Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ, র‌্যাব ভালো কাজ করছে বলেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে সারা বিশ্বে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। আমাদের দেশকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।’

আজ বুধবার সকালে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে, পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জঙ্গি উত্থান ও তৎপরতা রোধে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। যখনই যে ইনফরমেশন তারা পাচ্ছেন সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা কিন্তু জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করে নিঃশেষ করে দিতে পারিনি। তবে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘পলাতক জঙ্গিদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরা যাচ্ছে না তা নয়, আমরা অনেক জঙ্গিকে ধরেছি। অনেক জঙ্গিকে খুঁজে বের করেছি। যারা পালিয়েছে তাদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। নিশ্চয় আমরা ধরে ফেলব।’

বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্টদের ওপর ও বইমেলায় বোমা হামলা করা হবে, এমন হুমকির উড়ো চিঠি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম অনেক হুমকি আসে। আমরা সব কিছু শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সামনে নির্বাচন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি গরম হচ্ছে, উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আসলে সব দলই তৎপর হয় দলই তাদের নির্বাচনী প্রচারণা, ব্যানার ফেস্টুন প্রচার ও নিজস্ব মতো কর্মসূচি প্রচার করেন। এটাই আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি। নির্বাচন আসলে সবার মধ্যে উৎসুক দৃষ্টি থাকে। সেই সময় সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত, চিন্তা নিয়ে কাজ করেন। সামনে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়নি। সবাই কাজ করছেন। আমার মনে হয় নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’


আরও খবর



বিরামপুরে এ্যাম্পল ইনজেকশনসহ আটক দুই

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩০ পিচ এ্যাম্পল ইনজেকশনসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেন, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার কালিকাপুর গ্রামের ফকির আলীর ছেলে আঃ খালেক (৫৫) ও ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ সদর থানার আকুয়া (আকুয়া মাসকান্দা হামিদ মুন্সির বাড়ি) গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহাগ (৩৪)। 

মামলা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ মে) বিকাল ৩টার দিকে বিরামপুর ২নং কাটলা ইউপিস্থ কাটলা বাজারের ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের নির্দেশনায় এসআই তুহিন বাবু'র নেতৃত্বে সর্ঙ্গীয় ফোর্স ওঁৎপেতে থাকেন। এসময় মাদক ব্যবসায়ী আঃ খালেক (৫৫) ও সোহাগ (৩৪) এ্যাম্পল ইনজেকশন নিয়ে ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে পৌঁছিলে তাঁদের শরীর তাল্লাশি করিয়া শরীরে বিশেষভাবে ফিটিং অবস্থায় ২৩০ পিচ মাদকদ্রব্য এ্যাম্পল ইনজেকশন উদ্ধারপূর্বক তাঁদের আটক করা হয়।এ ঘটনায় পুলিশ  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৭৪ সালের ২৫বি(২)/২৫-ডি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪, তাং ০৫/০৫/২৩ইং।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদ্বয়কে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরো জানান, মদক দ্রব্যের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আজ সোমবার (১৫ মে) পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। শোক বার্তায় শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক আজ সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০২১ সালের ৪ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক।

চিত্রনায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় তাঁর। এরপর তিনি পরিণত হন অন্যতম জনপ্রিয় নায়কে।

এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক ফারুক বড় পর্দায় আসেন। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ ইত্যাদি।


আরও খবর



জনকল্যাণে কাজ করতে বৌদ্ধ নেতাদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সকলকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৩’ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পৃথিবীর সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। প্রতিটি ধর্মেই অনেক ভালো বিষয় আছে।’ তিনি সব সময় যা উৎকৃষ্ট তা গ্রহণ এবং যা নিকৃষ্ট তা বর্জন করারও উপদেশ দেন। মানুষের কল্যাণের জন্যই ধর্ম, অকল্যাণের জন্য নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মানুষের জন্যই ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।

শুধু নিজে বা পরিবারকে নিয়ে ভাল থাকার চিন্তা না করে সকলকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। মহামতি বুদ্ধকে মানবতা ও মুক্তির পথিক হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ।
এই অঞ্চল তথা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদেরকে মহামতি বুদ্ধের শিক্ষাকে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারসহ হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে গৌতম বুদ্ধের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি সবাইকে সৎ ও সুন্দর জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ হওয়া, ভালো কাজে অন্যকে অনুপ্রাণিত করা এবং  নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা আজ বিকেল চারটা থেকে করে প্রায় ঘন্টাখানেক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মীয় গান ও মিউজিক এর সাথে রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, এমপি, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপসংঘরাজ শ্রীমৎ ধর্মপ্রিয় মহাথের, ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এবং ট্রাস্ট সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া  উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা, রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি মিশনের প্রধানগণ এবং আট শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথিসহ প্রায় সহস্রাধিক লোক অংশ নেন।


আরও খবর



ঢাকা-পাবনা সরাসরি ট্রেন চলবে সেপ্টেম্বরে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি। রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার আগমন ঘিরে পাবনায় যে এইভাবে আয়োজন হবে তা কল্পনাও করিনি। পাবনাবাসীর এই উচ্ছ্বাসের ঋণ আমি কীভাবে শোধ করব? আমি চিরকৃতজ্ঞ। এই আয়োজন আমি জীবনেও ভুলব না।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্মৃতিবিজড়িত এই ঐতিহাসিক মাঠে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের এত ভালোভাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত, আনন্দিত। ঢাকার বাইরে প্রথম সফরেই নিজ জন্মস্থান পাবনায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি হব এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছেন নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু

এ সময় আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করার ঘোষণা দেন‌ রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর সব দাবি পূরণের আশ্বাস দেন তিনি। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের এমডি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, সদস্যসচিব-১ অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সদস্যসচিব-২ আব্দুল মতিন খান এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।


আরও খবর



বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-ছেলেসহ আহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের কচুয়ায় সরকারি সড়কের নারকেল গাছ নিলাম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নুর মোহাম্মাদ ও তার ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে কচুয়া উপজেলার চরকাঠি মোড়ের চান্দু ওস্তার দোকানের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহতদের বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, চরকাঠি গ্রামের মৃত হাশেম আলী শেখের ছেলে নুর মোহাম্মাদ শেখ (৬৫), তার ছেলে আলতাপ শেখ (৪১) ও আলতাপ শেখের ছেলে সজিব শেখ (১৫)। জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলতাপ শেখ বলেন, রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা চরকাঠি থেকে পদ্মনগর পর্যন্ত নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছি।

ইজারা নেওয়ার পর দুইবার নারকেল পেড়েছি। সম্প্রতি পূর্বে যাদের ইজারা নেওয়া ছিল তারা আমাদের নারকেল পাড়ায় বাঁধা সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার সকালে চরকাঠি মোড়ের চান্দুর দোকানে এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইতরুপসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের নারকেল গাছের বিষয়ে শোনাশুনির কথা ছিল। এই জন্য সকালে আমরা চরকাঠি যাই। এসময় নজরুল ইসলাম রাঙ্গার নেতৃত্বে তার ছেলে বাবু শেখ, আইয়ুব আলীর ছেলে মোহসীন শেখ, সালাম শেখের চেলে আনিস শেখ, সাবু শেখসহ ৭-৮জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার মাথা কেটে যায় এবং আমার বাবার হাত কেটে গেছে। আমার শিশু ছেলেকেও মেরেছে তারা। আহত নুর মোহাম্মাদ শেখ বলেন, রাঙ্গা, মোহসিন ও তার লোকজন শুধু আমাদের নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় এলাকার অনেককে মারধর করেছে।

এলাকায় নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত রাঙ্গা ও তার লোকজন। আমরা এই হামলার সঠিক বিচার চাই। এদিকে নুর মোহাম্মাদ শেখ ও আলতাফ শেখের অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে বাবু শেখ বলেন, নুর মোহাম্মাদ শেখ ও তার লোকজন আমার বাবার উপর হামলা করেছে। বাবা এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন, যারা নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছেন তাদেরকে মারধরের একটি খবর শুনেছি। এ বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কোনপক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর