Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

অধরা সাধ্যের ব্রয়লার মুরগিও

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;খাবারসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন দাম দেখে অনেকেরই ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, গরুর পর এবার মুরগির মাংসকেও বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন অনেক ক্রেতা।

রাজধানীর রায়েরবাজারে মুরগি কিনতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লারের কেজি ২৭০-২৮০ টাকা হবে কখনো কল্পনাও করিনি। সুযোগ বুঝে রোজা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এক লাফে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে যা খুশি চলছে। দেখার যেন কেউ নেই। দ্রব্যমূল্যের এ পাগলা দৌড় কে থামাবে। এত দামে মুরগি কেনা সম্ভব নয়। এখন গরুর মতো মুরগি খাওয়াও ছাড়তে হবে।’

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। মহাখালী, সেগুনবাগিচাসহ কদমতলী এলাকার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাপ্তানবাজারসহ রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। খামার পর্যায়েও দাম বাড়ছে বলে জানান খামারিরা।

অথচ গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মুরগির খাবারসহ অন্যান্য সব ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এ মুরগির বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। বাজারে মুরগির দাম কত হওয়া উচিত, তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রিশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুরগির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রি খাতে প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়মের কারণে বাজারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কয়েকটি চক্র অল্প সময়ে বিপুল মুনাফার চেষ্টা করছে। এর আগেও একবার মুরগি ও ডিমের বাজারে এমনটা হয়েছে। এবার রমজান মাস শুরুকে কেন্দ্র করে আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, একদিনের বাচ্চার দাম বাড়তে বাড়তে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। বাড়তি এ দামেও বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার প্রান্তিক খামারি মো. শহীদুল আলম ও জয়পুরহাটের খামারি মিজবাহ-উল-হক জানান, বাচ্চা ও মুরগির দাম মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে হুটহাট বাড়ে-কমে। গতকালও এসএমএসে একদিনের বাচ্চার দর ৬২ থেকে ৬৭ টাকা জানানো হয়েছে। এ দামেও বাচ্চা মিলছে না। সিন্ডিকেটের বাইরের কারও বাচ্চা পেতে প্রতি পিসে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। যারা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ে যুক্ত রয়েছেন, তারা কম দামে বাচ্চা পাচ্ছেন। অপরদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পরই অজানা কারণে ফিডের (মুরগির খাবার) দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে ব্রয়লারের একদিনের বাচ্চার দাম ৬২ থেকে ৬৭ টাকা। যদিও খামারিরা বলছেন, বাচ্চা সংকট দেখিয়ে ডিলাররা দাম আরও বেশি রাখছেন। অথচ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বাচ্চার দাম ছিল মাত্র ৯ টাকা। ১৫ তারিখে দাম বেড়ে ১৫ থেকে ১৮ টাকা হয়। এরপর ২৫ তারিখে ৩০ টাকা, ২৬ তারিখে ৩৬ টাকা, ৩০ তারিখে হয় ৪০ টাকা। ২ ফেব্রুয়ারি ৩৯ থেকে ৪২ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় ওঠে। মার্চে আরও বাড়ে। অর্থাৎ প্রায় আড়াই মাসে দাম ৭ গুণেরও বেশি বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, একটি বাচ্চার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত হলে সেটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, একদিনের বাচ্চার সম্পূর্ণ বাজার বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে। পাশাপাশি কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ের নামে তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন। গায়েবি এসএমএসে (মুঠোফোন বার্তা) হুটহাট বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের বাইরের খামারিরা বাচ্চা পাচ্ছেন না। পেলেও অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। সব দিক থেকেই করপোরেট কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

পোল্ট্রি খাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারসাজিকারী চক্র ১৮০ কোটি টাকা লোপাট করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এবারের হিসাব আরও বড় হবে। রোজা ঘিরে আবারও একটি চক্র কারসাজি করছে। এর আগেও ডিম নিয়ে বড় কোম্পানির কারসাজির তথ্য উঠে এলে সরকারি সংস্থা মামলাও করেছে। কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। আমরা বহুবার এ তথ্য তুলে ধরছি। অথচ কারও যেন টনক নড়ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও যেন চোখ বুজে আছে। ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১ মাসের সময় নিয়েছিল পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের কৌশলপত্র তৈরির জন্য। কিন্তু তা এখনো হয়নি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কারসাজি করে বড় লোকসানে ফেলে ছোট খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যেগুলো অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাজার দখল করে নিয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন তারা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেটের হাতে বাজার চলে গেলে এমনটাই হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিম নিয়ে কারসাজির সময় আমরা দেখেছিলাম আমদানির ঘোষণায় দাম রাতারাতি কমে গিয়েছিল। এবার ডলার সংকটের কারণে মুরগি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে না। এ কারণেই হয়তো মুরগির বাজারে কারসাজি চলছে।

কারসাজিকারীরা বাজারে নানা অনিয়ম ও মনিটরিংয়ে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ে রসিদ ব্যবহার হচ্ছে না। বাজারে হাত বদলের সংখ্যা কমাতে হবে। বারবার ব্যবসায়ী সমিতির নাম উঠে আসছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলমান দেশের ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ এবং এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ খবর জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক।

তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেরর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



ব্যাংকে ডাকাতি ও অপহরণ: রুমা ও থানচিতে পুলিশের ৬ মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ডাকাতি বান্দরবানে দুই দিনে ৩ ব্যাংকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রুমা ও থানচি থানায় মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়।

মামলার এজাহারে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কথা বলা হলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। সব মামলায় এজাহারে থেকে ৫শ’ আসামি অজ্ঞাত লেখা রয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই থানায় ব্যাংক লুট, অস্ত্র ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনায় কয়েকশ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া গত রাতে থানচিতে আক্রমণের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

এ সময় তারা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র-গুলি লুট করে এবং তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করার চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে দুর্গম পাহাড়ে চলে যায়।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আবারও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এসময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে রুমা থেকে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। কিন্তু এ ঘটনার পরপরও থানচি বাজার ও থানায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

এসময় তাদের প্রতিহত করতে অন্তত ৫০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে মধ্যরাতে বান্দরবানের আলীকদমের ২৬ মাইল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চেকপোস্টেও গুলির ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচনে- তিন পদে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আমল,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২১ এপ্রিল বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারই প্রথম শুধু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এরমধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলাও রয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে  মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪ - ২৬ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ - ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে ও ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।

রবিবার ( ২১ এপ্রিল ) এ উপজেলায় সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, উপজেলা আ'লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সইদুল হক, আ' লীগ যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব, আ' লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য , আব্দুল কাদের।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোহেল রানা,  উপজেলা আ'লীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, আওয়ামী যুবলীগ সম্পাদক, রমজান আলী, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিক, হযরত আলী, কৃষক লীগ সভাপতি বাবর আলী, ও সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায় 
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, শেফালী বেগম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাহফুজা বেগম পুতুল,  আ'লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন ও শারমিন আক্তার। 

উল্লেখ এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ শ ৯১ জন। ৬৬টি কেন্দ্রে আগামি ২১ মে (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



ডোমারে ক্যান্সরে আক্রান্ত শিশু আমির হামজাকে বাচাঁতে সহায়তা চেয়ে বাবা-মায়ের আকুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে মরণব্যধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত শিশু আমির হামজা (৪) কে বাচাঁতে সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বাবা ও মায়ের আকুতির যেন শেষ নেই। গত ৪ মাস যাবত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না বাবা- মা। তাই দেশের বিত্তবান ও দানবীর ব্যক্তিদের কাছে সন্তানের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন আমির হামজার পিতা শাহিন আলম ও মা নিলুফা ইয়াসমিন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমুজুর শাহিন আলম। তার একমাত্র ৪ বছর বয়সী পুত্র সন্তান আমির হামজা মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগ দেখা দেয়। গত অক্টোবর মাসে ঢাকা পিজি হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ৪ মাস যাবত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নুসরাত জাহান তত্ত্ববাবধানে চিকিৎসাধীন করে এখন ৫০% সুস্থ্য হয়েছে। ডাঃ জানান, এক থেকে দুই বছর শিশুটিকে চিকিৎসা নিতে হবে, তাহলে সুস্থ হবে। বাড়ী ভিটার সামান্য জমি গরু ছাগল বিক্রি করে এবং অন্যের কাছে ধারদেনা করে পিজি হাসপাতাল থেকে শুরু করে রংপুর পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ টাকা সন্তানের পিছনে ব্যয় করে অসহায় ও দিশেহারা হয়ে বর্তমানে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।

বাকী দিনগুলোর চিকিৎসা খরচ জোগাতে দেশের বিত্তবান ও দানবীর ব্যাক্তিদের কাছে সন্তানের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর- ০১৭৮০-৬১০-৫৪১ বিকাশ ও নগদ। এ বিষয়ে জোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যন সাখাওয়াৎ হাবিব বাবু জানান, শাহিন আলম ছেলেটি খুব অসহায়, আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে সকলে মিলে সাধ্য মতো সহযোগিতা করেছি। শিশুটিকে বাচাঁতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। আপনাদের সহযোগিতায় বেচেঁ যেতে পারে শিশুটির প্রাণ।


আরও খবর



২শ ৩৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:চোরাই পথে আনা ভারতীয় ১১হাজার ৭শত ৫০ কেজি (২৩৫ বস্তা) চিনি উদ্ধার করেছে হাইয়ের পুলিশ। এসময় চোরাকারবারিদের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা চিনির বাজারমূল্য ১৫ লাখ সাতাশ হাজার পাঁচশত  টাকার মালামাল জব্দ ক‌রেছে পু‌লিশ।

গত শুত্রুবার দুপু‌রে শা‌ন্তিগঞ্জ থানা থে‌কে আসামী‌দের‌কে সুনামগঞ্জ আদাল‌তে মাধ‌্যমে জেল হাজ‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

জানা যায়,গত বৃহস্প‌তিবার সকা‌লে শান্তিগঞ্জ থানাধীন সদরপুর এলাকায় সিলেট- সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহসড়কে  সিলেটগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকা মেট্রো  ট ২০-৬৫৫২।

গ্রেফতারকৃতরা ১টি কার্ভাটভ্যানে করে ভারতীয় চিনি পরিবহন করছিল। তাদের কাছে থাকা কার্ভাটভ্যানটি তল্লাশি করে ২শত ৩৫  বস্তা) ভারতীয় চিনিসহ কার্ভাটভ্যানটি জব্দ করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাইও‌য়ে থানার ও‌নি ক‌বির আহম‌দের একদল অ‌ভিযান চালি‌য়ে ২শত ৩৫ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন কাভার্ড ভ্যান চালক ঝিনাইদহ জেলার,কালিগঞ্জ থানার তেঘরীহুদা গ্রা‌মের আনোয়ার হো‌সেনের ছে‌লে মোশারফ হোসেন(৪১), তা‌হির পুর থানার লোহাজুড়ি ছড়ারপাড় গ্রা‌মে মৃত আব্দুল খা‌লেক ছে‌লে

বাছির মিয়া (৩৫)কে ক‌রে‌ছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা জব্দকৃত ভারতীয় চিনি আমদানী সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামিরা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহন করায় তাদের বিরুদ্ধে গত বৃহস্প‌তিবার রা‌তে এস আই হা‌দিউল ইসলাম বাদী শা‌ন্তিগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এক‌টি মামলা দা‌য়ের করেন। এ মামলায় তা‌দের‌কে গ্রেপ্তার দে‌খিয়ে সুনামগঞ্জ আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়। এব‌্যাপা‌রে শা‌ন্তিগঞ্জ থানার ও‌সি কাজী মোক্তা‌দির হো‌সেন এ ঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রেন।


আরও খবর