Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর ,তানোর প্রতিনিধি ;রাজশাহীর তানোরে প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় ঘুমের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর প্রেমিক বুঝতে পেরে প্রেমিকার মাকে জানালে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ২৪ ঘন্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই ছাত্রীকে দ্রুত রিলিজ নিয়ে  বাড়িতে নিয়ে যান তার মা। গত শনিবার ঘটে ঘুমের ওষুধ সেবনের ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সহপাঠী থেকে শুরু করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে উভয়ের পরিবার ঘটনা ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।রবিবার মেডিকেলে খোজ করলে কর্তব্যরত নার্সরা জানান সুস্থ হবার পর সকাল ১১ টার দিকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।

ইমার্জেন্সী ডাক্তার উম্মে হানিফ জানান, ওই ছাত্রীর প্রচন্ড মাথা ব্যাথা ও অস্থিরতা বোধ করছিল, এজন্য গত শনিবার সকাল ১১ টার দিকে  মেডিকেলে নিয়ে আসে তার মা। অবস্থা বেগতিক দেখে ভর্তি করানো হয়। এটা কি সেবনে হতে পারে জানতে চাইলে ডাক্তার জানান অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ, প্রচন্ড মানসিক চাপ থেকে এধরনের ঘটনা ঘটে। তবে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা দেওয়ার পর স্বাভাবিক হলে ছুটি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, পৌর এলাকার চাপড়া মিরাপাড়া গ্রামের ইসলামের পুত্র নাফিস পড়েন মডেল পাইলট স্কুলের দশম শ্রেণীতে এবং ওই প্রেমিকা গোল্লাপাড়া ভাড়া থেকে সদর স্কুলের দশম শ্রেণীতে পড়েন। তারা উভয়ে এক সাথে প্রাইভেট ও কোচিং করেন সদর এলাকায়। এঅবস্থায় তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতই গভীর হয় যে শারিরিক সম্পর্ক পর্যন্ত হয়েছে। এঅবস্থায় মেয়ের মা অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু ওই ছাত্রী নাফিসকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না বলে সাব মানিয়ে দেয়। মা বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে মেয়ে প্রেমিক নাফিসকে জানায় ঘুমের ওষুধ ও বিষপান করে আত্মহত্যা করছি। এমন সংবাদ পেয়ে নাফিস প্রেমিকার ভাড়া বাড়িতে এসে মাকে বলে আপনার মেয়ে ঘুমের ওষুধ ও বিষপান করেছে। এমন সংবাদে মা মেয়ের ঘরে ঢুকে দেখে ছটপট করছে। সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসক রা বলে বিষ সেবন করেনি, ঘুমের ওষুধ খেয়েছে।

কয়েকজন নার্স জানান, আমরা তো এতকিছু জানিনা। সকাল থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন মেয়ের মা। এজন্য ছুটি দেয় কর্তৃপক্ষ । এসব ঘটনা না জানানোর জন্য দ্রুত ছুটি নিয়ে শটকে পড়েন। বারবার বলি রোগীকে আরো একদিন থাকতে হবে, তার মা কোন কিছুই শুনেন নি। সকাল ১১ টার দিকে ছুটি নিয়ে চলে যায়।

নাফিসের পিতা ইসলামের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তার স্ত্রী রিসিভ করে জানান, এসব সত্য না, আমিও শুনেছি বিষ খেয়েছে, কিন্তু মেয়ের মা বলেছে বিষ খায়নি শরীর দূর্বল এজন্য বাড়িতে আনা হয়েছে। ছেলে মেয়ে এক সাথে পড়ালিখা করলে সম্পর্ক হতেই পারে। আমাকেও নাফিসের বন্ধুরা বলছে সে নাকি হাত কেটে দিয়েছে। এসব অপপ্রচার। তাহলে আপনার ছেলের নাম আসল কেন  জানতে চাইলে তিনি জানান, পড়ালিখায় ভালো এজন্য বদনাম ছড়াচ্ছে।

মেয়ের পিতার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে জানান, জমিতে আছি পরে কথা বলছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান এঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মধুপুরে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:সফল প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার হুমকির দেওয়ায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর  উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২২ মে) বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবুর নেতৃত্বে   বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি  শহরের গুরুত্বপুর্ণ  সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা মোড়ে এসে কাজী ডিজিটাল হাসপাতালের সামনে এসে শেয হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, অরনখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ: রহিম, বেরিবাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আগামী ২৩ থেকে ২৫ মে কাতারের দোহায় ‘থার্ড কাতার ইকোনমিক ফোরাম: এ নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি’ শীর্ষক ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেবে।

ব্লুমবার্গের সহায়তায় আয়োজিত এ ফোরামে অংশ নেবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদসহ প্রযুক্তি, অর্থ ও ব্যবসা খাতের বিশ্লেষকরা। বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং তা থেকে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া মোকাবিলার পথ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করাই এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফোরামে শেখ হাসিনা ছাড়াও অতিথি হিসেবে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ এস আল-সুদানি, জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ ও অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল জাদান উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে গত মার্চে এলডিসি-৫ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য কাতার গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



জাতীয় নির্বাচনে ইসির অধীনে থাকবে পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে দুই দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সের শেষ দিনে এ কথা জানান আইজিপি।

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করা প্রয়োজন পুলিশ তাই করবে। আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যেকোনো চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

আইজিপি বলেন, ‘আগামীতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নানা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। আইনশৃঙ্খলার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এ জন্য পুলিশের প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, প্রশিক্ষণ এবং পুলিশ সদস্যদের দৃঢ় মনোবল রয়েছে।

আইজিপি বলেন, গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি গুজব রোধে সাইবার মনিটরিং বাড়াতে হবে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘ফোর্সের ওয়েলফেয়ার নিশ্চিত করতে হবে। ফোর্সের ওয়েলফেয়ার দেখতে গিয়ে শৃঙ্খলার সাথে আপোষ করা যাবে না। কোনো পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা এবং নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান “জিরো টলারেন্স”।

বাংলাদেশ পুলিশের সম্মান ও মর্যাদা ঠিক রেখে অন্য সার্ভিস ও বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি।

কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্তি আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অতিরিক্ত আইজিপিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা।


আরও খবর



নির্বাচনের আগে ১৩৫০ মামলায় সাজা দেওয়া হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনের আগে প্রায় ১ হাজার ৩৫০ মামলায় সাজা দেওয়া হবে, এমন তথ্য কানে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক আয়বর্হিভূত মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও তার সহধর্মিনী সাবেরা আমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মৃত্যু যখন ঘনিয়ে আসে, যখন আর কোনো আশা থাকে না। তখন অনেকেই চেষ্টা করেন- কোনো রকমের কোনো কিছু ধরে যদি টিকে থাকা যায়। আজকে বিরোধীদলের নেতাদের সাজা দেওয়ার এই যে রায়, এই রায় হচ্ছে তাদের সেই পরিকল্পনা, যে পরিকল্পনায় বাংলাদেশের রাজনীতিকে একেবারে তিরোহিত করা, বিরাজনীতিকরণ করা, রাজনীতিবিদদের রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া, সরিয়ে আবার যদি এককভাবে পার হওয়া।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই যে ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে তারা (সরকার) মাঠে নেমেছে কিছুদিন আগেও আমরা বলেছি এই কথাগুলো। আমাদের কানে এসেছে, প্রায় সাড়ে ১ হাজার ৩৫০ মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে, যে মামলাগুলো নির্বাচনের আগেই তারা শুনানি করে সব শেষ করে সাজা দিয়ে দেবে। তার সবগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক মামলা মামলা। প্রত্যেকটি মামলার আসামি হচ্ছেন বিএনপিসহ বিরোধীদলের শীর্ষ নেতারা।

তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (সরকার) অত্যন্ত চমৎকার উদ্দেশ্য। এদেরকে (বিরোধীদলের নেতাদের) যদি আটক করে ফেলা যায়, সাজা দিয়ে দেওয়া যায় তাহলে তাদের কথা মতো এরা তো নির্বাচন করতে পারবে না। সব সময় সেই সংবিধানের উল্লেখই তারা করছে যে সংবিধান তারা তৈরি করেছে, ১৯৭২ সালে সেই সংবিধান পরবর্তীকালে জনগণের যেটুকু অ্যামেন্ডমেন্ট হয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে তারা নিজেরা শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সংবিধানকে কাটা-ছেঁড়া করে তাদের মতো করে নিয়েছে সেই সংবিধান অনুযায়ী তারা একদম একা খেলার মাঠে খেলবেন আর গোল দিয়ে যাবেন। যেটাকে আমরা বলি যে, প্রতিপক্ষ কেউ থাকবে না। ওই লক্ষ্যে তারা যাচ্ছে, এগুচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল আদালতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেটা আমি মনে করি এদেশের বিচার ব্যবস্থার কফিনে একটা পেরেক ঠুকে দেওয়া হয়েছে। সেটা হচ্ছে যে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয় ২০০৭ সালে, এতদিন ধরে এই মামলা চলে নাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হঠাৎ করে দেখা গেলো যে, দ্রুত মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। এখন অতি দ্রুত প্রতিদিন একজন-দুইজন-তিনজন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে এবং তাদের রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।

 মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আমাদের আইনজীবীরা ঢাকার কথা বলতে চেয়েছিলেন বিশেষ আদালতে তখন তাদেরকে সেখানে কথা শুধু বলতেই দেওয়া হয়নি তা নয়, তাদেরকে সরকারি দলের আইনজীবীরা আক্রমণ  করেছে, তাদেরকে আহত করেছে এবং কি পুলিশ সেখানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে তাদেরকে নির্যাতন করেছে।

তিনি বলেন, ‘এরপরে আমরা কীভাবে বলব, এই দেশে একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন হওয়ার সুযোগ আছে? এদেশে কীভাবে বলব যে, বিরোধীদলের এখানে রাজনীতি করার, মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার আছে?’

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উদ্দেশ্য একটাই সাজা দিয়ে আমাদের নেতাদেরকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা।’ একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মোহাম্মদ নাসিমের (প্রয়াত) মামলায় তাদেরকে আদালত খালাস দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

 বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর দক্ষিণের সদস্য রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এভাবে তারা (সরকার) মিথ্যা মামলা দায়ের করে গোটা দেশে ভয়-ত্রাস এবং একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে তারা একই কায়দায় এককভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় যেটা এদেশের মানুষ এটা হতে দেবে না। এদেশের মানুষ তাদের বিতারণ করেই নির্বাচন করবে।

তিনি বলেন, ‘জগনের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করবার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে- এই আন্দোলনকে মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে বন্ধ করা যাবে না’।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ জেগে উঠেছে, জনগণের উত্থানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে সরে যেতে হবে। পরাজিত হতে হবে এবং পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই, একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই আমরা বলতে চাই যে, এখনো সময় আছে। এই সমস্ত খেলাধুলা বাদ দেন, এই সমস্ত মানুষকে প্রতারণা করবার পথ থেকে সরে গিয়ে, মানুষকে নির্যাতন করবার পথ থেকে সরে এসে সোজা পথ ধরেন, একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এবং দেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, কায়সার কামাল, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



বিএনপির সমাবেশে হামলার অভিযোগ, নিপুণ রায়সহ বেশ কয়েকজন আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এতে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীর নেতাকর্মীদের হামলায় নিপুণ রায়সহ ২০ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিপুণ রায়কে ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ দেশের ৯ বিভাগের ১৮ জেলা ও মহানগরে জনসমাবেশ করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে জিনজিরায় দলটির সমাবেশ সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়।

এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এতে সভাপতিত্ব করেন।

সমাবেশ চলাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীর নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ করেন মোজাদ্দেদ আলী বাবু। তিনি বলেন, ‘এ সময় ইটের আঘাতে নিপুণ রায় চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। হামলার পর আবারও বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।

তিনি জানান, রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির সমাবেশ শেষ হয়েছে।

সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকাজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


আরও খবর