Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে জবাবদিহিতায় আনার ব্যাপারে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার স্টাফ রিপোর্টার:সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ বিষয়ে সাংবাদিক ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু সাংবাদিকরা ইউটিউব ও ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন, আমি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই দাবির সঙ্গে একমত এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।

আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সময় বলেন, সাংবাদিকদের যোগ্যতা ও গুণগত মান নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য আরেকটি প্রস্তাব সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য উদারপন্থা দেখিয়েছে। . . আমরা গণমাধ্যমকে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে দিই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা (পেশাদার সাংবাদিক) গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে সাংবাদিকদের যোগ্যতা নির্ধারণে নীতিমালা চান। আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলে তা প্রণয়ন করবো।

বিদ্যমান আইন উপেক্ষা করে সম্প্রচার বা ইন্টারনেট সেবা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গণমাধ্যমে হঠাৎ ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সাংবাদিকদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা সর্বজনীন মানবাধিকার সনদের লঙ্ঘন। আমি দাপ্তরিক নির্দেশনা জারি করবো যাতে কোনও প্রতিষ্ঠান স্বল্প নোটিশে তার সাংবাদিকদের বরখাস্ত করতে না পারে। কাউকে ছাঁটাই করার নোটিশ কমপক্ষে তিন মাস আগে পরিবেশন করতে হবে।

একইভাবে, সাংবাদিকরা যদি পদত্যাগ করতে চান, তাদেরও একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে, যেমন দুই-তিন মাস আগে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

সাংবাদিকদের দাবি পূরণে এসময় তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মানস ঘোষ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।

আরও খবর



মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:ইন্টার মায়ামি স্পোর্টিং কানসাস সিটির পরে এবার নাশভিলের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে । দলের জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপজয়ী তারকার জোড়া গোলে সহজ জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

রোববার (২১ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মায়মি ও নাশভিল। ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জয় পায় মেসির দল মায়ামি। যেখানে তার জোড়া গোলের পাশাপাশি একটি গোল করেন সার্জিও বুসকেটস।

এই ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মায়ামিকে। দলটির ডিফেন্ডার ফ্রাঞ্চো নেগ্রির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় নাশভিল। অবশ্য মেসির জাদুতে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। খেলার ১১ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত এক গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন তারকা ব্যবধান সমান করেন।

প্রথমার্ধেই মায়ামি লিড গোলের দেখা পেয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে মেসির কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন বুসকেটস। এরপরে লিড নিয়েই এগিয়ে যায় মেসি বাহিনী। ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এলএমটেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি।


আরও খবর



বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ মেহেরপুরে ক্ষেপেছে তামাক চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃব্রিটিস এমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি) মেহেরপুরের এক কর্মকর্তার প্রলোভনে তামাক কিনে বিপাকে পড়েছেন তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা। বেশি দরে তামাক কিনে বিএটিবি এখন কম দর দেওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন বিএটিবি এরিয়া ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন মাঠকর্মী। 

অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের মানিক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন তামাক চাষের পাশাপাশি তামাকের ব্যবসা করেন। এবার তামাক ক্রয় মৌসূমের শুরুতে বিএটিবি কর্মকর্তারা তাদের তামাকের দর যা দেয় তাতে মোটামুটি সšুÍষ্ট হয় চাষীরা। পরবর্তীতে দর নিয়ে নানা টালবাহানা এবং ওজনে বেশি নেওয়ার ঘটনায় চাষীদের মাঝে শুরু হয় অসন্তোষ। 

ভুক্তভোগী কয়েজনের অভিযোগ, বিএটিবির কর্মকর্তাদের আশ^াসে তারা অন্য চাষীদের কাছ থেকেও তামাক ক্রয় করেন। এলাকার অনেক চাষীর বিএটিবি তামাক চাষের কার্ড নেই। এমন চাষীদের কাছ থেকে তামাক ক্রয় করে কার্ডধারীদের মাধ্যমে বিএটিবি মেহেরপুর বাইংয়ে তামাক বিক্রি করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন থেকেই চলমান। তবে মানিকসহ কয়েকজন চাষী যে দরে এবার তামাক কিনেছেন তার চেয়ে অনেক কম দর দেয় বিএটিবি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ঠরা। এতে চাষীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। 

কালিগাংনী গ্রামের ইয়ারুল নামের এক চাষী বলেন, আমার চোষা তামুক প্রথমে ১৬০ টাকা কেজি দাম দেয়। দরাদম করার পর এক ম্যাডাম (বিএটিবি কর্মকর্তা) ১৭২, টাকা, ১৮৫ টাকা ও ১৯৫ টাকা কেজি দর দেয়। দাম কম হওয়ায় আমি তামাক  বাড়িতে ফিরিয়ে এনে ২১৫ টাকা কেজি দরে অন্য পার্টির কাছে বিক্রি করি। এভাবে তারা চাষীদের তামাকের দর কম দিয়ে ঠকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন চাষীরা। 

একই গ্রামের গোলাম দাউস নামের আরেক কৃষকের অভিযোগ, বিএটিবিতে তামাক নিয়ে গেলে বেলের ভেতর থেকে কয়েকটি ছোট তামাক পাতা বের করে। তখন মণ প্রতি দুই কেজি কম দেওয়া এবং কম দাওয়ার কথা বলায় তামাক নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরে আবুল খয়ের টোব্যাকোতে সেই তামাক ২২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আসি। 

চাষীদের অভিযোগ, বিএটিবি চাষীদের নানাভাবে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। ক্রয় মৌসূমে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় চাষীদের সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। এতে অনেক চাষী বিপাকে পড়েছেন। 

এদিকে বিএটিবি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী চাষীরা রোববার সংবাদ সম্মেলেন ডাক দেয়। এ খবর পেয়ে বিএটিবি কর্মকর্তারা নানাভাবে চাপ দিয়ে চাষীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা তদবির শুরু করে। 

কালিগাংনী গ্রামে গিয়ে তারা চাষীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও চাষীরা তাতে সাই দেয়নি। বিএটিবি কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন চাষীরা যাতে কোথাও লিখিত অভিযোগ না করে। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেন নি। 


আরও খবর



বাংলাদেশের সাইবার জগতকে আরো নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছেন আহনাফ আল মিরাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৮০জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক ঃসাইবার নিরাপত্তার জন্য নির্ভর যোগ্য আহনাফ আল মিরাজ জন্ম চাদপুর জেলায় মতলব থানায় ।ছোট বেলা থেকে ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে তার ছিলো অসীম আগ্রহ। সেই আগ্রহ থেকে তিনি ইন্টারনেট ব্যাবহার নিয়ে ছিলেন সচেতন।আহনাফ আল মিরাজের সাইবার যাএা শুরু হয় এক নাটকীয়তার মাধ্যমে।

২০১৫ সালে আহনাফ আল মিরাজের ফেসবুক আইডি হ্যাকের স্বীকার হয় এবং তার ফেসবুক আইডিতে বেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিলো, তখন থেকে আহনাফ আল মিরাজের দেশের হয়ে কাজ করার চিন্তা করে,একজন সোস্যালিস্ট হিসাবে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে মানুষদের সাহায্য করতে তার উদ্যোগ নেয়, এরপর বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন দেন একটা গ্রুপ ছিল রাশিয়ার সেইখানে কাজ শিখতে থাকি এরপর নিজেকে দক্ষ করে ,অনলাইনে এসে সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়া চালু করলাম কাজের বিনিময়ে সে তার সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব মানুষকে খাওয়াতে হবে , এইভাবেই আমি দেশের মাঠিতে বসে আমি আমার দেশের হয়ে কাজ করে যাচ্ছি ২০১৬ থেকে দেশের অধিকাংশ মানুষ সাইবার সম্পর্কে জ্ঞান কম আহনাফ আল মিরাজ এই বিষয় সচেতনভাবে বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন সেলিব্রিটি রাজনৈতিক ব্যক্তি তাদের সাইবার নিরাপত্তার জন্য আহনাফ আল মিরাজের সরাপ্পন হন।

এইভাবে হয়ে উঠেছেন সাইবার নিরাপত্তা এক আস্তার নাম। আহনাফ আল মিরাজের ইচ্ছে আছে একদিন দেশের সবাই সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হবে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবায় সন্তষ্ট সেবাগ্রহীতারা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃনারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বেড়েছে কাজের গতি। নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান উপপরিচালক রোকনুজ্জামানের হস্তক্ষেপে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমান উপপরিচালক রোকনুজ্জামান একজন কর্মবীর মানুষ। তার হস্তক্ষেপে কমেছে দালালদের উপদ্রব। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যথাসময়ে পাসপোর্ট এর সেবা পাচ্ছে সাধারণ সেবা গ্রহীতারা।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকরা কোন দালাল চক্র বা অসাধু ব্যাক্তির খপ্পরে না পরে সে জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢুকতেই আপনার চোখে পড়বে অফিস ভবনের প্রত্যেক তলায় ও সিঁড়িতে কোন কর্মকর্তা কোথায় বসেন সে নির্দেশনা। এ ছাড়া নিচ তলাতেই কোন কাজের জন্য কোথায় যেতে হবে তা উল্লেখ করে বড় করে বোর্ড লাগানো হয়েছে। আর এভাবেই পাসপোর্ট আবেদনকারীদের পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের পাসপোর্টের আবেদন পত্র নিজে জমা দিয়ে সহজেই সঠিক সময়ে পাসপোর্ট হাতে পেয়ে খুশি সেবা গ্রহণকারী সাধারণ মানুষ।আঞ্চলিক এই পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করতে কড়াকড়ি নির্দেশ প্রদান করেছেন কর্মকর্তারা।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক রোকনুজ্জামান জানান,এনআইডি কার্ড এবং নাগরিকত্বের প্রমানাদি পেলে আবেদন কারীকে যথা সময়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেই, এখানে জটিলতার কোন অবকাশ নেই।

আনসার বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে দেখা যায় অফিস চলাকালীন সময়ে। কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ভেতরে প্রবেশে করতে পারবে না । ক্লোজ সার্কিট সিসি ক্যামেরা মনিটরিং স্টেশন। যে কেও যখন তখন কোন অপরাধ করলে সাথে সাথে তাদের সনাক্ত করা হবে। তারপরেও সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশান্তি পাচ্ছেন বলে জানা যায়। পাসপোর্ট আবেদনকারীরা নিজেদের ঝামেলামুক্ত রাখার সরাসরি নিজের পাসপোর্ট এর কাজ স্বাছন্দ্য ভাবে নিজেই করতে পারছেন গ্রাহকরা।

এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায় নিজের পাসপোর্ট সরাসরি আবেদন করতে পারছেন বলেই আগের মত দীর্ঘসময় ব্যয় করতে হচ্ছে না পাসপোর্টের সেবাগ্রহীতাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে পাসপোর্ট গ্রাহকরা নিজের পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে ১০ বছর মেয়াদে- ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ব্যাংক জমা ৮ হাজার ৫০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে সেটা-১০ হাজার ৩৫০ টাকা। একই সংখ্যক পাতায় ০৫ বছরের মেয়াদে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে জমা দিতে হয় ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। এছাড়া ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টে ১০ বছরের জন্য ৫ হাজার ৭৫০, আর জরুরি পাসপোর্ট করলে ৮ হাজার ৫০ টাকা করে পাসপোর্ট গ্রাহকরা জমা দিচ্ছেন সরকারি চার্জ অনুযায়ী এক টাকাও বাড়তি টাকার নেওয়া হয় নাহ।

০৫ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের আবেদন ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা। আর জরুরি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।

এসব সরকারী ফি এর বাইরে কোন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই এই অফিসে।


আরও খবর



দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকেঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সুচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙ্গামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙ্গামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আরও খবর