Logo
আজঃ রবিবার ১১ জুন ২০২৩
শিরোনাম

অধরা সাধ্যের ব্রয়লার মুরগিও

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;খাবারসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন দাম দেখে অনেকেরই ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, গরুর পর এবার মুরগির মাংসকেও বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন অনেক ক্রেতা।

রাজধানীর রায়েরবাজারে মুরগি কিনতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লারের কেজি ২৭০-২৮০ টাকা হবে কখনো কল্পনাও করিনি। সুযোগ বুঝে রোজা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এক লাফে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে যা খুশি চলছে। দেখার যেন কেউ নেই। দ্রব্যমূল্যের এ পাগলা দৌড় কে থামাবে। এত দামে মুরগি কেনা সম্ভব নয়। এখন গরুর মতো মুরগি খাওয়াও ছাড়তে হবে।’

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। মহাখালী, সেগুনবাগিচাসহ কদমতলী এলাকার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাপ্তানবাজারসহ রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। খামার পর্যায়েও দাম বাড়ছে বলে জানান খামারিরা।

অথচ গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মুরগির খাবারসহ অন্যান্য সব ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এ মুরগির বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। বাজারে মুরগির দাম কত হওয়া উচিত, তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রিশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুরগির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রি খাতে প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়মের কারণে বাজারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কয়েকটি চক্র অল্প সময়ে বিপুল মুনাফার চেষ্টা করছে। এর আগেও একবার মুরগি ও ডিমের বাজারে এমনটা হয়েছে। এবার রমজান মাস শুরুকে কেন্দ্র করে আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, একদিনের বাচ্চার দাম বাড়তে বাড়তে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। বাড়তি এ দামেও বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার প্রান্তিক খামারি মো. শহীদুল আলম ও জয়পুরহাটের খামারি মিজবাহ-উল-হক জানান, বাচ্চা ও মুরগির দাম মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে হুটহাট বাড়ে-কমে। গতকালও এসএমএসে একদিনের বাচ্চার দর ৬২ থেকে ৬৭ টাকা জানানো হয়েছে। এ দামেও বাচ্চা মিলছে না। সিন্ডিকেটের বাইরের কারও বাচ্চা পেতে প্রতি পিসে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। যারা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ে যুক্ত রয়েছেন, তারা কম দামে বাচ্চা পাচ্ছেন। অপরদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পরই অজানা কারণে ফিডের (মুরগির খাবার) দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে ব্রয়লারের একদিনের বাচ্চার দাম ৬২ থেকে ৬৭ টাকা। যদিও খামারিরা বলছেন, বাচ্চা সংকট দেখিয়ে ডিলাররা দাম আরও বেশি রাখছেন। অথচ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বাচ্চার দাম ছিল মাত্র ৯ টাকা। ১৫ তারিখে দাম বেড়ে ১৫ থেকে ১৮ টাকা হয়। এরপর ২৫ তারিখে ৩০ টাকা, ২৬ তারিখে ৩৬ টাকা, ৩০ তারিখে হয় ৪০ টাকা। ২ ফেব্রুয়ারি ৩৯ থেকে ৪২ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় ওঠে। মার্চে আরও বাড়ে। অর্থাৎ প্রায় আড়াই মাসে দাম ৭ গুণেরও বেশি বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, একটি বাচ্চার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত হলে সেটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, একদিনের বাচ্চার সম্পূর্ণ বাজার বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে। পাশাপাশি কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ের নামে তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন। গায়েবি এসএমএসে (মুঠোফোন বার্তা) হুটহাট বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের বাইরের খামারিরা বাচ্চা পাচ্ছেন না। পেলেও অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। সব দিক থেকেই করপোরেট কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

পোল্ট্রি খাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারসাজিকারী চক্র ১৮০ কোটি টাকা লোপাট করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এবারের হিসাব আরও বড় হবে। রোজা ঘিরে আবারও একটি চক্র কারসাজি করছে। এর আগেও ডিম নিয়ে বড় কোম্পানির কারসাজির তথ্য উঠে এলে সরকারি সংস্থা মামলাও করেছে। কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। আমরা বহুবার এ তথ্য তুলে ধরছি। অথচ কারও যেন টনক নড়ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও যেন চোখ বুজে আছে। ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১ মাসের সময় নিয়েছিল পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের কৌশলপত্র তৈরির জন্য। কিন্তু তা এখনো হয়নি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কারসাজি করে বড় লোকসানে ফেলে ছোট খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যেগুলো অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাজার দখল করে নিয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন তারা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেটের হাতে বাজার চলে গেলে এমনটাই হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিম নিয়ে কারসাজির সময় আমরা দেখেছিলাম আমদানির ঘোষণায় দাম রাতারাতি কমে গিয়েছিল। এবার ডলার সংকটের কারণে মুরগি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে না। এ কারণেই হয়তো মুরগির বাজারে কারসাজি চলছে।

কারসাজিকারীরা বাজারে নানা অনিয়ম ও মনিটরিংয়ে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ে রসিদ ব্যবহার হচ্ছে না। বাজারে হাত বদলের সংখ্যা কমাতে হবে। বারবার ব্যবসায়ী সমিতির নাম উঠে আসছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে; সেই সঙ্গে ২ জেলায় ৬০-৮০ ও ৪ জেলায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশার বিভাগসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা রোববার অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



নবীনগরে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত ১

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে বজ্রপাতে শ্রাবণ (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের ফুটবল খেলার মাঠে এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।নিহত শ্রাবণ বিদ্যাকুট দক্ষিণ পাড়া মোঃ সোহরাব মিয়ার ছেলে।জানাযায়, আজ দুপুরে বিদ্যাকুট বাজার থেকে মাথার চুল কেটে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যাকুট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে একদল কিশোর ফুটবল খেলছিল।

তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথেই বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।এ সময় শ্রাবণ মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে অন্যরা চিৎকার করতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিদ্যাকুট যোগাযোগ ডায়াগনেষ্টিক ক্লিনিক সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারুল হক বিষয় টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রাবণ দুপুরে চুল কেটে বিদ্যাকুট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে, স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ডিপজল-মৌ খানের যেমন জামাই তেমন বউ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:  ৯ জুন শুক্রবার দেশের ২০ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মৌ খান অভিনীত সিনেমা, যেমন জামাই তেমন বউ। এ সিনেমাটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে পর্দায় হাজির হচ্ছেন তাঁরা । সামাজিক-পারিবারিক ঘরানার এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মমতাজুর রহমান আকবর।

যেমন জামাই তেমন বউ ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এতে ডিপজল ও মৌ খান ছাড়া উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন নাহিদ এরফান, শ্যামল, প্রিয়াংকা জামান, রিনা খনসহ আরও অনেকে।

নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর জানান, এটি একটি সামাজিক-পারিবারিক ঘরানার সিনেমা। এ ধরনের গল্পে সাধারণত সিনেমা নির্মিত হয় না। প্রতিটি সংসারে জামাই-বউয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ থাকে, সন্দেহ থাকে। পরিবারের ভেতরকার এ ধরনের বিরোধপূর্ণ ঘটনাই দেখা যাবে এ সিনেমায় ।

যেমন জামাই তেমন বউ নিয়ে প্রত্যাশা কেমন? জানতে চাইলে মৌ খান বলেন, প্রত্যাশা অনেক বেশি। কারণ ডিপজল ভাইয়া অনেক গুণী একজন অভিনেতা। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে বড়পর্দায় হাজির হচ্ছি। আশা করি, দর্শকরা সুন্দর একটা জুটি দেখতে পাবে। দর্শকরা যে প্রত্যাশা নিয়ে হলে আসবেন, আশা করি সেটা পূরণ হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিশোধের আগুন ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। এ ছবিতে মৌ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন জায়েদ খান। ছবিটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ আসলাম। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মৌ খান অভিনীত ৬ টি চলচ্চিত্র বান্ধব, বাহাদুরী, অমানুষ হলো মানুষ, বাংলার হার-কিউলিস, মাফিয়া এবং জ্বলছি আমি। সম্প্রতি তিনি ইউরোপের নামকরা ব্র্যান্ড জুসেরা লিকুইড হ্যান্ডওয়াশের বিজ্ঞাপনচিত্রে চিত্রনায়ক রিয়াজের বিপরীতে মডেল হয়েছেন।


আরও খবর



সাগরে ৬৫ দিন মাছধরা সরকারি নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের দুর্বিষহ জীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: সাগরে ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজননকালে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে মাছধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে জীবিকার একমাত্র মাধ্যম মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ   নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অন্তত এক লক্ষাধিক  জেলে।জেলেরা জানান, বন্ধের এই দিনগুলোতে জেলেদের জনপ্রতি সরকারি যে সহায়তা প্রদান করা হয়-তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি সহায়তার বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি তাদের। এ নিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানান, মাছধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার লক্ষ্যে জেলেদের সহায়তাসহ নানা কর্মসূচি সরকারের রয়েছে। প্রতি বছরই তা বাড়ছে।শুক্রবার (১৯মে) মধ্যরাত থেকে মাছধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় শুক্রবার বিকালের মধ্যেই সাগর থেকে উপকূলে ফিরেছে অধিকাংশ ট্রলার। অল্পসংখ্যক ট্রলার সাগরে অবস্থান করলেও মাছধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই মধ্যরাতের মধ্যে ফিরে আসার কথা রয়েছে। সাগর থেকে ফিরে আসা সারি সারি নোঙর করা এসব ট্রলারের দেখা মিলেছে কক্সবাজার শহরে বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন নৌঘাটে। এতে ট্রলার থেকে মাছধরার জালসহ অন্যান্য মালামাল সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।কিন্তু দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সাগরে মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পরিবারের স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

তারা জানান, নিত্যপণ্যের বাজারে জেলেদের সরকারি সহায়তার বরাদ্দ অপ্রতুল। প্রকৃত অনেক জেলে নিবন্ধনের আওতায় না এলেও ভুঁয়া অনেকে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।আব্দুল ওদুদ  নামে এক জেলে জানান, কদিন আগে গেল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এরপর ছিল সমুদ্র উত্তাল। আর এখন ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ। সুতরাং সামনের দিনগুলো খুবই কষ্টের মধ্যে যাবে। এই বেকার সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে সরকারের পক্ষ থেকে যে সহায়তা দেওয়া হয় তাও ঠিকমত বণ্টন করা হয়না।আব্দুর রহমান  নামে আরেক জেলে জানান, ৮ সদস্যের পরিবারের ভরণ-পোষনের দায়িত্ব তার কাঁধে। সরকারের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করা হয় তা যতেষ্ট নয়। তারমধ্যে সবকিছুর দাম বাড়তি। ওই বন্ধের দিনগুলোতে রিক্সা চালিয়েও সংসার চলেনা।বাহাদুর  নামে আরেক জেলে জানান, অনেক সময় দেখা যায় জেলেদের জন্য আসা বরাদ্দ ঠিকমত বণ্টন হয়না। যারা দায়িত্বে থাকে তারাও ওখানে ভাগ বসায়। এছাড়া অনেক সময় তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম বাদ দিয়ে অন্য পেশার লোকজনকে যুক্ত করা হয়।

প্রশাসনের কাছে এই দুর্নীতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির উপদেষ্টা এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, মাছধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলেদের সহায়তার বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় এনে তালিকাভুক্তদের স্বচ্ছতার সাথে সহায়তার ব্যবস্থা নিতে হবে।কক্সবাজার সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহন জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সাগর থেকে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বিপণনসহ সবধরণের কর্মকাণ্ড নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলেদের সহায়তার বিষয়টি সরকারের চলমান কর্মতৎপরতারই অংশ।শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, জেলায় মাছধরার নিবন্ধিত ট্রলার রয়েছে ৫ হাজার ১৫৩টি এবং নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৩৯৪ জন। এছাড়া অনিবন্ধিত ট্রলার রয়েছে অন্তত ৩ হাজার এবং অনিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। 


আরও খবর



আসছেন কিসি কা ভাই কিসি কি জান, যাচ্ছেন ‘কসাই’

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’র পর এবার আসতে চলেছে সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’ সিনেমা। এর পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবে নিরব অভিনীত ‘কসাই’।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন ইউ আহম্মদ ট্রেডার্স সিনেমাটি আমদানি করার অনুমতি চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছিল। আজ বুধবার সিনেমাটি বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিষয়টি জানিয়ে বলেছে, ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ সিনেমা আমদানীর পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে নিরব অভিনীত ‘কসাই’ সিনেমা ভারতে যাবে। এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অনন্য মামুন।

ফরহাদ সামজি পরিচালিত ‘কিসি কি ভাই কিসি কা জান’ সিনেমায় বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন পূজা হেগড়ে, ভেঙ্কটেশ ডাগ্গুবাতি, জগপতি বাবু, রাঘব জুয়াল, সিদ্ধার্থ নিগম, শেহনাজ গিল, ভূমিকা চাওলা, বিজেন্দ্র সিং।

সিনেমাটিতে আরআরআর তারকা রামচরণকে একটি বিশেষ ক্যামিও ভূমিকায় দেখা যাবে।

হল মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশেষ কিছু শর্তে দেশের প্রেক্ষাগৃহে সার্কভূক্ত দেশগুলোর নানা ভাষার সিনেমা মুক্তির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সে অনুমতির আওতায় শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ দিয়ে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে মুক্তি পায় হিন্দি সিনেমা। সিনেমাটি ভালোই ব্যবসা করেছে।


আরও খবর