Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শীতে স্বাস্থ্য রক্ষায় চায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৪৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: শীত দ্বারপ্রান্তে। দেখা দিতে শুরু করেছে শীতজনিত সব ধরনের অসুখ। নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি-কাশিতে ভুগতে হয়। অনেকের আবার শীত এলেই শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়।এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা খুব জরুরি। শীতের সময় আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাদ্য রাখুন যা আপনাকে সুস্থ সবল রাখবে।

স্বাস্থ্য রক্ষায় চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতকালে চা পানের তৃপ্তি আরও বেশি। শরীর গরম রাখার পাশাপাশি অন্যান্য অস্বস্তি কাটাতে এই পানীয় অপরিহার্য। বিশেষ কিছু ধরনের চা রয়েছে যেগুলি এই মৌসুমের জন্য উপকারী। শীতের শুরুতেই জেনে রাখা ভাল কোন কোন চা এই সময়ের সবচেয়ে ভাল সঙ্গ হতে পারে।


ফাস্ট ফ্লাশ চা:  দার্জিলিং বা যেকোনও জায়গার চা উৎপাদনের প্রথম মৌসুমে যে চায়ের পাতা গজায়, সেই পাতা হল ফার্স্ট ফ্লাশ চা। অর্থাৎ চায়ের ফলনের সঠিক সময় (ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চ মাসে উৎপাদন শুরু হয়) যেটা সেই সময়ের চা। এই চা সবচেয়ে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যপ্রদ।

বাঙালির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অ্যাসিডিটি বা গ্যাস-অম্বল। সেই সমস্যা নিরাময়ে দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশ টি দারুণ কাজ দেয়। শরীরের মেটাবলিজম বা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বয়সের ছাপ পড়ে না, কোষের ড্যামেজ প্রতিহত করে। ক্যানসার প্রতিহত করে, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি : এই চা নিয়মিত পান করলে শুধু যে হার্ট ভাল থাকবে তাই নয়, তার সঙ্গে এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ওবেসিটি কাটাতে এই চা দারুণ কাজ করে। তাই এই চায়ের অন্য নাম স্লিমিং টি। এই চা ফ্লাভোনয়েড, ক্যাথেচিন ও এপিগ্যালোক্যাথেচিন সমৃদ্ধ হওয়ায় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আর এতে উপস্থিত পলিফেনলস নামক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফিউশন চায়ে টেনশন যায়: আজকাল ফার্স্ট ফ্লাশ, সেকেন্ড ফ্লাশ ইত্যাদি চা নানা রকমের স্বাদে মিলছে। তার সঙ্গে নানা প্রকার ফ্লেভার মিশিয়ে তাকে আরও সুস্বাদু করা হচ্ছে। এতে চা পানের ইচ্ছেটাও যেমন বাড়ে, তেমনই চা-এর চিরাচরিত স্বাদেরও বদল আসে। তাই গরম গরম চায়ের বদলে আজকাল ঠান্ডা চা বা আইস টি-ও অনেকেই পছন্দ করছেন। শীতকালে এই বিশেষ চা গরম পান করলে বেশ উপকার মেলে।

কাশ্মীর কাওয়া টি: হিমাচলপ্রদেশের পালমপুরের গ্রিন টি-এর সঙ্গে কিছু দেশীয় মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় কাশ্মীর কাওয়া। এই বিশেষ চায়ের স্বাস্থ্যগুণ অনেক। এই শীতকালে এই চা পান করলে অনেক উপকার। সাধারণত শীতকালে ঠান্ডায় অনেক কোষ-কলা ঝিমিয়ে পড়ে, কনকনে ঠান্ডাতেও শরীর গরম রাখতে এই চা ভীষণ ভাল কাজ দেয়। এছাড়া মানসিক চাপ ও স্ট্রেস কমাতেও উপকারী। এই চায়ে অ্যান্টিএজিং উপাদান অনেক বেশি মাত্রায় রয়েছে। তাই পান করলে ত্বকের জৌলুস বাড়ে, বয়সের ছাপ পড়ে না।

ক্যামোমাইল টি: ক্যামোমাইল এক ধরনের চা, কিন্তু চা গাছের পাতা নয়, ক্যামোমাইল ফুল এটি। সেই ফুলের শুকনো অংশ দিয়ে এই চা হয়। তারও স্বাস্থ্যগুণ অনেক। বিশেষত খুব চিন্তায় বা টেনশনে মধ্যে থাকলে, কোনও সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে সেক্ষেত্রে ক্যামোমাইল চা পান খুব কাজ দেয়। প্রয়োজনে অফিসের কাজের চাপে দুপুরে লাঞ্চের পর এককাপ ক্যামোমাইল চা পান করলে চাপ সামলানো কিংবা মেজাজ ঠিক রাখা অনেকটাই সহজ হতে পারে। এছাড়াও মাসিকের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর।

হার্বাল ইমিউনিটি টি:  শীতকালে সর্দি – কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। ঠান্ডা লেগে বুকে সর্দি বসে গেলে, গলা খুশখুশ করলে এই চা পান করলে নিমিষে উপশম মেলে। আসলে এই চায়ে চা পাতার সঙ্গে বিভিন্ন উপকারী হার্বস (লবঙ্গ, তেজপাতা, এলাচ ইত্যাদি) মেশানো হয়। যা কিনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। জ্বর, সর্দি, কাশি প্রতিরোধে ও প্রতিকারে কার্যকর।

আলফানসো মনসুন ফ্লাশ টি:  দার্জিলিং মনসুন বা বর্ষাকালে যে চা উৎপাদন হয় সেই চায়ের ন্যাচারাল সুগন্ধ অনেকটা কম। এই চায়ের সঙ্গে আলফানসো আমের পাল্প বা শাঁসের শুকনো অংশ মিশিয়ে চা তৈরি করা হয়। তারপর সেটা হট টি বা কোল্ড টি বানিয়ে পান করলে তার স্বাদ অপূর্ব। সারাবছরই গ্রীষ্মকালীন একটা মেজাজ অনুভব করতে, আমের স্বাদ পেতে এই চা অপূর্ব। ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ, ওজনও কমায়।


আরও খবর

"নোবেলের ম্যাজিক শুধু প্রতারণা"

মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24

ভালোবাসার দিন আজ

বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ মেহেরপুরে ক্ষেপেছে তামাক চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃব্রিটিস এমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি) মেহেরপুরের এক কর্মকর্তার প্রলোভনে তামাক কিনে বিপাকে পড়েছেন তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা। বেশি দরে তামাক কিনে বিএটিবি এখন কম দর দেওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন বিএটিবি এরিয়া ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন মাঠকর্মী। 

অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের মানিক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন তামাক চাষের পাশাপাশি তামাকের ব্যবসা করেন। এবার তামাক ক্রয় মৌসূমের শুরুতে বিএটিবি কর্মকর্তারা তাদের তামাকের দর যা দেয় তাতে মোটামুটি সšুÍষ্ট হয় চাষীরা। পরবর্তীতে দর নিয়ে নানা টালবাহানা এবং ওজনে বেশি নেওয়ার ঘটনায় চাষীদের মাঝে শুরু হয় অসন্তোষ। 

ভুক্তভোগী কয়েজনের অভিযোগ, বিএটিবির কর্মকর্তাদের আশ^াসে তারা অন্য চাষীদের কাছ থেকেও তামাক ক্রয় করেন। এলাকার অনেক চাষীর বিএটিবি তামাক চাষের কার্ড নেই। এমন চাষীদের কাছ থেকে তামাক ক্রয় করে কার্ডধারীদের মাধ্যমে বিএটিবি মেহেরপুর বাইংয়ে তামাক বিক্রি করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন থেকেই চলমান। তবে মানিকসহ কয়েকজন চাষী যে দরে এবার তামাক কিনেছেন তার চেয়ে অনেক কম দর দেয় বিএটিবি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ঠরা। এতে চাষীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। 

কালিগাংনী গ্রামের ইয়ারুল নামের এক চাষী বলেন, আমার চোষা তামুক প্রথমে ১৬০ টাকা কেজি দাম দেয়। দরাদম করার পর এক ম্যাডাম (বিএটিবি কর্মকর্তা) ১৭২, টাকা, ১৮৫ টাকা ও ১৯৫ টাকা কেজি দর দেয়। দাম কম হওয়ায় আমি তামাক  বাড়িতে ফিরিয়ে এনে ২১৫ টাকা কেজি দরে অন্য পার্টির কাছে বিক্রি করি। এভাবে তারা চাষীদের তামাকের দর কম দিয়ে ঠকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন চাষীরা। 

একই গ্রামের গোলাম দাউস নামের আরেক কৃষকের অভিযোগ, বিএটিবিতে তামাক নিয়ে গেলে বেলের ভেতর থেকে কয়েকটি ছোট তামাক পাতা বের করে। তখন মণ প্রতি দুই কেজি কম দেওয়া এবং কম দাওয়ার কথা বলায় তামাক নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরে আবুল খয়ের টোব্যাকোতে সেই তামাক ২২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আসি। 

চাষীদের অভিযোগ, বিএটিবি চাষীদের নানাভাবে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। ক্রয় মৌসূমে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় চাষীদের সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। এতে অনেক চাষী বিপাকে পড়েছেন। 

এদিকে বিএটিবি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী চাষীরা রোববার সংবাদ সম্মেলেন ডাক দেয়। এ খবর পেয়ে বিএটিবি কর্মকর্তারা নানাভাবে চাপ দিয়ে চাষীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা তদবির শুরু করে। 

কালিগাংনী গ্রামে গিয়ে তারা চাষীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও চাষীরা তাতে সাই দেয়নি। বিএটিবি কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন চাষীরা যাতে কোথাও লিখিত অভিযোগ না করে। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেন নি। 


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট কাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। 

এর মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএম এবং বাকি উপজেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসি সূত্রে জানায়, এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮জন প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ছয়জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে ও উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

এদিকে ভোটগ্রহণ উপলক্ষে বুধবার সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৪১টি উপজেলা পরিষদের (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী) সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন ৮ মে (বুধবার) সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল।

এছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট ১৪১ উপজেলায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ করতে হয়। সে অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতে ১৪১ উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো মন্ত্রী-এমপি প্রভাব বিস্তার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



রসুল নগর যুব সংসদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া হাজী নগর এলাকার নব মল্লিকাএকাডেমী'তে রসুল নগর যুব সংসদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এডভোকেট মলি আক্তার রিতা । সভাপতিত্ব করেন রসূল নগর যুব সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পেয়ার আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তুষার। এতে অন্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রসূল নগর যুব সংসদের অর্থ সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নেয়ামত উল্লাহ, ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ ইমরান হোসেন, হাজী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মজিবুর রহমান মন্টু, সুলাইমান মৃধা, নবমল্লিকা মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষিকা রীমা হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬৬নং ওয়ার্ড ডগাইড় উত্তর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুর রহমান ফয়সাল সহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী দের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করা হয়।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৬৭,৬৮,৬৯ নম্বর ওয়ার্ডকে ডিজিটাল হিসাবে গড়তে চান এডভোকেট মলি আক্তার রিতা।নাগরিকের অধিকার সর্বোচ্চ বজায় রাখতে চান তিনি।নারীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু নারীকে কর্মসংস্থান ব্যবস্হা করেছেন মলি আক্তার রিতা।তিনি অসহায় গরীব মেয়েদের নিজের অর্থ সহোযোগিতায় বিয়ে দিয়েছেন। নির্যাতিত নারীদের পক্ষ নিয়ে আইনজীবী হিসেবে বিনা অর্থে আইনি সেবা দিয়েছেন।এলাকাবাসীর অত্যন্ত পছন্দের একজন মানুষ হিসেবে করো বোন,কারো ভাবি,কারো মেয়ে হয়ে সামাজিক বহু সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের মাঝে এান খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন।

নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চান মলি আক্তার রিতা। নারী ও বৃদ্ধদের জন্য ব্যায়ামাগার নির্মাণ করতে চান সংরক্ষিত নারী আসনের এ প্রার্থী। এলাকার যানজট সমস্যা নিরসন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

মলি আক্তার রিতা বলেন, ওয়ার্ডের মাঠগুলোকে শুধু খেলাধুলা করার জন্য উপযোগী করে দেব। মেয়েদের খেলার সুযোগ তৈরি করব। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেয়েদের মাঠে খেলার ব্যবস্থা করে দেব। এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা বাড়াব। মাদক নির্মূল করার চেষ্টা করব,আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সুখে দুঃখে সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে থাকব। এলাকার অবহেলিত নারীদের উন্নয়নে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি।আমি যেন আরও বেশি করে জনগণের সেবা করতে পারি এজন্যই জনগণের অনুরোধে এবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


আরও খবর



ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটর'স কাউন্সিলের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সংগঠন ঝিকুট ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক সাইয়্যেদুল বাসারের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে মতবিনিময়ে উপস্থিত  ছিলেন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, দৈনিক স্বাধীন সংবাদের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, ঝিকুট ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মো. নয়ন মিয়া, সদস্য মো. মোয়াজ, সদস্য মো. রবিন প্রমুখ।

ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আশরাফ ইকবাল বলেন সারাদেশে যৌথভাবে কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এ মতবিনিময় ঝিকুট ফাউন্ডেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরও খবর