Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)স্বর্ণের দাম আরও কিছুটা কমিয়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বর্ণের নতুন দাম এদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকেই কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ৮ হাজার ২৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৪০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

তবে অপরিবর্তীত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি প্রতি দুই হাজার ৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপা ভরি প্রতি এক হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নাসিরনগরে সালীশে কথা কাটা কাটি ছুঁড়ি ঘাতে আহত দুই

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃনাসিরনগরে জমি ও পুকুর নিয়ে সালীশে কথা কাটা কাটির জের ধরে সালীশ কারকদের সামনেই দুই সহোদর পাবেল ও রুবেলকে  ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।আহতরা এখন হাসপতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  পূবর্ভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে।জানা গেছে  গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী ওসমান,জমসু,মারুফ ও ফরুকের পুকুর ও জমি নিয় সংঘর্ষ হয়।এ সংর্ষ শেষ করতে ঘটনার তারিখে গ্রামের ও পাড়ার সর্দার মাতাব্বররা  মিলে একটি সালীশের আয়োজন করে।সালীশের শেষ পর্যায়ে,জমসুর মিয়ার ছেলে এংরাজ মিয়া, এংরাজের ছেলে তারেক মিয়া,আহাদ মিয়া, আহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে পাবেল ও রুবেলকে সালীশকারকদের সামনে ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে পিটে মারাত্বক ভাবে আহত করে।আহত দুই সহোদর এখন নাসিরনগর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরে জমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

হাবিবুর রহমান জানায় তারা প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও পুকুর দখল করে রেখেছে।আমি দুর্বল মানুষ।আমার ছেলেরা বাড়িতে থাকে না।তারা ঢাকায় কেউ চাকুরী আর কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে।তারা বড় গোষ্টির লোক ও প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি !

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৪৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার,স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানী ডেমরা থানাধীন বাঁশের পুল এলাকার ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভেতরে ভবন নির্মাণে ত্রুটির কথা বলে সংবাদ প্রকাশ করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি চেষ্টা কালে স্থানীয়দের সাথে বিরোধের জের ধরে দুজনকে গনপিটুনি দেয়া হয়েছে।এ সময় নাম সর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দানকারী শরীফুল ইসলাম ও মাকসুদুল আলম রবি নামে দু'জন  আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন হাউজিং প্রকল্পটির ভেতরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় রাজউকের দোহাই দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বেশ কয়েক জন ব্যক্তি। কয়েক দিন আগে অখ্যাত একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে।

এর পর নানা ভাবে এসব ভবন মালিকদের রাজউক দিয়ে বিল্ডিং ভেঙে ফেলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। সোমবার ২২ এপ্রিল দুপুরে ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন ভবনের চিত্রধারণ করতে থাকে।এ সময় শরিফুল ইসলাম প্রকল্প এলাকার ভবন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এর সাথে খারাপ আচরণ করে।পরবর্তীতে আশেপাশের ভবন থেকে লোকজন এসে তাদের কে চ্যালেঞ্জ করলে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায় পরে দুইজনকে উত্তম মধ্যম দেয় উপস্থিত জনতা।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভিতরের মারা-মারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এরই মধ্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও খবর



হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ল আরও ৩ দিন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:(হিট অ্যালার্ট) মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ল। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া বিভাগ। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আরও তিন দিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৮ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে গত কিছুদিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ৩১ মার্চ থেকে টানা বইছে এ তাপপ্রবাহ। আগামী মাসের (মে) প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ। অধিকাংশ অঞ্চলে তাপদাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


আরও খবর



ট্রেন বিলম্ব হলেও সহনীয় পর্যায়ে রাখব: মহাপরিচালক

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যদি বিশেষ কোনো ঘটনা না ঘটে তাহলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে তাতে বাংলাদেশের সব ট্রেন সঠিক সময় চালানোর ব্যবস্থা করতে পারব,বলেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী । কিছুটা বিলম্ব হলে সেটা আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখব।

শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদযাত্রা পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেন সমন্বয় করার জন্য পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তাদের আমরা ঢাকায় নিয়ে এসেছি। কিছু বিলম্ব থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি বিলম্ব হবে এটা আশা করছি না। বিলম্বগুলো সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য চেষ্টা করব।

সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ট্রেন বিলম্ব হবে এটা আমরা ধরে নিয়েছি। যখন ট্রেনটা ছাড়ে তখন একরকম থাকে, তারপরে যাত্রীর চাপ বাড়ে, পথে নানা ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কিছুটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে আবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সবকিছু বিবেচনা করে ট্রেন চলাচলে কিছুটা বিলম্ব হবে এটা আমরা ধরেই নিই। যখন একটি ট্রেন বিলম্ব হয়; ধরে নিন একতা এক্সপ্রেস এখন দেরিতে ছেড়েছে। কিন্তু আমাদের একটা স্পেয়ার রেক পঞ্চগড়ে আছে। তখন আমরা সেই কোচ দিয়ে ওইখান থেকে সঠিক সময় ট্রেনটা আবার ছেড়ে দিই। ফলে আমরা কিছুটা বিলম্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, আমাদের যে ট্রেনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলে তার বাইরে শেষ তিন দিন ভিড় সামাল দিতে আরও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনও বাড়ানো হয়েছে। ট্রেন যাত্রীরা যদি বিশৃঙ্খলা না করে তাহলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে, তাতে আমরা সামলে নিয়ে ট্রেন ঠিকভাবে চালাতে পারব।


আরও খবর