Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম কে দেখতে হাসপাতালে গেলেন এফবিজেও'র নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসান: বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে দেখতে আজ দুপুরে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও)'র চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ'র নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে ছুটে যান।জ্বরসহ কিছুটা অসুস্থতার কারণে তিনি কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার কারণে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি বাসায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এফবিজেও এর অর্থ সচিব ও সাপ্তাহিক নবজাগরণ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আবু তাহের পাটোয়ারী; আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এম তোহা; প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সাক্ষাতের সময় চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিমের সাথে সাংবাদিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

 বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম সকলের নিকট দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।


আরও খবর



জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার আইন (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯) অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

মনোয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণখেলাপি বলে গণ্য হবেন।

এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন ফাইল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৭ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।

তার আগে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।


আরও খবর



৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে : ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করছি ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে মোট হিসাব করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা সবাই বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থায় তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। নির্বাচনে যে ফলই আসুক না কেন তারা সবাই মেনে নেবেন।

ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আইনে আছে যে, নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত যদি ভোটার উপস্থিতি থাকে, তাহলে ভোটারের ভোট না নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্যালটের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। আমরা আশা করছি ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে মোট হিসাব করলে সঠিক তথ্যটা পাওয়া যাবে।

সিসিটিভিতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা অনেক সময় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ও অনেকের ভোট আগে নেওয়া এ ধরনের কিছু জিনিস আমাদের কাছে ধরা পড়েছে। সেগুলোর বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া দুটি কেন্দ্রে আমরা দেখেছিলাম, এজেন্ট ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তখন আমরা তাদের ফোন দিয়ে ও পুলিশকে খবর দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রায় সাড়ে চার হাজার সিসিটিভিতে ভোট মনিটরিং করা হয়েছে। সিসিটিভিতে যেগুলো ধরা পড়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও এগিয়ে আসছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর এবং কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।

বিস্তারিত আসছে..


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরের ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে ছিনতাইয়ের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইস ইরফান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই এর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।যার মামলা নং- সি,আর ২১২/ ২০২৩, ধারা ৩৯২/৪১১/৩৮৫/৫০৬(২) পেনাল কোড।

২৫ মে ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবা  আশুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দি বাংলাদেশ টুডের প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ সাপ্তাহিক সত্যের দিগন্তের বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আশিকুর রহমান এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়,গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর,  চেয়ারম্যানের  ইটের ভাটা সংলগ্ন রাস্তায় কতিপয় মুখোশধারী  দুস্কৃতিকারী তার ব্যবহৃত ংধসংঁহম মধষধীু ধ৫০ আইএম নম্বর-৩৫৬২৫৯/১০/৪৭০১৭২/৯, ৩৫৬২৬০/১০/৪৭০১৭২/৭ মোবাইল সেটটি সহ ৫০০ ইউএস ডলার, আনুমানিক বাংলাদেশী  ৭,৫০০/- টাকা ও  ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও ১টি ৬ আনা ওজনের আংটি সহ মূল্যবান কাগজপত্রাদি জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায় ।

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিক নিজে ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩  তারিখে আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং- ১১৬০। উক্ত সাধারণ ডায়েরীর মূলে পুলিশ কর্তৃক তদন্তের পর বর্নিত আসামীর নাম ঠিকানা প্রকাশ পায়।পরবর্তীতে আসামী বাদীকে মোবাইল ফোন সহ বর্নিত মালামাল ফেরত না দিয়া তালবাহানা শুরু করে।

উক্ত মামলায় মহামান্য আদালত আমলে নিয়ে তা আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়ে এএসআই মজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানা কর্মরত এ এস আই মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, জিডি মূলে সিডিআর সার্চ করে পৌঁছে যায় মোবাইল ফোন  ব্যবহারকারী মহিলার কাছে। উক্ত মহিলা জানায় রেজিস্ট্রিকৃত  সিমের মালিক তার স্বামী ইউ,এন,ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বিজয় নগরে যোগাযোগ করার জন্য।তখন তিনি একটি ফোন নাম্বার ও দেন। উক্ত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে ইউ,এন ওর পি এ ফয়সাল জানান তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইউ,এন ও।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আশিকুর রহমান জানান, ছিনতাকৃত মালামাল ফিরে পাওয়ার জন্য সে মহামান্য আদালতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।তার আশা এখন সে সুবিচার ও মালামাল ফিরে পাবেন।এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউ,এন ওর নাম্ভারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে শুনেছি মামলা হয়েছে তবে এখনো মামলার কোন কপি হাতে পাইনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের  সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব

আরও খবর



কক্সবাজারে ভয়ংকর অপহরণ সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ আটক-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: পুলিশের বহিস্কৃত এসআইয়ের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ভয়ংকর একটি অপহরণচক্রের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব।সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক এবং এক নারীসহ পাঁচ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব -১৫।গত শুক্রবার (১৯ মে) কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করেন।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজ (৪০)। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন মাইতুল সরকারবাড়ি এলাকার মৃত এরশাদ আলমের পুত্র।

চক্রের বাকি দুই সদস্য হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোঃ ইউনুসের পুত্র এমডি মুন্না (৩০) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের পুত্র  মোঃ ইউসুফ।র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে কক্সবাজার বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন ঢাকা উত্তরার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। পরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আংশিক মুক্তিপণ পরিশোধ করা হলেও মুক্তি মেলেনি শাহজাহান ও মঞ্জুরের। অপহৃত আরেক দম্পতিকে অপহরণ করে দাবিকৃত মোটা অংকের টাকা না পেয়ে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে স্ত্রীকে একে একে ধর্ষণ করে চক্রের সদস্যরা। স্বামীর ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। অপহৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা বিকাশে দুই লাখের বেশি টাকা মুক্তিপণ দিলেও তাদের ছাড়া হয়নি। অপহরণকারীদের দাবি ছিল আরও অনেক বেশি টাকা। বেদম মারধরের পাশাপাশি চাহিদা মতো মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

নিরুপায় হয়ে স্বজনরা বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে কাজ শুরু করে র‌্যাব।এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় এই সিন্ডিকেটের দুটি সুরক্ষিত ও গোপন আস্তানার সন্ধান পায় র‌্যাব। পরে রাতভর এসব আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে কলাতলী থেকে চক্রের দুই সদস্যকে এবং পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুগন্ধা এলাকার অপর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে চক্রের প্রধান ও পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।র‌্যাব জানায়, চক্রের প্রধান ইকবাল পারভেজ ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পাশাপাশি চাকরিও হারান তিনি। চাকরি থেকে বরখাস্ত ও কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এসআই ইকবাল তার শ্যালক মুন্নাসহ ৭-৮ জন সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন অপহরণ বাণিজ্যের রমরমা এই সিন্ডিকেট। চক্রের সদস্যরা দেশের নানাপ্রান্ত থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা মানুষদের টার্গেট করে অপহরণ করে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ফোন করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করতো।গত শুক্রবার (১৯ মে) অপহরণের শিকার শাহজাহান কবিরের বোন মোসাম্মৎ আমেনা বেগম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামি ও উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।এ বিষয়ে কক্সবাজার র‌্যাব -১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, কক্সবাজার কেন্দ্রিক অপহরণ-মুক্তিপণ সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে র‌্যাবের যে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, তারই অংশ হিসেবে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করেছি।তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে যা এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ চক্রের অন্য সদস্যদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। 


আরও খবর