিক থেকে স্বতন্ত্ররা রয়েছেন ফুরফুরে অবস্থায়।  এ নির্বাচনে  সৈয়দপুর - কিশোরগঞ্জ এলাকার চোখের মনি আওয়ামী লীগের ভোট মেকার মোখছেদুল মোমিন কে নৌকা প্রতিক না দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল ও জাপার লাংগল প্রতিকের প্রার্থী নয় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর যেকোন একজন নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ বলে ভোটাদের মতামত। 

খোজ নিয়ে দেখা গেছে, নীলফামারী -৪ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজর ২৬৮ টি ও নারী ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৫ টি। অর্ধেক ভোটাররা চাইছেন,সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন কে। কারন এআসনের অনেকের মতে,আওয়ামী লীগ মানেই মোখছেদুল মোমিন।  নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মোখছেদুল মোমিনের বিকল্প নেই। বিপদে আপদে এই মোকছেদুল মোমিনই গরীব, অসহায় ও সর্বস্তরের মানুষের খোজ খবর নিয়েছেন। যে নেতা এমপি মন্ত্রী না হয়েও জনগনের খোঁজ খবর নেয়, জনগন এবারে তাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাইছেন। অন্য দিকে সৈয়দপুর উপজেলার সিংহ ভাগ মানুষ ও কিশোরগঞ্জ এলাকার ৩ ভাগ মানুষ বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে যাকে এ আসনের মানুষ ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন,তিনি প্রধান মন্ত্রীর দেয়া বরাদ্দের সিকি ভাগও উন্নয়ন করেননি। কোন প্রকার খোঁজ খবরই রাখেন নাই গরীব ও অসহায় মানুষের। সেখানে শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী -৪ আমনের জাতীয় পার্টির নেতা কর্মী সহ সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন বারংবার। মোটা অংকেরন সাহায্য করেছেন অর্থ দিয়েও। 

সৈয়দপুরের ভোটাররা বলছেন, ২০২০ সালে পৌর পরিষদ নির্বাচনে সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক মেয়র পদে নির্বাচন করেন।ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ২ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ভোট পান।কিন্তু তার বৃদ্ধা মাকে ভোট দিতে না দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ায় সিদ্দিকুল আলম নির্বাচন থেকে সরে আসেন।এবারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন সুষ্ঠ হলে সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিককেই এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে ভোটাররা মতামত ব্যক্ত করেন।

সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, জনগন যদি আমাকে তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেন, তাহলে সরকারের দেয়া বরাদ্দের একটি পয়সা ও নিজ স্বার্থে খরচ করবো না।কারন আমার অর্থ সম্পদ সবই আছে।শেষ বয়সে নীলফামারী-৪ আসনকে মডেল শহরে রুপান্তরিত করতে চাই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন,জনগনের ভালো বাসার কারনেই আমি দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।জনগনই আমার সব।ভোটাররা যদি আমাকে এমপি নির্বাচিত করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান। 

নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলকে না পেয়ে লাংগল প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব আহসান আদেরুল রহমান আদেল এর কাছে গেলে তিনি কোন কথাই বলবেন না বলে জানান। 



আরও খবর



নেত্রকোনায় ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃনেত্রকোনার আটপাড়ায় রবি মৌসুমে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় সমলয় চাষাবাদে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ দুপুরে উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরনের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো: হেলাল উদ্দীন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো: খায়রুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়জুন্নাহার নিপাসহ আরো অনেকে। এতে স্থানীয় কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশজুড়ে চলমান তাপদাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, তীব্র দাবদাহের দরুন শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

এর আগে, তাপদাহের কারণে সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকাসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। তবে, মর্নিং ক্লাস দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা হয়েছিল।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে ঈদ-নববর্ষে সাড়ে ২১ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) এবার ঈদের ছুটিতে পদ্মাসেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা।

জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১ টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

এসব তথ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।


আরও খবর



আক্কেলপুরে পুকুর সংস্কারের সময় প্রাচীন কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পুকুর সংস্কারের মাটি থেকে পাওয়া কালো পাথরের একটি মূর্তি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে উপজেলার কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রামে ৫’শ ৬০ গ্রাম ওজনের এই কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। তবে এটিই হতে পারে প্রত্নতত্ত্ব  অধিদপ্তরের নিকট এই প্রথম পাওয়া রাজা-রাণী সাদৃশ্যের প্রথম পাথরের মূর্তি। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া ঘোষপাড়া কালিতলা পুকুর সংস্কারের কিছু মাটি ক্রয় করেন বেলি নামে মহিলা। সেই মাটি থেকেই তিনি একটি কালো রংয়ের পাথরের মূর্তি পান। পরে সেটি তিনি তার প্রতিবেশী স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয় নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে দেন। পরে সেটি আবার ফেরৎ নিতে গেলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরে। সকাল থেকেই মূর্তিটি দেখতে ভীড় জমায় স্থানীরা। খবর পেয়ে শনিবার সকালে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন আক্কেলপুর উপজেলা নির্বার্হী অফিসার। 

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কালো ওই মূর্তিটির ওজন ৫’শ ৬০ গ্রাম ও উচ্চতা ৬.২ ইঞ্চি এবং বাম পাশে কিছু অংশ ভাঙ্গা। তবে মূর্তিটি কোন ধরণের পাথরের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মূর্তিটি পাওয়া নারী বেলি বেগম বলেন, আমি বিপ্লব সাখিদারের কাছ থেকে পুকুরের মাটি কিনেছি। ওই মাটি থেকে পাথরের মূর্তিটি পেয়ে স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয়কে দিয়ে দেই। পরে প্রশাসন এসে সেটা নিয়ে যায়।

স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয় জানান, মূর্তিটি পাওয়ার পরে আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। এটা সাধারণ পাথরের শীব-পার্বতীর মূর্তি বলে মনে হচ্ছে। পরে প্রশাসনকে জানালে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, শনিবার সকালে বিষয়টি জানার পর মূর্তিটি নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে ইএনও মহোদয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে।পাহাড়পুর প্রত্যতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি পাথরের একটি দূর্লভ মূর্তি। আমাদের সংগ্রহে পাথরের যেসকল মূর্তি রয়েছে তাতে দেব-দেবীর আকৃতি রয়েছে। তবে এটি দেখে দেব-দেবীর আকৃতির মনে হচ্ছেনা। আমাদের জাদুঘরে এধরণের কালো পাথরের রাজা-রাণী ও তাদের কোলে বাচ্চার সাদৃশ্যের মূর্তি নেই। তবে পোড়া মাটির টেরাকোটা আছে। এটি প্রত্যহতত্ত্ব  দুতলা বাড়ি  অধিদপ্তরের নিকট এই প্রথম পাওয়া রাজা-রাণী সাদৃশ্যের পাথরের মূর্তি হতে পারে। এটি একটি অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক  সম্পদ। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মুর্তিটি আপাতত জেলা ট্রেজারীতে রাখা হবে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক প্রত্নতত্ত্ব  বিভাগকে দিয়ে দেওয়া হবে।

আরও খবর