Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



ফুলবাড়ী উপজেলার সমশের নগরে বালু তোলায় বাঁধা দেওয়ায় কৃষককে মারপিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বুজরুক শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী সংলগ্ন কৃষক আজিজুল ইসলাম (৪০) এর জমির ধার থেকে বালু উত্তোলন কারীদেরকে বাঁধা দিতে গেলে সমশের নগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন কৃষক আজিজুল ইসলামকে বেদম মারপিট করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির বুজরুক শমসের নগর গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আজিজুল ইসলাম (৪০) এর গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবনগর ইউপির শমসেরনগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন (৩৫), মোঃ ফয়জুল ইসলাম (৩৯), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৭), তারা গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে সকাল ৯ ঘটিকার সময় শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। নদীর পাড় সংলগ্ন মোঃ আজিজুল ইসলামের আবাদি জমি রয়েছে, সেই জমি বালু তোলার কারণে ভেঙ্গে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে আবাদি জমি পর্যায়ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বালু তোলার কারণে। সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষক মোঃ আজিজুল ইসলাম তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখ্য ব্যক্তিরা আজিজুল ইসলামকে একা পেয়ে বেদম মারপিট করেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানায় ০৩ (তিন) জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছামেদুল ইসলাম (মাস্টার) এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শ্মশান ঘাটের পার্শ্বে ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে সেখানে আমার ট্রলি চলছে। তবে আমার ট্রলির ড্রাইভার বালু উত্তোলন করছে কিনা বলতে পারব না। সরকারি কাজে বালুর প্রয়োজন হওয়ায় সেখান থেকে প্রশাসনকে বলে কিছু বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কৃষক আজিজুল ইসলামকে কারা মারপিট করেছে আমি বলতে পারব না। এদিকে কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শ্মশান ঘাটি যমুনা নদী সংলগ্ন পাড়ের ধাঁরে আমার আবাদি জমি রয়েছে। সেই জমি ভেঙ্গে পড়ছে, আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারপিট করে। আমার স্ত্রী ও আমার পিতা সেখানে গেলে তাদেরকেও বালু উত্তোলনকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমি ন্যায় বিচারের আশায় থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।


আরও খবর



বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহিন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:৬ ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় ইতিমধ্যে সামাজিক যোগযোগ ফেসবুকে অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দিনাজপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন,সাবেক পৌর মেয়র কামাল হোসেন রাজ ও আমিনুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার ও নুরুন্নাহার বেগম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাচাইয়ে ৩ টি পদে ৭ জনেরই মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার।

এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কাছে। তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহীনুর রেজা শাহিন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন,বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের দিকনির্দেশনায় আগামী ৫ বছরে হাকিমপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিণত করে জনগণের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করবো। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে,আগামী ৫ বছরও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করতে পারবো।অতীতের মত ভবিষ্যতেও আমি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।


আরও খবর



পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃরাজশাহীর   পুঠিয়  উপজেলা নির্বাচনে মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে ) সকালে রাজশাহী জেলা প্রসাশকের সভা কক্ষে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী উপজেলা চেয়ারম্যানের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

এদিন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) কল্যান চৌধুরী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। এ সময় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, জিএম হিরা বাচ্চু (মোটর সাইকেল) প্রতীক, আব্দুস সামাদ মোল্লা (আনারস) প্রতিক, আহসানুল হক মাসুদ (ঘোড়া) প্রতীক। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, আব্দুল মতিন মুকুল (চশমা), ফজলে রাব্বি মুরাদ (টিউবওয়েল), জামাল উদ্দিন (তালা) প্রতীক,  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন মৌসুমি রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা), পরিজান বেগম (ফুটবল), শাবনাজ আক্তার ( হাস) প্রতীক  নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। 

প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এবারের নির্বাচনে পুঠিয়া উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার  ৭'শ ২৪ জন ভোটর এর মধ্যে ৮১ হাজার ৪১ জন পূরুষ ভোটার ও ৭৯ হাজার ৬'শ ৮৩ জন মহিলা ভোটার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে ৪'শ ৮১ কক্ষে ভোট প্রদান  করবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



মোবাইল নিয়ে ঝগড়া, মা ও সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করলো বাবা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে ছেলে-মেয়ের মোবাইলে গেম ও ভিডিও দেখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বাবা। এ সময় ছেলে-মেয়েকে ও বাবা পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) ও মারা যায়। আর ছেলে আল আমিন (১২) এখন দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে দিনাজপুর জেলার  নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটেছে। পরে হত্যার অভিযোগে বাবা শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে নবাবগঞ্জ পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে মা মর্জিনা বেগম (৩০) রান্না করছিলেন। এ সময় ছেলে আল আমিন(১২) ও মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) মোবাইল দেখছিল। এ সময় হঠাৎ দুই ভাইবোন মোবাইল নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। মা মর্জিনা বেগম দুইজনকে ঝগড়া বন্ধ করতে বলেন। তবে তারা থামছিল না। একপর্যায়ে তিনি গিয়ে ছেলে ও মেয়েকে চড়থাপ্পড় দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন শিশু দুটির বাবা শহিদুল। এসময় শহিদুল ও স্ত্রীর মধ্যে তর্ক ও ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী শহিদুল ইসলাম চৌকাট দিয়ে স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে পেটান। এতে তিনি মারা যান। এসময় তিনি ছেলে-মেয়েকেও পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে। পরে স্থানীয়রা শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার(৫)ও মারা যায়।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম জানান, রাতেই নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে জামাই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে  নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত  জামাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ফ্লোরিডায় নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বর্তমানে সেহেলী সাবরীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার মিশনে যোগদানের তারিখ থেকে বদলির আদেশ কার্যকর হবে।

২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।

২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।


আরও খবর