Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
উপজেলা নির্বাচন

৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কয়েক প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে আগামী ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রসঙ্গ, বুধবার (৮ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোট উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এবার ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চার ধাপে দেশের উপজেলাগুলোতে নির্বাচন করছে ইসি।


আরও খবর



রাস্তায় নিম্মমানের বিটুমিন ও সামগ্রী ব্যবহার ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) নেজামপুর-হাতিনান্দা পর্যন্ত্য ৩০০মিটার রাস্তা নির্মাণের কার্পেটিংয়ে নিম্নমাণের বিটুমিন ও বেডে নিম্নমাণের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, রাস্তা নির্মাণকাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিযমের অভিযোগ এনে গ্রামবাসি নির্মাণকাজে বাধা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ প্রয়াত হবার সুযোগে সাব-ঠিকাদার সুরুজ আলী তার নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করেছেন।স্থানীয় ইউপি সদস্যকে(মেম্বার) অবগত ও তার উপস্থিতি কাজ করার কথা থাকলেও তাকে জানানোই হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রাস্তার সাববেইজ করার সময় ইটের খোয়া ও বালু একইরকম ব্যবহার করার কথা থাকলেও এখানে চার ভাগের একভাগ খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কার্যসহকারি বলেন, এমনিতে বিটুমিনের মান খারাপ তার ওপর প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরের পরানপুর মাঠ থেকে ট্রলিতে করে পাথর নিয়ে আশায় টেম্পারেচারের মান নস্ট হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের সড়ক-মহাসড়ক উন্নত করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিটুমিন ব্যবহার নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। সেই প্রজ্ঞাপণে বিটুমিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইআরএল-এর বিটুমিন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেটি পাওয়া না গেলে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের 
বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্ত্ত নেজামপুর রাস্তায় সেই মাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। এখানে আমদানি করা নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাব-ঠিকাদার সুরুজ আলী বলেন,স্থানীয়রা যে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়েছে।এছাড়াও প্রকাশনগর পরানপুর গ্রাম থেকে চরশত মিটার রাস্তাও একই ভাবে অনিয়ম করে কার্পেটিং করা হয়েছে। খোয়ার ওপর করা হয়েছে কার্পেটিং। 

সরেজমিনে এমন অবস্থা দেখলে এসও শাহিন সালাম দ্রুত শ্রমিকদের বলেন পরিস্কার করে পিচ দিয়ে কার্পেটিং করতে হবে। প্রায় প্রতিটি রাস্তা দরপত্রে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায় তার কাছ থেকে এলজিইডির একশ্রেণির কর্মকর্তারা পছন্দের ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করতে বলেন। প্রায় রাস্তা অগ্রিম লাভ দিয়ে কিনে করার কারনে ব্যাপক অনিয়ম করা হয় বলে অহরহ অভিযোগ থাকলেও রহস্য জনক কারনে কর্তৃপক্ষ একেবারেই নিরব। যার কারনে বিভিন্ন দোহায়ে ও এলজিইডি অফিস কে ম্যানেজ করে চলছে অনিয়ম দূর্নীতির কাজ৷ যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে ভয়াবহ দূর্নীতি। 
 
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, রাস্তার কাজের অনিয়মের ব্যাপারে আমার জানা নেই, কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। তিনি বলেন, রাস্তা পরিদর্শনে অনিয়মের কোনো সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) বুলু বলেন, ঠিকাদারের বিল পরিশোধের আগে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা সরেজমিন পরিদর্শনের দাবি জানান।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেড় হাজার কোটি টাকা টোল আদায় ছাড়িয়েছে পদ্মা সেতুতে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম এ সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এরমধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ টি। অপরদিকে, জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি।

অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতুটি। চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।


আরও খবর



অহিদুল ইসলাম তুষারের প্রচেষ্টায় নার্সিং এ ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃবাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি, চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সারা দেশে ১৩১টি নার্সিং কলেজে আসন সংখ্যা ৬২১০টি। কিন্তু নার্সিং কলেজে চলতি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য মাত্র ২% আসন সংরক্ষণ করা কথা বলা হয়। এ বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারের দৃষ্টিগোচর হলে ভর্তি পরীক্ষায় ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কার্যকরে তৎপর হউন। এবং ২% এর পরিবর্তে ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কার্যকরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব,স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ডিজি, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের পরিচালককে চিঠি দেন এবং সরাসরি সাক্ষাৎ করে চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকেই ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণে অনুরোধ করেন। গত ৪ মে,২০২৪ খ্রি. ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৫ মে ফলাফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল। উক্ত ফলাফল দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য ৫% আসন অর্থাৎ ৩১০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। 
এ বিষয়ে “ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম “ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , সরকারি নির্দেশনা আছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫% আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করার কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় ব্যত্যয় ঘটছিল। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলও দীর্ঘদিন ধরে ২% মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করে আসছিল কিন্তু এ বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ডিজি ও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের পরিচালকে চিঠি দিই এবং ৫% কোটা অনুসরণে অনুরোধ করলে তারা মেনে নেন যা ফলাফলে বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে করি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বীরপুত্র অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন , মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল নিয়েও এমন হয়েছিল পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে রিট করে আমরা ৫% করে নিয়ে আসছি। তিনি আরও বলেন , এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মেডিকেল /ডেন্টাল / নার্সিং এ সব মিলিয়ে ৭৭৭টি'র অধিক আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য আমরা সংরক্ষণ করতে পেরেছি ।

তবে এ সফলতার পেছনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। বিশেষ করে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নামে এক অফিসারের প্রতি। এবং যথাযথ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করায় স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিবকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে প্রশাসনের ব্রিফিং অনুষ্টিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:৮ মে অনুষ্টিতব্য প্রথম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গায়  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করতে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গায় উপজেলায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং  অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী,র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।

এসময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিেম (বার),জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ কামরুল  আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)মো.মিজানুর রহমান,মাটিরাঙ্গা সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ,মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মুহাম্মদ হাসান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর সহ ভোটগ্রহন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), বিশেষ অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ, ভোট নিশ্চিত করতে  প্রশাসন, ভোটার, প্রার্থী  সকল কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এবং খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা  পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা  পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত আছে।তাই ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে এবং নির্ভয়ে  নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান। 

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটারদের নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।ভোট কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম দেখা দিলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান।

মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬জন প্রিজাইডিং, ২শত ২৬ জন সহ-প্রিজাইডি এবং ৪শত ৫২পোলিং অফিসার ভোট গ্রহন করবেন। ১টি পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা  ৯০হাজার ৩শত ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪৬হাজার ১শত২০জন।  মহিলা ভোটারের সংখ্যা  ৪৪হাজার ২শত ৬২জন। 

আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর