
বিনোদন প্রতিবেদক ;ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নামে অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণসহ নানা অসদাচরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তবে তার নামে কোনো মামলাই হয়নি বলে দাবি করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত শাকিবের আইনজীবী উপল আমিন। আজ সোমবার এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ দাবি করেন। উপল দেশটিতে ক্রিমিনাল ডিফেন্স ল’ইয়ার হিসেবে কাজ করছেন।
ভিডিওবার্তায় উপল আমিন বলেন, ‘কমপ্লেইন তো মানুষ করতেই পারে, কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে কমপ্লেইন করার পর আসলে কি হয়েছিল। এখন এই অ্যানি সাবরিন এবং মিস্টার রহমত উল্লাহ যে মিস্টার শাকিব খানের নামে একটি কমপ্লেইন দিয়েছিল সিডনি, অস্ট্রেলিয়াতে এই ব্যাপারটা তো শাকিব খান অস্বীকার করেননি। এই যে মিস্টার রহমত উল্লাহ মিডিয়ার কাছে এসে বলছেন যে মিস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে কমপ্লেইন হওয়ার পর শাকিব খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, উনার নামে মামলা করা হয়েছিল, উনি নাকি অস্ট্রেলিয়ার মামলা থেকে বাঁচতে দুই দুই বার পালিয়ে গিয়েছিলেন।’
শাকিব খানের আইনজীবী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে যে কেউ পুলিশ ষ্টেশনে গিয়ে অভিযোগ করলে তাকে একটি ইভেন্ট নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে জিডি বলা হয়, আর অস্ট্রেলিয়াতে ইভেন্ট নম্বর বলা হয়। দুটি জিনিস কিন্তু একই। এখন একটি ইভেন্ট নম্বর পাওয়া মানে এই নয় যে কারও নামে কোনো মামলা দেওয়া হয়েছে। মিস্টার রহমত উল্লাহ যে এই কথাগুলো বলেছেন- এই কথাগুলো আমার কাছে যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হয়েছিল এবং আমি শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় আইনজীবী হিসেবে আমি এ ব্যাপারগুলো চেক করেছি পুলিশের সঙ্গে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সেন্ট জোন্স ডিটেকটিভ অফিসে, হেড অব ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি সরাসরি। ডিটেকটিভ সার্জেন্ট মাইকেল বার্গের সঙ্গে কথা বলেছি এবং উনি আমাকে কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। ১. মিস্টার শাকিব খানের নামে কখনো কোনো মামলা হয়নি অস্ট্রেলিয়াতে, দেওয়া হয়নি। ২. মিস্টার শাকিব খানকে কখনো অস্ট্রেলিয়াতে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ৩. যেহেতু তিনি গ্রেপ্তার হন নাই, সেহেতু উনার পালানোর কথা আসেই না। এই ব্যাপারে পুলিশের তদন্ত শেষ এবং এই ব্যাপারটি পুরোপুরি ডিসমিস করে দেওয়া হয়েছে। ৪. শাকিব খানের নামে কখনো কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না।’
শাকিবের আইনজীবী উপল আমিন বলেন, ‘এখন উনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না, উনার নামে কোনো মামলা ছিল না, উনাকে কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, তো উনার তো অস্ট্রেলিয়া থেকে পালানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।’
শাকিবের আইনজীবী বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি যে বাংলাদেশে তার (শাকিব) বিরুদ্ধে যে প্রোপাগাণ্ডা চলছে, আমি মনে করে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। আমার মক্কেল শাকিব খানের সম্মানকে নষ্ট করার জন্য এই চক্রান্ত চলছে। শাকিব খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি রহমত উল্লাহ এনেছেন এটি একটি অর্থনৈতিক চক্রান্ত। আমার মক্কেলের কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য রহমত উল্লাহ এই কাজটি করছেন।’
উপল আমিন বলেন, ‘আমার মক্কেল শাকিব খান ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়াতে এসেছিলেন এবং ২০১৮ সালেও অস্ট্রেলিয়াতে এসেছিলেন। ওই দুই বার তাকে কখনো গ্রেপ্তার করা হয় নাই এবং তিনি কখনো পালিয়ে যাননি। আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে যা বলছি তা সম্পূর্ণ অস্ট্রেলিয়ার আইনভিত্তিক কথা বললাম। আমার মক্কেল ক্লিন- এটার ব্যাপারে আমি একটি কনফার্মেশন পাব অস্ট্রেলিয়া পুলিশ থেকে এবং সেটিও আপনাদেরকে দেখাব। রহমত উল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রহমত উল্লাহর উচিত এই অভিযোগ প্রত্যাহার করা।’