Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয় ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিক রাজুর উপর হামলার ঘটনায় মামলা ও আসামিদের গ্রেফতার দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের মৃত শাহাজাহান শেখের ছেলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে'র নির্বাহী সদস্য দৈনিক আমাদের কন্ঠের ক্রাইম রিপোর্টার রাজু আহমেদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ৩১/৪১৮। 

জানা যায়, গত ২৪ শে জুলাই মাদক, ঘনঘন চুরি ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রতিবাদ করায় দুধঘাটা এলাকার আলী ভূইয়া, শামসুল ভূইয়া, শাহাজালাল, হুসাইন ও আবুল ভূইয়ার নেতৃত্বে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল সন্ত্রাসী সাংবাদিক রাজুর উপর হামলা চালায়। ওইদিন রাত আনুমানিক পৌনে ৯ টায় সাংবাদিক নেতা রাজুকে রাস্তায় একা পেয়ে জোরপূর্বক নিকটস্থ একটি ফার্মেসীর ভিতরে নিয়ে যায়। টানা দেড় ঘন্টা নির্যাতন করে  হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রাজু আহমেদ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে সোনারগাঁও থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক রাজু। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে মামলা গ্রহন করে।

হামলার ঘটনার পরপর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ডিইউজের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম  বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আসামীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। 

হামলার বিষয়ে সাংবাদিক নেতা রাজু আহমেদ বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। অল্পের জন্য আমার জীবন রক্ষা হয়েছে। আমি অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম সুমন বলেন, প্রথমে অভিযোগ ও পরে তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।


আরও খবর



জুয়া খেলার অপরাধে ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:জুয়া খেলার অপরাধে  ২৭জনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ।  মঙ্গলবার  রাতে মিরপুর ১৩ নং কালভার্ট সংলগ্ন ময়লা ডাস্টবিনের পাশে সোহেলের রিক্সার গ্যারেজ হতে ১৪ জন এবং মিরপুর ১৩ আয়নাবিবি মসজিদের পাশে সাংবাদিকের গ্যারেজ হতে ১৩ জনসহ মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কাফরুল থানার এস আই মাহমুদুল হাসান এ তথ্য জানান। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  আমরা জানতে পারি দুটি জায়গায়  অবৈধভাবে জুয়া খেলা হয়। শোনা মাত্রই আমি পুলিশ  পাঠিয়ে তাদের গ্রেফতার করি।  

কাফরুল থানার এস আই মাহমুদুল হাসান জানান, ওসি স্যার বলা মাত্রই মিরপুর ১৩ নং কালভার্ট সংলগ্ন ময়লা ডাস্টবিনের পাশে সোহেলের রিক্সার গ্যারেজে অভিযান চালায় সেখান থেকে   ১৪ জন এবং মিরপুর ১৩ আয়নাবিবি মসজিদের পাশে সাংবাদিকের গ্যারেজ হতে ১৩ জনসহ মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করি । পরবর্তীতে আমরা তাদের  বিজ্ঞ  আদালতে প্রেরণ করি।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬০জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ-

টাঙ্গাইলের মধুপুরে  কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মুল্যে তালিকা ভুক্ত কৃষকদের নিকট  কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) বিতরণ করা হয়েছে।রবিবার(৫এপ্রিল) দুপুরে মধুপুর উপজেলা কৃষি পূনর্বাসন কমিটির বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার শিবরামবাড়ী গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে  এ  কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। 


উপজেলা কৃষি অফিসার শাকুরা নাম্নী'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠা‌নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  জুবায়ের হোসেন।ভর্তুকি মূল্যে উপজেলার শিবরামবাড়ী এলাকার কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) হস্তান্তর করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে  উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা, সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। 


এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের  হোসেন বলেন, সরকারী ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে । এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ে অল্প খরচে জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে পারবে এতে শ্রমিক সংকট দূর হবে।মধুপুর  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী  বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সরকারের পরিচালনার বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মেশিনটি  ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকের  মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।কৃষক  আরিফ হোসেন জানান এ যন্ত্র পেয়ে সে  খুশি। এ মেশিনের কারনে  বর্তমানে খরচ কমে অর্ধেকে নেমে আসবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর

আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




পত্নীতলায় মহান মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
দিলিপ চৌহান, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:সারাদেশের ন্যায় পত্নীতলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার পত্নীতলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ ৩২৫০) সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনগুলি পৃথক পৃথক ভাবে র‍্যালি শেষে স্ব স্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

'শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে  শ্রমিক সংগঠন গুলি স্ব স্ব কার্যালয়ে সকালে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ শেষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করে এবং স্ব স্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

পত্নীতলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে বেলা ১১টায় একটি র‍্যালি নজিপুর পুরাতন বাজার কার্যালয় হতে বের করে নজিপুর বাস স্ট্যান্ড গোল চত্বর হয়ে কার্যালয়ে ফিরে আলহাজ্ব মাওলানা খয়বর আলীর পরিচালনায় দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত শেষে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেন পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার বাবু হীরেন কুমার, জাতীয় মহিলা সংস্থা পত্নীতলার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার আমিনুল হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম কালু, অভিলাষ চন্দ্র, আনোয়ার হোসেন, ইসমাইল হোসেন, নৌশাদ আলী, সাঃবাদিক আঃ মতিন, মিজানুর রহমান, পরেশ টুডু প্রমুখ। পরে সদস্যদের মাঝে খানা বিতরণ করা হয়।

আরও খবর



মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃচলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি।

একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রুত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পুরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দিগুন থেকে তিনগুণ। অনেকেই ধান ক্ষেত পরিপক্ক হবার আগেই কেটে ফেলছেন।

কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। আবার অনেক এলাকায় ধানক্ষেত অর্ধ পরিপক্ক। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। তাই ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হবার আগেই অনেকেই কেটে ধানক্ষেত কেটে ফেরছেন।

সহড়াবাড়িয়া গ্রামের ধানচাষি গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রচ- খরায় একদিকে যেমন ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে পোঁকার আক্রমন। বালাইনাশক ব্যবহারেও কোন কাজ হচ্ছে না। মাস খানেক আগে যে জমিতে সপ্তাহে দুদিন সেচ দিতে হতো, সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে অনেক গুন। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

বালিয়াঘাট গ্রামের চাষি নাহারুল জানান, রোদে ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কাচা ধান কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন।

গাংনীর জুগির গোফা গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম জানান, ধান আবাদ করে এবার লোকসান গুনতে হবে। সেচের পানিতে এবার উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি ধান পাকতে আরো ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। প্রতিদিন পানি দেয়া সম্ভব না তাই অপরিপক্ক ধান কেটে নিচ্ছেন তিনি। একই কথা জানালেন বাথানপাড়ার আব্দুল মান্নান। তার আড়াই বিঘা জমির ধান বাধ্য হয়ে কেটে ফেলেছেন।

সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষী আলামিন জানান, খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর