Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা: বিএনপির ৩ নেতার আগাম জামিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, নিতাই রায় চৌধুরীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।আইনজীবী হিসেবে ব্যক্তিগত সুনামের দিক বিবেচনায় নিয়ে আগামির তিন সপ্তাহের জন্য তাদের জামিন দেয়া হয়।

আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বিচারিক আদালতে আতœসমর্পণ করতে হবে। তবে এ জামিনের আদেশ অন্য আসামিদের আগাম জামিনের ক্ষেত্রে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না বলেও আদেশে উল্লেখ করেন উচ্চ আদালত।

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা বিচারবিভাগের হৃদপিণ্ডে আঘাত। যা জাতির কাছে ভালো বার্তা দেয় না। আদালতকে নিরাপদ রাখতে এই প্রাঙ্গনের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানান তিনি।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেলা ১টার সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান।

এর আগে গতকাল সোমবার এ মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ তরুণদের কাছে জনপ্রিয় দল: জয়

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হলো আওয়ামী লীগ। দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন আওয়ামী লীগ করেছে, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। আর কেউ কল্পনা করতে পারে না এত অল্প সময় বাংলাদেশে এত এগিয়ে আসবে। এটা একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার করে দেখিয়ে দিয়েছে। তার জন্য তরুণরা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে একটি হোটেলে ‌এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ১৯৭৫ এর পর ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃত করেছে বিএনপি-জামায়াত। ইউরোপের ১৩টি দেশে আইন আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। সেটা করলেই সেই আইনে জেল হবে। আপনি যদি ইউরোপে গিয়ে হলোকাস্ট নিয়ে বিকৃতি করেন, আপনার জেল হবে। এটা তাদের আইন। আমরাও সেই আইন করেছি। একাত্তরের স্বাধীনতার চেতনার ইতিহাস বিকৃত করা হলে সেটার সাজা হচ্ছে জেল।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের সময় বিশ্বে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ ছিল চ্যাম্পিয়ন। সেখান থেকে আমারও অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। বাস্তব কথা হচ্ছে, অনেকে এখন দুর্নীতি নিয়ে চিন্তিত, দুর্নীতি নেই আমি অস্বীকার করব না। তবে বাংলাদেশে যদি সেই রকম দুর্নীতি থাকত, আজকে এত দ্রুত সব প্রজেক্ট করা সম্ভব হত না। বাস্তব কথা, আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে যান, ইউরোপে যান, নরওয়েতে যান, সেখানে কি দুর্নীতি নেই? অবশ্যই আছে। তবে অনেকটা কম।

জয় বলেন, আমরা কারো পক্ষে যেতে চাই না। আমরা সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। ভারত বলেন, চায়না বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেন, রাশিয়া বলেন, ইউরোপ বলেন, সবার সঙ্গে আমরা ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই, বাণিজ্য করতে চাই। আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে বাণিজ্য। কারো পক্ষে গিয়ে বাণিজ্যের ক্ষতি করতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আমলে আমাদের একটা কালো দাগ ছিল। আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা এই কথা বলে না যে- জিয়াউর রহমানের আমলে বিএনপি তখন বিচার ছাড়া কত শত শত মানুষ হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিল, খুনি ছিল। আমরা বিচার করার চেষ্টা করছি। এটা একটা কঠিন ব্যাপার, কারণ- কোনো রেকর্ড নাই, তারা সব মুছে ফেলেছে। তবে বিচার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।


আরও খবর



নাসিরনগরে উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরোদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২০২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃজেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডঃ মোঃ এমদাদ মোল্লার বিরোদ্ধে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিদ্যালয়ের পাঁচজন অভিভাবক সদস্য একলাছ মিয়া, মইন উদ্দিন,আব্দু মিয়া,আব্দুর রসিদ রূপালী রানী ও দাতা সদস্য ডাক্তার রোখন উদ্দিন ভূঞা মিলে গত ২২ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।সভাপতি এমদাদ মোল্লার  বিরোদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন এলাকায় গেলে অভিযোগকারী ছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এডঃ নাসির উদ্দিন ভুইয়া,ইউপি সদস্য সামসু মিয়া,ইউপি সদস্য মোঃ জজ মিয়া,শহীদুল্লা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আর মুরুব্বিরা মিলে সভাপতি এমদাদ মোল্লার নানা অনিয়ম দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন মিডিয়ার সামনে।

তারা জানান এডঃ এমদাদ মোল্লা সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতে ডুবে গেছে।তাদের দাখিল করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে এমদাদ মোল্লা সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্মিত প্রায় পঞ্চাশটি দোকানের বিপুল পরিমান ভাড়া,স্কুলের মালিকানা পুকুরের লীজের টাকা ও প্রায় দেড়হাজার ছাত্র/ছাত্রীর  কাছ থেকে আদায় করা বেতনের টাকা অভিভাবক সদস্যের কাউকে কিছু না বলে নিজেই নিজের ইচ্ছেমত খরচ করে।

উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থাবর সম্পত্তি হিসেবেএকটি পুরাতন টিনসেট ঘর  পরিচালনা কমিটির কাউকে কোন কিছু না বলে সভাপতি ব্যাক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ক্রেতার সাথে গোপনে হাতাত করে কম মুল্যে বিক্রি করে দেয়।বিদ্যালয়ের নামে দানকরা পুরাতন ভবন গুলোত বসবাসকারী শিক্ষকদেরকে কমিটির কাউকে কোন কিছু না বলে নিজের ইচ্ছে মত তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের বাসভবন থেকে বের করে দেয়।

ফলে শিক্ষকদের মনে ক্ষোভের অনলের সৃষ্টি হয়।ফল শ্রুতিতে বিগত এস,এস সি পরীক্ষার ফলাফলে মারাত্বক বির্পয দেখা দেয়।স্কুলের জায়গা জবর দখলকারী ব্যাক্তির  বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তার সাথে গোপনে যোগযোগ  রক্ষা করে সে ব্যাক্তিগত ভাবে লাভবান হচ্ছেন।বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মাঠে বাজার বসে।বাজারটি  বিদ্যালয় চলার পূর্বেই বন্ধ হবার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।কিন্তু সভাপতি এ বিষয়ে কিছুই বলেননি।

তাছাড়াও আরো নানা অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরোদ্ধে।মুঠোফোনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডঃ মোঃ এমদাদ মোল্লার বিরোদ্ধে আনীত  অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে,তার বিরোদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন সভাপতি এমদাদ মোল্লা।কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল হকের সাথে তার  মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সভাপতির বিরোদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে।

প্রধান শিক্ষক কৌশলে সকল প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।অভিযোগের তদন্তকারী নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইযার সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে  যোগাযোগ করে সভাপতি এমদাদ মোল্লার বিরোদ্ধে অভিভাবক ও দাতা সদস্যের আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি এখনো দেখিনি।তবেআগামীকাল এ বিষয়ে নোটিশ পাঠাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা হারাতে বসেছে নিজ মাতৃভাষা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:উওরবঙ্গের সীমান্ত কোল ঘেঁষা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা। এই উপজলাটিতে স্বাধীনতার পূর্বে থেকে বসবাস করে আসছেন ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠীর পাহান সম্প্রদায়ের লোকেরা। এই পাহানরা উপজেলার ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের ভোলাপাড়া, পৌরশহর ৮ নং ওয়ার্ডের নয়নপুর, মুনিষগাঁও, ৩ নং হোসেন ইউনিয়নের সিদলী, ৫ নং বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী, বাকসাসুন্দরপুর, ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর, পারকুন্ডা, সহ রাতোর ইউনিয়ের ঘনশ্যামপুর গ্রামে বসবাস করেন। পাহানদের বর্তমানে সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে ইএসডিও প্রেমদীপ নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। পাহানদের সবদিকে উন্নয়ন ভাগ্যের চাকা বদলে গেলেও এখনো রয়েছে তাদের ছেলে- মেয়েদের নিজ মাতৃভাষা সাদরী ভাষায় কথা বলার সমস্যা। পাহানরা সবাই সাদরী ভাষায় কথা বলেন। কিন্ত তাদের ছেলে- মেয়েরা দিনে, দিনে, হারাতে বসেছে নিজের ভাষা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি। পাহানরা প্রতিবছর ভাদ্র মাসের একাদশী তিথীতে তাদের ঐতিহাসিক বড় উৎসব কারামপূজা পালন করেন। পাহানরা যে মাতৃভাষায় কথা বলেন সেইটার হলো সাদরী ভাষা। এইটি তাদের প্রাণের মায়ের মাতৃভাষা। এই সাদরী ভাষা তারা ভুলতে পারবে না তাই পাহানদের মাননীয় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে দাবি তাদের এই ভাষা সাদরী কে বই পুস্তকে প্রকাশ করার। সরকার যদি তাদের ছেলে- মেয়েদের কাছে এই ভাষার বই পুস্তক তুলে দেন তাহলে এই সম্প্রদায়ের ছেলেরা মেয়েরা খুব সহজেই তাদের সাদরী ভাষার বই পড়তে পারবে এবং তাঁদের পাহাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। যদি এই সাদরী ভাষা সংরক্ষণ না করা যায় তাহলে তাদের সমাজে থেকে হারিয়ে যেতে পারে তাদের এই নিজ মাতৃভাষা সাদরী। এই রাণীশংকৈল উপজেলায় যদি পৃথক একটি ক্ষুদ্র – নৃগোষ্ঠীর কালচার একাডেমি ভবন করা হয় তাহলে এখানকার ক্ষুদ্র- নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা নিজস্ব ভাষায় নাচ,গান চর্চা করতে পারবে। তাহলে ক্ষুদ্র – নৃগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা হারিয়ে ফেলেবে না নিজ মাতৃভাষা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি।


আরও খবর



সমিতির নামে বিল লীজ নিয়ে একক ভাবে মাছ চাষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:সমিতির নামে বিল লীজ নিয়ে ক্ষমতার দাপটে একক ভাবে মাছ চাষ করে কোটিপতি বনে গেছেন অভয় নামের একব্যাক্তি। রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী টি বাঁধের পূর্ব দিকে  মোহনপুর সীমানায় বিল মাইলে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। উন্মুক্ত বিল হলেও এমপির ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়া বিলটি দখল করে মাছ শেষ করে থাকেন মেলান্দী গ্রামের অভয়সহ কয়েকজন ব্যক্তিরা। তারা এমপি আয়েন উদ্দিনের মাধ্যমে বিলটি লীজ নিয়ে জেলেদের মাছ ধরতে দিতেন না। এখানেই শেষ না চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হয়। সেই বৃষ্টির কারনে ধান সবজি ঢুবে গেলেও পানি বের করতে দেননি সমিতির নামে ক্ষমতার দাপট ধারী এমপি আয়েন উদ্দিনের ভাই ঘাষিগ্রাম ইউনিয়ন ইউপির চেয়ারম্যান বাবলু, অভয় ও বিজয় এবং মোজাহার। উন্মুক্ত বিল হলেও ক্ষমতার জোরে লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে কোটিপতি বনে গেছেন তারা। ফলে বিলটি উন্মুক্ত করা হলে স্থানীয় জেলেরা মাছ আহরণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।

মেলান্দী মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির সভাপতি অভয় জানান, মন্ত্রণালয় থেকে বিগত ২০১৫ সালে সমিতির নামে লীজ নেয়া হয়। প্রতি বছর লীজ নবায়ন করতে হয়। এমপি ছাড়া লীজ নেয়া যেত না। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন এমপি প্রয়াত মেরাজ মোল্লার লোকজন লীজ নিয়েছিলেন । অনেক কষ্ট করার পর সমিতির নামে লীজ হয়। সমিতির সদস্য সংখ্যা ৭২ জন। প্রতি বছরে কোটি টাকার উপরে মাছ বিক্রি করা হয়। কত টাকায় লীজ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান এসব জেনে কি লাভ। সমিতির নাম করে আপনারা কয়েকজন মাছ চাষ করছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দেন নি।

সমিতির অন্য সদস্যরা জানান, সমিতির নামে কিভাবে লীজ নেই আমরা কিছুই জানিনা। অভয় সাব জানিয়ে দেন আমরা লীজ নিয়েছি, আমরাই চাষ করছি। এখানে সমিতির কোন যোগ নেই। অভয় সমিতির সভাপতি তার উপরে আমরা কথা বলতে পারিনা। কেউ প্রতিবাদ করলে নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। এজন্য তার ভয়ে সমিতির সদস্যরা কেউ কিছু বলেনা। তাছাড়া কোন দিন বিলের মাছ বিক্রি লাভের অংশও কেউ দেখতে পায়না। বিল চাষ করে ভাগ্য বদল হয়েছে অভয়সহ কয়েকজনের। সমিতির তিল পরিমান লাভ হয়নি।

স্থানীয় মৎস্য জীবিরা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিল মাইল নামের বিলটি ক্ষমতাসীনদের কব্জায় চলে যায়। ক্ষমতায় আসার আগে বিল ছিল উন্মুক্ত। বিলে মাছ আহরণ করে কয়েক শো পরিবার জীবন জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু সেটা আর হয় না। বিলের কাট মাছের দেখা মিলেনা। বিলে বেশির ভাগ জমি ব্যক্তি মালিকানা। বিলে খুব বেশি হলে ১০০ বিঘা খাস জমি আছে। অথচ টি বাধের বা মাইল বিলের পশ্চিমে তানোরের সীমানায় বিল কুমারি নামের বিল রয়েছে। বিলটি কখনো লীজ হয় না। শতশত মৎস্য জীবি পরিবার মাছ আহরণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে যুগযুগ ধরে। সরকারের পর্যাপ্ত জমিও রয়েছে, তারপরও উন্মুক্ত। তাহলে বিল মাইল, পার্শ্বে ডুবি বিল কিভাবে লীজ হয় এমন নানা প্রশ্ন স্থানীয় মৎস্য জীবিদের।

জানা গেছে,  বিলটিতে ৩০০ বিঘা সরকারী জমি আছে মর্মে তথ্য দিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে লীজ নিয়ে দেদারসে বছরের পর বছর মাছ চাষ করে আসছেন এমপি আয়েনের হাতে গোনা কয়েকজন অনুগত।

বিলপাড়ের কৃষকরা জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে কয়েকদিন ভারি বর্ষন হয়। বর্ষনের কারনে ধান ও সবজি ডুবে ছিল। কিন্তু বিল থেকে পানি নামার সুযোগ ছিল। কিন্তু বিলে মাছ আছে এমন দোহায়ে পানি বের করতে দেয়নি চাষ করা ব্যক্তিরা। আবার বোরো মৌসুমে বীজতলা ও ধান রোপনের সময় বিলে পানি থাকার কারনে সময় মত কিছুই করা যায় না। বিলটি জরুরি ভিত্তিতে উন্মুক্ত করা হোক। তাহলে কৃষক ও মৎস্য জীবিদের প্রচুর উপকার হবে, বাঁচবে শতশত পরিবার।

বিল লীজ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মিথিলা দাসের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০ একরের ঊর্ধ্বে হলে জেলা থেকে লীজ হয়। এটা জেলার কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। 

লীজ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  আনিসুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাগজপত্র দেখার পর বলা যাবে। 

আরও খবর



একতারা ছেড়ে ডাব বেছে নিলেন হিরো আলম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার: বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী হিসেবে নয় বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত জাতীয় জোটের গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি) থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। হিরো আলমের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের কাছে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মনোনয়ন জমা দেন।এদিকে ফেসবুকের মাধ্যেমে হিরো আলমের বিষয়ে সব কিছু জানিয়ে দেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ ইয়ারুল ইসলামে

হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ বলেন, ‘আমরা বগুড়া-৪ আসনে হিরো আলম ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিলাম। আমরা এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেইনি। এবার বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের ডাব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন হিরো আলম।’

তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম পার্টির মনোনয়নে একটু ভুল ছিল। তারা আরও একজনকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এটা আগে জানা ছিল না। এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী হিসেবে হিরো আলমের পক্ষে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তবে আজ জমা দেওয়া হলো গণঅধিকার পার্টি থেকে নেওয়া মনোনয়ন।


আরও খবর

"এক বউয়ের দুই স্বামী "

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩