Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সাংবাদিকদের লাঠিপেটা পুলিশের, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধান বিচারপতির

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের লাঠিপেটার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এর আগে গত সোমবার নির্বাচন পরিচালনা–সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এ প্রেক্ষাপটে ভোট হবে কি না, কে নতুন আহ্বায়ক হবেন, নাকি উপকমিটির অন্য সদস্যরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন— এসব নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনা চলে। গতকাল সন্ধ্যার পর সমিতি প্রাঙ্গণে আহ্বায়ক কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়।

আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো. মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন। অন্যদিকে, বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করেন। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নিয়ে দুই দলের আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থান এবং পরবর্তী সময়ে ধাক্কা-ধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে একদল পুলিশ ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের বের করে দেওয়া হয়। এ সময় ১৪ আইনজীবী ছাড়াও সেখানে থাকা বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন।

বিএনপি আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, পুলিশের হামলায় তাদের দল সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১৪ আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ভোট আমরা মানি না।

এদিকে পুলিশের উপস্থিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট গ্রহণ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়েছে। এদিকে ভোট নিয়ে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিপেটা আহত হয়েছেন অন্তত ছয় সাংবাদিক। এ ঘটনায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিদের কাছে পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা চেয়েছেন সাংবাদিকরা।

আজ দুপুরে  ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আশুতোষ সরকারের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল বিচারপতিদের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঠিপেটা বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা শুনে মর্মাহত ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এলআরএফ সভাপতি আশুতোষ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করে পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনরত একদল সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দোষীদের শাস্তি চেয়েছি। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। আমরা লিখিত একটি অভিযোগ দেব।


আরও খবর



মাগুরার ঈদ বাজারে বেচাকেনা কম ক্রেতাদের হাতে পয়সার অভাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরায় ঈদকে সামনে রেখে ঈদের বাজার   যেমন জমে ওঠার কথা তা এবার পরিলক্ষিত হয়নি। রোজা শেষ হতে চললেও মাগুরা শহরের দোকানপাটে বেচা কেনা আশানুরূপ হচ্ছেনা একথা জানান ব্যবসায়ীরা। একেত মানুষের কাছে পয়সার অভাব, অপরদিকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবের ফলে ব্যবসায়ীরা ভাল বেচাকেনা করতে পারছেনা। অপরদিকে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব ক্রয়ের বাজেট করেও   কিনতে  হীমসিম খাচ্ছে। মাগুরা বেবীপ্লাজায় ঈদের কাপড় চোপড় কিনতে আসা রুকসানা পারভিন জানান, পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য ১৫ রমজানের পর থেকে কিছু কাপড় চোপড় কিনে এখন বাকি সদস্যদের জন্য কিনতে বাজেট শেষ। ঈদকে সামনে রেখে   যুবক যুবতীরা রোজার প্রথমদিকে  তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করে। সে সময়   শহরের নুরজাহান প্লাজা, সুপার মার্কেট, বেবি প্লাজা, জামান মার্কেট, মরিয়ম প্লাজা, কাজী টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, খন্দকার প্লাজায় কাপড় বিক্রি হয়েছে।  সকাল ৯ টা থেকে রাত১২ টা পর্যন্ত চচলে বেচা কেনা। তবে দোকানীরা বলেন, ক্রেতার চেয়ে দেখার জন্য ভীড় এবার বেশী ছিল। মাস শেষে বেতন পাওয়ার পর 

বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে ঈদের পোশাক ক্রয়ে মানুষের ভিড় বাড়ছে। দোকানীরাও বলছে বর্তমানে বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে। ঈদে শিশুদের পছন্দের তালিকায় সবার আগে রয়েছে আফগানী সালোয়ার কামিজ।  তাছাড়া দোকানিরা জানান  গাইনি ও বুটিক কাজের কাপড় মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।  শহরের হাজীপুর কমপ্লেক্সের দোয়েল ফেব্রিক্স ও টেইলার্সের মালিক মোঃ আলাউদ্দিন।  বলেন, সামনে ঈদ নিয়ে কয়েকদিন আমরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছি।  তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দেশি থ্রি পিস।  দেশি থ্রি পিসের দাম ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বিদেশী থ্রি পিচ ১০০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে বিতরণ করা হয়। তবে বেচা কেনা কম। বড় বড় দোকানে ভীড় তেমন একটা না থাকলেও শেষ দিকে রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকানে নিম্নবিত্তের মানুষের ভীড় দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশের ছোট দোকানে ছেলে মেয়ের জন্য ঈদের কাপড় কিনতে আসা রিকসা চালক রওশন মিয়া বলেন, তিনটি ছেলে মেয়ে তাদের কাপড় কেনার ইচ্ছা নিয়ে দোকানে এসে কাপড়ের যা দাম তাতে কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি। এক সাথে তিনজনের না কিনলে হবেনা। তাই টাকা জমা করে আবার আসতে হবে। আর নিজেদের কাপড় কেনার কথা গত তিনচার বছর চিন্তাও করিনা। ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাব মাগুরায় ও পরিলক্ষিত হচ্ছে। থ্রীপিস মেয়েরা দেশী কিনছে  এছাড়া ভারতের শাড়ীর প্রতি দুর্বলতা খাকলেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবে ভাটা পড়ছে ভারতীয় শাড়ী বিক্রিতে। মাগুরা শহরের বকশী মার্কেটর মদিনা শাড়ীর দোকানের শাড়ী বিক্রেতা বিপ্লব জানান, এবার ভারতীয় কাপড় ক্রেতারা তেমন একটা চাচ্ছেনা। মানুষের হাতে টাকা কম তাই কেনা কাটায় প্রভাব পড়েছে। এদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসন ঈদের বাজারের শান্তিশৃংখলা রক্ষায় সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাগুরা ঈদের বাজারে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাজোর কাতিহার মন্দিরপাড়া এলাকায় নরেশ আমাসু রায়ের নির্মানাধীণ বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) পরিক্ষিত রায় (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিক্ষিত রায় উপজেলার চোপড়া উত্তর পাড়া এলাকার খিরেন্দ্র চন্দ্র রায়ের ছেলে। প্রতিদিনের ন্যায় স্থানীয় রাজমিস্ত্রী সুমনের সাথে কাজ করতে যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজোর মন্দির পাড়া এলাকায় নরেশ আমাসু রায়ের নির্মাণাধীন ভবনে ৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এসময় অসাবধানতাবশত পরিক্ষিত রায় রড কাটার জন্য ড্রিল মেশিনে বৈদ্যুাতিক সংযোগ দিতে গিয়ে ছেঁড়া তারের সঙ্গে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন । পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

পীরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ আমাদের হেফাজতে রয়েছে এজন্য রাণীশংকৈল থানায় আমরা একটি বার্তা পাঠিয়েছি। যাচাই বাচাই শেষে বার্তার উত্তর পেলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে মিলগেটের মূল্য ও ধানের জাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকতে হবে ওজনের তথ্যও।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ) থেকে কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে তীব্র গরমে ৩০ মৃত্যু, সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশটিতে।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দেশটির সরকার এ সতর্কতা জারি করে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটন নগরীটিতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার সেখানে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও প্রায় একইরকম তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

চলমান সময় নিয়ে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। এর আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি হয়।

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন জানান, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা স্থুল ও দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও পর্যাপ্ত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবচেয়ে গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

প্রসঙ্গত, গরম আবহাওয়ার একটি ঢেউ এ সপ্তাহে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র গরমের কারণে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে উপাসকরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে।

সূত্র:ফ্রান্স ২৪আরএফআইসাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট


আরও খবর

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর