Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ওমরাহ যাত্রী-এজেন্সিকে যে পাঁচ নির্দেশনা মানতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২০২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত ও নির্বিঘ্নে ওমরাহ পালনে এখন থেকে ওমরাহ যাত্রী ও এজেন্সিগুলোকে পাঁচটি নির্দেশনা মানতে হবে।করণীয় এ পাঁচটি বিষয় জানিয়ে ১৫ অক্টোবর ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি আরবের জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিস।

চিঠিতে বলা হয়, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে আসেন। সৌদি হজ্ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী গত বছর এ সংখ্যা ছিল পাঁচ লক্ষাধিক। এত বড় সংখ্যক বাংলাদেশি ওমরাহ পালনে আসলেও তাদের আসা-যাওয়া কিংবা ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরত যাওয়া না যাওয়ার কোনো সঠিক হিসাব বা তথ্য সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা বা পদ্ধতি চালু নেই। ফলে কেবল সৌদি আরবে অসুস্থ হলে কিংবা হারিয়ে গেলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে তাদের বিষয়টি জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিসকে অবহিত করা হয়। কোনো ওমরাযাত্রী কোনো প্রকার সমস্যা বা বিপদগ্রস্ত হলে সেক্ষেত্রে জেদ্দার হজ অফিসকেই এগিয়ে আসতে হয়। কিন্তু সঠিক তথ্য না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।

ফলে ওমরাহ পালনকারীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হলে পাঁচটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

যে ৫ নির্দেশনা মানতে হবে

১. বাংলাদেশ থেকে গ্রুপভিত্তিক ওমরাহে আসতে হবে। গ্রুপের সঙ্গে ওমরাহ এজেন্সির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিনিধি বা গাইড সৌদি আরবে আগমন করবেন। সৌদি আরবে অবস্থানকালে বিশেষ করে হারাম শরীফে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা কোথাও জিয়ারত বা মার্কেট কিংবা অন্য কোথাও গেলে গ্রুপভিত্তিক চলাচল করতে হবে।

২. বর্তমান নিয়মানুযায়ী ওমরাহযাত্রী সৌদি আরবে আসার আগেই তার হোটেল নির্ধারিত হয়ে যায়। ফলে প্রত্যেক ওমরাযাত্রীকে বাংলাদেশের এবং সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্সির নাম, মোবাইল নম্বর, হোটেলের নাম ও ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সম্বলিত আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে এবং তা সঙ্গে রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করতে হবে। কোনোভাবেই আইডি কার্ড ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না।

৩. ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে সুস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ। ওমরাপালনকারীকে অবশ্যই মেডিকেল চেকআপ করাতে হবে। বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ওমরাযাত্রীদের নিজস্ব লোক (স্বামী, সন্তান, ভাই ইত্যাদি) সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।

৫. বাংলাদেশি ওমরাহ এজেন্সির সঙ্গে স্থানীয় সৌদি ওমরাহ কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী তালিকা জেদ্দার হজ অফিসে পাঠাতে হবে। ওমরাহ পালন এবং স্থানীয় সৌদি নিয়মাবলী সম্পর্কে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা একান্ত জরুরি। ব্যাগেজে মালামাল বহনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সৌদি আইন অনুযায়ী বহন নিষিদ্ধ মালামাল বহন থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি দেশে ফেরত যাওয়ার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র কেনার রশিদ সঙ্গে রাখতে হবে। ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল বা এর বেশি নগদ অর্থ, সোনার অলংকার কিংবা অন্য কোনো মূল্যবান জিনিসপত্র থাকলে সৌদি কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষকে নিয়মানুযায়ী ঘোষণা দিতে হবে। পরিচিত বা অপরিচিত কোনো ব্যক্তির মালামাল ভালোভাবে পরীক্ষা না করে বহন করা যাবে না।

বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ওমরাহ পালনকারীদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নিরাপত্তার সঙ্গে ওমরাহ পালনে এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা একান্ত জরুরি জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো ওমরাহপালনকারী বিপদগ্রস্ত হলেও তার কাছে কিংবা এ অফিসে কোনো প্রকার তথ্য না থাকায় জেদ্দার হজ অফিসের কোনো প্রকার সহায়তা করা সম্ভব হয় না।

এমতাবস্থায় ওমরাহ পালনেচ্ছুক ব্যক্তিদের ও ওমরাহ পরিচালনাকারী এজেন্সিগুলোকে বিষয়গুলো অবহিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।


আরও খবর

৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




ছাত‌কে অনু‌মো‌দিত ছাড়াই ১৩‌টি গাছ কর্তন,শি‌ক্ষিকা হ‌য়ে আইন মানচ্ছেন না!

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:দেশব্যাপী খরতাপ, পরিবেশের রুক্ষতা নিয়ে হৈ—চৈ’এর মধ্যেই সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপ‌জেলার দ‌ক্ষিন খুরমা ইউপির ম‌নিঞ্জা‌তি সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃপ‌ক্ষের অনু‌মো‌দিত ছাড়াই নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দে‌খি‌য়ে ১৩টি ছায়াবৃক্ষের গাছ কর্তন ক‌রে প্রায় ২ লাখ টাকার বি‌নিময় বি‌ত্রিু করেছেন। এ ঘটনায় ‌জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এলাকার ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমিরা এই অবিচার সাইতে না পেরে বিচারের জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিচ্ছেন তারা। গত ১ মে  সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথ‌মিক শিক্ষা কর্মকতার বরাব‌রে গ্রামবাসী লিখিত এক‌টি অ‌ভি‌যোগ দা‌য়ের ক‌রা হ‌য়ে‌ছে।

গ্রামবাসীর অ‌ভি‌যো‌গে বলা হয়, প্রায় তিন যুগ ধ‌রে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে কিছু ছায়াবৃক্ষ বড় হয় । বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে।

গত ৩ মাচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃর্পক্ষ বা গ্রামের সঙ্গে কথা না বলেই এ বৃক্ষ গু‌লো কেটে বিক্রয় করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা বলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এসব তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রেন ।

গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী জানান, গাছগুলো কাটায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কর্তন করে না। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাজ ক‌রে‌ছে প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ।

গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ জানান, বৃক্ষ কর্তনে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি, মতামত কিংবা তাদেরকে দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি।এই অনিয়মের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্থানে ধরণা দিলেও কেউ আমাদের ফরিয়াদ আমলে নিচ্ছেন না কেউ—ই।

এব‌্যাপা‌রে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী জানান, উপ‌জেলার নিবাহী কর্মকতার অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ‌্যমে এই গাছগু‌লো কর্তন করা হয়ে‌ছে । 

এব‌্যাপাার ইউপি সদস‌্য সুমন মিয়া জানান,ইউএনও অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ‌্যাল‌য়ের নানা জা‌তের গাছ গু‌লো কে‌টে‌ছেন শি‌ক্ষিকা।

এব‌্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান,ছাতকে বন বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পর বিট কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে মতামত ও মূল্য নির্ধারণ করে জেলা কমিটিতে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এব‌্যাপারে জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানালেন, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেয়নি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান,,অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।


আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর



ইসলামপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর) প্রতিনিধি:জামালপুরের ইসলামপুরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে গোলাম রাব্বানী (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা গুঠাইল বাজারের ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিজ বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী। স্থানীয়রা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যবসায়ীকে মৃত্যু হয়েছে। ধারনা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণেই উনার মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবর



হিলিতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:চলছে বৈশাখ মাস সারাদেশে প্রচন্ড তাপদহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে রিকসা,ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা।এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোঃ মোসলেম উদ্দিন,হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সভাপতি সবিরুল ইসলাম,সদস্য ডাঃ সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রিকসা চালক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বুঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন।ইজিবাইক চালক নাজমুল হোসেন বলেন,প্রচন্ড রোদ ও তীব্র গরমে তারা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন। আমি তাদের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানাই।হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচন্ড তাপদহে পুড়ছে সারাদেশ।

এসময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছি। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহবান জানাই তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় !।সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



কবে খনন করা হবে ফুলবাড়ী যমুনা নদী,পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাজার বছরের ছোট যমুনা নদীটি খনন না করায় এখন পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। নদীতে এখন ধুধু বালুচর। পানি নেই নদীতে। নদীটি প্রায় প্রস্তে ৩০০ ফিট থেকে ৪০০ ফিট। এক সময় এই ছোট যমুনা নদীটি খর¯্রােত ছিল। এই নদী দিয়ে পানি পথে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে ধান, পাট সহ বিভিন্ন পন্য আনা নেওয়া করত। কালের বিবর্তনে এখন আর ছোট যমুনা নদীতে নৌকা চলে না । ছোট যমুনা নদীতে এখন কৃষকেরা রবিশস্য সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। প্রায় ৩০ কি. ছোট যমুনা নদীটি এখন পানি শুন্য। এই নদীটি উত্তর থেকে এসে চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বাংলা হিলি, পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট হয়ে বয়ে গেছে।এর মধ্যে নদীর কিছু অংশ ভারতরে মধ্যে পড়ে যায়। বর্তমান ছোট যমুনা নদীটি খনন না করার কারণে বর্ষ কালে পানিতে অতিরিক্ত ভরার হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে। এতে গ্রামগুলো সহ ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়। হাজার বছেরের পুরাতন এই ছোট যমুনা নদীটি পুনরায় খনন করা হয়ে একদিকে যেমন বর্ষকালে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি পানিতে প্লাবিত হবে না। অন্য দিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে আবদী জমি ও গ্রামগুলি। খনন করা হলে সারা বছর নদীতে পানি থাকবে এই পানি ব্যবহার করে কৃষকেরা জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারেবে। জেলেরা সারা বছর জীবন জীবিকা জন্য মাছ অহরন করতে পারবে। দীর্ঘ এক হাজার বছর ধরে এই নদীটি খনন করার কোন উদ্দ্যেগ নেই। সারা দেশে এমন নদী গুলি খনন কাজ শুরু হলেও ফুলবাড়ী ছোট যমুনা নদীটির খনন কাজ কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এর সাথে ০১৭৫৪৪৯৫৭১১ এ নম্বরে কথা বললে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি গত মাসে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অতি শিগ্রই প্রায় ১৫ কিলো মিটার নদীর খনন কাজ শুরু হবে। নদীটির খনন কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।


আরও খবর