Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

প্রবাসী শ্রমিক নেবে ইতালি, আবেদন শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছরে সিজনাল (মৌসুমি) ও স্পন্সর ভিসায় অভিবাসীদের কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) দিতে নিবন্ধন শুরু করেছে ইতালি। কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়, শ্রমবাজারের চাহিদা বিবেচনায় অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ দিতে চায় দেশটির সরকার। গত ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই আবেদন প্রক্রিয়া। 

ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেস্কো ললোব্রিজিদা বলেছেন, ইটালির ‘ফ্লো ডিক্রির’ অধীনে কত অভিবাসী শ্রমিক আনা উচিত, তা শ্রমবাজারের চাহিদা এবং তাদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।

দেশটির রাই ট্রে টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা ঘোষণা করতে চায় না ইতালি। আপনি যখন ইতালিতে শ্রম শক্তি নিয়ে আসবেন, এটা খেয়াল রাখতে হবে—এসব মানুষদের যাতে সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যাদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় এবং একটি চুক্তির অধীনে ভালো বেতনের কাজ দেওয়া যায়।

ইতালির কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে ইতালিতে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের অনেকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করেন। এমন চিন্তাকে নিন্দা জানাই। অনেক ইতালিয়ান ‘সিটিজেনশিপ ওয়েজ’ বা ‘নাগরিক বেতন’ নিয়ে যেসব চাকরিকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখেন, সেসব চাকরিই শ্রমিকেরা করতে আসে। তাই আমি এই ধরনের একটি অসভ্য চিন্তাভাবনা প্রত্যাখ্যান করি।

কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেকো ললোব্রিজিদা জানান, ইতালিতে কৃষিখাতে হাজার হাজার শ্রমিকের সংকট রয়েছে। স্থানীয় শ্রমবাজার থেকে এই ঘাটতি পূরণ করা যাচ্ছে না। ইতালির কৃষিখাতে শ্রমিকের সংকটের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত।

দেশটির কৃষকদের সংগঠন কোলদিরেত্তি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের আশা সরকার কৃষিখাতের জন্য এক লাখ শ্রমিক আনার অনুমতি দেবে।

এদিকে, দেশটির শ্রমবাজারের ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে কর্মী আনার আগে ইতালিতে বর্তমানে অবস্থানরত অভিবাসীদের কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই চিন্তা করছে সরকার। বিদেশি কর্মী আনার বিষয়টি নির্ভর করবে দেশটিতে এই মুহূর্তে কত সংখ্যক দেশি-বিদেশি রয়েছেন, যারা সরকারের কাছ থেকে ন্যূনতম ভাতা পাচ্ছেন এবং দেশটির বিভিন্ন খাতে অবদান রাখতে পারবেন তার ওপর ভিত্তি করে। ইনফোমাইগ্র্যান্টস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে কর্মী আনতে চাইবে, তাদের প্রমাণ করতে হবে যে, দেশে এই খাতে কর্মীর ঘাটতি রয়েছে।


আরও খবর



ডোমারে ক্যান্সরে আক্রান্ত শিশু আমির হামজাকে বাচাঁতে সহায়তা চেয়ে বাবা-মায়ের আকুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে মরণব্যধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত শিশু আমির হামজা (৪) কে বাচাঁতে সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বাবা ও মায়ের আকুতির যেন শেষ নেই। গত ৪ মাস যাবত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না বাবা- মা। তাই দেশের বিত্তবান ও দানবীর ব্যক্তিদের কাছে সন্তানের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন আমির হামজার পিতা শাহিন আলম ও মা নিলুফা ইয়াসমিন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমুজুর শাহিন আলম। তার একমাত্র ৪ বছর বয়সী পুত্র সন্তান আমির হামজা মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগ দেখা দেয়। গত অক্টোবর মাসে ঢাকা পিজি হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ৪ মাস যাবত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নুসরাত জাহান তত্ত্ববাবধানে চিকিৎসাধীন করে এখন ৫০% সুস্থ্য হয়েছে। ডাঃ জানান, এক থেকে দুই বছর শিশুটিকে চিকিৎসা নিতে হবে, তাহলে সুস্থ হবে। বাড়ী ভিটার সামান্য জমি গরু ছাগল বিক্রি করে এবং অন্যের কাছে ধারদেনা করে পিজি হাসপাতাল থেকে শুরু করে রংপুর পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ টাকা সন্তানের পিছনে ব্যয় করে অসহায় ও দিশেহারা হয়ে বর্তমানে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।

বাকী দিনগুলোর চিকিৎসা খরচ জোগাতে দেশের বিত্তবান ও দানবীর ব্যাক্তিদের কাছে সন্তানের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর- ০১৭৮০-৬১০-৫৪১ বিকাশ ও নগদ। এ বিষয়ে জোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যন সাখাওয়াৎ হাবিব বাবু জানান, শাহিন আলম ছেলেটি খুব অসহায়, আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে সকলে মিলে সাধ্য মতো সহযোগিতা করেছি। শিশুটিকে বাচাঁতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। আপনাদের সহযোগিতায় বেচেঁ যেতে পারে শিশুটির প্রাণ।


আরও খবর



দিনাজপুরে চপ বানাতে গিয়ে বেগুনের ভিতর আল্লাহর নাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি ;চপ বানাতে গিয়ে দিনাজপুরে বেগুনের ভিতরে দেখা মিললো আরবি হরফে লেখা মহান আল্লাহর নাম। ইফতারির জন্য চপ বানাতে বেগুন কাটার পর অলৌকিক এ ঘটনা দেখতে পান দিনাজপুর বীরগঞ্জের এক গৃহবধু।

আল্লাহ লেখা এই বেগুনটিকে এক নজর দেখতে ভীড় করছেন শত শত মানুষ ওই বাড়ীতে।বেগুনের দুই ফালিতেই আরবিতে আল্লাহ নামের হরফ। আত্মশুদ্ধির এ পবিত্র মাহে রমজানে সারাদিন রোজা শেষে ইফতারিতে বেগুনী প্রস্তুত করতে গৃহবধু বেলী আরা বেগম বাড়িতে থাকা একটি বেগুন কাটার পর আল্লাহু লেখা দেখতে পান। পরে স্বামী ইলিয়াস আহমেদকে সাথে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদারাসার হুজুরের শরনাপন্ন হন।

বিষয়টি জানাজানি হলে বেগুনটি দেখতে এক নজর দেখতে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমসহ দুর দুরান্ত থেকে ছুঁটে আসা শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। কিছুক্ষন পর পর কেউ না কেউ আসছেন ঐ বাড়ীতে। এসে বেগুনটিকে কাছ থেকে দেখছেন, তুলছেন ছবিও। প্রথমবার এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে নিজেদের অনুভূতির কথাও জানান।

বর্তমানে বেগুনটি ফ্রীজে সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে।স্থানীয়দের দাবী এটা মহান আল্লাহর কুদরতি ক্ষমতাবলের নিদর্শন, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্য বাড়াবে। সেই সাথে আল্লাহর এই নিদর্শন সেই পরিবারের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ বলে ধারনা স্থানীয়দের।

বেগুনের গায়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নামের এই নিদর্শন স্বচোখে দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল গ্রামে। গ্রামে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে বলে দিবে ওই বাড়ির ঠিকানা।


আরও খবর



ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চেয়ারম্যান সমর্থককে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃবরগুনা জেলার আমতলীতে ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরন গাজী (৫০) কে ছুরিকাঘাতে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মেতাহার মৃধার সমর্থক মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার এমন অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুর্ব মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অনিল সাজ্জাল বাড়ীর সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। 

জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা বিতরন করছেন । বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহল আমিন ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবুল সরদারের ছেলে কাদের সরদার ও তার লোকজন হিরনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থকরা গ্রামে টাকা বিতরন করতেছিল। এতে মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন মৃধার সমর্থক শহীদ মালাকার, ইউসুফ মাতুব্বর ও কাদের সরদারসহ ৬/৭ জনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা ধাওয়া করেছে। 

নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, মোর কিছুই রইলো না। ওরা মোর স্বামীরে মাইর‌্যা হালাইছে। মুই এ্যাইয়ার বিচার চাই।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার নেতৃত্বে তার ভাই পান্নু মৃধা ও  আজাদসহ ৪০-৫০ জন গ্রামে ঢুকে টাকা বিতরন করছিল। ওই সময় আমার লোকজন ঘোড়া ঘোড়া বলে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সমর্থক হিরন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গতকাল আমার ব্যবসার কাজে বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিলাম। মোতাহার মৃধা ও তার লোকজন দিয়েই হিরনকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই ছুরিকাঘাতে আহত হিরন নামের একজন মারা গেছে। 

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভোটারদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হিরন গাজী নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



নন্দীগ্রামে চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, গ্রেফতার দুই

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image
মনির নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার নন্দীগ্রামে দুইশো টাকা চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। কয়েক দফায় অমানবিক নির্যাতনের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এঘটনায় রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোর সুমনের বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে সেই মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলেন- নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নামুইট গ্রামের মাতব্বর নজরুল ইসলাম ও কাচু প্রামানিক।

বুধবার (২৭ মার্চ) নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নামুইট তিনমাথা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সড়কের মাঝখানে কড়ইগাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর উপজেলার তাঁরাটিয়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুর্শিদুল ও ভাটরা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সুমন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নামুইট তিনমাথা বাজারে ওয়াক্ত নতুন জামে মসজিদের দানবাক্স থেকে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে দুই কিশোরকে রাস্তা থেকে ধরে আনে নামুইট গ্রামের মাতব্বর নজরুল ইসলাম ও কাচু প্রামানিক। পরে গ্রামের কয়েকজন মোড়ল একত্রিত হয়ে দুই কিশোরকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে সালিশ বসায়। অমানবিক নির্যাতন ও গাছে বেঁধে হেনস্তার সময় গ্রাম্য মোড়লদের হাতে-পায়ে ধরেও রক্ষা পায়নি দুই কিশোর। এতিম মুর্শিদুলকে নির্যাতনের সময় তার ভিক্ষুক মা মোড়লদের পায়ে পড়ে কান্না করলেও সন্তানকে রক্ষা করতে পারেননি। তারা আহত হলেও চিকিৎসা করানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়কের মোড়ে নির্যাতনের সময় শতশত জনতা ভিড় করেন। যানবাহন থামিয়ে চালক, যাত্রী, পথচারি ও স্থাানীয়রা দাঁড়িয়ে থেকে দর্শকের মতো নির্যাতন দেখেন। দুই কিশোরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। তবে কয়েকজন ব্যক্তি মারধর না করার অনুরোধ করলেও গ্রাম্য মোড়লরা ছিল বে-পরোয়া।

নির্যাতনের শিকার সুমন জানায়, তারা বাবা-ছেলে অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সকালে দুই বন্ধু অটোভ্যান নিয়ে নন্দীগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিলো। নামুইট মোড়ে ভ্যান থামানোর সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে চোর চোর করে চিৎকার করে নামুইট গ্রামের মাতব্বর নজরুল। কয়েকজন মোড়ল ও স্থানীয় লোকজন এসে যাচাই না করেই দুই কিশোরকে মারতে মারতে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোর আখ্যা দিয়ে একঘন্টা অমানবিক নির্যাতন করা হয়। প্রমাণ ছাড়া মারধরের বিষয়ে উপস্থিত কয়েকজন প্রশ্ন তোলায় দুই কিশোরকে মসজিদের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় আধাঘন্টা নির্যাতনের পর দুই কিশোরকে নামুইট তিনমাথা মোড়ে এনে কড়ইগাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।

গ্রাম্য মাতব্বররা দাবি করেন, ফজর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পর দুই কিশোর দানবাক্স থেকে টাকা চুরি করে। তাদেরকে আটক করে শাসন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, চুরির অপবাদে গাছে বেঁধে হেনস্থা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। ভিডিওসহ তথ্য পেয়েই অভিযানে নেমেছে পুলিশ। এঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

আরও খবর



তানোরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে  প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী  উদ্বোধন এবং সমাপনী  করা হয়েছে। প্রদর্শনী শেষে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী খামারিদের মাঝে পুরস্কারস্বরূপ নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায়  উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও  প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: ওয়াজেদ আলী। 

প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুল আলম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সফল খামারি মো. সেকেন্দার আলী। উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ভেটোনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি,র) সহযোগিতায় অনুষ্ঠান গুলো অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টলে সফল উদ্যোক্তা ও খামারিরা অংশ নেন।

আরও খবর