Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশ দুঃসময় পার করছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৭৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:  শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশ একটা দুঃসময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ সংগ্রাম করে চলছে, জনগণের আন্দোলন বৃথা যায় না।

সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়ব।

সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে
বান্দরবানের ঘটনা প্রমাণ করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর
বাংলাদেশকে রাষ্ট্র বলে মনে হয় না : মির্জা ফখরুল
বর্তমান সরকারকে না সরিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে পরনির্ভরশীল করার ম্যান্ডেট দিয়েই এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এরই অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলের শিকার বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কঠিন দুঃসময় পার করছে বিএনপি।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জয়নুল আবদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা হাবীবুর রশীদ হাবীবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



রৌমারীতে হাট বাজারে টোল আদায় সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:স্থানীয় সরকার বিভাগ রৌমারী উপজেলার আওতাধীন সরকারি হাট-বাজার সমুহের ১৪৩১ বাংলা সনের টোল আদায়ের হার নির্ধারণ, পয়পরিস্কার, পেরিফেরি হাট-বাজারের বাইরে টোল আদায় না করা, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষ করে চলাসহ নানাবিধ বিষয়ের লক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান, এমপির প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম মিনু সহ-সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, হাট বাজার ইজারাদারগণ, ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, সরকার নির্ধারণের বেশি টোল আদায় করা যাবে না, উভয় পক্ষ হতে টোল আদায় করা যাবে না এবং উভয় পক্ষ থেকে টোল আদায় প্রমানিত হলে দন্ডবিধি মোতাবেক আদায় কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইজারাদ কর্তৃক টোল আদায়েল তালিকা লিখে হাট বাজারের প্রকাশ্য জায়গায় টানানোট নির্দেশ, ইচ্ছাকৃত ভাবে জনসাধারণকে ধোকা ও ঠকানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, হাট-বাজারের অলিগলিসহ কোন বিক্রয় স্থানকে সাব ইজারা বা এককালিন ইজারা দেয়া যাবে না, টোল আদায়ের রশিদে টাকার অংক উল্লেখ করে স্বাক্ষর থাকতে হবে, হাট-বাজারের পেরিফেরির বাইরে কোন টোল আদায় করা যাবে না, বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোন অন্যায় ও অনিয়ম হলে তার দায়-দায়িত্ব হাট-ইজাদারের উপর বর্তাবেও বলে ব্ধসঢ়;ক্তাগণ উল্লেক করেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সরকারি নিয়ম মাফিক হাট-বাজার চালানো ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের টোল আদায়ের প্রস্তাবনা তালিকা প্রেরণের জন্য আলোচনা সভাটি করা হয়েছে। তবে সরকারি টোল আদায়ের হার নির্ধারণের বাইরে অতিরিক্ত টোল ও উভয় পক্ষের নিকট টোল আদায়ের কোন সুযোগ নাই।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, সরকারের বাইরে কোন কিছু করার সুযোগ নাই। সরকারি ভাবে টোল আদায়ের নির্ধারিত তালিকার নিয়ম মাফিক টোল আদায় করতে হবে। 


আরও খবর



র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কমান্ডার আরাফাত ইসলাম র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

র‌্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি র‌্যাব-১৩ এ দায়িত্ব পালনের সময়ে র‌্যাব-১৩ প্রথমবারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শুধু বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তাই নয়, তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র‌্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড থেকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হয়েছেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর



নবীনগর শিবপুরে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের যুব সমাজ কর্তৃক  আয়োজিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নড়াইলের লাঠিয়াল দলের এই লাঠি খেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও আকর্ষণীয় বাশঁ নৃত্য দেখতে  উচ্ছ্বাসিত গ্রামবাংলার মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় । 

গেল বুধবার  বিকালে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণের উপস্থিথিতে মনোমুগ্ধকর, মনোরম পরিবেশে, পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও  লাঠি খেলাটি দেখতে দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ ।  ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দের তালে তালে নেচে প্রতিপক্ষের আঘাত পাল্টাআঘাত মোকাবেলা আর টানটান উত্তেজনা ছিল খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। প্রচণ্ড রৌদ্রতাপের মধ্যেও লাঠি খেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।

লাঠিয়ালদের শব্দের তালে তালে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে অন্যের ওপর। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলে প্রতিপক্ষকে হারানোর অদম্য চেষ্টা। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী ও দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা।

দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই, শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, এই লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়ছিল ।

শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাজী মোহাম্মদ  মুসা মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যশামীম আহমেদ দুদু ও শহীদুল্লাহ বাপ্পির যৌথ সঞ্চালনায় , উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী লিটন মেম্বার। 

অনুষ্ঠিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রধান অতিথি  বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফারুক আহমেদ ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস , ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু , ও নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ  মাহাবুব আলম, প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক কুয়েত প্রবাসী মোঃ রতন মিয়া সহ - অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ । 

পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন দুবাই প্রবাসী সমাজ সেবক সজরুল ইসলাম  সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নূরনগর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মাগুরায় হত্যা মামলার প্রতিবাদে ডাক্তারদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ!

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় ৪ ডাক্তারের  বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করেছেন মাগুরা জেলায় কর্মরত ডাক্তার সমাজ।মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল বেলা ১১.৩০ টার সময়ে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার ও দুপুর ২.৩০ টার সময়ে  জেলা প্রশাসক বরাবরে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

স্মারকলিপিতে  মাগুরা জেলার নিম্নস্বাক্ষরিত সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ, সিজারিয়ান অপারেশনের পরে একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনায় আমাদের কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা সাম্প্রতিক মামলা (ধারা: 304 (Part-2)/34, The Penal Code, 1860;] সম্পর্কে  গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান হয়

গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং প্রসূতি শায়লা রহমান সেতুকে পরিবারের লোকজন মাগুরা শহরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরিন আক্তারের নিকট আনেন এবং জরুরি সিজার অপারেশনের জন্য অনুরোধ করেন এবং অপারেশনের সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত হয়ে লিখিতভাবে সম্মতি দেন। সেই মোতাবেক এনেস্থেটিস্ট ডা. অরুণ কান্তি ঘোষ-এর সহায়তায় ডা. জাফরিন আক্তার যথাযথভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন। পরদিন ভোর অনুমান ৬টায় রোগির জটিলতা (PPH) দেখা দিলে রোগীকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের চিকিৎসকদল পুনরায় অপারেশন করেন। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় অপারেশনের পর আইসিইউ-এর প্রয়োজনে রোগিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগির স্বজনরা তাকে ঢাকার বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করান, যেখানে ৫ এপ্রিল রাত ১০-৩৬ মিনিটে বিভিন্ন জটিলতায় রোগি মৃত্যুবরণ করেন (ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত)। 

সমাজের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসাবে এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় আমরা রোগীর পরিবারের শোক অনুধাবন করি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস কবি যে, এই মামলায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নর হত্যার অভিযোগ কেবল উদ্দেশ্য প্রণোদিতই নয় বরং ভয়ঙ্কর বানোয়াট এবং সত্যের ভুল উপস্থাপনা।

আরও খবর