Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

শুকনো ধান খড় তুলতে পেরে উৎসাহিত বিলপাড়ের কৃষকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর, তানোর: রাজশাহীর তানোর বিলকুমারী বিলে কৃষকরা শুকনো ধান খড় তুলতে পেরে বেজায় উৎসাহিত। কারন যে কোন বছরের তুলনায় এবার পাকা সোনালী ঝরঝরে ধান কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনায়। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ধান কালা শুরু হয়। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে বিলের ৫০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ। বিগত ৮-১০ বছরে এমন বাম্পার ফলন ও দাম পাননি বিলপাড়ের কৃষক কৃষানীরা। কিন্ত এবারের চিত্র পুরোটাই উল্টো, সবকিছুই সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে রক্ত ঘামের সোনালী ধান ঘরে। তবে কাটা শেষ হলেও মাড়ায় হয়নি বেশির ভাগ। বাড়ির খৈলানে খৈলানে ধানের পালা শোভা পাচ্ছে। ফলে ধানের পালাতে তুষ্ট কৃষানীরা।

রাতে ধান মাড়ায় করছেন পৌর সদর শীতলীপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবি ভূমিহীন কৃষক তোতা। সে বিলের নিচের ১ বিঘা জমির ধান তুলে মাঠে মেশিনে মাড়ায় করছেন। সে জানায় বিগত ১০-১২ বছরে এমন শুকনো ধান খড় তুলতে পারিনি। কিন্তু এবার শুকনো ধান ও খড় পেয়েছে। একবিঘায় নিম্মে হলেও  ২৫ মন ধান হবে এবং ৪-৫ পন খড় পাওয়া যাবে। ধানের খড়ের দাম ভালো আছে। সারা বছরের খাবারের চাল হবে।

আরেক ভূমিহীন কৃষক ফারুক জানান, এক বিঘা জমির ধান কাটা মাড়া শেষ হয়েছে। বিগত দশ বছরেও এমন শুকনো ঝরঝরে ধান খড় পায়নি। ফলন ভালো হয়েছে। নিচের জমিতে খরচ খুবই কম। এক দুবার সার বিষ দিতে হয়। সারা বছরের খাবার হয়েও কিছু ধান বিক্রি করা যায়। বিঘায় ঊর্ধ্বে ৪ হাজার টাকা খরচ হবে। এক বিঘা ২৫ মন ধান হয়েছে। বর্তমান বাজার ১১০০ টাকার উপরে। সব বাদ দিয়ে ২৮-৩০ হাজার টাকার ধান খড় বিক্রি হবে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার দুপাশে, হাতিশাইল টু কামারগা রাস্তার দুপাশে, কামারগা হয়ে শ্রীখন্ডা, বাতাসপুর, পারিশো দূর্গাপুর,মাদারিপুর হয়ে মালশিরা রাস্তায় কেউ মারায় করছেন, আবার কেউ বিবিন্ন যান বহনে বাড়ির খৈলানে নিচ্ছেন। কালিগঞ্জ থেকে তানোরের রাস্তা, কাশিম বাজার থেকে বুরুজের রাস্তা,  গোল্লাপাড়া থেকে শীবনদীর সংযোগ সড়কে এবং চান্দুড়িয়া থেকে বুরুজ হয়ে বাতাসপুর পর্যন্ত বাঁধে ধান মাড়ায়ের কাজ চলছে জরালো ভাবে।
কামারগা বাজার এলাকার কৃষক রবিউল জানান,  পাচ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। কিছু তোলা হয়েছে, আর জমিতে রয়েছে। আমি বোরো চাষ করার পর থেকে এস সুষ্ঠভাবে ধান তুলতে পারিনি এবং এত ফলনও দেখিনি। এউপজেলায় দুই ধরনের হিসেবে ধান কেনা বেচা হয়। আমাদের দিকে পাকি হিসেব, ৩৮ কেজিতে এক মন। পাকি হিসেবে বিঘায় ৩০ মনের বেশি ফলন হচ্ছে এবং শুখনো খড়ও পাওয়া যাচ্ছে।

তানোর পৌর সদরের কৃষক মফিজ জানান আমাদের দিকে কাচির হিসেব চলে। ২৮ কেজিতে এক মন ধরা হয়। বিঘায় ৩৫-৩৭ মন করে ফলন হচ্ছে। ভালো ফলন, দাম ভালো রয়েছে এবং খড় শুকনো পাওয়া যাচ্ছে। এক আটি খড় ৩-৪ টাকায় বিক্রি হবে। ধানের যে বাজার আছে অল্প দিনেই বেড়ে যাবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। বিশেষ করে কৃষি অফিসের তদারকি ছিল চোখে পড়ার মত। সঠিক পরামর্শের কারনে রোগবালা ছিলই না। বিলের জমির ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। তবে কাটা ধান জমিতে আছে অনেকের, দূ এক দিনের মধ্যে উত্তোলন হয়ে যাবে। দিনের বেলায় কাটা বহন ও রাতে চলছে মাড়ায়ের কাজ।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, চান্দুড়িয়া থেকে কামারগা ইউপির মালশিরা পর্যন্ত বিলের ৫০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। যা কৃষকেরা আসা করেনি এবং  শুকনো খড়ও পাচ্ছেন কৃষকরা। দ্বিগুনের বেশি লাভ হবে এবার। উপজেলায় বোরো চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। ৭০ হাজার মে:টন ফলনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু যে পরিমান ফলন হচ্ছে তাতে ১ লক্ষ মে:টনের বেশি হবে বলে ধারনা করেন এই কর্মকর্তা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.


আরও খবর



মাগুরায় মুক্তমঞ্চ আবহমান বাংলাদেশ উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত মুক্তমঞ্চ "আবহমান বাংলাদেশ " উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  মন্ত্রী পরিষদ সচিব   মোঃ মাহবুব হোসেন। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা  মোঃ আবু নাসির বাবলু  এর পরিকল্পনা এবং সক্রিয় ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল এই মুক্তমঞ্চ। শনিবার বিকেলে উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিফ উল হাসান, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের তত্বাবধানে এ মঞ্চ নির্মিত হয়েছে।

মাগুরা -১ আসনের সংসদ সদস্য  আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ সাইফুজ্জামান শিখর,   সাবেক জেলা প্রশাসক  ড:আশরাফুল আলম,
পংকজ কুমার কুন্ডু, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ,মাগুরা। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু সুফিয়ান, মো: ইয়াছিন কবীর এর আন্তরিক সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ধন্যবাদ জানান হয়।  ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কৃতিত্বের সাথে কাজ করেন  মোঃ তারিফ উল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাগুরা সদর ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

আরও খবর



রদ্রিগোর জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে সফল রিয়াল মাদ্রিদকে স্প্যানিশ ঘরোয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসর কোপা দেল রে’র শিরোপা জিততে ৯ বছর অপেক্ষা করতে হলো। ফাইনালের মঞ্চে ওসাসুনাকে রদ্রিগোর জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ২০১৪ সালের পর এই প্রতিযোগিতার শিরোপা পুনরুদ্ধার করল গ্যালাকটিকোরা।

সেভিয়ায় শনিবার রাতে ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল। তবে গোল হজমের পর দারুণ লড়াই করল ওসাসুনা। তারা সমতা ফিরিয়ে লড়াই জমিয়েও তুলেছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। শেষ পর্যন্ত রিয়াল ২০তম শিরোপা ঘরে তোলে। এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ৩১টি শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। আতলেতিক বিলবাও ২৩টি জিতে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে। রিয়াল তৃতীয়স্থানে।

এদিন খেলার ১ মিনিটে ৪৭ সেকেন্ডের মাথায় দুই ব্রাজিলিয়ানের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় রিয়াল। ওসাসুনার দুই খেলোয়াড়ের বাধা এড়িয়ে বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে কাট-ব্যাক করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। ছয় গজ বক্সের মুখে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান অরক্ষিত রদ্রিগো।

তবে ধাক্কা সামলে দারুণ ফুটবল খেলতে থাকে ওসাসুনা। বেশ কয়েকবার ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা। অবশেষে ৫৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত হাফ-ভলিতে গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার লুকাস তোরো।

কিন্তু ওসাসুনার সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭০তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় রিয়াল। বাঁ দিকের বাইলাইন থেকে ভিনিসিউসের কাট-ব্যাক ক্লিয়ার করলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি ওসাসুনা। টনির ক্রুসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান রদ্রিগো, বাকিটা অনায়াসে সারেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।


আরও খবর



ভোট দিয়ে যা বললেন জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি:ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে তার নিজ কেন্দ্র কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। এ সময় তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমও ভোট দেন।

ভোট দেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুন অভিযোগ করেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনি পরিবেশ ভালো। সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব।’ এর আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন জাহাঙ্গীরের মা।

ভোট দানের পর প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমের) ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জায়েদা খাতুন। পাশাপাশি সঠিক সময়ের মধ্যে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান তিনি

গাজীপুর সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৩২ প্রার্থী। তাদের মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন-নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ।

মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


আরও খবর



কেরালায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবিতে নিহত ২১

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কেরালায় সমুদ্র সৈকতের কাছে পর্যটকবাহী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। স্কুলের ছুটি উপভোগ করতে সমুদ্রে ঘুরতে এসেছিল তারা।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজ্যের মালাপ্পুরম জেলার তানুর এলাকায় তুভালথিরাম সমুদ্র সৈকতের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় সৈকতের কাছে ৪০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে নৌকাটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ইউনিট, রাজস্ব ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং জেলার তানুর ও তিরুর এলাকার স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কেরালার ক্রীড়ামন্ত্রী ভি আব্দুর রহিম ও পর্যটনমন্ত্রী পি এ মোহাম্মদ রিয়াস উদ্ধার অভিযানের সমন্বয় করছেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী ভি আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্যের ভিত্তিতে ২১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া নৌকার ভেতরে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু ছিল, যারা চলমান স্কুল ছুটির মধ্যে বেড়াতে এসেছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘নৌকাটি উল্টে গিয়ে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কেন এটি উল্টে গেল তার কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

একই তথ্য দিয়ে কেরালার পর্যটনমন্ত্রী পি এ মোহাম্মদ রিয়াস আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, নৌকার নিচে আরও অনেকে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।

এদিকে দুর্ঘটনায খবর জানা মাত্র শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। মালাপ্পুরম জেলা কালেক্টরকে একটি সমন্বিত জরুরি উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



বিরামপুরে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড পেল নাহিয়ান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ স্কাউটের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক জাতীয় শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার এ.এফ.এম নাহিয়ান হক। বাংলাদেশ স্কাউটস এর ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গত (০৭) জানুয়ারি ২০২১ তারিখে সারা দেশে ১১৬ টি কেন্দ্রে ২০২১ সালের শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড প্রার্থীদের জাতীয় পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মূল্যায়নে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড এর জন্য ১৭৩৩ জন কাব স্কাউটকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ.এফ.এম নাহিয়ান হক ১৭৩৩ জনের মধ্যে ১ জন। নাহিয়ান এর মা নাসরিন জাহান শিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং বাবা এ.এস.এম বেনজির হক, করোনাকালীন অনলাইন যোদ্ধা, সেরা কনটেন্ট নির্মাতা (এটুআই), আইসিটি ফর এডুকেশন অ্যাম্বাসেডর দিনাজপুর (এটুআই) ও সহকারী শিক্ষক কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাহিয়ান হক ২০২২ইং সালে প্রাথমিক বৃত্তি পান। নাহিয়ান শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এবং রংপুর সিদ্দিক মেমোরিয়াল ক্যাডেট এ কোচিং করছে।

কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, কাব শিশু হতে ২ বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে দীক্ষা গ্রহন করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে কাবের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। আমাদের স্কুল হতে প্রথমবারের মত জাতীয় শাপলা এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় আমরা গর্বিত। আমরা এটি অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।উপজেলা কাব স্কাউট লিডার বিরামপুর মডেল (৩নং) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর আলম বলেন, গত ৫ বছরে এই প্রথম বিরামপুর উপজেলার শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঃ হাকিম এবং কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেনজির হক কাব স্কাউট উডব্যাজ প্রাপ্ত হন।কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেনজির হক বলেন, আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার প্রশিক্ষণে জাতীয় শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। কাব স্কাউট নৈতিক শিক্ষা দেয়। সে এই নৈতিক শিক্ষা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করেছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার জানান, জাতীয় শাপলা কাব এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় নাহিয়ান এর জন্য অভিনন্দন রইল। স্কাউট শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলিত জীবন গঠনের শিক্ষা দেয়। পাঠ্যশিক্ষার পাশাপাশি এ শিক্ষা শিশু-কিশোরদের আত্মপ্রত্যয়ী, পরোপকারী, আত্মনির্ভরশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।


আরও খবর