Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সাবেক সেনাকর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দীর ৮ দিন রিমান্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৩২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বুধবার (০১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

এদিন সারওয়ার্দীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক সুজানুর ইসলাম। এছাড়া মামলাটিতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ১২০ (খ) ধারা যুক্ত করারও আবেদন জানান তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সারওয়ার্দীকে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এই মামলায় গত ৩০ অক্টোবর মিয়া আরেফীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হলো সারওয়ার্দীকে। ওই মামলায় ইতোমধ্যে আরেফীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বিরামপুর পৌরসভার পানি ছড়াচ্ছে শীতলতার পরশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন হাঁসফাঁস  এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ জীবজন্তুসহ কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ জন। বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেও দেখা মিলেনি বৃষ্টির দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর এলাকায়। এ অবস্থায় বিরামপুর পৌরসভার নিজস্ব উদ্যোগে শহরের রাস্তায় রাস্তায় সকাল-বিকাল ছিটানো হচ্ছে পানি। গরমে অতিষ্ট শহরবাসী এতে ধুলি-বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা ও শীতলতার পরশ অনুভব করছেন।

জানা গেছে, প্রচন্ড খরা ও তাপদাহে প্রাণিকূলের ওষ্ঠাগত অবস্থা বিরাজ করছে। শুষ্ক মৌসুমে ধূলি-বালি থেকে নাগরিকদের রক্ষার জন্য প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের রাস্তায়-রাস্তায় পানিবাহী গাড়ী দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল পানি ছিটানো হয়।এতে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন, রাস্তার দু’পাশের দোকানী ও ক্রেতারা স্বস্তিতে চলাফেরা করতেন। কিন্তু, বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেরও এই এলাকায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শহরবাসী ও প্রাণিকূলের নাভিস্বাশ উঠেছে। এ অবস্থায় শহরবাসীকে শীতলতার পরশ দিতে অধিক পরিমাণে পানি ছিটানো হচ্ছে।

বিরামপুর কলেজ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা অটো চালক মিলন হোসেন বলেন, এই প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলাচল করা কঠিন ছিল। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানোর ফলে আমরা ধূলি বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। একই সাথে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি এবং অনুভব করছি শীতলতার পরশ।

বিরামপুর চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মেফতাহুন নাহার কবিতা বলেন, তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন  বিপর্যস্ত এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, কষ্ট পাচ্ছে  সাধারণ মানুষ ও প্রাণিকুল। এ অবস্থায় পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানো একটি মহতী উদ্যোগ। এতে আমরা ধূলিবালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। সেই সঙ্গে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি।

বিরামপুর পৌরসভার মেয়র  অধ্যক্ষ মো: আক্কাস আলী জানান, প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নানামূখি কার্যক্রম চলমান আছে। এই প্রচন্ড গরম থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য পানি ছিটিয়ে শীতলতার পরশ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর ফলে নাগরিকরা ধূলি- বালু ও রোগ জীবানু থেকেও রক্ষা পাবে। নাগরিকদের স্বস্তি দিতে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই পানি ছিটানোর কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবারের (১৭ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরেরর দিন বৃহস্পতিবারের (১৮ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:সারাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। স্বস্তি ফেরাতে পরিবহনের চালক,যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে রাজধানীর কাফরুলে বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে কাফরুল  থানা পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কাফরুলের বিভিন্ন  এলাকায় তৃষ্ণার্ত পথচারী ও দিনমজুর মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

কাফরুল  থানা পুলিশের এ আয়োজনে প্রায় ১৫০০  মানুষের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

পুলিশের এমন উদ্যোগে অনেকেই প্রশংসা করছেন। পথচারীরা বলছেন,প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাস্তায় চলাচলে মানুষ খাবার পানি ও স্যালাইন পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

পুলিশের মানবিক উদ্যোগে সবাই খুশি। প্রতিটি দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দেয়। রিকশা, সিএনজি ও লেগুনা থামিয়ে পুলিশকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে দেখা যায়।

কাফরুল  থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, তীব্র দাবদাহের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সেই দিক খেয়াল করেই আমাদের ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই পথচারীরা যেন তীব্র এই রোদের মধ্যে কোনো রকম কষ্ট না হয়। সেজন্য আমরা ক্ষুদ্র এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাবো সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে।

আরও খবর



আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক বিএনপি করত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক বিএনপি করত,বলেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেল মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল, যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারত না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন।

সংসদ নেতা বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করত। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। তাকে এক সময় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করল, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বার বার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এই ধরণের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরও তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন।

সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর