Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিরসরাইয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে পানিতে ডুবে জাকারিয়া (৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরিয়তপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী ওই এলাকার রহিম উল্ল্যাহ হাজী বাড়ির কৃষক শিপনের ছেলে। সে স্থানীয় শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুম তালিমুল কোরআন মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

নিহতের চাচা কামরুল ইসলাম জানান, জাকারিয়া মাদ্রাসার বিরতির সময় বাড়িতে এসে পুকুরে গোসল করতে নামার একপর্যায়ে সে ডুব দিলে পুকুরে তলিয়ে যায়। পরে ৮-১০ জন মিলে পুকুরে খুঁজে তার সন্ধান পেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুল তালিমুল কোরআন মাদরাসার সুপার মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, জাকারিয়া মাদ্রাসার টিফিনের বিরতির সময় হওয়ায় বাড়িতে যায়। দুপুরে খাবার খেয়ে আবার মাদ্রাসায় ফেরার কথা। এর মাঝে পরিবারের অগোচরে গোসল করতে পুকুরে নামে। পরে খবর পাই সে আর নেই!


আরও খবর



রামগড় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মো. মোমিন প্রকাশ বাদশা(২১)নামের মাদক কারবারিকে  গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (১ মে) জেলায় চলমান বিশেষ অভিযান এর অংশ হিসেবে রামগড়  থানার একটি চৌকস দল  থানা এলাকায়  বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে    রাত ১২টার দিকে  রামগড় থানাধীন ১নং রামগড় ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ লামকু পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মো. মোমিন প্রকাশ বাদশা(২১), দেহ তল্লাশি করে তার পরিহিত জিন্স প্যান্টের ডান পকেট হতে একশত পাঁচ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী -মো. মোমিন প্রকাশ বাদশা(২১),খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সদর ইউপির ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লামকুপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. রুহুল আমিন, এর ছেলে।গ্রেফতারকৃত  আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে বিধি মোতাবেক  বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,খাগড়াছড়ি জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের লক্ষ্যে মাদক ও চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য রুখে দিতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। 

আরও খবর



কাফরুল থানা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : কাফরুল থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাফরুল থানাধীন মিরপুর ১৩তে  ৪ নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাফরুল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার (পল্লবী জোন) ডিবি মিরপুর মো: রাশেদ হাসান।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে কাজ করতে হবে। আপনারা যারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন তারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। আপনাদের কাজ শুধু তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। বাকি কাজ পুলিশ প্রশাসন করবে। আর পুলিশের পাশাপাশি আমাদের যারা ডিবি রয়েছেন তারাও কাজ করবে। কিশোর গ্যাং রোধে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান কোথায় যায় সেটি আপনাকে নজর রাখতে হবে। আপনার পাশে যেই ছেলেটি খারাপ আছে তার তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনার ছেলে ভালো কিন্তু যেই ছেলেটা খারাপ সেই ছেলে কিন্তু আপনি ছেলেকেও খারাপ বানিয়ে ফেলবে। তাই আপনার ছেলে হোক বা পরের ছেলে হোক খারাপ হলে  তার ব্যাপারে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। 

এ সময় বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসি ট্রাফিক পল্লবী (জোন) তানিয়া সুলতানা, এসি পেট্রোল (পল্লবী জোন) মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি  গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু,  কাফরুল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)   মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস আই বাদশা। 

অনুষ্ঠান শেষে সভাপতির বক্তব্যে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুকুল আলম বলেন, আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করুন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। পুলিশের একার পক্ষে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না। সকল সমস্যার সমাধান করতে হলে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর আপনারা যারা হুজুর রয়েছেন তারা প্রত্যেক জুমার দিন সকল মসজিদে এসকল কথা বলবেন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শিশু সুবর্নাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এতথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দেয়া কথা বললে শিশু সুবর্নাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী  ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) এতথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিও দিয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে  মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের  রশিদ মেম্বারের ছেলে  মিলন পাশা সহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে খেলতে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।  শিশুকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেন কে ৭ হাজার টাকা প্রস্তাাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরে ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৮ জন ধর্ষন করে শিশুটিকে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বার বার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দিবো।

তখন আসামীরা চিন্তা করে শিশুটি যদি ঘটনার কথা সবাইকে বলে দেয় তাহলে বিপাকে পড়তে হবে। তাই ধর্ষনকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শিশুটির পড়নের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়ে পিবিআইকে।

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায় শিশু সুবর্ণা কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।  এছাড়া তার যৌনাঙ্গ হতে কালো রক্ত বের হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) কে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার  দত্তকান্দি থেকে  শাকিব খান (২১) নামে এক যুবক কে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

আরও খবর



অভিনেত্রী তামান্নাকে বেআইনি সম্প্রচারের ঘটনায় তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার নাম এসেছে অনলাইনে আইপিএলের বেআইনি সম্প্রচারের ঘটনায় । এ ঘটনায় মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা থেকে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৯ এপ্রিলের মধ্যে পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, হাজিরা না দিয়ে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার কাছে সময় চেয়েছেন তামান্না।

গত বছর ‘ফেয়ার প্লে’ নামের একটি অ্যাপে বেআইনিভাবে আইপিএল সম্প্রচারের অভিযোগ ওঠে। এর আগে ‘মহাদেব বেটিং’ অ্যাপকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। তদন্তে পুলিশ দাবি করেছে, দুটি অ্যাপের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।

ওই অ্যাপের প্রচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে অতীতে অভিনেতা রণবীর কাপুর, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, সংগীতশিল্পী বাদশাসহ একাধিক বলিউড তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বাই পুলিশ।

এবার ‘ফেয়ার প্লে’ অ্যাপ সূত্রে পুলিশ ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ খ্যাত অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। এ ঘটনার জেরে ২৩ এপ্রিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকেও পুলিশ ডেকে পাঠায়। কিন্তু সূত্রের খবর, দেশের বাইরে থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারেননি।

এদিকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তামান্না ভাটিয়ার। তবে অভিনেত্রী সাইবার সেল টিমকে জানিয়েছেন, তিনি আপাতত মুম্বাইয়ে নেই। আবার হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করা হলে সেদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন।

আইপিএলের সম্প্রচারের স্বত্ব রয়েছে যে কোম্পানির অধীনে, ২০২৩ সালে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল। অভিযোগে বলা হয়েছিল, অনলাইন বেটিং অ্যাপ ‘ফেয়ার প্লে’ বেআইনিভাবে আইপিএল ম্যাচ সম্প্রচার করছে। বেআইনি সম্প্রচারের জন্য তাদের ১০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছে।


আরও খবর



তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃতাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে মেহেরপুরবাসীর। টানা কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ রোব্বার বিকেল তিনটায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রোব্বার বেলা চারটা পর্যন্ত শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। ষোলটাকা ইউনিয়নের বানিয়াপুকুর গ্রামে বেলা দুইটার দিকে তপ্ত দুপুরে মাথায় মাথাল দিয়েভুট্টা মাড়াই করছিলেন নজরুল ইসলাম কালাম আবুছদ্দীন ও মনিরুল। পাশের জমিতে ভুট্টা কাটছেন ইমদাদ আর কাউছার। তাদের ভাষায়, রোদির মদ্দি কাজ করতি সমেস্যা তো এট্টু হচ্চেই। কাজ না কল্লি তো আর হচ্চে না। কাজের ফাঁকে পর এট্টু জিড়িটিড়ি নিতে হচ্ছে। আমাগের হাত না নড়লিতো প্যাট চলবি না।

করিমপুর মোড়ে টং দোকানের সামনে কথা হয় কৃষক আবু বক্করের সাথে। তার ভাষায়, ‘জীবনকালে এমন গরম কখনো দেখেননি। এ গরম তো না মনে হচ্ছে গজপ। আমরা আগে দেকিচি এইরাম রোইদ পড়েচে, কিন্তু এইরাম তাপ ছিলুনা। সেই সুমায় খালে-বিলি পানি থাকতু। অ্যাকন কুথাও পানি নেই, রোদির ঝলক পড়চে। আমাদের বয়সে বহু কিচুই দেকিচি, অ্যারাম গরম দেকিনি।’

গোপালনগর চারচারা মোড়ে বটগাছের নীচে দেখা হয় কৃষক আকরাম আলীর সাথে। তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। একটু জিড়িয়ে নিতে গাছ তলায় বসেছেন। তার ভাষায় “ এমন গরম বাপের জন্মেও দেকিনি।আগে একঘন্টায় যে জমিতি পানি দেয়া হতো এখন লাগছে চারঘন্টা। সময় আর তেল দুটোই অপচয়।

কয়েকদিন আগে একটার মটরও পুড়ি গিছে। ইবার ধানে লুকসান হতি পারে।গাংনী রেজাউল চত্ত্বরে জুতা মেরামতকারী (মুচি) ভগত দাস রোদের মধ্যে ফাঁকা জায়গাতে ছাতির নীচে কাজ করছেন। সারা দিনে মাত্র ১২০ টাকার কাজ করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি জানান, দিন পনের আগেও এত তাপ ছিল না। সেসময় ৫/৬শত টাকা হতো।

এখন লোক সমাগম নেই তাই কাজও নেই। খদ্দেরের আশায় রোদের মাওেঝও বসে থাকতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আগের তাপ-গরমের সাতে অ্যাকনকার আকাশপাতাল তপাত। ঋতুর রদবদল হয়ে গিয়েচে। এই রোদি আর গরমে পারা যাচ্চে না। বয়স হয়ে গিয়েচে, অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে যাচ্চি।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আজ রোব্বার ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৮ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ৩০ জন। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই।

রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, তাপদাহ বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তার পাশে বা যেখানে সেখানে বিক্রি হওয়া আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাচ্ছেন। এগুলো অস্বাস্থকর। খাওয়া যাবে না। কারণ, একই গ্লাসে একাধিক ব্যক্তি শরবত পান করছেন। এতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হালকা পাতলঅ পোশাক পরতে হবে।


আরও খবর