সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতি
সুন্দরগঞ্জে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনে ভিক্ষুকদের মাঝে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান বিতারণ
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম, যা আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। বিএটি বাংলাদেশের ১১৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি। এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস) ও তামাক সহ বিভিন্ন খাতে বিপণন ও সাধারণ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩০ বছরের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে মনীষার।
মনীষা গত বছরের মার্চ থেকে বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে একজন অ-নির্বাহী পরিচালক (নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএটি গ্রুপের অংশ সিলন টোব্যাকো কোম্পানি পিএলসি থেকে বিএটি বাংলাদেশে যোগ দিচ্ছেন। সিলন টোব্যাকো কোম্পানিতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কর্মজীবনে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের একাধিক দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে আবুধাবিতে কর্মজীবন শুরু করার আগে মনীষা ভারতের জ্যোতি নিবাস কলেজ থেকে বি.কম ও বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
এক বার্তায় নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মনীষা বলেন, “১১৪ বছর ধরে এই অঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সফলতা ও ইতিবাচক প্রভাবের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান (বিএটি বাংলাদেশ) নেতৃত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
বিএটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রা এগিয়ে নিতে ও সর্বোচ্চ সততার সাথে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদার হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমি।”
মনীষা আব্রাহাম শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ব্যবসায়িক সফলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশে একটি দৃঢ় পরম্পরা তৈরি করেছেন। শেহজাদ মুনিম বিএটি বাংলাদেশের একজন টেরিটরি অফিসার হিসেবে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অবিচল নেতৃত্বের মাধ্যমে শেহজাদ কেবল তার প্রতিষ্ঠানের মানুষদেরই অনুপ্রাণিত করেননি, একইসাথে দেশের করপোরেট খাতের বাকিদের মধ্যেও স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বুনন করেছেন। মনীষা আগামী ০১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। অসাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি তার নেতৃত্ব গুণাবলী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও দেশের প্রবৃদ্ধি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
কোয়ালিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নাম্বার ১ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি
প্রযুক্তি ডেস্ক:গুণগতমানের দিক থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। ২০ হাজার টাকার বাজেটের মধ্যে তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে রিয়েলমি একটি ভরসার নাম- এমন তথ্য উঠে এসেছে স্বনামধন্য বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চ (সিটিএমআর) এর করা এক সমীক্ষায়। স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের গুণগতমান বা কোয়ালিটি নিয়ে গ্রাহকরা কী ভাবেন- শীর্ষক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে সিটিএমআর।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্মার্টফোন বিল্ড কোয়ালিটির ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমিকে বাছাই করেছেন ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা। এছাড়াও, পণ্যের মান অনুযায়ী অন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের রিয়েলমি’র ফোন কেনার প্রতি জোর পরামর্শ দেন ৮৩ শতাংশ উত্তরদাতা।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ত্রৈমাসিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট ট্র্যাকার অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের ক্ষেত্র আরও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে স্মার্টফোনের বাজারের ৮০ শতাংশের দামই ছিল ২০ হাজার টাকার মধ্যে, যেখানে ফোনের গড় বিক্রয় মূল্য (এএসপি) ১৮ হাজার টাকা।
রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন বলেন, “তরুণ ফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝতে সব সময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি, যাতে তাদের একটি ব্যতিক্রমী নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা দেওয়া সম্ভব হয়। আমরা শুধু মুখের কথার উপর নির্ভর করতে চাইনি; আমরা সত্যিই বুঝতে চেয়েছিলাম ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইস থেকে কী চায়। আমরা সর্বদা ডিভাইসের কোয়ালিটি রক্ষার চেষ্টা করেছি, এবং সমীক্ষায়ও দেখা গেছে, ব্র্যান্ডগুলো ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশিত গুণগত মানসম্পন্ন ফোন সরবরাহ করলে তারাও বিষয়টিকে মূল্যায়ন করে। এই কারণে দাম অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটির জন্য রিয়েলমি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে৷ এই কৃতিত্ব ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝতে সক্ষম এমন আরও ভালো প্রযুক্তি ব্র্যান্ড তৈরির জন্য আমাদের উত্সাহ জোগাবে।”
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ এর সিনিয়র এনালিস্ট আরুশি চাওলা বলেন, “দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার কারণে ডিভাইসের কোয়ালিটি ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। শুধু ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য পণ্যের কোয়ালিটি থাকা জরুরি নয় বরং পরবর্তীতে বিক্রয়ের সময়ে যাতে এর মূল্যমান ঠিক থাকে, তার জন্যও এটার প্রয়োজন রয়েছে। স্মার্টফোনের কোয়ালিটি মূল্যায়নের জন্য ক্যামেরার কোয়ালিটি, ব্যাটারি লাইফ, প্রসেসর, বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিসপ্লের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিশেষ করে তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় রিয়েলমি’র স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এর কারণ হলো, রিয়েলমি বাংলাদেশী মার্কেটের উপযোগী একটি সুপরিকল্পিত পোর্টফোলিও প্রদান করে। তাছাড়া, এর উদ্ভাবনী সফটওয়্যার ও বিশ্বস্ত বিল্ড কোয়ালিটির কারণে স্মার্টফোন গ্রাহকদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে রিয়েলমি।”
বাংলাদেশে সিটিএমআর এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে জরিপটি পরিচালনা করেছে রিয়েলমি বাংলাদেশ। এই জরিপে এক হাজারেরও বেশি স্মার্টফোন গ্রাহক অংশগ্রহণ করেছেন। সমীক্ষায় সকল শ্রেণির গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে ইংরেজি ও বাংলায় প্রশ্ন ব্যবহার করে বহুভাষিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে, জরিপটিতে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়।
সিটিএমআর হলো একটি বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা যা টিএমটি (টেকনোলজি, মিডিয়া ও টেলিকম) খাতের পণ্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা বিভিন্ন বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক সংস্থাকে মাসিক প্রতিবেদন, কাস্টমাইজড প্রকল্প এবং মোবাইল ও প্রযুক্তি মার্কেটের বিশদ বিশ্লেষণ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের মূল বিশ্লেষকরা হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।
রিয়েলমি বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে রিয়েলমি বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/realmeBD/ -এ ঘুরে আসুন।
সব ধরনের রিচার্জে মেয়াদ বাড়ল গ্রামীণফোনের
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
বাংলাদেশের সাইবার জগতকে আরো নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছেন আহনাফ আল মিরাজ
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির
বিনোদন ডেস্ক:ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। আর মাঝে এক ঘণ্টা থাকবে বিরতি।
সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ভোট গণনা শেষে আজই ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। এদিকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অভিনয়শিল্পীদের আগমনে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বিএফডিসি প্রাঙ্গণ।
এবারের নির্বাচন ২৭ এপ্রিল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও জানা গেছে একটি প্যানেল আপত্তি জানালে পরে ১৯ এপ্রিল তারিখই চূড়ান্ত রাখা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এ নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করছেন ৪৮ প্রার্থী। প্যানেল দুটি হচ্ছে মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
কলি-নিপুণ পরিষদ: সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বাপ্পি সাহা। সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান।
প্যানেলটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, পলি, জেসমিন আক্তার, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।
মিশা-ডিপজল পরিষদ: সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।
এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রতœা কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মারামারিতে ১ জনের মৃত্যু,আহত ৭
মহেরপুরে কলাক্ষেত কেটে তছরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
পাঁকা আমের কাঁচা আটি
জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর( নীলফামারী) প্রতিনিধি:উত্তরের ১৬ জেলায় আম পাড়া শুরু না হলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমে সয়লাব হয়ে গেছে। আম পাকাশুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ মে থেকে নির্ধারণ করা হলেও সৈয়দপুরের আড়তে ২৮ এপ্রিল থেকে আম ওঠতে শুরু করেছে। অপরিপক্ক এসব আম নানা নামে ৩৬০০ থেকে ৪০০০ টাকা মন দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাল মোহন নামে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, গোপাল ভোগ ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরিপক্ক এসব আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকানোর ফলে আমের উপরের অংশ হালকা হলুদ ও বেশ চকচকে। যা ক্রেতারাও কিনছেন রশালো ও মিষ্টি ভেবে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার গরম আবহাওয়া ও বৃষ্টি না হওয়ার ফলে প্রায় গাছের আম ঝরে গেছে। একই সাথে আম বাড়তে সময় লাগবে। যেসব গাছে আম আটক হয়েছে সেগুলি ১৮ মের আগে পরিপক্ক হওয়ার কথা নয়। কৃষি বিভাগের ঘোষিত নির্ধারিত তারিখ ১৮মে ঘোষণা করা হলেও সৈয়দপুরের ফলের আড়ত ও খুচরা বাজারে কেমিক্যাল মিশিয়ে পাকানো আম বেচাকেনা চলছে জোরেশোরেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, কৃষি বিভাগ ১৮মের পরে আম পাড়ার নির্দেশ দিলেও আমরা ২৩ মে’র আগে আম পাড়াতে নিরুৎসাহিত করছি। কারণ ১৮ মে’র মধ্যে আম পরিপুষ্ট হবে না।একই মতামত ব্যক্ত করেন নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক ডক্টর এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে মে মাসের শেষের দিকে আসবে দেশি আঁঠির আম,আর জুন মাসের প্রথম দিকে নামবে গোপাল ভোগ, ল্যাংড়াসহ রংপুরের বিখ্যাত হাড়ি ভাংগা আম। তিনি বলেন, বাজারের যে সব আম বিক্রি হচ্ছে সেগুলি কেমিক্যাল মিশিয়ে অথবা কিলিয়ে পাকানোর মত।
ক্রেতা সহ সাধারন মানুষ বলছেন বাজারের যে সব আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির উপরের অংশ হালকা হলুদ রং এর হলেও মিষ্টি নেই এবং আটি গুলি কাঁচা। অধিকাংশ আমই ১২ ঘন্টার মধ্যে শুকিয়ে যাচ্ছে। শহরের ১ নং রেল ঘুমটি এলাকার একাধিক ফল বিক্রেতা জানান, গিয়াস উদ্দিন নামের এক আড়তদার নাটোর ও শান্তাহার থেকে যেগুলি আম আড়তে এনেছেন সেগুলির সবই অপরিপক্ক ও কেমিক্যালে পাকানো। ওই আড়তদার বিভিন্ন নামে আম বিক্রি করছেন এবং দামও নিচ্ছেন অনেক বেশি। তারা বলেন অপরিপক্ক পাকা আম বিক্রির দায়ে রংপুর বিভাগের অনেকের জরিমানা করা হলেও গিয়াস নামের ওই আড়তদার দাপটের সাথেই বিভিন্ন ধরনের আম বিক্রি করে চলেছেন। সৈয়দপু ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব বাদশা মিয়া জানান, সৈয়দপুর শহরের ২/৩ জন আড়তদার খুলনা,নাটোর ও রাজশাহী থেকে আম নিয়ে আসছেন এবং এখান থেকে জেলার বিভিন্ন বাজারে পাঠাচ্ছেন। কৃষি অধিদপ্তরের নির্ধারীত ১৮মে’র আগে যে গুলি আম বাজারে আনা হচ্ছে সেগুলির প্রায় সবই অপরিপক্ক পাকা আম।
জানতে চাইলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন অপরিপক্ক পাকা আঠালো আম খেলে পেটের পিড়া হবেই হবে। শিশু সহ বয়স্ক মানুষ ওইসব আম খেলে ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ
রবিবার ০৫ মে ২০২৪