Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রতিষ্ঠান গড়া ও গুনগত শিক্ষা বিস্তার:

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মুরব্বিরা আলোকিত সমাজ গড়া এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে গুনগত শিক্ষার আলোকে বিকশিত করার জন্য নিজের অর্থ ও জমি প্রতিষ্ঠানের নামে লিখে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছেন।  এজন্য উক্তরুপ পরিকল্পনা গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ এক একটি প্রতিষ্ঠান ও অনুসরনীয় ব্যক্তি হিসেবে গন্য হয়ে আসছেন এবং সমাজের নিকট তাহারা প্রশংসিত এবং তাহারা মৃত্যু বরণ করেও ওমর হয়ে আছেন। 

প্রতিষ্ঠান পরিচালনা :  সমাজের সৎ ও উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের উপর প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্ব অর্পণ করা আবশ্যক।  উচ্চ শিক্ষিত ও সৎ ব্যক্তিবর্গ  গুনগত শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম এবং তাদের হাতে প্রতিষ্ঠানের তহবিলও নিরাপদ থাকে। তাহারা আইন বহির্ভূত কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতেও অগ্রসর হয়না বরং বিধি অনুসরণ পুর্বক পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। 

আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে দৃঢ়ভাবে স্বাক্ষী দিচ্ছি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষিত লোকজনের বিকল্প নেই। তবে রাজনৈতিক ও বিত্তশালীদের অতিরিক্ত খবরদারির কারণে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বল্প শিক্ষিত লোকজন এগিয়ে রয়েছে। 

পরিচালনা পরিষদ কে শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন সভা করতে হয়। সেক্ষেত্রে পরিষদের ব্যক্তিবর্গকে বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। তাদের যদি বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান না থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের থেকে জ্ঞানগর্ব বক্তব্য আশা করা যায় না।  যেমনটি তেতুল গাছ থেকে আপেলের আশা করা যায় না। 

আলোকিত সমাজ ও  কর্মক্ষম মানব সম্পদ প্রস্তুত করাই শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। এর জন্য সৎ চরিত্রবান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের প্রয়োজন। সৎ চরিত্রবান ব্যক্তিই পারে সৎ চরিত্রবান মানব সম্পদ উপহার দিতে। এজন্য আইনকানুন প্রস্তুত করা ও আন্তরিক ভাবে অনুশীলন করাও প্রয়োজন আছে। 

প্রতিষ্ঠান সব সময় সমাজের সম্পদ এবং উহার একক দাবীদার কেউ নেই। যদি ব্যক্তিগত নামে প্রতিষ্ঠান হোউক না কেন। ব্যক্তির চেয়ে সমাজ ও প্রতিষ্ঠান উর্ধ্বে এবং তুলনার বিষয়ও নহে। হ্যাঁ, প্রতিষ্ঠাতার আন্তরিকতার বিষয়টিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। 

প্রতিষ্ঠানের সকল কিছুই সামাজিক সম্পদ এবং আর্থিক উন্নয়ন ও পরিচালনায় মনোযোগের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সমাজের ও প্রতিষ্ঠানের তসরুপ না হয়ে যায়।  এক্ষেত্রে ক্ষমা চাওয়ার ক্ষেত্রটি বড়ই কঠিন এবং সুযোগই নেই। এজন্য আন্তরিক ভাবে সাবধানে পরিচালনা করতে হয়।

এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে একত্রিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। পরিচালনা পরিষদের দুর্ব্যবহার ও অর্থ তসরুপের ঘৃণ্য ইতিহাস প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে আন্তরিকতা ব্যতীত বাধ্য হয়ে অপরাধীকে মুক্ত করার বিষয় বিবেচনা করতে হয়। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আইনের আওতায় নেওয়ার  সুযোগ কমই আছে। পরিচালনা পরিষদের একটি অংশ অন্যায় আচরণ ও তসরুপে জড়িয়ে যায়। সেহেতু ক্ষেত্র মতে প্রতিষ্ঠান প্রধান অসহায় হিসেবে গন্য হয়। মাঝে মাঝে বাধ্যতামূলক ভাবে অপসারণ করাও হয়।আর যাহারা সৎ ও চরিত্রবান তাহারা প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয় না এবং তাদের পেশায় কর্ম ব্যস্ত থাকেন।আর বেকার ও অসত এবং চরিত্রহীনরা প্রতিষ্ঠানের তহবিল তসরুপ করেই যাচ্ছেন। 

গুনগুন শিক্ষা বিস্তারের জন্য আবশ্যক বিষয় হলো :

গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য চাই সুদক্ষ শিক্ষক এবং পরিচালনা পরিষদের নিরাপদ সার্ভিসের ক্ষেত্র নিশ্চয়তা করতে হবে।  অপরিহার্য উপাদান ও পূর্বশর্ত হচ্ছে। ১. মানসম্পন্ন শিক্ষক ২.আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম ৩. শিক্ষাদান সামগ্রী ও ভেীত অবকাঠামো ৪.উপযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি ৫. সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৬. বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ৬. সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা, ৭. শিক্ষক ও কর্মচারীদের আর্থিক স্বচ্ছতা বিধান করা  প্রমুখ। 

গুনগত শিক্ষা অর্জনের প্রতিবন্ধকতা :

১. নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ২. সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির ভয়ানক বিস্তার ৩. শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধে কাংখিত পর্যায়ে না থাকা ৪. তুলনামূলক ভাবে শিক্ষকদের আর্থিক সুযোগ সুবিধার অপর্যাপ্ততা ৫. শিক্ষকতা পেশায় কতিপয় আদর্শচ্যুত ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ও ৬। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর স্বল্পতা ইত্যাদি।


আরও খবর



ঘাটাইলে চোরাই গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image
সবুজ সরকার সৌরভ,ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাচটি গরুসহ গাড়ি রেখে পালিয়েছে চোরচক্রের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জ্বলছে গরু চুরিতে ব্যবহৃত ট্রাকটি।২৪শে এপ্রিল (বুধবার) সকালে উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি গরু বোঝাই একটি মাঝারি ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে গাড়িটিকে ধাওয়া করে গাড়ির ড্রাইভারের রাস্তা পরিচিত না হওয়ায় গাড়িটি জামুরিয়া ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের গালা গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় লোকের বেশি জমায়েত দেখে গাড়ি রেখে ড্রাইভার এবং চোরের দল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা গাড়ি থেকে গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এখনো গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গরুগুলো এলাকাবাসীর হেফাজতে রয়েছে।

ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো চোরাই গরু। চোর চক্র হয়তো কোথাও থেকে চুরি করে নেওয়ার সময় ধরা পড়ার ভয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর



মির্জাপুর আট ঘড়িতে খান আহমেদ শুভ এমপি'র দেওয়া রাস্তা উদ্বোধন করলেন ময়নাল চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আটঘড়ি পাকা সড়ক হতে  শ্রী শ্রী কালী মন্দির পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার মাননীয় এমপি খান আহমেদ শুভ'র দেওয়া প্রকল্পের রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ উদ্বোধন করেন, আনাই তারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল।

অত্র এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া এ রাস্তাটির কাজ ধরায় এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। কেননা সামান্য বৃষ্টি কিংবা বর্ষাতেই এখানে পানি জমে যাতায়াতের ভীষণ অসুবিধা হতো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৬ নং আনাই তারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা কামাল ময়নাল বলেন, মির্জাপুরের উন্নয়নে বিশেষ করে রাস্তাঘাটের উন্নয়নে আমাদের বর্তমানে এমপি খান আহমেদ শুভ মহোদয় অত্যন্ত আন্তরিক। উনার দেওয়া প্রকল্প থেকেই এ রাস্তার কাজটি ধরা হয়েছে। আনাই তার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রশিদ আবু।  আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি কামাল খাঁ, সাধারণ সম্পাদক মালেক খান এবং শিপন, সোহেল, মীর রুবেল। আরো উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মমিনুর রহমান মমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হালিম মিয়া সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 


আরও খবর



বিরামপুর পৌরসভার পানি ছড়াচ্ছে শীতলতার পরশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন হাঁসফাঁস  এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ জীবজন্তুসহ কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ জন। বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেও দেখা মিলেনি বৃষ্টির দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর এলাকায়। এ অবস্থায় বিরামপুর পৌরসভার নিজস্ব উদ্যোগে শহরের রাস্তায় রাস্তায় সকাল-বিকাল ছিটানো হচ্ছে পানি। গরমে অতিষ্ট শহরবাসী এতে ধুলি-বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা ও শীতলতার পরশ অনুভব করছেন।

জানা গেছে, প্রচন্ড খরা ও তাপদাহে প্রাণিকূলের ওষ্ঠাগত অবস্থা বিরাজ করছে। শুষ্ক মৌসুমে ধূলি-বালি থেকে নাগরিকদের রক্ষার জন্য প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের রাস্তায়-রাস্তায় পানিবাহী গাড়ী দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল পানি ছিটানো হয়।এতে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন, রাস্তার দু’পাশের দোকানী ও ক্রেতারা স্বস্তিতে চলাফেরা করতেন। কিন্তু, বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেরও এই এলাকায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শহরবাসী ও প্রাণিকূলের নাভিস্বাশ উঠেছে। এ অবস্থায় শহরবাসীকে শীতলতার পরশ দিতে অধিক পরিমাণে পানি ছিটানো হচ্ছে।

বিরামপুর কলেজ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা অটো চালক মিলন হোসেন বলেন, এই প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলাচল করা কঠিন ছিল। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানোর ফলে আমরা ধূলি বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। একই সাথে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি এবং অনুভব করছি শীতলতার পরশ।

বিরামপুর চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মেফতাহুন নাহার কবিতা বলেন, তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন  বিপর্যস্ত এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, কষ্ট পাচ্ছে  সাধারণ মানুষ ও প্রাণিকুল। এ অবস্থায় পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানো একটি মহতী উদ্যোগ। এতে আমরা ধূলিবালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। সেই সঙ্গে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি।

বিরামপুর পৌরসভার মেয়র  অধ্যক্ষ মো: আক্কাস আলী জানান, প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নানামূখি কার্যক্রম চলমান আছে। এই প্রচন্ড গরম থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য পানি ছিটিয়ে শীতলতার পরশ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর ফলে নাগরিকরা ধূলি- বালু ও রোগ জীবানু থেকেও রক্ষা পাবে। নাগরিকদের স্বস্তি দিতে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই পানি ছিটানোর কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে বিয়ের ধুম

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদের ছুটিতে সৈয়দপুরে বিয়ের ধুম পড়েছে।এই ঈদে আত্মীয়স্বজনকে কাছে পাওয়ার সুযোগে দেড় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।শহরের কমিউনিটি সেন্টার ও সংশ্লিষ্টজন বলছেন, রমজান মাসে মুসলিম পরিবারে বিয়ের বিধান নেই। কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার সৈয়দপুর উপজেলায় প্রায় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছরে এই ঈদে আত্মীয়স্বজন ও চাকরিজীবীরা এলাকায় অবস্থান করায় অনেকে বিয়ের জন্য এ সময়টিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান তারা। 

ঈদের ছুটিতে বিয়ের একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় বেশি ঝামেলায় পড়েছেন ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা। সৈয়দপুর শহরের পুরোনো মুন্সিপাড়ার ফকিরা ডেকোরেটরের মালিক সনু আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এক দিনে তিন-চারটির বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়।  কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্র, শনিবার ও রবিবার ১০টি বিয়ের আসর ও প্যান্ডেল সাজানোর অর্ডার পেয়েছি।

সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট গ্রামের শাহাজাদা হোসেন বলেন, ‘মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিন দিন ঘুরেও ডেকোরেটর সামগ্রী ভাড়া পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় নিজেই কম দামে কাপড় কিনেছি। পরে সেটা দিয়ে কোনো রকমে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেছি।’শহরের ইসলামবাগ এলাকার মাইক্রো বাসচালক কবির হোসেন বলেন, ‘আগামী বুধবার পর্যন্ত বিয়ের ভাড়া রিজার্ভ করা রয়েছে। যার বেশির ভাগ শহরের মধ্যে। একই দিনে তিন-চারটি বিয়ের আগাম ভাড়াও নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, শহরের ভাড়ার পাশাপাশি দিনাজপুর, রংপুরের ভাড়া রয়েছে। তবে ঈদের এ সময়ে বিনোদন কেন্দ্রের ভাড়ার চাহিদার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিগুণ মূল্যে ভাড়া নিতে হচ্ছে।’সৈয়দপুরের হোটেল মালিক মমিনুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘গত তিন দিনে তার হোটেলে অন্তত ৫০ জোড়া হবু বর-কনে পরিবারের মধ্যে দেখা ও আলোচনা হয়েছে। এর ফলে হোটেলে বেচাকেনা বেড়ে গেছে অনেক গুণ।’ 

সৈয়দপুর শহরের বিয়ে নিবন্ধনকারী (কাজি) সাইদুল ইসলাম জানান, আগে ধান কাটা শেষে বিয়ের মৌসুম শুরু হলেও লোকজন এখন সরকারি ছুটিতে ছেলেমেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয়। গত তিন দিনে ১০ টি বিয়ে নিবন্ধন করেছেন বলে জানান তিনি। 

নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সিদ্দিকুল আলম বলেন, ‘ঈদের পর দিন থেকে ১৪ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত ৪০টির বেশি বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি। একই দিনে একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় দাওয়াত রক্ষা করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধি হয়েছি তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করছি।’

আরও খবর



ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহে একই পরিবারের তিন জনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

হতাহতরা সকলেই পিকআপভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা ঈদের ছটিতে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন জানান, ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাস ও মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে শিশুপুত্র মাহিত এবং গুরুত্বর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর স্বামী-স্ত্রী মারা যান। তাদের অপর পুত্র মোজাহিদকে (৬) আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) ও ছেলে মাহিত (৪)। নিহত স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ভালুকার মাস্টারবাড়ী এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

এদিকে ত্রিশাল সদর ও বালিপাড়া এলাকায় পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

ওসি কামাল হোসেন ত্রিশাল থানার জানান, বেলা ১২টার দিকে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে শালবন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষ মারা গেছেন। এদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ত্রিশাল সদরে মঙ্গলবার ভোরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে আপেল মিয়া (৩০) ও মারুফ (১৮) নামে দুইজন মারা গেছে। এদের বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া তারাকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারী বৃদ্ধ।


আরও খবর