Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করুন: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।

আইন একটি মহৎ পেশা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আইনি সেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষ যেন আইনজীবীদের আচরণে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, নিজেদের  মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে তবে দায়িত্ব পালনকালে রাজনীতির ঊর্ধ্বে আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আশা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আইনজীবীরা দলমত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জে নবনির্মিত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি এ সময় আদালত চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সায়েদুর রহমান খান কিশোরগঞ্জের বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

জনগণ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে বিচারকদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

এ সময় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে বিচারকগণ কিশোরগঞ্জে একটি বিদ্যুৎ আদালত স্থাপনের দাবি জানান।


আরও খবর



ঢাকা-পাবনা সরাসরি ট্রেন চলবে সেপ্টেম্বরে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি। রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার আগমন ঘিরে পাবনায় যে এইভাবে আয়োজন হবে তা কল্পনাও করিনি। পাবনাবাসীর এই উচ্ছ্বাসের ঋণ আমি কীভাবে শোধ করব? আমি চিরকৃতজ্ঞ। এই আয়োজন আমি জীবনেও ভুলব না।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্মৃতিবিজড়িত এই ঐতিহাসিক মাঠে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের এত ভালোভাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত, আনন্দিত। ঢাকার বাইরে প্রথম সফরেই নিজ জন্মস্থান পাবনায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি হব এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছেন নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু

এ সময় আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করার ঘোষণা দেন‌ রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর সব দাবি পূরণের আশ্বাস দেন তিনি। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের এমডি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, সদস্যসচিব-১ অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সদস্যসচিব-২ আব্দুল মতিন খান এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।


আরও খবর



ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ফের হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ফের অতর্কিত হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত একজন নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওডেসায় একজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী কিয়েভের দুই শহরে বিধ্বস্ত ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে দুই জায়গায় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।

রাশিয়ান মিসাইল ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের 

বৃহস্পতিবার বার্তা আদান প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাতচাক লিখেছেন, ওডেসায় রুশ বাহিনীর হামলায় আরও দুইজন আহত হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কিয়েভের দেসনিয়াস্কি জেলায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবরও জানিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ভিনিতসিয়া অঞ্চলে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে খামেলিতস্কি অঞ্চলেও বিস্ফোরণের রিপোর্ট জানানো হয়েছে।

এ দিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ৯ বারের মতো ব্যাপক হামলা চালালো রাশিয়ান বাহিনী। ইউক্রেনের বাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যখন পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই ইউক্রেনের ওপর ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধের এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে বাজারে উঠতে শুরু করেছে আম

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের আম। ইতিমধ্যেই পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ও সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বসেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট। সেখানে প্রতিদিন ক্রেতা সমাগমও হচ্ছে প্রচুর। আপাতত চরা দামেই বিক্রি হতে দেখা যায়। ক্রেতা চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার পৌর শহরের কালিবাড়ি বাজার, চৌরাস্তা, কালেক্টরেট চত্বর, বাসস্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রীজ, গোধুলী বাজার, সেনুয়া হাট, কোট চত্বর, আমতলা মোড়, তাঁতীপাড়া, মুন্সিরহাট, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠ, রেল ক্রোসিংসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের আম বিক্রির দৃশ্য চোখে পরে। এছাড়াও ফেরি করে বেশ কিছু ভ্রাম্যমান আম ব্যবসায়িকে আম বিক্রি করতে দেখা যায়।

ঠাকুরগাঁও জেলায় হাড়িভাঙ্গা, ফজলি, সুর্যাপুরী, লাবুয়া, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, পাহুতান, ত্রিফলা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয়। এগুলোর মধ্যে স্থানীয় প্রজাতি সূর্যাপুরী ও হাড়িভাঙ্গা জাতের আমের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। বর্তমানে স্থানীয় গুটি জাতের আম বাজারে উঠলেও কয়েকদিনের মধ্যে অন্যান্য জাতের আম বাজারে উঠতে শুরু করবে। বিশেষ করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী এলাকায় রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি সূর্যপূরী আম গাছ। প্রায় ২ বিঘা জমি জুড়ে আম গাছটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় জমে। এ আম ইতোমধ্যে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। পাতলা আঁটি আর সুমিষ্ট গন্ধ যেন মন কেড়ে নেয়। পৌর শহরের কালিবাজাড়ি বাজারে বিভিন্ন জাতের আম উঠেছে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে। প্রতি গুটি আম ৪০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে আম কিনতে আসা আব্দুল্লাহ নামে ক্রেতা বলেন, সূর্যাপুরী ও হাড়িভাঙ্গা জাতের আম কিনতে এসেছি। তবে আপাতত হিমসাগর (মি¯্রেিভাগ) ও গুটি আম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানালেন আর কিছুদিনের মধ্যে প্রায় সব জাতের আম বাজারে উঠবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে আসা আম ব্যবসায়ি নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক বছর বালিয়াডঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আম বাগান কিনে থাকি। কেবলমাত্র আম ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। আপাতত গুটি প্রজাতির আম আনছি, আর কয়েকদিনের মধ্যেই অন্যান্য সকল জাতের আম বিক্রি শুরু করবো।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় আম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৫ হাজার ৮০ হেক্টর। এর মধ্যে আম বাগানের সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমি ও বসত বাড়ির আম গাছের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৪ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন। যা গত বছরে আম আবাদ হয়েছিল ৮ হাজার ২৯ হেক্টর জমিতে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার সূর্যপূরী আম সারাদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। এখানকার আমে পোকা থাকেনা এটা এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমের আকার দেখতে ছোট হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। জেলায় আমের ভালই ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারে আম উঠতে শুরু করেছে। আমের চাহিদা থাকায় ব্যবসায়িরা লাভবান হবেন বলে প্রতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আরও খবর



প্রস্তাবিত বাজেট গণবিরোধী, বাস্তবায়ন অযোগ্য: ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এটি নজিরবিহীন লুটপাট ও অলীক কল্পনার অবাস্তবায়নযোগ্য গণবিরোধী বাজেট।

আজ বুধবার দলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।

ফখরুল বলেন, ‘সরকার গত ০১ জুন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে তা বর্তমান ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার এক বার্ষিক ঘোষণাপত্র মাত্র। এই বাজেট কল্পনাবিলাসী বাস্তবায়ন অযোগ্য এক উচ্চাভিলাষী বাজেট। এটা স্রেফ দুর্নীতিবাজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত ‘অর্থ লুটেরাদের বাজেট’।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে যাওয়া, বেপরোয়া অর্থপাচার, জনগণের কাঁধে রাষ্ট্রীয় ঋণের বোঝা একেবারের জন্যেও স্বীকার করা হয়নি। পরিত্রাণের উপায়ও বলা হয়নি। তেমনিভাবে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সুশাসন ও ন্যায়বিচার এর ধারণাকে।

ফখরুল বলেন, ‘এই বাজেট পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩.৪% এবং উন্ন্য়ন ব্যয় ৩৬.৪%। বাজেটের এই অর্থের সংস্থান হবে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আয় থেকে, আর ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা ঋনের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের ৩২.৮% পরোক্ষ কর (ভ্যাট) এবং ৩০.৭% প্রত্যক্ষ কর। এরই সাথে সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৫% এবং মুদ্রাস্ফীতির হার ৬% প্রত্যাশা করছে! এ বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট, জনকল্যাণের নয়।

‌বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিয়োগসহ সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে তা অর্জনযোগ্য নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৫% লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও তা কিভাবে অর্জন করা হবে তার কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বাজেটে নেই। চলতি অর্থবছরেও ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫%। সংশোধনী বাজেটে তা পরে ৬.৩% পুনঃনির্ধারণ করা হয়। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন- এবারও ৭.৫% টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে না। কেননা অর্থনীতি এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ। এ চাপ মোকাবেলায় বাজেটে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন এবং খাদ্যসহ তেল, চাল, আদা, চিনি, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অনেক আগেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

দেশের অর্থনীতি মহাবিপর্যয়ে রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘ডলারের সংকট প্রকট। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে প্রায় সকল ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারি হিসাব মতে গত ৭ বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। বিশ্বস্ত সূত্র মতে, ইতিমধ্যে নতুন নোট ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার উপর। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

‌তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার অব্যাহতভাবে বাড়ছে। জিএফআই বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪,৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়। সিআইডি বলছে, শুধু হুন্ডি প্রক্রিয়ায় দেশ থেকে গড়ে বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য মিলে প্রতিবছর কমপক্ষে দেড় লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশে চারিদিকে শুধু হাহাকার। তবে এই হাহাকার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়।

ফখরুল আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য চলছে। ব্যাংকের অতিরিক্ত ক্যাশ লিকিউডিটি কমেছে ৫৭ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা (ঘবি অমব: ২৪-১-২৩)। ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। তবে পুনঃ তফসিলকৃত ঋণ যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত বছরের প্রথম নয় মাসেই খেলাপি বেড়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। গত ৩ মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১০০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রধান কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।

গত ৬ বছরে বিদেশী ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেক করে ফখরুল বলেন, ‘চীন ও রাশিয়া থেকে নেয়া কঠিন শর্তের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ২০২৪ সন থেকেই বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সে সময় পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের বোঝা ছিল ৩২৪ মার্কিন ডলার, টাকার অংকে যা প্রায় ৩২ হাজার ৭৪০ টাকা (প্রতি ডলার ১০১ টাকা দরে)। বর্তমানে আরও বেড়েছে। আইএমএফ চাচ্ছে সরকারি ব্যাংকগুলোতে ১০ শতাংশ এর নিচে ও বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে ৫ শতাংশ এর নিচে থাকুক খেলাপি ঋণের পরিমাণ। কিন্তু বর্তমানে কৌশলে এক ব্যাংকের আদায়যোগ্য খেলাপি ঋণ আরেক ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

ফখরুল বলেন, ‘বাজেটে আয় বৃদ্ধির জন্য কর্মসংস্থানের বিশেষ কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ করা হয়নি। আর কর্মসংস্থান না হলে মানুষের আয় বাড়বে না। মূল্যস্ফীতির ধাক্কা তারা সামলাবে কিভাবে?’

তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোপূর্বে করযোগ্য আয় নেই এমন ব্যক্তিদেরও ৪৪ ধরনের সেবা গ্রহণে কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে যা মধ্যবিত্তের উপর জুলুম। প্রশ্ন হলো যার আয় কম তিনি কি ঐ সকল রাষ্ট্রীয় সেবা পাবেন না! একদিকে ন্যূনতম আয়কর সীমা বাড়িয়ে ৩,৫০,০০০ টাকা প্রস্তাব করেছে, অপরদিকে আয় না থাকলেও মিনিমাম ২০০০ টাকা আয়কর ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা সাংঘর্ষিক, ন্যায়নীতি বর্জিত এবং ‘আয়ের উপর কর’ নীতিরও পরিপন্থী।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের এই চরম অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে প্রয়োজন ছিল দল, মত ও ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে একটি সাহসি ও বাস্তবসম্মত বাজেট। কিন্তু মোটাদাগে এ বাজেট আইএমএফ এর শর্ত বাস্তবায়ন এবং বিগত অর্থবছরের বাজেটের ১৪-১৫% বর্ধিত অবস্থা ছাড়া কিছুই না। অথচ আইএমএফ এর সঙ্গে ঋণচুক্তির কথা উল্লেখই করেননি অর্থমন্ত্রী। এদিকে আইএমএফ এর শর্তপূরণে বাড়তি আদায় করতে হবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড় কমানোর বড় উদ্যোগ বাজেটে নেই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেশের প্রধান জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে সরকারের জাবাবদিহিতা থাকেনা। দেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এই জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধমূলক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটার একমাত্র পথ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে বিসিএস কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

রাবি প্রতিনিধি:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা (বিসিএস নন-ক্যাডার)।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও তদন্ত) বিজয় বসাক।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম শেখ আবু হানিফ। তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে অন্যের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। পরে তাকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা বিজয় বসাক বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে এ পর্যন্ত সাতটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি মতিহার এবং একটি চন্দ্রিমা থানায়। এগুলোতে আমরা এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। এর মধ্যে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায়। তিনি ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা। বর্তমানে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।


আরও খবর