Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

সংস্কারের নামে প্রতারনা দুবিঘার বেশি জমিতে পুকুর খনন নিরব প্রশাসন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পুরাতন পুকুর সংস্কারের অনুমতি নিয়ে পরিপক্ব গাছ পালা উজাড় করে আরো দু বিঘা ডাঙ্গা জমিতে পুকুর খনন করছেন বিএনপি নেতা ধান ব্যবসায়ী মতিউর ও আতাউর বলে নিশ্চিত করেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাউসার আলী। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) শ্রীখন্ডা গ্রামে ঘটেছে পুকুর খননের ঘটনা। বিএনপি নেতার এমন প্রতারনা ও এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরের পরে  ভূমি কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে হেরো ট্যাক্টরের চাবি নিয়ে অফিসে আসেন।

খবর পেয়ে খননের দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য বকুল হোসেন ও ভেকু মেশিন মালিক মোহনপুর উপজেলার জামাল উদ্দিন অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন ভূমি কর্মকর্তা কে। বকুল মেম্বার ক্ষমতাসীন দলের মেম্বার, তিনি প্রশাসন থেলে শুরু করে সবাইকে ম্যানেজ করার নাম করে পুকুর মালিকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও একই ইউপির ছাঐড় গ্রামের আরেক বিএনপি নেতা আবুলের পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে ফসলী জমিতে মাটি দিচ্ছেন। সেই মাটিতে সদ্য নির্মিত পাকা রাস্তা মাটিতে রুপান্তর হয়েছে। এতকিছুর পরও রহস্যজনক কারনে নিরব অবস্থায় প্রশাসন। অথচ স্থানীয় সাংসদের কঠোর নির্দেশ কোনভাবে রাস্তা নষ্ট করা যাবে না, এজন্য প্রশাসন কঠোর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন। আবার সামন্য বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে কোনভাবেই চলাচল করা যাবে না, ঘটবে ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা। ফলে দ্রুত অভিযান দিয়ে এসব মাটি ও ভেকু দস্যুদের আইনের আওতায় আনার জোরালো দাবি উঠেছে।

কামারগাঁ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাউসার আলী জানান, শ্রীখন্ড মৌজার অন্তর্গত ১২১৭ দাগে ৭০ শতাংশ পুরাতন পুকুর সংস্কারের অনুমতি রয়েছে। খারিজকৃত জমির মালিক রহিমা বিবি, জজে আব্দুর রশিদ। কিন্তু ৭০ শতাংশ পুরাতন পুকুর সংস্কারের নাম করে জালিয়াতির মাধ্যমে ১২১৮ দাগে ৪৪ শতাংশ সহ বিভিন্ন দাগে দুই বিঘা ডাঙ্গা জমিতে পুকুর খনন করছেন মতিউর ও আতাউর। আমি কয়েকদিন আগে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে খনন করতে নিষেধ করি। কিন্তু খননের দায়িত্বে থাকা মেম্বার বকুল ও ভেকু মালিক জামাল অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। রোববার দুপুরের দিকে পুনরায় গিয়ে দেখি খননের মাটি হেরো ট্যাক্টরে করে বহন করার কারনে পাকা রাস্তা প্রচুর ভাবে ভেঙ্গে গেছে। আমি একটি হেরো ট্যাক্টরের চাবি নিয়ে আসি এবং কাজ বন্ধ করতে বলি। পুকুরে ভেকু মেশিন ছিল, আসার খবর পেয়ে চালক পালিয়ে যায়। পরে বকুল মেম্বার ও জামাল নানা ভাবে হুমকি দিয়ে পুনরায় খনন কাজ করছেন। অনেক গুলো পরিপক্ব তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করে  দিয়েছে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তিনি আরো জানান ছাঐড় গ্রামে পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে চার ফসলী জমি ভরাট করছেন বকুল মেম্বার ও জামাল। মাটি বহনের জন্য পাকা রাস্তার চিহ্ন নাই। সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, শ্রীখন্ডা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পুরাতন পুকুর সংস্কার করার সময় কখনো থানা পুলিশ বাধা দেয় কখনো ক্ষমতাসীন দলের লোকজনরা বাধা প্রদান করেন। তিনি নিজের মার্কেটে মাটি দিচ্ছিলেন সেটাও বন্ধ করা হয়। তাহলে একই গ্রামের মতিউর কিভাবে নতুন পুকুর কাটছেন এবং মাটি বানিজ্য করছেন। কেউ এসে বাধা দিচ্ছেনা, ও ক্ষমতাসীন দলের মেম্বার বকুল দায়িত্ব নিয়েছেন এজন্য। আইন সবার জন্য সমান। এক চোখে তেল আরেক চোখে নুন কেন ও মতিউর বড় ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা একারনে সবাই বিক্রি হয়ে গেছে। আবার একই ইউপির ছাঐড়গ্রামে পুকুর সংস্কার ও মাটি দিয়ে চার ফসলী জমি ভরাট করা হচ্ছে, হিমাগার নির্মান হবে। সদ্য নির্মিত গ্রামের রাস্তা ও মুল রাস্তার চরম বেহাল হয়ে পড়েছে। ধূলা বালির জন্য গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে রাস্তায় পানি দিচ্ছে। একারনে পাকা রাস্তা কাদায় রুপ নিয়েছে। দিনরাত সমান তালে কাজ করলেও সবাই অজানা।

সুত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ চার বা তিন ফসলী জমিতে কোন শিল্প কলকার খানা করা যাবে না। সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে চার ফসলী জমি ভরাট করছেন রাজশাহীর বড় ঠিকাদার বজলুর ও খড়িবাড়ি বাজারের মোটরসাইকেল শোরুমের মালিক শরিফ। প্রায় ১৮-২০ বিঘা চার ফসলী জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে হিমাগার হচ্ছে। হিমাগারের জন্য বর্ষা মৌসুমে কয়েকগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জমিতে প্রচুর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
হিমাগার নির্মানকারী বজলুর জানান, হিমাগার তৈরি না হলে আলু কোথায় রাখবে। ফসলী জমিতেই তো হিমাগার করতে হবে। হিমাগার করতে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা লাগে না। 

ছাঐড় হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মতিউর জানান, ছাঐড় গ্রামের পাকা রাস্তার চিহ্ন নাই। পানি দেওয়ার কারনে কাদায় পরিনত হয়ে পড়েছে। আমিও দূর্ঘটনার স্বীকার হয়েছি। পুরাতন পুকুর সংস্কার করার অধিকার আছে, কিন্তু সরকারী পাকা রাস্তা নষ্টের কোন এখতিয়ার নাই। বড় মাপের লোকজন আমি ছোট মানুষ, আমার কথা কেউ শুনবে না। দ্রুত মাটি বহন বন্ধ না হলে দূর্ঘটনার শেষ থাকবে না। তিনি আরো জানান, ছাঐড় গ্রামে যে পুকুর সংস্কার করা হচ্ছে গত মাসে তার পাশেই সংস্কার করে মাটি বহনের কারনে রাস্তা নষ্টের দায়ে জামাল ও আরেকজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। তাহলে একই জায়গায় একই কায়দায় কিভাবে কি রাস্তা নষ্ট করতে পারে। কেন অভিযান দেওয়া হচ্ছে না।

গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, দিন রাত হেরো ট্যাক্টর ও ভেকু মেশিনের শব্দে অতিষ্ঠ সবাই। রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। ছেলে মেয়েরা পড়া লিখা করতে পারছে না। বাড়ি ঘর ধূলায় সাদা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বকুল মেম্বার ও জামালের ভয়ে কেউ কিছুই বলতে পারছেনা। হিমাগার নির্মান হলে বর্ষা মৌসুমে এর যন্ত্রনা টের পাবে জনসাধারন। রাঘব বেয়ালরা জড়িত এজন্য সবাই নিরব।
খননের দায়িত্বে থাকা  মেম্বার বকুল ও ভেকু মেশিন মালিক জামাল জানান, সবাইকে ম্যানেজ করে খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।

টাকা দিলে সবই হয়, ওই সময় সামান্য ভুলের জন্য জরিমানা দিতে হয়েছে। এজন্য সব লাইন ঠিক করে কাজ করা হচ্ছে। হাজারো লিখে কোন কাজ হবে না বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন তারা। থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়াকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি দেখছি বলে দায় সারেন। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানোরের অতিরিক্ত  দায়িত্ব প্রাপ্ত ইউএনও জানে আলম জানান, পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে পারবে, কিন্তু সরকারী পাকা রাস্তা নষ্টের কোন অধিকার নেই। আর নতুন ভাবে পুকুর খননের প্রশ্নই আসেনা। আমি সোমবার তানোরে গিয়ে চিরনি অভিযান পরিচালনা করব এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা তহসীল দারকে গালমন্দ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা। 

আরও খবর



দৌলতপুর চিলমারী ২০০ বিঘা পাকা ধান পদ্মায় বিলীন হতে চলছে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর চিলমারী মাঠের ২০০ বিঘা পাকা ধান পদ্মায় বিলীন হতে চলেছে। আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ত্রিপাক্ষিক সংঘর্ষের মাশুল দিচ্ছেন সাধারন কৃষক। ধান গোলায় না উঠলে, মুখে ভাত জুটবেনা তাদের। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পূর্ব আমদানি ঘাট এলাকার জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়নি। শতাধিক বাড়ি জনমানবশূন্য। মাত্র ১৬ ফিট রাস্তার সীমানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে ৫/৬ মাস যাবৎ স্থানীয় মন্ডল, খাঁ ও শিকদার বংশের আন্তঃকোন্দল ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বলি হচ্ছেন সাধারণ কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রামকৃষ্ণপুর মৌজার অধীনে চিলমারী মাঠে প্রায় ২০০ বিঘা পাকা ধান পড়ে আছে। প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েও ঘরে ফিরতে পারছেন না বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁনসহ শতাধিক নিরীহ কৃষক। স্থানীয়দের দাবী, অতি সত্বর ধান মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড় ্য়ঁড়ঃ;মোখা ্য়ঁড়ঃ; পরবর্তী আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেও ২/৩ পশলা বৃষ্টি হওয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বেড়েছে। বৃষ্টি হলেই ধান তলিয়ে যাবে পানির নিচে। যে সকল কৃষক ধান কাটতে পারছেন না- আজিজ খাঁ ৫ বিঘা,রাজ্জাক খাঁ ৩ বিঘা,নুরু খাঁ ৩ বিঘা,কুদ্দুস শেখ ৫ বিঘা,মোশারফ শেখ ৩ বিঘা,রহিম মেম্বার ২ বিঘা,বশির খাঁ ৩ বিঘা,লুৎফর রহমান ২ বিঘা,আবু তালেব খা ৩ বিঘা,আয়নালসহ শতাধিক কৃষক। চরাঞ্চলে আইন-শৃংখলার চরম অবনতি হওয়ায় গরু খামারী,দুধ বিক্রেতা,দিন মজুর,মৌসুমি ধান,গম ব্যবসায়ীসহ নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠী চরম বিপাকে পড়েছেন। পাকা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।


আরও খবর



সেতু থেকে পড়ে গেল বাস, নিহত ২২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মধ্য প্রদেশের খারগোন জেলার ওন পুলিশ স্টেশন এলাকায় আজ মঙ্গলবার ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু ও ছয়জন নারী আছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি সেতু থেকে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খারগোনের সাব-ডিভিশনাল অফিসার রাকেশ মোহান শুকলা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ইন্দোরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু দংগারগাওয়ের কাছে এক নদীর ব্রিজ থেকে বাসটি পড়ে যায়। নদীতে কোনো পানি ছিল না বলে জানান রাকেশ।

রাকেশ বলেন, সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত যাত্রীদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাসের চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারোত্তম মিশ্র বলেন, বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিল। খারগোনের দাসাংগা গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চালক ঘুমিয়ে ছিলেন এবং বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ব্রিজ থেকে বাসটি পড়ে যাওয়ার পর বাসটি চূর্ণ বিচুর্ণ হয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করেছেন।

মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং নিহতদের প্রতি পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের ৫০ হাজার রুপি, হালকা আহতদের ২৫ হাজার রুপি দেওয়া কথা বলেছেন। অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিহতদের প্রতি পরিবারকে ২ লাখ রুপে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

 


আরও খবর



গাজীপুরের মতো সব নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি

আলমগীর বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সামনে আরও চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন রয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ আগামী জাতীয় নির্বাচন গাজীপুরের মতো সুষ্ঠু হবে।

বর্তমান কমিশনের অধীনে ‘সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’দাবি করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো আমাদের সক্ষমতা সব সময় ছিল এবং এখনো আছে।

গাজীপুরে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’অনুষ্ঠানের পেছনে বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতির প্রভাব আছে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, এই নির্বাচনের সঙ্গে মার্কিনভিসা নীতির সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতেই সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবং আগামী দিনেও হবে। আমাদের কাজ হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করব আমরা।’

ইভিএমে নেওয়া ভোটের ফলাফল দেরিতে প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেক প্রার্থী ছিলেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এ জন্যই নির্বাচনে ফলাফল দিতে সময় লেগেছে।


আরও খবর



গাজীপুর সিটি নির্বাচন

জাহাঙ্গীরের মা যে প্রতীক পেলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: তফসিল অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম প্রতীক বরাদ্দ দিতে শুরু করেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। লটারির মাধ্যমে টেবিল ঘড়ি প্রতীক পেয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন।

এছাড়া জাতীয় পার্টির এম.এম নিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহ নূর ইসলাম রনি হাতি, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম মাছ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আতাউর রহমান হাত পাখা, জাকের পার্টির রাজু আহাম্মেদ গোলাপ ফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একজন থাকায় ওই ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়সাল আহমাদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। ওই ওয়ার্ডে চারজন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে ১৫ মে। শেষ দিনে মঙ্গলবার ৩৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ৩২৪ জন প্রার্থী তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।


আরও খবর



সিলেট সিটি করপোরেশন

প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিলেন মেয়র আরিফুল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

সিলেট ব্যুরো: আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আজ শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত এক নাগরিক সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

আসন্ন নির্বাচনকে প্রহসনের উল্লেখ করে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই মুহূর্তে সিলেট তথা সারা দেশেই কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নেই। আপত্তি সত্ত্বেও সিলেটে ইভিএমে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে। অথচ সিলেটের মানুষ ইভিএমের সঙ্গে একেবারে অপরিচিত। এখানে ইভিএম নিয়ে আসাই ভোট ডাকাতির ইঙ্গিত। বর্তমান নির্বাচনও কমিশন সুষ্ঠু ভোট চায় না। তারা ডিজিটাল ভোট ডাকাতি চায়।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে কারচুপির নীলনকশার অংশ হিসেবে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল শুরু হয়েছে। একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। আমার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এরকম অবস্থায় আমি নির্বাচনে যেতে পারি না। আমি বিএনপির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমি প্রহসনের নির্বাচনে প্রার্থী হব না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যারা মনে মনে আমাকে উকিল আব্দুল সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তারা আজ হতাশ হয়েছেন। আরিফুল হক কখনো উকিল আব্দুস সাত্তার হবে না। আমি আপনাদের আরিফ, আমি বিএনপির আরিফ। তাই আমার নেত্রী খালেদা জিয়া, নেতা তানেক রহমান ও আমার মায়ের নির্দেশে আমি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হব না। তাদের আদেশই আমার শিরোধার্য।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সিসিক মেয়র আরিফুল বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার বাসায় গিয়ে আমাকে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করছেন। আমি তাদের সবার কাছে, এই নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা করে দিন। তবে মেয়র না থাকলেও এই নগরবাসীর যে কোনো প্রয়োজনে, সব ভালো কাজে এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমি সব সময়ই থাকব।

প্রার্থী না হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনেও নানা ভয়, প্রতিবন্ধকতা ও কারচুপি উপেক্ষা করে এই নগরবাসী আমাকে বিজয়ী করে এনেছেন। তারা ফলাফল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ছাড়েননি। কিন্তু এবার প্রেক্ষাট ভিন্ন। এবার আপনারা চাইলেও আমাকে বিজয়ী করতে পারবেন না। কারণ এবারের ভোট হবে ইভিএমে। এবার আপনারা এক জায়গায় ভোট দেবেন, কিন্তু তা অন্য বাক্সে জমা হবে।

নগরবাসীকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই নির্বাচন আসলে নির্বাচন নয়, এটি প্রহসন। তাই আমার দলীয় নেতাকর্মীসহ সকল নাগরিককে এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাই। দয়া করে আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।

নির্বাচনে তফশিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থী না হতে আরিফুল হকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিএনপি। তবে মেয়র ২০ মে পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন।

সিলেট সিটির বর্তমান মেয়র আরিফুল হক এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়ে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। আরিফের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নির্বাচন নিয়ে তার আগ্রহও প্রকাশ পায়। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে ছিল। এ অবস্থায় দল আর নির্বাচন- এই দুটির মধ্যেই একটিকে বেছে নিতে হতো মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।

অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দলে থাকার ঘোষণা দিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। আজকের নাগরিক সভায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমার অস্থিমজ্জায়। ছাত্রজীবনে জিয়াউর রহমানের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আজীবন বিএনপিই হবে আমার শেষ ঠিকানা।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৩ মে এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। আগামী ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে।


আরও খবর