Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রবাসীদের নিয়ে "স্পেনে রাষ্ট্রদূতের ঈদ আনন্দ উৎসব"

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৩০১জন দেখেছেন

Image

কবির আল মাহমুদ,স্পেন : স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদের আয়োজনে ঈদ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে  বিশেষ এক আনন্দ অনুষ্ঠান।মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় স্পেন, এন্ডোরা ও ইকুয়েটরিয়াল গিনিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদের মাদ্রিদস্থ সরকারি বাসভবন "বাংলাদেশ হাউজে" অনুষ্ঠিত হয় এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। মনোরোম পরিবেশে প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ ও তার সহধর্মিনী ফরিদা আক্তার।

রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত আয়োজনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, স্পেনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী দীনেশ কে পাটনাইক, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের প্রথম রাষ্ট্রদূত আর্থুরো পেরেজ মার্টিনেজ, স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, দূতাবাসের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) ও মিশন উপ প্রধান এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল, কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) দ্বীন মোহাম্মদ ইমাদুল হক, কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) রেদোয়ান আহমেদ, কাউন্সেলর (লেবার ওয়েলফেয়ার) মো. মোতাসিমুল ইসলামসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং মাদ্রিদে বসবাসরত বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ অতিথিদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নৈশভোজে বাঙালিয়ানা নানা খাবারে আপ্যায়িত করার রকমারি স্নাক্স মিষ্টি, পিঠা-চা পরিবেশন করা হয়। অতিথিরা একে অপরের সাথে নানা গল্প আড্ডায় মেতে ওঠেন। মনে হয়েছিল রাষ্ট্রদূত সরকারি বাসভবন বাংলাদেশ হাউজটিকে ছোট্ট এক বাংলাদেশ।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী প্রবাসীদের ঈদের শুভেচ্ছা বলেন বলেন, শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা সেটি বিশ্বের উন্নত দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ সামাজিক, গণতন্ত্রের সূচক, দেশের উন্নয়নের সাথে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সবকিছুতে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অদম্য। যার গর্বিত অংশীদার প্রবাসীরা।
 বর্তমান সরকারকে প্রবাসীবান্ধব সরকার উল্লেখ তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের সুবিধার্থে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৮ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টায় দূতাবাসে বাংলাদেশের ই পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান এবং তিনি সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামী দিনে ঈদসহ নানা আনন্দ উৎসবে অনুরূপ আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

* কবির আল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক, ইউরোপ-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব।


আরও খবর



নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কক্সবাজারে ভ্রমণ প্রলোভনে সমালোচনার ঝড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের (সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) অনুষ্ঠানে আবারও নির্বাচিত হলে তাদের কক্সবাজার ভ্রমণের আশ^াস দিয়েছেন এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে তার এমন ঘোষণায় নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও।

এলাকাবাসী, প্রার্থী সমর্থকরা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২১শে মে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী মাঠে একাধিক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কিন্তু এদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন সিকদার গত মঙ্গলবার দুপুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কৌশলে আমন্ত্রন জানায়। আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে উপজেলার কালামপুর এলাকায় সোহাগ পল্লী পিকনিক স্পটে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন ও ঈদ পুনর্মিলনী নামে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের নামে সহ¯্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ডেকে তার নির্বাচনী প্রচারণা করেন ওই প্রার্থী। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন সিকদার বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি আবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ নির্বাচনে আরো ২-৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন। আপনারা বিচার বিশ্লেষন করে আমাকে সহযোগিতা করবেন। যদি আমি আবারও নির্বাচিত হতে পারি তাহলে তিন মাসের মধ্যে অবশ্যই প্রত্যেক শিক্ষক পরিবারকে নিয়ে দুইদিনের জন্য কক্সবাজারে সফর করা হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে তার এমন ঘোষণায় বিভিন্ন মহলসহ চা-দোকানেও নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিকে আসন্ন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও অপর একটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ফরম পুরণের অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দেন ওই প্রার্থী।এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও।

মুরাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন দেওয়ান জানান, আমরা শিক্ষকরা নির্বাচনে সহকারী প্রজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকি। তবে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করবেন আগে জানলে আমরা যেতাম না।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাফিজুর রহমান। আচরণ বিধিতে উল্লেখ আছে, সরকারী কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর নির্বাচনের আগ মুহুর্তে কোনো প্রার্থী শিক্ষকদের ডেকে এনে এ ধরণের প্রলোভন দেওয়া নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি (৮৫) মারা গেছেন।

সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কিংবদন্তি এই কোচের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’এক পোস্টে এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!

মেনোত্তির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে লেখেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখন তিনটি তারকা। তারকাখচিত এই জার্সি একসময় ফাঁকা ছিল। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার জার্সিতে স্থাপিত হয় প্রথম তারকা। সময়টা ১৯৭৮। মেনোত্তি সেই আসরে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ উপভোগ করান।

আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জেতানোর পরই নিজের দায়িত্ব শেষ করে দেননি মেনোত্তি। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে বিশ্বজয় করেছিল ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম যুব বিশ্বকাপ।


আরও খবর



দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও ইফতার করেছেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানায় দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ঈদ উপহার বিতরণ ও একসঙ্গে ইফতার করেছেন খাগড়াছড়ি জেলার  পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)। 

রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে জেলা পুলিশের আয়োজনে পবিএ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা থানার আওতায় দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী, খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম,  সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাটিরাঙ্গা সার্কেল  আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)   কমল কৃষ্ণ ধর সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন

একজন দুঃস্থ নারী ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে ঈদের আনন্দের মাত্রা আরো একধাপ বেড়ে গেল। ঈদের সময় পুরাতন জামা কাপড় পড়তে হয়। কিন্তু এই বছর পুলিশ সুপার মহোদয়ের থেকে নতুন জামা পেয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারব। স্যারের কল্যাণে আজ আমাদের আনন্দ বেড়ে গেল। আল্লাহ পুলিশ সুপার মহোদয়ের মঙ্গল করুক। 

পুলিশ সুপারের কাছ থেকে ঈদ উপহার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অসহায় এবং এতিম শিশুরা। তাদের অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তারা জানায়, প্রত্যেক মা বাবাই তার সন্তানের জন্য ঈদে নতুন জামা কেনার চেষ্টা করেন কিন্তু আমাদের মা বাবা নাই তাই নতুন জামা তো দূরের কথা ভালো খাবারও অনেক সময় ভাগ্যে জুটে না। পুলিশ সুপার মহোদয়ের থেকে ঈদ উপহার পেয়ে আমরা খুব খুশি হইছি।

সবাইকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  বলেন,“ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে এক  শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর।পবিএ রমজান মাসে ইফতার, সেহরি, যাকাত, ফিতরা কার্যক্রমের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের সামাজিক ব্যবধান দূর হয়ে সমাজে সাম্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইফতারের মাধ্যমে ধনী-গরীব এক কাতারে আসে। আসুন আমরা সবাই দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে সাম্যের সমাজ গঠনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।”

আরও খবর



মির্জাপুর আট ঘড়িতে খান আহমেদ শুভ এমপি'র দেওয়া রাস্তা উদ্বোধন করলেন ময়নাল চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আটঘড়ি পাকা সড়ক হতে  শ্রী শ্রী কালী মন্দির পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার মাননীয় এমপি খান আহমেদ শুভ'র দেওয়া প্রকল্পের রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ উদ্বোধন করেন, আনাই তারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল।

অত্র এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া এ রাস্তাটির কাজ ধরায় এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। কেননা সামান্য বৃষ্টি কিংবা বর্ষাতেই এখানে পানি জমে যাতায়াতের ভীষণ অসুবিধা হতো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৬ নং আনাই তারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা কামাল ময়নাল বলেন, মির্জাপুরের উন্নয়নে বিশেষ করে রাস্তাঘাটের উন্নয়নে আমাদের বর্তমানে এমপি খান আহমেদ শুভ মহোদয় অত্যন্ত আন্তরিক। উনার দেওয়া প্রকল্প থেকেই এ রাস্তার কাজটি ধরা হয়েছে। আনাই তার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রশিদ আবু।  আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি কামাল খাঁ, সাধারণ সম্পাদক মালেক খান এবং শিপন, সোহেল, মীর রুবেল। আরো উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মমিনুর রহমান মমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হালিম মিয়া সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 


আরও খবর