গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের পুরাতন মুন্সিপাড়ার আকরাম হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন সুমন (২৮) ও কয়ানিজপাড়া এলাকার মনির ফকিরের ছেলে মেহেরাজ শোভন (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকরা প্রবাসী বাংলাদেশী ও অন্যান্য ব্যাক্তিদের থাই লটারীতে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভিডিও তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। মিথ্যা পরিচয় ও তথ্য দিয়ে তৈরীকৃত এসব ভিডিওতে থাই লটারী জিতিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এসব বিষয়ে স্হানীয় থানায অভিযোগও হয়।ওই অভিযোগের পর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহমদ উল্লাহ হক প্রধানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ওই দুই সদস্যকে আটক করে। পরে তাদেরকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশী করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে তৈরী ভিডিও, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
আটক কৃত যুবকরা জানায়, সৈয়দপুরে বর্তমানে থাই গেমের গডফাদার হলো সারোয়ার নামের এক যুবক। সে ৮/১০ হাজার টাকা বেতনে শহরের কোন এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তার বাবা গত এক বছর আগেও ছিরে যাওয়া জুতা সেন্ডেল সিলাই করতেন। শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের রেলওয়ের এক ঝুপড়ি ঘরে বসবাস তাদের। এক বছর আগেও একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতো তারা। কিন্তু একবছর পরে মুচির ছেলে সারোয়ারের শহরের তিন মহল্লায় ৩ টি বিশাল বাড়ির নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ সেদিকে নজর দেন না। আসলে মোটা অংকের অর্থ দিলে যে প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় তার প্রমান অনেক। থাই গেমের গডফাদার সারোয়ারের হঠাৎ করে কোটিপতি হওয়ার পিছনে কারন কি জানতে, দুদক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩ (২)/২৪ (২)/৩৫ (২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামিদের নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য যে যুবককে থাই গেমসের গডফাদার বলা হচ্ছে, সেটি প্রমান মিললে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।