Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

সাংবাদিকদের লাঠিপেটা পুলিশের, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধান বিচারপতির

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের লাঠিপেটার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এর আগে গত সোমবার নির্বাচন পরিচালনা–সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এ প্রেক্ষাপটে ভোট হবে কি না, কে নতুন আহ্বায়ক হবেন, নাকি উপকমিটির অন্য সদস্যরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন— এসব নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনা চলে। গতকাল সন্ধ্যার পর সমিতি প্রাঙ্গণে আহ্বায়ক কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়।

আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো. মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন। অন্যদিকে, বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করেন। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নিয়ে দুই দলের আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থান এবং পরবর্তী সময়ে ধাক্কা-ধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে একদল পুলিশ ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের বের করে দেওয়া হয়। এ সময় ১৪ আইনজীবী ছাড়াও সেখানে থাকা বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন।

বিএনপি আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, পুলিশের হামলায় তাদের দল সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১৪ আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ভোট আমরা মানি না।

এদিকে পুলিশের উপস্থিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট গ্রহণ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়েছে। এদিকে ভোট নিয়ে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিপেটা আহত হয়েছেন অন্তত ছয় সাংবাদিক। এ ঘটনায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিদের কাছে পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা চেয়েছেন সাংবাদিকরা।

আজ দুপুরে  ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আশুতোষ সরকারের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল বিচারপতিদের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঠিপেটা বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা শুনে মর্মাহত ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এলআরএফ সভাপতি আশুতোষ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করে পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনরত একদল সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দোষীদের শাস্তি চেয়েছি। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। আমরা লিখিত একটি অভিযোগ দেব।


আরও খবর



আইপিএল পুরস্কারে কে কত টাকা পেলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:গুজরাট টাইটান্সকে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস। এ জয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসরে রেকর্ড পঞ্চমবার শিরোপা ঘরে তুললো মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। আইপিএলে এতদিন ৫টি শিরোপা জিতে এককভাবে শীর্ষে ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাই এর আগে ২০১০, ২০১১, ২০১৮ ও ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

এবারের আইপিএলে মোট ৬০ কোটি ৩১ লাখ টাকারও বেশি প্রাইজমানি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।  যেখানে শিরোপা জেতা চেন্নাই সুপার কিংস প্রাইজমানি হিসেবে জিতেছে ২৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর রানার্সআপ গুজরাট টাইটান্স পেয়েছে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

আইপিএলে কে কত টাকা পুরস্কার পেয়েছেন এক নজরে দেখে নিন :

চেন্নাই সুপার কিংস : ২৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

গুজরাট টাইটান্স : ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

তৃতীয় স্থান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : ৯ কোটি ৭ লাখ টাকা।

চতুর্থ স্থান  লখনৌ সুপার জায়ান্টস : ৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

ফেয়ার প্লে দিল্লি ক্যাপিটালস : শুধু ট্রফি

টুর্নামেন্ট শেরা শুভমান গিল : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মোহাম্মদ শামি : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

সেরা উদীয়মান জয়শাওয়াল : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

গেম চেঞ্জার  শুভমান গিল : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

সুপার স্ট্রাইকার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ও গাড়ি।

সর্বোচ্চ চার শুভমান গিল : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

সর্বোচ্চ ছক্কা ফাফ ডু প্লেসি : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

সবচেয়ে দীর্ঘ ছয় ডু প্লেসি : ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

মৌসুম সেরা ক্যাচ রশিদ খান: ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

সেরা পিচ ও গ্রাউন্ড ওয়াংখেড়ে ও ইডেন গার্ডেন্স : ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার যৌথভাবে।


আরও খবর



যশোর জেলা ‍বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : যশোরে বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন এসআই জয় বালা। মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, কাজী আজম, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পিকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। একইসাথে পাঁচটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া,  যশোরে কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় পৃথক নাশকতা মামলায় মোট ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বাদী এসআই জয়বালা উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শুক্রবার বিকেলে শহরের পূর্ববারান্দীপাড়া শতদল পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় নাশকতা কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা হাতবোমা, লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষনিক পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেল, তিনটি কাঠের লাঠি ও পাঁচ টুকরা ইট উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বারান্দী মোল্লাপাড়ার মনিরুল করীম ওরফে ফল নান্নু, একই এলাকার সাইদুর রহমান শাহীন, পূর্ব বারান্দিপাড়ার অ্যাডভোকেট এস এম আব্দুর রাজ্জাক, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রব, বারান্দীপাড়া বৌবাজারের আব্দুল কাদের, সিটি কলেজপাড়ার শেখ মোহাম্মদ, বারান্দী মালোপাড়ার তৌহিদুর রহমান, পূর্ববারান্দী মোল্লাপাড়ার রাব্বি হোসেন, শংকরপুরের তাইজুল ইসলাম তাজু, সিদ্দিকুর রহমান, মনিরুজ্জামান মানু, মনোহরপুর গ্রামের দাউদ ইব্রাহিম, সিরাজসিঙ্গা গ্রামের খালেকুজ্জামান, ভগবতীতলার হাফিজুর রহমান, শাহাপুর গ্রামের কাওছার আলী, পাচবাড়িয়া গ্রামের সাইফুজ্জামান মুন্না, নওদাগ্রামের আবু খায়ের, রুপদিয়ার শাহিন রহমান, জিরাট গ্রামের আব্দুল গণি, তেতুলিয়ার প্রভাষক মনিরুজ্জামান, ওয়াপদা পাড়ার মাহাবুব হোসেন আপন। এ ছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত আরও তিন আসামি সুজলপুরের নিছার আলী, ভাতুরিয়ার মহাসিন আলী ও জগমোহনপুরের ফারুক হোসেনকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। 

শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, বাউলিয়ার মোহাম্মদ মহাসিন, চান্দুটিয়ার শফিয়ার রহমান, নারাঙ্গালী গ্রামের ইদ্রিস আলী, আড়পাড়ার আমিনুর রহমান মধু, ঝুমঝুমপুরের জাহাঙ্গির হোসেন, পূর্ববারান্দীপাড়ার তারেক হোসেন চুন্নু, জিরাট গ্রামের আবু রাসেল, রুপদিয়ার হাসানুর রহমান লিটু, নরেন্দ্রপুরের আতিয়ার দফাদার, চাউলিয়ার সোহেল রানা তোতা, বিএম গোলাম রসুল, নরেন্দ্রপুরের আজিম হোসেন মিন্টু, ভেকুটিয়ার খাইরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুজলপুরের শামসু ওরফে ভাংড়ি শামছু। 

উল্লেখ্য, কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২৫জন ছাড়াও শার্শা থানায় ছয়জন, বেনাপোল পোর্ট থানায় পাঁচজন, বাঘারপাড়ায় তিনজন, চৌগাছায় দুইজন, ঝিকরগাছায় দুইজন ও মণিরামপুর থানা পুলিশ একজনকে নাশকতার পৃথক পেন্ডিং মামলায় আটক করেছে। জেলায় শনিবার বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানালেন

রোববার কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে ‘মোখা’

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে। আগামী রোববার নাগাদ এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন তিনি। এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আগামীকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে এটা আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দেশের পূর্বাভাস সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেছি, এটা এখন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এনামুর রহমান বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনো গড়ে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। আগামী ১২ মে নাগাদ এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেবে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে, সেটা আমাদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটির গতি ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারে এটি আঘাত হানবে। এটি টেকনাফের বর্ডার থেকে একটু দক্ষিণ দিক দিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আঘাতের সময় এর গতি ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এসওডি (দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

‘মোখা’ নিয়ে ঝুঁকির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একটি জেলা কক্সবাজারই আক্রান্ত হওয়ার বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের নিম্ন এলাকা।

উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘৫, ৬, ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি হলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে। সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সব নির্দেশনা দিয়েছি চট্টগ্রামের যতগুলো উপকূলীয় উপজেলা আছে সেগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার জন্য বলেছি।

এনামুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে খাওয়ার জন্য আমরা ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য। আমরা আশা করি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারব।


আরও খবর



কমতেই আছে ধানের দাম লোকসানে কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে সিন্ডিকেটে দিনের দিন ধানের দাম ব্যাপকহারে কমতেই আছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও রহস্য জনক কারনে কমছে ধানের দাম। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ টাকা বা এক মন ধানের দাম ৭৫০ টাকা, আবার ২ কেজি করে ঢলন, মনে ৭ টাকা করে খাজনা আদায়। এতে করে কৃষকরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে উঠছেনা খরচ, বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে নিজস্ব জমিতে ১৫০০-২০০০ টাকা লোকসান। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন বিভাগ একেবারেই নিরব।উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক মিজান জানান, আলু উত্তোলন করে ২২ বিঘা জমিতে ৭৬ জাতের ধান রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে ২০ বিঘা জমি টেন্ডারে আর ২ বিঘা নিজের। প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়ায় হয়েছে। এক বস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৪৫০ টাকায়। বিঘায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।  টেন্ডারের এক বিঘা জমি রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ। আর বিঘায় ১৮ মন করে ফলন হলে মনে ৭৫০ টাকা দাম হলে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা আসে। উর্ধ্বে বিঘায় ২০ মন হলে ১৫ হাজার টাকা হয়।একই এলাকার কৃষক মশিউর জানান, কোন জিনিসের দাম কমছে না। ধানের দাম কমলেও চালের দাম তো কমছেনা। আলু তোলার পর ৩২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে ২০ বিঘা কাটা মাড়াই হয়েছে, এক বস্তায় ২ মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ী হাজী সেলিম জানান, গত সোমবার ও রবিবারে প্রতি বস্তা ধান কিনেছি ১৪৫০ টাকায়। কিন্তু মঙ্গলবারে দাম কমে নেমেছে প্রকার ভেদে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে। কিন্তু চালের বাজর কমেনি।কৃষক চিমনা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, আলুর জমিতে যারাই ধান করেছেন তাদেরকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রচন্ড খরতাপ তারপরও কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে খাদ্য ঘাটতি মিটাচ্ছেন। সে অনুযায়ী কৃষকের পরিশ্রমের কোন মূল্য নেই। প্রতি দিন কমছে ধানের দাম, অথচ চালের দাম কমছে না। চাষের জন্য সার কীটনশকের দাম বাড়তি। আমি টেন্ডারে ৪৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১৭ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়াই করেছি। এক বস্তায় ২ মন ধান গত পাঁচ দিন আগে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত সোমবারে ১৫৫০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করে মঙ্গলবারে বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ ও ২০০ টাকা করে কমে গেল। কোন কারন ছাড়ায় মিলার ও আড়তদারদের মহা সিন্ডিকেটেই কমছে দাম। কারা এই সিন্ডিকেট করছে,প্রতি নিয়ত বাজার মনিটরিং করলে সিন্ডিকেট ধরতে পারত। কৃষি দপ্তরের বিপনন বিভাগও নিরব। কিন্তু তাদেরকে প্রতি দিন বাজার ধর কেন কমছে, কি কারনে বাড়ছে সে রিপোর্ট দিতে হয়। তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে থেকে ইচ্ছেমত রিপোর্ট দিচ্ছেন। যদি হাট বাজারে এসে কৃষকের সাথে কথা বলত তাহলে সঠিক রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারত। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস কোন রকমে মিলছে। তিনি আরো জানান, সাবেক মেম্বার পলাশের ১৫ বিঘা, সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ৩৫ বিঘা, মাজহারুলের ২০ বিঘা ও নোনাপুকুর গ্রামের কাদেরের ৫০ বিঘা, সাবেক মেম্বার বনকেশর গ্রামের জয়নালের ২০ বিঘা ধান কাটা মড়াই করে লোকসান হয়েছে, এদের  দু চার বিঘা জমি নিজের, বাকি সব টেন্ডারে। আর রফিকুল নামের কৃষকের ২০ বিঘা নিজস্ব জমি।

স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মাদ বলেন, প্রতিদিন ধানের দাম কমছে। ধানের দাম নিয়ে মহা সিন্ডিকেট চলছে। আবার সরকারি ভাবে ৩০ টাকা কেজি ধরে ধান সংগ্রহ করছেন। কিন্তু প্রচুর হয়রানির জন্য গুদামে ধান দিতে চায় না কৃষকরা। এসিন্ডিকেট দূর করতে না পারলে কৃষকদের পথে বসতে হবে। কারন আলু তোলার পর ধান চাষ হয় সেচ নির্ভরে। সেখানেও অরাজকতা, বিঘায় নানা অজুহাতে নিম্মে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত  সেচ হার আদায় করা হয়। আর মটরে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। অথচ সেচ কার্ডের মাধ্যমে হলে নির্ধারিত হারের অর্ধেকের কম খরচ হবে। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথা নেই।সম্প্রতি বাজার মনিটরিং বিষয়ে সভা করেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ওয়াদুদ হোসেন, ধানের দাম কেন কমছে কারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটরিং কমিটিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এমন নির্দেশনার পরও বাজার মনিটরিং কমিটির দেখা মিলছেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ।

আরও খবর



মানহানি মামলায় জবাব দাখিলে সময় পেলেন শাকিব খান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় জবাব দাখিলের জন্য চিত্রনায়ক শাকিব খানকে সময় দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার শাকিব খানের পক্ষে জবাব দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন শাকিব খানের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক সময় আবেদন মঞ্জুর করে জবাব দাখিলের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এরপর গত ৮ মে শাকিব খানকে আদালত জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করেন। মামলায় মানহানির অভিযোগ এনে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রহমত উল্লাহর আইনজীবী।

গত ১৮ মার্চ রাতে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। তবে, সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। পরদিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান।

পরে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২৬ এপ্রিল আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।

এরপর রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেন শাকিব খান। আদালত পিবিআইকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।


আরও খবর