Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাশমিকার ডিপফেক ভিডিও নির্মাতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৯৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি;অবশেষে ধরা পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিও নির্মাতা। শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতের রাজধানী থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশের বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গত বছরের অক্টোবর মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও প্রকাশ হলে বিনোদন পাড়ায় শোরগোল পড়ে যায়। এরপর থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট শেয়ারে আইন প্রণয়নের জোর দাবি ওঠে।

প্রাথমিকভাবে গত বছর ৮ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওর প্রকৃত ব্যক্তি ছিলেন ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা প্যাটেল।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো পোশাক পরে লিফটে প্রবেশ করছেন রাশমিকা। আদতে জারা প্যাটেলের মুখের ওপর রাশমিকার চেহারা বসিয়ে পুরো মানুষটিকে রাশমিকা বানানোর চেষ্টা করা হয় ওই ভিডিওতে।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভ ও আতঙ্ক প্রকাশ করেন রাশমিকা। বলেন, ‘বিষয়টি সত্যিই ভীতিকর। এটি শুধু আমার জন্য নয়, প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে যে কেউ এর শিকার হতে পারেন।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন অপব্যবহারে সেসময় নিজেও খুব বিরক্ত হয়েছিলেন জারা প্যাটেল। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এ বিষয় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘ভিডিওটি আমার নজরে এসেছে। কেউ আমার ভিডিও নিয়ে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে একটি ডিপফেক ভিডিও তৈরি করেছে। ভিডিওটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

ডিপফেক হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা সিনথেটিক মিডিয়ার একটি রূপ যা একটি বিশেষ অ্যালগরিগমের সাহায্যে অডিও ও ভিডিও উভয় মাধ্যমকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করতে ব্যবহৃত হয়। ২০১৭ সালে একজন রেডিট ব্যবহারকারী প্রথম এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। এরপর থেকে স্ক্যামারদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জনপ্রিয় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারের সুনাম নষ্ট করতে এটি বর্তমানে সাইবার অপরাধীদের কাছে একটি শক্তিশালী অস্ত্র।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে হামলার শঙ্কা না থাকলেও সতর্ক ডিএমপি

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই, তবুও অতীতের সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে, তারা মহড়া করেছে।

এ অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা এলাকায় আজ সন্ধ্যা থেকে যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিছু জায়গায় ডাইভারশন দেওয়া হবে। যারা গাড়ি চালাবেন তাদের প্রতি অনুরোধ, যেন পুলিশকে সহায়তা করেন।

তিনি আরও বলেন, রমনার প্রবেশমুখে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ভেতরে-বাইরে সাদা পোশাকে ডিবি, এসবি, অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর থাকবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রমনা পার্কে প্রবেশের সুযোগ পাবেন, এরপর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সন্ধ্যার আগে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম থাকবে, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিক্যাল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ থাকবে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।


আরও খবর

৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




রাণীশংকৈলে মহান আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃমহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৩৮ বছর আগে ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের যে মার্কেটে শ্রমিকেরা কাজের সময় সীমা আট ঘণ্টা নির্ধারণ, কাজের উন্নত পরিবেশ, মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট আহবায়ন করেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সেদিন পথে নেমে এসেছিলেন। অত্যন্ত ববর কায়দায় দমন করা হয়েছিল সেই শ্রমিকের বিক্ষোভ। পুলিশের গুলিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন শ্রমিকেরা। 

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১ মে) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মহান মে দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলার মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাকটাংকলরী কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়ন, উপজেলা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন ও হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক সমিতির যোথ আয়োজনে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শামসুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সাবেক এমপি ইয়াশিন আলী, সাবেক সাংসদ ও জেলা আ'লীগ সহ-সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা,আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, আ’লীগ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ, ভাইসচেয়ারম্যান সোহেল রানা,জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম ও মোবারক আলী, বাংলাদেশ সহকারি শিক্ষা অফিসার কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি এসএমএ রবিউল ইসলাম সবুজ, এ্যাডভোকেট শেখ ফরিদ,আ'লীগ সহ-সভাপতি মুক্তার আলম, যুবলীগ সম্পাদক রমজান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান, নন্দুয়ার ইউনিয়ন আ'লীগ যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ আলী,পৌর আ'লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, রাজ-৮৮ সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহকারি শিক্ষক সাধন বসাক, শ্রমিক নেতা মোকসেদ আলী, আমজাদ আলী,প্রদিপ সাহা,সমির উদ্দিন প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রমিক নেতা হযরত আলী, 

এছাড়াও বিভিন্ন দলের পদে থাকা রাজনৈতিক নেতা কর্মী বৃন্দ,সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি বর্গ শ্রমিকেরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।অপরদিকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন,রিক্সা ভেন শ্রমিক ইউনিয়ন সহ কয়েকটি সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন এক সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন। 

আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর



বাড়তি ফি টেস্ট পরীক্ষার নামে নেওয়া যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টেস্ট পরীক্ষার নামে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না ও পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত না করার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সম্প্রতি এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা ও পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, বর্ণিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না ও পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই নির্দেশনার প্রতিপালন না করলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর

৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




প্রচন্ড গরমে স্বস্তি পেতে ফুটপাতের শরবতের দোকানে ভীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমে সৈয়দপুরের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রচন্ড তাপ আর ভ্যাপসা গরমে শরীর পুড়ে যাওয়ার ভয়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার চিন্তাও কেউ করছেন না।কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকের ঘরে থাকার উপায় নেই। তাপমাত্রা যতই থাকুক,দেশ ও জনগনের খোঁজ খবর রাখতে তাদের বাড়ির বাইরে বের হতেই হবে। অন্য দিকে জীবিকার তাগিদে দিনমজুরদের ঘরে থাকার ও উপায় নেই। প্রচন্ড তাপমাত্রায় একটু স্বস্তি দিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে শরবতের দোকান।


২৯ এপ্রিল দুপুর বেলায় শহরের অসহায় মানুষের খোঁজ খবর ও তথ্য পাত্ত সংগ্রহ শেষে ক্লান্ত শরীরে ফুটপাতের শরবতের দোকানে ভীর করেন মাটি ও মানুষের নেতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন।। তার সাথেই ছিলেন স্হানীয় একাধিক সাংবাদিক। প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে পান করেন ফুটপাতের শরবত।

এছাড়া শহরের প্রায় ১০ টি স্পটে খোলা হয়েছে সরবতের দোকান। অনেকে ভ্যানে করে বিক্রি
করছেন স্কুল কলেজ ও মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে।  দই, বেল ও হরেক রকম সুস্বাদু ও সুগন্ধি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে শরবত। সকাল ১১ টার পর থেকে বিকাল ৪/৫ পর্যন্ত ওইসব শরবতের দোকানে থাকছে প্রচন্ড ভীড়। 

২৯ এপ্রিল দুপুরে শহরের পোষ্ট অফিসের সামনে শরবত বিক্রেতা নাসিম বলেন, প্রায় ১০/১২ দিন থেকে লাগাতার গরম পরছে। একারনে মানুষ গরম থেকে সামান্য একটু স্বস্তি পেতেই শরবত পান করতে আসছেন। বিক্রি ও হচ্ছে প্রচুর।সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪/৫ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গ্লাসেরও বেশি শরবত বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এক গ্লাস দই এর সরবত ১০ টাকা, আর বেলের শরবত ২০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। 

শহরের ১ নং রেলঘুমটি সংলগ্ন আজমলের দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলের শরবত। ইসবগুল এর ভুষি, ও তোকমার সাথে আপেল সহ বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে শরবত।আর এই শরবত ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক গ্লাস।

তবে অনেকেই এসব শরবত নিয়ে প্রস্ন তুলছেন। কারন তাদের ব্যবহার করা করা আর বরফ স্বাস্থ্য সম্মত কি নয়। এনিয়ে দোকানী আজমল বলেন,আমি শরবতে যে পানি ব্যবহার করছি সেটি ফুটানো পানি।এর সাথে বাড়ির ফ্রিজের বরফ মিশ্রন করা হচ্ছে। 

সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে গরমে নেতা কর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়ে ফুটপাতের শরবতের দোকানে শরবত পান করি। আজ পর্যন্ত নোংরা কিছু চোখে পড়েনি। 

তবে ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, সবই ঠিক আছে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে শরবতের ওই পানিটাই যেন মানুষের অসুস্থতার কারন হয়ে না দ্বাড়ায়।কারন খোলা থাকা পানিতে অল্পতেই জিবানু বাসা বাঁধতে পারে। সাবধানতার সাথে এসব পান করতে তিনি পরামর্শ দেন।

আরও খবর